সম্প্রতি সারাদেশে খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, মারামারি বেড়ে গেছে। ফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এছাড়াও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে নিত্যপণ্য এবং কৃষি পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণফোরাম জেলা শাখার ব্যনারে শহরের পাবলিক লাইব্রেরি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা শাখার সভাপতি হাজী মির্জা হাসান, জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম রাজা প্রমুখ।
বক্তারা জাতির প্রত্যাশা পূরণে সব ধরনের ভোগান্তি দূর করতে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
পরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, গাইবান্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সেবারমান বৃদ্ধি, প্রিপেইড মিটারের সংযোগ বন্ধ, নিষ্ক্রিয় পুলিশবাহিনীকে দ্রুত সক্রিয় করাসহ ১১ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে দিতে গেলে জেলা প্রশাসক তা গ্রহণ করেননি বলে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পরে মুঠোফোনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, স্মারকলিপি না নেওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। ওনারা যে সময় এসেছিলেন, সে সময় ডিসি স্যার একজন ফরেনারকে নিয়ে একটি মিটিং করছিলেন। ওনাদের বসতে বলা হয়েছিলো। অন্যথায় সিও সাহেবের কাছে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ওনারা তা না করে চলে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ