শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়া মীলীগ নেতাদের বাড়িতে ও পঞ্চগড়ের আহমদ নগরে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বাড়িতে আগুন দেয়া ও হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। এসব ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে চৌরঙ্গী এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।
সমাবেশে প্রধান সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি বলেন, হামলার ঘটনার তিব্রনিন্দা জানাচ্ছি। যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি। অন্যদিকে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। জেলা জজ কোর্টে সাংবাদিকদের বিএনপির নেতারা জানান, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এসব হামলার ঘটনায় বিএনপি জামায়াতের কেউ জড়িত নয় বলে জানান তারা।
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, বিএনপির নির্বাহী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিনা পারভিন, যুগ্ন আহ্বায়ক মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ বারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও বিভিন্ন হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পঞ্চগড় জামায়াতে ইসলামী। জেলা আমির ইকবালুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কাদীয়ানী সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় আমরা ব্যথিত। এসব হামলায় জামায়াত-বিএনপির কেউ জড়িত নয়। যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন তিনি।
শেখ হাসিনার পতনের পর পঞ্চগড়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ অন্তত অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাড়িতে হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তেঁতুলিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়ি ও অ্যসিলেন্ডের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে একজন আনসার সদস্য আহত হয়। সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার আহমদ নগরে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন দেয়া শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এতে প্রায় ২৫টি বাড়ি ভস্মিভূত হয়। আহত হয় ১২ জন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সেনা সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিডি প্রতিদিন/এএ