রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক অপহরণ

রাজধানীসহ সারা দেশে অপহরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। অপহরণের শিকার হচ্ছেন সরকার ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা। ব্যবসায়ী ও অন্য পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও অপহৃত হচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়দানকারী সাদা পোশাকধারী লোকজনের হাতে। এদের কেউ কেউ ফিরে আসছেন ভাগ্যগুণে। অন্যদের কোনো হদিসই মিলছে না। র্যাব, ডিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে অপহরণের ঘটনা ঘটলেও এ বাহিনীগুলো আইনবহিভর্ূত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করছে। তারা বলছেন, অপরাধীরা তাদের অপরাধ সংঘটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুনামের জন্যও বিড়ম্বনা সৃষ্টি করছে। অপহরণের যেসব ঘটনা সারা দেশে হৈচৈ তুলেছে সেসব ঘটনা তদন্ত করেও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষগুলো কোনো হদিস পায়নি। এর ফলে কার্যত অপরাধীরাই সুবিধা পাচ্ছে। তারা অপকর্ম আরও জোরেশোরে চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩৯ জন অপহৃত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনের লাশ পাওয়া গেছে। চারজন ফিরে এসেছেন। এ ছাড়া ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ২৬৮ জন অপহৃত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ছেড়ে দেওয়া হয় ২৪ জনকে। কিন্তু ১৮৭ জনের কোনো খোঁজই নেই। এ ছাড়া গত বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন ৫৩ জন। তবে চলতি বছরের প্রথম দুই মাস, অর্থাৎ জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেই অপহৃতের সংখ্যা ২৫। একের পর এক অপহরণের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই শুধু নয়, সরকারের প্রতি মানুষের আস্থায় ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। জননিরাপত্তা প্রতিটি সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত। এ কর্তব্যের কথা মনে রেখে অপহরণের হোতাদের ধরতে হবে। অপরাধীদের পরিচয় যাই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে এ অকাম্য বিসংবাদের অবসান ঘটাতে হবে।

সর্বশেষ খবর