বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাতে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোহাগ চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সন্তোষপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন। বছর দেড়েক আগে পারিবারিকভাবে বাগেরহাট সদর উপজেলার আদিখালি গ্রামের দীলু মাঝির মেয়ে সনিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। তার ময়নাতদন্ত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, সোহাগ বুধবার শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোহাগকে বেধড়ক মারধর করে মুখে বিষ দিয়ে হাসপাতালে নেয়। ঘটনার পর থেকে সোহাগের স্ত্রী সনিয়া আক্তার, শ্বশুর দীলু মাঝিসহ ওই পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রজো পাইক নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা। সোহাগের স্ত্রী সনিয়া আক্তারের মায়ের সাথে মুঠোফোনে রজোর যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। রজো পাইক আদিখালি গ্রামের ইনছান পাইকের ছেলে।
সোহাগের বোন রেখা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সাথে সোহাগের সম্পর্ক ভালো ছিল না। যার ফলে সোহাগ তার স্ত্রীকে নিয়ে চিতলমারীতে ভাড়া থাকতেন। এর আগেও সোহাগের স্ত্রী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোহাগকে মারধর করেছে, হাসপাতালেও ভর্তি করা লেগেছে। আর বুধবার একেবারে আমার ভাইকে মেরে ফেলল। আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা—ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল