কুষ্টিয়ায় গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী যুবলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় নির্মমভাবে নিহত শহর যুবদল কর্মী সবুজ আহমেদের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
আজ সোমবার বেলা ১১ টায় শহরের প্রধান সড়ক এনএস রোডের সিঙ্গার মোড়ে এ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সদস্য আলামিন রানা, জেলা যুবদলের সাবেকসহ তথ্য গবেষণা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, নিহত সবুজের মা সেলিনা খাতুন, স্ত্রী রেশমা খাতুনসহ এলাকার কয়েক শত নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
এসময় নিহত সবুজ আহমেদের স্ত্রী রেশমা খাতুন বলেন, ‘আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল আমার স্বামী। নিরপরাধ আমার স্বামীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল ওরফে বান্টা বাবুলের নেতৃত্বে আওয়ামী-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। আল্লাহ দেখছে আমার নির্দোষ, নিরপরাধ স্বামীকে যারা হত্যা করেছে। আমার সন্তানদের এতিম করেছে, আমাকে করেছে স্বামীহারা। আল্লাহ তাদের বিচার করবে। এখন আমার একটাই দাবি, আমার স্বামী হত্যার বিচার করতে হবে। জড়িতদের ফাঁসি দিতে হবে। তাহলে আমার স্বামীর আত্মা শান্তি পাবে। এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
নিহত সবুজের মা সেলিনা খাতুন বলেন, আজ ছেলে হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। এটা যে কত কষ্টের তা শুধু একজন মা জানে। প্রায় চার মাস হতে চলল আমার ছেলে সবুজ হত্যার আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। আমার মতো আর কেউ যেন সন্তান হারা না হয়। ছেলের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দেখে মরতে চাই।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলামিন রানা বলেন, অতি দ্রুত যুবদল কর্মী সবুজ হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাই পুলিশ-প্রশাসন নিশ্চুপ না থেকে আসামিদের গ্রেফতারে কাজ করুন। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কর্মসূচি চলাকালে পুরো শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে দুই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ