শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৪ জুন, ২০১৬ আপডেট:

শিরক-বিদআত এবং তিন জামাতের বিসংবাদ!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
শিরক-বিদআত এবং তিন জামাতের বিসংবাদ!

বিষয়টি বেশ জটিল এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। শিরক ও বিদআত নিয়ে গত চৌদ্দশ বছরে তামাম দুনিয়ার আলেম ওলামা এবং গাউস-কুতুবগণ যে যাই বলুন না কেন তা আর ইদানীংকালে বাংলাদেশে তেমনটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো এদেশের মুসলমানগণ তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের সঙ্গে বিবাদ-বিসংবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা পরস্পর পরস্পরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য করছেন না এহেন কর্ম খুবই কম।  তারা নিরন্তর চেষ্টা করছেন নিজেদের দল ভারী করার জন্য এবং অর্থবিত্ত ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। তাদের কারও শক্তি কারও তুলনায় কম নয়— আবার কর্মী-সমর্থক এবং অনুসারীদের সংখ্যাও প্রায় সমান। ফলে ছয় কোটি সক্ষম এবং সামর্থ্যবান বাংলাদেশি মুসলিম নর-নারী, যুবক-যুবতী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাগণ তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়ে ইসলামের চির মীমাংসিত কতগুলো বিষয় নিয়ে যেমন বাদ-বিসংবাদ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি নিজেদের উদ্ভাবিত কিছু বিষয়াদিকে ইসলামী শরিয়তের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। ফলে মুসলমানদের গৌরবময় চৌদ্দশ বছরের ইতিহাসে যেসব ফেতনা-ফ্যাসাদ কোথাও ঘটেনি সেসব বিষয় ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমানের দেশ বলে পরিচিত আমাদের বাংলাদেশে।

কোন কোন শিরক এবং বিদআত নিয়ে বিসংবাদ হচ্ছে তা বলার আগে বাংলাদেশের তিন প্রকৃতির জামাত সম্পর্কে সংক্ষেপে বলে নিই। প্রথমে দলটির নাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। দ্বিতীয় দলে রয়েছে তাবলিগ জামাত এবং তৃতীয়টি হলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠার লগ্ন এবং প্রাচীনত্ব বিবেচনা করে তিন জামাতকে ক্রমিক নম্বরে সাজানো হয়েছে। সাধারণ মুসলমান, মুমিন-মুত্তাকি অথবা আরও ঊর্ধ্বস্তরের ওলিআল্লাহ কিংবা আবেদ আবদালগণের সবাই তাদের প্রাত্যহিক জীবনে ধর্ম-কর্ম বলতে পবিত্র কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনাবলিকে গ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের শরিয়তের ভিত্তি ছিল কোরআন-হাদিস আর মারফত অনুসরণ ছিল একান্ত ব্যক্তিগত এবং গোপনীয়। বর্তমান বাংলাদেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীগণ নিজ নিজ পীর অথবা মর্শিদের বাণীকেই অকাট্য দলিল মনে করেন। তাবলিগিরা তাদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইলিয়াস কর্তৃক স্বপ্নে প্রাপ্ত ছয়টি নিয়মকে জীবনের ইবাদত বন্দেগির মূল প্রতিপাদ্য মনে করেন। অন্যদিকে জামাতিরা প্রথমত আবু ওয়াহাব নজদী এবং প্রধানত আবুল আলা মওদুদীর মতবাদকে তাদের ধর্মীয় জীবনের সর্বস্ব মনে করেন।

বাংলাদেশের তিন জামাতের বিবাদ-বিসংবাদের মতো ঘটনা পৃথিবীর অন্য কোনো মুসলিম দেশে কোনো কালে ছিল না এবং বর্তমানেও নেই। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানগণের মধ্যে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বটিই মৌলিক এবং প্রাচীন। এর বাইরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব, আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব, ভাষা ও সংস্কৃতির দ্বন্দ্বের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে যোগ হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল অঞ্চল, অনুর্বর, ঊষর এবং দুর্গম মরু ও পাহাড়বেষ্টিত এলাকা এবং কম ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্বের জন্য প্রতিকূল হওয়া সত্ত্বেও গত একশ বছরে তামাম মুসলিম উম্মাহর সর্বনাশটির শুরু হয়েছিল ওই এলাকা থেকেই। বিবাদকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীর একেক দলের লোকসংখ্যা দুই-চার হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই-চার লাখ মাত্র। এই স্বল্প সংখ্যক লোকের দ্বন্দ্ব সংখ্যাও বিশাল বিশাল এলাকাকে যেখানে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছে সেখানে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ সমতল ভূমিতে যদি পরস্পরবিরোধী ছয় কোটি লোক তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তবে সর্বাত্মক ধ্বংসলীলা সাধিত হতে কি একশ বছর লাগবে নাকি এক ঘণ্টা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

বাংলাদেশের তিন জামাতের দ্বন্দ্বের তিনটি মূল কারণ রয়েছে যথা— সামাজিক ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয়। তিনটি কারণের মধ্যে তারা সর্বদা তৃতীয় কারণ অর্থাৎ ধর্মকেই সব সময় সামনে তুলে ধরেন। তাদের দ্বন্দ্বটিও ত্রিমুখী— অর্থাৎ কেউ কাউকে দেখতে পারে না। তাবলিগ জামাতের লোকজন প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া খুব কম দেখায়। তারা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট আলাপ-আলোচনা এবং মিছিল-মিটিং পরিহার করে বটে— তবে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোকে দিনকে দিন মজবুতীকরণ, কর্মী-সমর্থকগণের সংখ্যা বাড়ানো এবং কর্মের অধিক্ষেত্রের আয়তন বৃদ্ধির সূচকে তারা অন্য দুই জামাতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে জ্যামিতিক হারে। তাদের সর্বাঙ্গীণ প্রবৃদ্ধি এবং সার্বিক কর্মকাণ্ডকে দুই জামাত দুই চোখে দেখতে পারে না। ফলে তারা দশ মুখে তাবলিগের বিরুদ্ধে নানা প্রচার প্রোপাগান্ডা চালানোর পাশাপাশি তাদের কর্মকাণ্ডকে ইসলাম বিরুদ্ধ বলে ফতোয়া দিচ্ছে এবং কিছু কর্মকাণ্ডকে শিরক এবং বিদআত বলে প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। তাবলিগিরা এসব প্রচার প্রোপাগান্ডায় সামান্য প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে কেবল এগিয়েই যাচ্ছেন যা বাকি দুই জামাতকে রীতিমতো ভাবনার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

তাবলিগ জামাতের ছয়টি মূলনীতি হলো— কালিমা, সালাত বা নামাজ, ইলম এবং জিকির, ইকরাম-ই মুসলিম বা মুসলমানদের সম্মান জানান, ইখলাস-ই নিয়ত বা সঠিক নিয়ত অর্থাৎ উদ্দেশ্য এবং তাবলিগ দাওয়াত। তাদের নীতিমালাসমূহ তাদের ইমাম মোহাম্মদ ইলিয়াস কর্তৃক প্রণীত এবং ১৯২৭ সাল থেকে প্রচলিত। জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা রশিদ আহম্মেদ গাঙ্গুহী ছিলেন তাবলিগি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের শিক্ষক। জনাব ইলিয়াস তার ছয়টি নীতি যা তাবলিগি উসুল নামে পরিচিত তা প্রচার করতে গিয়ে যখন সেগুলোর উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন যে— এসব তিনি স্বপ্নে পেয়েছিলেন। তাবলিগবিরোধীরা জোর গলায় প্রচার করেন যে— কেবল নবী এবং রসুলগণ ব্যতীত অন্য কোনো মানুষের স্বপ্ন সহিহ হতে পারে না। কোনো সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, কোনো ওলিআল্লাহ, গাউস কুতুব, পীর আবদাল, তাবই তাবইগণ, তাবই এবং সাহাবাগণের স্বপ্ন ও মুসলমানদের শরিয়ত রূপে স্বীকৃতি পায়নি এবং অনাগত দিনেও পাবে না।

তাবলিগবিরোধীরা আরও অভিযোগ করেন যে, তাবলিগিরা তাদের ছয়টি উসুল চালু এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের সঙ্গে শিরক শুরু করেছে। অন্যদিকে, তাবলিগ শব্দটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তারা নবী এবং রসুলদের কর্মের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কর্মকে একাকার করার মাধ্যমে শিরক ও বিদআদ চালু করেছে। তাবলিগিরা তাদের তাবলিগ শব্দটি পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরানের ১০৪ নম্বর আয়াতের আলোকে ব্যাখ্যা প্রদানের চেষ্টা করেন। এ ছাড়া ৪১ নম্বর সূরার ৩৩ নম্বর আয়াতের মর্মবাণীকে নিজেদের কর্মের ভিত্তি হিসেবে তারা সব সময় প্রচার করে থাকেন। তাবলিগবিরোধীদের দাবি পবিত্র কোরআনে তাবলিগের মর্মবাণী নবী ও রসুলগণের শানে ব্যবহৃত হয়েছে, যা কেবল বিধর্মীদের মধ্যে প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এক মুসলমান কর্তৃক অন্য মুসলমানের কাছে ধর্মের শিক্ষা এবং দীক্ষাকে প্রচারের জন্য তাবলিগ শব্দটি প্রযোজ্য নয়। অন্যদিকে, কোনো মুসলমান কর্তৃক অন্য অমুসলিমের কাছে ইসলামের মর্মবাণীর দাওয়াত পৌঁছানোকে তাবলিগ বলে প্রচার করা যাবে না। কারণ শব্দটি কেবল নবী ও রসুলগণের জন্যই প্রযোজ্য। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তাবলিগ জামাতের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না থাকার দরুন আমি তা পাঠকদের জানাতে পারলাম না।

এবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ এবং সেসব অভিযোগের ব্যাপারে তাদের জবাব এবং যুক্তিসমূহ নিয়ে আলোচনা করা যাক। জামায়াতে ইসলামপন্থিরা বলেন যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন আসলে আহলে বেদআত এবং ভ্রান্ত আকিদার লোক। তারা রসুল (সা.)-কে অতীব মর্যাদাশীল প্রমাণ করার জন্য অনেক মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী বর্ণনা করেন। তারা মাজার পূজার মাধ্যমে সরাসরি শিরক এবং পীর প্রথার মাধ্যমে বিদআত চালু করার কাজে লিপ্ত। রসুল (সা.) হাজির-নাজির, নূরের তৈরি এবং তিনি এলমে, গায়েব জানেন— আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এ ধরনের দাবি জামায়াতে ইসলাম সরাসরি নাকচ করে দেয়। কোনো মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করার রেওয়াজটিও জামায়াতে ইসলাম সমর্থন করে না। অন্যদিকে ওহাবি-মওদুদী মতবাদ প্রভাবিত জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের রয়েছে এন্তার অভিযোগ। তাদের অনেক পীর মাশায়েখ লাখ লাখ লোকের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ উত্থাপন করেন যা আমি আজকের নিবন্ধে উল্লেখ করলাম না নতুন ফেতনা-ফ্যাসাদের ভয়ে।

আলোচনার এ পর্যায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দাবিগুলোর সপক্ষে তারা যেসব যুক্তি এবং প্রমাণ হাজির করেন তা সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি। তাদের মতে, রসুল (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা, ভক্তি শ্রদ্ধা, আনুগত্য এবং তার সিদ্ধান্তসমূহ মান্য করার ক্ষেত্রে একচুল নড়চড় হলে কেউ মোমিন মোত্তাকী হতে পারবে না। সূরা নিসার ৬৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ স্বয়ং এ ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে কেউ যদি জেনেশুনে রসুল (সা.)-এর শানে একটু বেয়াদবি করে অথবা তার সম্মানহানিকর কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য পেশ করে তবে লোকটি মুসলমান হলে সঙ্গে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে। তাদের বক্তব্য হলো— মোমিন মোত্তাকী হওয়ার জন্য এবং কাফের হওয়া থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার রসুল (সা.)-কে সত্যিকারভাবে জানা এবং চেনা। রসুল (সা.)-এর গুণাবলি পদ-পদবি এবং আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদা সম্পর্কে না জানলে একজন মানুষের পক্ষে রসুল (সা.)-কে নিজ পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততির চেয়ে বেশি ভালোবাসা সম্ভব নয়। অন্যদিকে তার অলৌকিত্ব, বিশেষত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে তাকে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে স্থান দিয়ে তার হুকুম এবং আহকামসমূহ পালন করা সম্ভব নয়। এ কারণেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে রসুল (সা.) সম্পর্কে জানার জন্য এবং বোঝার জন্য তাগিদ দেন।

তারা বলেন, হুজুর (সা.) নূরের তৈরি না হলে মেরাজ সম্ভব নয়। অন্যদিকে তার নূর, আল্লাহর জাত থেকে উৎসরিত না হলে তিনি লা মাকামে যেতে পারতেন না। কারণ মেরাজের রাতে স্বয়ং জিবরাইল লা মাকামে যেতে পারেননি। এ ব্যাপারে তারা রসুল (সা.) জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বজন স্বীকৃত প্রমাণ পেশ করেন। একটি হলো— হুজুর (সা.)-এর শরীরের কোনো ছায়া ছিল না। তিনি  প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বাইরে কোথাও গেলে একখণ্ড মেঘ সব সময় তাকে ছায়া প্রদান করত। দ্বিতীয়ত: তার শরীরে কোনো দিন মশা-মাছি কিংবা অন্য কোনো পোকামাকড় কীট-পতঙ্গ বসেনি। তিনি হাজির নাজির এবং এলমে গায়েব সম্পর্কে অবগত এমন দাবির সপক্ষে কোরআন হাদিস এবং ইতিহাস থেকেই তারা অনেক অকাট্য যুক্তি, প্রমাণ এবং দলিলাদি হাজির করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রসুল (সা.)কে রহমাতুল্লিল আলামিন বলে সম্মানিত করেছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য— অর্থাৎ তামাম মাখলুকাত সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত তিনি সবার জন্য রহমত। আল্লাহ আরও বলেন, কেয়ামতের দিন অনেক মানুষ আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে বেমালুম নিজেদের পাপকর্মসমূহ অস্বীকার করে বসবে আর তখন আল্লাহ রসুল (সা.)-কে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করবেন। কোরআনের এ দুটি তাত্পর্যপূর্ণ আয়াতই প্রমাণ করে তিনি হাজির নাজির। ইলমে গায়েব এবং হাজির নাজিরের  প্রমাণ দিতে গিয়ে তারা ৬১ হিজরিতে সংঘটিত কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে উম্মে সালামা বর্ণিত তিরমিজি শরিফের বিখ্যাত হাদিসটিকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। উক্ত হাদিসে হজরত উম্মে সালামা (রা.) রসুল (সা.)-কে স্বপ্নে দেখেন ১০ মহররম তারিখে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার অব্যবহিত পর। রসুল (সা.)-কে তিনি বলতে শোনেন যে, ইমাম হোসেন (রা.) পরিবারের অনেকের সঙ্গে এই মাত্র শহীদ হয়েছেন। মদিনা থেকে ৮০০ মাইল দূরে সংঘটিত একটি দুর্ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে নির্ভুলভাবে স্বপ্নে দেখার বিষয়টি তিরমিজি শরিফে হাদিস হিসেবে সংকলিত হওয়ার মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর হায়াতুন্নবী, হাজের নাজের এবং এলমে গায়েব জানার বিষয়টি প্রমাণিত। কারণ কোনো মৃত ব্যক্তির স্বপ্নের নির্দেশ বা বক্তব্য শরিয়তের বিধান হয় না। দ্বিতীয়ত: হাদিস বলতে রসুল (সা.)-এর কাজকর্ম, আদেশ, নির্দেশ, অছিয়ত ইত্যাদিকে বুঝায় যা তিনি জীবিত অবস্থায় করেছেন। কাজেই ৬১ হিজরিতেই তিনি উম্মে সালামা (রা.)-কে যে স্বপ্নে দেখা দিলেন ঠিক তখন যদি তাকে আমাদের মতো মৃত বলে গণ্য করা হতো তবে তা হাদিস হিসেবে বর্ণিত হতো না। এবার ইতিহাসের সুবিখ্যাত একটি কাহিনী বলার মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর এলমে গায়েবের সর্বজন স্বীকৃত উদাহরণটি পেশ করে জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে চলে যাব।

অটোম্যান সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী কনসটান্টিনোপল দখল করেন ১৪৮১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের ৩ তারিখে, অর্থাৎ আল্লাহর রসুল (সা.) ওফাতের ৮৪৯ বছর পর। ইতিহাস বিখ্যাত এ ঘটনাটি রসুল (সা.) বলে গিয়েছিলেন তার জীবদ্দশায়। তিনি বিজেতার নাম এবং বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত উল্লেখ করে গিয়েছিলেন। এবার জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিরুদ্ধবাদীদের কিছু অভিযোগ এবং জামায়াতিদের যুক্তিসমূহ বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানব। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ইসলামের রুহানি বিষয়াদি, এলমে মারফত এবং সুফিবাদকে অস্বীকার করে। অলি আল্লাহগণের মাজার সংরক্ষণ, মাজারকে কেন্দ্র করে প্রচলিত ওয়াজ নছিয়ত, বার্ষিক জলসা, ওরস ইত্যাদিকে বেদআত এবং ফেতনা-ফ্যাসাদ মনে করে। মাজার জিয়ারত, মাজারে গিয়ে কোনো কিছু প্রার্থনা বা কোনো পীরের কাছে গিয়ে নিজের দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণের ব্যাপারে সাহায্য চাওয়াকে তারা ইসলামবিরুদ্ধ মনে করে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা এসব কর্মকে শিরক হিসেবে বিবেচনা করে। তারা কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নেই এমন বিষয়কে ইসলাম শরিয়ত হিসেবে মানতে নারাজ।

তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তারা আল্লাহর রসুল (সা.)-কে নূরের তৈরি বলে স্বীকার করে না। রসুল (সা.)-এর ইলমে গায়েব, হাজির নাজির থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। এমনকি নবুয়ত প্রাপ্তির আগে তার জীবন ও জিন্দিগীর ৪০টি বছর তারা তাকে মক্কার একজন সাধারণ ভালো মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে। নবুয়ত প্রাপ্তির আগে তার মধ্যে নবুয়তির কোনো শান, মান ও মর্যাদা ছিল— এমনতরো কথা তারা বিশ্বাস করে না। তারা আরও বলে যে, ওফাতের পর রসুল (সা.)-এর মর্যাদা একজন মৃত মানুষের মতো। রসুল (সা.)-এর ব্যক্তিগত জীবন, দৈনন্দিন কর্ম ইত্যাদিতে সাধারণ ভুলভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক ছিল বলেও তারা মতামত দেয়। তবে নবী হিসেবে তিনি যে নিষ্পাপ ছিলেন তা তারা স্বীকার করে।

জামায়াতে ইসলামী বিরোধীরা মনে করেন— জামায়াত ধর্মের ব্যাপারে মস্তবড় ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। রসুল (সা.) সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কবিরা গুনাহের পর্যায়ে পড়ে। কারণ কোরআনের ভাষ্যমতে— রসুল (সা.)-কে আল্লাহ শরিয়তের বিধান প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মা আয়েশা সিদ্দিকার বর্ণনা মতে, রসুল (সা.) জীবন হলো জীবন্ত এবং চলমান কোরআন। এক্ষেত্রে জীবন বলতে তিনি কেবল নবুয়তের সময়কালকে বোঝাননি— বরং পুরো জীবনকেই বুঝিয়েছেন। বোখারি শরিফের বর্ণনা মতে— হিরা পর্বতে জিবরাইল কর্তৃক প্রথম আয়াত নাজিল হওয়ার আগে ছয় মাস ধরে রসুল (সা.)-এর প্রতি ওহি নাজিল হয়েছে স্বপ্নে। তিনি জন্মের মুহূর্ত থেকেই কোরআনে বর্ণিত প্রতিটি হুকুম পালন করে আসছিলেন। দুধ মায়ের একটি দুধ থেকে পান করা এবং অন্য দুটি দুধভাই আব্দুল্লাহর জন্য রেখে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সেই শৈশবে তায়েব হক আদায় করেছেন। ২৪ মাস দুধ পানের মাধ্যমে কোরআনের হুকুম পালন করেছেন যা নাজিল হয়েছিল মদিনায় তার জন্মের ৫০ বছর পর। তাঁর বিয়েশাদি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক জীবনের একটি মুহূর্তও কেউ দেখাতে পারবে না যেখানে তিনি নবুয়তের আগে কোরআনবিরুদ্ধ কোনো কাজ করছেন। কাজেই হজরত ওমর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছানি বিচার প্রার্থীকে যেরূপ শাস্তি দিয়েছিলেন ঠিক অনুরূপ কায়দায় রসুল (সা.)-কে অসম্মানকারীদের বিচার হওয়া উচিত বলে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধবাদীরা ওয়াজ নছিহত করে বেড়ায়।

উপসংহারে শুধু এটুকুই বলব— বাংলাদেশের রাষ্ট্রশক্তির উচিত তিন জামায়াতের বিবাদ বিসংবাদ দূর করার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দ্বন্দ্ব, বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব বা অন্যান্য মুখরোচক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা বাংলাদেশের তিন জামায়াতের বিসংবাদের কাছে নস্যি মাত্র।  কাজেই প্রলয় ঘটার আগেই যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে পুরো জাতিকেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

     লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
বড় শত্রু ভুয়া তথ্য
বড় শত্রু ভুয়া তথ্য
নির্বাচনি দায়িত্ব
নির্বাচনি দায়িত্ব
সূর্য দেখুক ঐতিহ্যের সূর্যঘড়ি
সূর্য দেখুক ঐতিহ্যের সূর্যঘড়ি
নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না
নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
গাজর
গাজর
ভোটের প্রস্তুতি
ভোটের প্রস্তুতি
রাজনীতিবিদদের ঐক্য
রাজনীতিবিদদের ঐক্য
ধর্মের বাতি জ্বলে ওয়াজের মাঠে
ধর্মের বাতি জ্বলে ওয়াজের মাঠে
সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন
সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন
পাকিস্তানে তালেবান সাপের ছোবল
পাকিস্তানে তালেবান সাপের ছোবল
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না
নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না

৩৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রাজধানীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাত, দুই কলেজ শিক্ষার্থী আহত
রাজধানীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাত, দুই কলেজ শিক্ষার্থী আহত

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

পাবনায় ৪০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস
পাবনায় ৪০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৭২ বছর পুরনো লজ্জার সামনে লিভারপুল
৭২ বছর পুরনো লজ্জার সামনে লিভারপুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে মদপানে পর্যটকের মৃত্যু, পুলিশ হেফাজতে চারজন
কক্সবাজারে মদপানে পর্যটকের মৃত্যু, পুলিশ হেফাজতে চারজন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ
শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার
দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরো ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর
আরো ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে বিএনপির মহিলা সমাবেশ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির মহিলা সমাবেশ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাটোরে সড়ক দিবসে মহাসড়ক সংস্কারের দাবি
নাটোরে সড়ক দিবসে মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫
নাটোরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পৃথক স্থান থেকে ২ লাশ উদ্ধার
সিলেটে পৃথক স্থান থেকে ২ লাশ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার অর্থ কি, ইউক্রেনের সামনে ঘোর বিপদ?
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার অর্থ কি, ইউক্রেনের সামনে ঘোর বিপদ?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুড়িগ্রামে টিকাদান ক্যাম্পেইনে সভা
কুড়িগ্রামে টিকাদান ক্যাম্পেইনে সভা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ
একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ইসিজি মেশিন হস্তান্তর
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ইসিজি মেশিন হস্তান্তর

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ
মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লালমনিরহাটে ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক
লালমনিরহাটে ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৫৮ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৫৮ মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্দর অভিমুখে শ্রমিক-কর্মচারীর মিছিলে বাধা
বন্দর অভিমুখে শ্রমিক-কর্মচারীর মিছিলে বাধা

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুড়িগ্রামে জমি দখলের অভিযোগে যুবদ‌লের ২ নেতা ব‌হিষ্কার
কুড়িগ্রামে জমি দখলের অভিযোগে যুবদ‌লের ২ নেতা ব‌হিষ্কার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রমিকদের স্বার্থে আইএলওর তিন কনভেনশনে সই করল সরকার
শ্রমিকদের স্বার্থে আইএলওর তিন কনভেনশনে সই করল সরকার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নয়া-পুরাতন দোসরদের সমন্বয়ে চক্রান্ত আলোর মুখ দেখবে না : প্রিন্স
নয়া-পুরাতন দোসরদের সমন্বয়ে চক্রান্ত আলোর মুখ দেখবে না : প্রিন্স

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হ্রদে ভাসছে নিথর গোলাপি হাতি শাবক, তিন দিন ধরে পাহারায় শোকগ্রস্ত মা!
হ্রদে ভাসছে নিথর গোলাপি হাতি শাবক, তিন দিন ধরে পাহারায় শোকগ্রস্ত মা!

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও
মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’
‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের
হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা
বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা
স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ
জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন
সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে
সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের
পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন
সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা
প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ড. ফাহমিদা খাতুন
দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ড. ফাহমিদা খাতুন

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস
অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ
নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বনাথে অসময়ে তরমুজ চাষ, লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক
বিশ্বনাথে অসময়ে তরমুজ চাষ, লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামতেই দেবে গেল হেলিপ্যাড (ভিডিও)
ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামতেই দেবে গেল হেলিপ্যাড (ভিডিও)

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৮ বছর বয়সে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড আসিফ আফ্রিদির
৩৮ বছর বয়সে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড আসিফ আফ্রিদির

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের

সম্পাদকীয়

ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না
ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না

নগর জীবন

জোট বাড়ছে বিএনপির
জোট বাড়ছে বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

মিঠামইনের অঘোষিত রাজা
মিঠামইনের অঘোষিত রাজা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক
ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব
প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব

মাঠে ময়দানে

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই

নগর জীবন

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট
দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট

রকমারি নগর পরিক্রমা

অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী
অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী

নগর জীবন

আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা
আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা

প্রথম পৃষ্ঠা

চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না
চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে
রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট
কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার
দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা
কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাদ পড়লেন শাকিব খান
বাদ পড়লেন শাকিব খান

শোবিজ

হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী
হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর

নিষিদ্ধ আ.লীগের পাঁচ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ আ.লীগের পাঁচ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ডান্সিং ডিভা তানজিন তিশা
ডান্সিং ডিভা তানজিন তিশা

শোবিজ

সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ
সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ

খবর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

মহাসড়ক সংস্কারের দাবি
মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

দেশগ্রাম

আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই
আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

জনসচেতনতামূলক গল্পের ছবি নেই কেন
জনসচেতনতামূলক গল্পের ছবি নেই কেন

শোবিজ

এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক
এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনা-কামালের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ
হাসিনা-কামালের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ

প্রথম পৃষ্ঠা