ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পূর্ব বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আমীর আলী নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত হবার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের বাড়িতে শুরু হয় হামলা ও লুটপাট। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার দাঁতমন্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
যুবক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তানভীর আহমেদ। নিহত আমীর আলী দাঁতমন্ডল গ্রামের মো. রফিজ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকার কেরানিগঞ্জে মহিদ আলীর ছেলে সুজন মিয়ার ব্যাগের কারখানায় গিয়ে লাফিলুদ্দির ছেলে সাকিল সুজনের এক কর্মচারীকে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুজন ও সাকিলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে সুজনকে মারধর করা হয়। এ ঘটনা কিছুদিন পর ঢাকা থেকে দুজনই নিজ বাড়ি নাসিরনগর আসে। বাড়িতে এসে সামাজিকভাবে শেষ হওয়ার জন্য বুধবার বিকালে শালিসে বসে। শালিস চলাকালেই উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কতরির্ক হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমীর আলী নামে এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের জালাল উদ্দিরে বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জালালের বাড়ি থেকে ১৩টি গরু নিয়ে যায়। এ ছাড়াও আরো অনেক বাড়িতে হামলা করে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। নিহতের স্ত্রী রুফেসা বেগম দাবী করে বলেন, চার-পাঁচজন মিলে তার স্বামীকে নিজ ঘরে গলায় টিপে হত্যা করে।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তানভীর আহমেদ বলেন, দাঁতমন্ডলে দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে একজন মারা যাবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কিভাবে মারা গেছে ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যবে না। লুটপাটে বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ণন্ত্রণে আনার চেষ্ঠা করে।
বিডি প্রতিদিন/এএম