মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

অবরুদ্ধ দেশ- অবাধ চলাচলে বিরানির প্যাকেট

হরতাল-অবরোধে বিপর্যস্ত দেশ। কৃষকের ফসল তরিতরকারি মাঠে নষ্ট হচ্ছে। তাদের ঘামঝরা শ্রম বৃথা গেছে। চোখে জমেছে কান্না। মুরগি খামারিরা, মুরগি, ডিম বাজারে বিক্রয় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। দরিদ্র দিন-মজুরেরা কর্মহীন অবস্থায় অভুক্ত থাকছেন। মানুষ পেট্রলবোমায় দগ্ধ হচ্ছে। ১৬ কোটি জনগণ অবরোধ আতঙ্কে আছে। তাদের পরিবারের অন্ন জোগাতে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে। তবে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে বিরানির প্যাকেট সরবরাহে বাধাপ্রাপ্তিতে নেতা-কর্মীদের চিৎকার উঠেছে, রান্না করা খাবার প্রাপ্তিতে অবরোধ অবস্থা বিরাজ করায় নালিশ জানানো হচ্ছে। সপক্ষীয় সুশীল সমাজ বুদ্ধিজীবী মহলের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সারা দেশ অবরুদ্ধ থাকলেও বিএনপির গুলশান কার্যালয় অবরোধের বাইরে গণ্য হতে হবে! কারণ না খেয়ে কি অবরোধ করা যায়? তাদের চিন্তার বিষয় বিরানির প্যাকেট বা রান্না করা খাবার কীভাবে আসবে। অবরোধে মুরগি কোথায়, তরিতরকারি কোথায়, এসব অবরোধকারীদের মাথাব্যথা নয়। তারা হাইকমান্ডের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকার পতন হবে। এতে যদি দেশ ছারখার হয়, তারা নিরুপায়। জনগণের 'ভালো-মন্দ' এটা অবরোধের বিষয় নয়। তাই তো এত প্রাণহানি। পেট্রলবোমা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সর্বস্তরে অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধনের মহাযজ্ঞ! অবরোধকারীদের দরকার ক্ষমতায় আরোহণের রাস্তা বের করা। তো, সেই রাস্তা তৈরিতে গণতন্ত্রের ঝুলিতে কলাকৌশল প্রয়োজন- তাই হরতাল-অবরোধ। 'ক্ষমতা' ছেলের হাতের মোয়া নয় যে, চাইলেই পাওয়া যাবে। জনগণকে বুঝতে হবে জানতে হবে, গর্ভ-যন্ত্রণা সইতে হবে। নির্বাচন ও ভোটের মহাপরীক্ষায় জনগণ। আল্লাহ জনগণকে 'পরীক্ষা' উত্তরণের তৌফিক দিন! আমিন।

মোহা. নাছিরউল্লাহ খান ১৯৩/এফ, ফকিরাপুল, ঢাকা।

 

 

সর্বশেষ খবর