কক্সবাজারের উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচারকালে আটকানোর চেষ্টার সময় ড্রাম্প ট্রাকের চাপায় বনবিট কর্মকর্তাকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বন কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ পরিবেশ ও বন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহীদ সরণীস্থ বনবিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন দাবি জানানো হয়।
আয়োজিত মানববন্ধনে কক্সবাজার চলাচলকারি অবৈধ ড্রাম্প ট্রাক বন্ধ করার দাবিও জানানো হয়।
৫ শতাধিক বন কর্মীর উপস্থিতিতে আয়োজিত মানববন্ধনের শুরুতে নিহতের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এতে বক্তারা বলেন, কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ চক্র বেপরোয়াভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে। এই সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে বিট কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এতে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সরওয়ার আলম, উত্তর বনবিভাগীয় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
বন কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলো উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে ও ডাম্পার ট্রাকটির চালক মো. বাপ্পী (২৩), একই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ আলম ওরফে কানা ছৈয়দ (৪০) ও তার ছেলে মো. তারেক (২০), রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার নুরুল আলম মাইজ্জার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৭), হরিণমারা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে ছৈয়দ করিম (৩৫), একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (৩৫), আব্দুর রহিমের ছেলে শাহ আলম (৩৫), হিজলিয়া এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মো. বাবুল (৫০), একই এলাকার ফরিদ আলম ড্রাইভারের ছেলে মো. রুবেল (২৪) এবং হরিণমারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল উদ্দিন ড্রাইভার (৩৯)।
ইতিমধ্যে মামলায় গ্রেফতার হয়েছে এজাহারভূক্ত ৫ নম্বর আসামি ছৈয়দ করিম (৩৫)। জব্দ করা হয়েছে ড্রাম্প ট্রাকটিও।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ