১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৯:৩১
সংবাদ সম্মেলন

বেলকুচিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ২ হাজার কর্মী-সমর্থক, দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

বেলকুচিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ২ হাজার কর্মী-সমর্থক, দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর

সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে নৌকা সমর্থকদের হামলা-মারপিট ও হুমকি-ভয়ভীতির কারণে প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কয়েক দিনে নৌকার সমর্থকদের দফায় দফায় হামলা-মারপিটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। 

শনিবার দুপুরে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বেলকুচির তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে এসব কথা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নৌকার সমর্থকরা ইতোমধ্যে আমার সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

নির্বাচনে জালিয়াতি ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সাবেক মন্ত্রী আরো বলেন, ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর কোনো দিন এতো অত্যাচার-নির্যাতন হয়নি। বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশকারীরা নব্য আওয়ামী লীগ সেজে নৌকা প্রার্থী মমিন মন্ডলের ছত্রচ্ছায়া এ হামলা ও নির্যাতন করছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিসহ জনগণকে নিয়ে বড় ধরনের কর্মসুচী ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আকন্দ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল, পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, রাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান সনিয়া সবুর, বেলকুচি সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়ামান হোসেনসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আব্দুল মমিন মন্ডল এমপির মোবাইলে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার ব্যক্তিগত সহকারি তসলিম সরকার বলেন, আমাদের লোকজন কোনো গ্যাঞ্জাম করেনি। বিভিন্ন জায়গায় তারাই আমাদের লোকজনের উপর আক্রমণ করেছে। 

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, যে কয়টা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটির মামলা হয়েছে। সাতটি মামলার প্রত্যেকটার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের কাছে যেসব ঘটনা এসেছে,  যেগুলো মামলার মতো সেগুলোর মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। যেটা মামলার মতো নয়, সেগুলো জিডি গ্রহণ করে তদন্ত করা হয়েছে। আসামিদেরও ধরা হচ্ছে। পুলিশের অবস্থান পরিস্কার। ইলেকশনের পরে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশী তৎপড়তা শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর