নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে দফায় দফায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারী নিহতের ঘটনার পর চরাঞ্চলে সাড়াশি অভিযান করেছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে ৫টি বন্দুক ও একাধিক গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রায়পুরা থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান। এর আগে সোমবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার সোহেল মিয়া (৩৭) শ্রীনগর গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে ৪ টি হত্যা, ২ টি অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে আরও ৬ টি মামলাসহ মোট ১২ টি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো: আব্দুর হান্নান জানান, রায়পুরার চরাঞ্চল শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়েদাবাদ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনায় মোমেনা বেগম (৪৫) নামের এক নারী নিহত ও তিনজন আহত হয়। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং র্যাব এর সমন্বয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে শ্রীনগর বাজারঘাট থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনা নদী থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ১ টি এসবিবিএল একনালা বন্ধুক, ৪টি একনালা দেশীয় তৈরী বন্ধুক, ২টি সিলভার কালারের ম্যাগজিন, ৩০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১২টি শর্টগানের শিসা কাতুর্জসহ ফোন ও মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন ৫৬ ইবি, নরসিংদী আর্মি ক্যাম্পের মেজর ইব্রাহীম আব্দুল্লাহ আসাদ, পুলিশের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) বায়েজিদ বিন মনসুর এবং র্যাব এর নেতৃত্ব দেন নরসিংদী র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা।
উল্লেখ, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রায়পুরার চরাঞ্চল সায়দাবাদ ও বালুরচর এলাকার মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এরই জেরে সোমবার ভোরে বালুর চরের এরশাদ গ্রুপের লোকজন সায়দাবাদ গ্রামে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সায়দাবাদ গ্রামের হানিফ মাস্টার সমর্থক আক্তার মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া আহত হয় মহরম আলীর ছেলে নাজিমুদ্দিন (৪৫), জামাল মিয়ার ছেলে সিয়াম (১৬), মনির মিয়ার ছেলে মাহিন (২০), তাজুল ইসলাম, ও রানা মিয়া (২০)।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল