দিন যত ফুরিয়ে আসছে, ঈদের কেনাকাটায় তত ব্যস্ততা বাড়ছে। তিল ধরার জায়গা নেই শহরের মার্কেটগুলোতে। ঈদের সাথে সাথে পয়লা বৈশাখ থাকায় এবার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেচাবিক্রি করে তারা হয়রান হয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে, তৈরি পোশাকের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কাজই কম। দিনে দিনে সকলেই ঝুঁকছে রেডিমেট পোশাকের দিকে। একেবারে সৌখিন ছাড়া যাচ্ছেন না টেইলার্সে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকে। আবার ইফতার পর মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি।
সরেজমনি ঘুরে দেখা গেছে, নেত্রকোনার সব ধরনের বিপণি বিতানে বেচাকেনা জমজমাট। পরনের কাপড়, জুতা থেকে প্রসাধনীর দোকানগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
বিক্রেতারা বলছেন, চাকরিজীবী ব্যবসায়ীরা একদরের দোকানগুলোতে আসছেন, পছন্দ করে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে নিম্নআয়ের যারা, তারা কিছুটা দরদাম করছেন। তবে রেডিমেট পোশাক কিনতেই সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। কিন্তু পোশাক তৈরির বিভিন্ন টেইলার্সে দেখা গেছে কারিগররা ভালো নেই। তাদের কাছে কম যাচ্ছে মানুষ।
পুপুলার টেইলার্সের প্রধান কারিগর খাইরুল ইসলাম জানান, একজন দক্ষ টেইলার্স হতে ২০ থেকে ২৫ বছর সময় লাগে। এরপর এখন এসে দেখা যাচ্ছে নিজেরই পোশায় না। আবার শ্রমিক রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। যে কারণে অনেকেই এখন এই পেশা ছেড়ে অটোরিকশা বা অন্যান্য পেশায় চলে যাচ্ছে। কারণ খুব ফ্যাশন সচেতন ছাড়া কেউ আসেন না বানানো পোশাকের দিকে। দিনে দিনে পেশার কদর কমে যাচ্ছে। একটি পোশাক বানালে বড়জোর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরি নেওয়া হয়। কিন্তু দোকন খরচ, বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিক, মালিক মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা থাকে। এখন আপনারাই বলেন এত কষ্ট করে পরিবার চালানো তো দূরের কথা, নিজেই চলা অসম্ভব।
শরীফ গার্মেন্টসের মালিক মো. শরীফ বলেন, নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক আসছে, মানুষ তাই রেডিমেট পোশাকই বেশি কিনছে। পোশাক তৈরি করতে দিলে টেইলার্সের কাছে ঘুরতে হয়। আর রেডিমেট কিনলে তাদের সময় সাশ্রয় হয়, টাকা বাঁচে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই