ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হুমায়ূন মিয়া (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার বিকেলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত হুমায়ূন মিয়া সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামের ভোলা সরদার বাড়ির মরহুম লাল মিয়ার ছেলে।
রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিহত হুমায়ূন মিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ভোলা সরদার বাড়ির হুমায়ূন মিয়া ও একই এলাকার এজামত বাড়ির মিজান মিয়ার মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দুইপক্ষ বিরোধ মিমাংসা করতে গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামে সালিশে দু’পক্ষ বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে সালিশসভা পন্ড হয়। এর জের ধরে পরের দিন ২ ফেব্রয়ারি এজামতের বাড়ির মিজান মিয়া ও তার অনুসারীরা জোর করে বিরোধকৃত জায়গায় পিলার বসায়। এনিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের হাতাহাতি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে ভোলা সরদার বাড়ির হুমায়ূন মিয়া মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে হুমায়ূন মিয়া মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে নিহত হুমায়ূন মিয়ার ছোট ভাই আনোয়ার মিয়া বলেন, মিজান মিয়া ও তার অনুসারীরা আমার ভাই হুমায়ূন মিয়াকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
বিডি প্রতিদিন/এএম