শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
ধর্ম

জিলহজ মাসের করণীয় ও বর্জনীয়

মুফতি মতিউর রাহমান

আজ পবিত্র হজ। মক্কা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে দুনিয়ার সমস্ত প্রান্ত থেকে উপস্থিত হয়েছেন লাখ লাখ হাজী। জিলহজ মাস একটি অত্যন্ত ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস। বিশেষত এ মাসের প্রথম দশকের বিশেষ ফজিলত এবং তাৎপর্য পবিত্র কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। জিলহজের প্রথম দশক এতই ফজিলতপূর্ণ যে, স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এ দশকের শপথ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, শপথ! ভোরের, শপথ দশ রাতের (ফজর : ১-২) এ আয়াতে দশ রাত বলতে জিলহজ মাসের প্রথম দশকই বুঝানো হয়েছে। হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে জিলহজের প্রথম দশক থেকে উত্তম আর কোনো দিনই নেই। (ইবনে হিব্বান হাদিস নং-২৮৪২) অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, দুনিয়ার দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে জিলহজের প্রথম দশক। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস নং-২০১০) জিলহজের প্রথম দশকে অধিকহারে নেক আমল করা উচিত। কারণ এ সময়ের নেক আমলের সওয়াব অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। হজরত রসুল (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনসমূহের নেক আমল মহান আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমল থেকে অধিক প্রিয়। (তিরমিজি ১/১৫০, বুখারি (১/১৩২) ১ জিলহজ থেকে ৯ জিলহজ পর্যন্ত অর্থাৎ ঈদুল আজহার আগের দিন পর্যন্ত ৯ দিন রোজা রাখার বিশেষ ফজিলতও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত রসুল (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনসমূহের ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য। (তিরমিজি ১/১৫০) বিশেষভাবে নবম জিলহজ আরাফার দিনের রোজার স্বতন্ত্র ফজিলতও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত নবী করীম (সা.) বলেন, আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে আমি মহান আল্লাহর কাছে আশা করি যে, তিনি এর দ্বারা পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (তিরমিজি ১/১৫৭) তবে হাজীদের আরাফার দিনে রোজা না রাখাই উত্তম। যাতে তারা সবল, সতেজ ও চাঙ্গা শরীরে আরাফার ময়দানে অধিক দোয়ায় মনোনিবেশ করতে পারেন। যারা কোরবানি দেবেন তারা জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে কোরবানি করার আগ পর্যন্ত নখ চুল গোঁফ ইত্যাদি না কাটা মুস্তাহাব। (মুসলিম ২/১৬০, তিরমিজি-১২৭৮) লেখক : খতিব, মুহাম্মদিয়া দারুল উলুম জামে মসজিদ, ওয়াপদা রোড, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা।

 

 

 

সর্বশেষ খবর