শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৪ জুন, ২০১৬ আপডেট:

শিরক-বিদআত এবং তিন জামাতের বিসংবাদ!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
শিরক-বিদআত এবং তিন জামাতের বিসংবাদ!

বিষয়টি বেশ জটিল এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। শিরক ও বিদআত নিয়ে গত চৌদ্দশ বছরে তামাম দুনিয়ার আলেম ওলামা এবং গাউস-কুতুবগণ যে যাই বলুন না কেন তা আর ইদানীংকালে বাংলাদেশে তেমনটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো এদেশের মুসলমানগণ তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের সঙ্গে বিবাদ-বিসংবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা পরস্পর পরস্পরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য করছেন না এহেন কর্ম খুবই কম।  তারা নিরন্তর চেষ্টা করছেন নিজেদের দল ভারী করার জন্য এবং অর্থবিত্ত ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। তাদের কারও শক্তি কারও তুলনায় কম নয়— আবার কর্মী-সমর্থক এবং অনুসারীদের সংখ্যাও প্রায় সমান। ফলে ছয় কোটি সক্ষম এবং সামর্থ্যবান বাংলাদেশি মুসলিম নর-নারী, যুবক-যুবতী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাগণ তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়ে ইসলামের চির মীমাংসিত কতগুলো বিষয় নিয়ে যেমন বাদ-বিসংবাদ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি নিজেদের উদ্ভাবিত কিছু বিষয়াদিকে ইসলামী শরিয়তের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। ফলে মুসলমানদের গৌরবময় চৌদ্দশ বছরের ইতিহাসে যেসব ফেতনা-ফ্যাসাদ কোথাও ঘটেনি সেসব বিষয় ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমানের দেশ বলে পরিচিত আমাদের বাংলাদেশে।

কোন কোন শিরক এবং বিদআত নিয়ে বিসংবাদ হচ্ছে তা বলার আগে বাংলাদেশের তিন প্রকৃতির জামাত সম্পর্কে সংক্ষেপে বলে নিই। প্রথমে দলটির নাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। দ্বিতীয় দলে রয়েছে তাবলিগ জামাত এবং তৃতীয়টি হলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠার লগ্ন এবং প্রাচীনত্ব বিবেচনা করে তিন জামাতকে ক্রমিক নম্বরে সাজানো হয়েছে। সাধারণ মুসলমান, মুমিন-মুত্তাকি অথবা আরও ঊর্ধ্বস্তরের ওলিআল্লাহ কিংবা আবেদ আবদালগণের সবাই তাদের প্রাত্যহিক জীবনে ধর্ম-কর্ম বলতে পবিত্র কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনাবলিকে গ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের শরিয়তের ভিত্তি ছিল কোরআন-হাদিস আর মারফত অনুসরণ ছিল একান্ত ব্যক্তিগত এবং গোপনীয়। বর্তমান বাংলাদেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীগণ নিজ নিজ পীর অথবা মর্শিদের বাণীকেই অকাট্য দলিল মনে করেন। তাবলিগিরা তাদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইলিয়াস কর্তৃক স্বপ্নে প্রাপ্ত ছয়টি নিয়মকে জীবনের ইবাদত বন্দেগির মূল প্রতিপাদ্য মনে করেন। অন্যদিকে জামাতিরা প্রথমত আবু ওয়াহাব নজদী এবং প্রধানত আবুল আলা মওদুদীর মতবাদকে তাদের ধর্মীয় জীবনের সর্বস্ব মনে করেন।

বাংলাদেশের তিন জামাতের বিবাদ-বিসংবাদের মতো ঘটনা পৃথিবীর অন্য কোনো মুসলিম দেশে কোনো কালে ছিল না এবং বর্তমানেও নেই। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানগণের মধ্যে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বটিই মৌলিক এবং প্রাচীন। এর বাইরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব, আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব, ভাষা ও সংস্কৃতির দ্বন্দ্বের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে যোগ হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল অঞ্চল, অনুর্বর, ঊষর এবং দুর্গম মরু ও পাহাড়বেষ্টিত এলাকা এবং কম ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্বের জন্য প্রতিকূল হওয়া সত্ত্বেও গত একশ বছরে তামাম মুসলিম উম্মাহর সর্বনাশটির শুরু হয়েছিল ওই এলাকা থেকেই। বিবাদকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীর একেক দলের লোকসংখ্যা দুই-চার হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই-চার লাখ মাত্র। এই স্বল্প সংখ্যক লোকের দ্বন্দ্ব সংখ্যাও বিশাল বিশাল এলাকাকে যেখানে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছে সেখানে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ সমতল ভূমিতে যদি পরস্পরবিরোধী ছয় কোটি লোক তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তবে সর্বাত্মক ধ্বংসলীলা সাধিত হতে কি একশ বছর লাগবে নাকি এক ঘণ্টা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

বাংলাদেশের তিন জামাতের দ্বন্দ্বের তিনটি মূল কারণ রয়েছে যথা— সামাজিক ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয়। তিনটি কারণের মধ্যে তারা সর্বদা তৃতীয় কারণ অর্থাৎ ধর্মকেই সব সময় সামনে তুলে ধরেন। তাদের দ্বন্দ্বটিও ত্রিমুখী— অর্থাৎ কেউ কাউকে দেখতে পারে না। তাবলিগ জামাতের লোকজন প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া খুব কম দেখায়। তারা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট আলাপ-আলোচনা এবং মিছিল-মিটিং পরিহার করে বটে— তবে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোকে দিনকে দিন মজবুতীকরণ, কর্মী-সমর্থকগণের সংখ্যা বাড়ানো এবং কর্মের অধিক্ষেত্রের আয়তন বৃদ্ধির সূচকে তারা অন্য দুই জামাতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে জ্যামিতিক হারে। তাদের সর্বাঙ্গীণ প্রবৃদ্ধি এবং সার্বিক কর্মকাণ্ডকে দুই জামাত দুই চোখে দেখতে পারে না। ফলে তারা দশ মুখে তাবলিগের বিরুদ্ধে নানা প্রচার প্রোপাগান্ডা চালানোর পাশাপাশি তাদের কর্মকাণ্ডকে ইসলাম বিরুদ্ধ বলে ফতোয়া দিচ্ছে এবং কিছু কর্মকাণ্ডকে শিরক এবং বিদআত বলে প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। তাবলিগিরা এসব প্রচার প্রোপাগান্ডায় সামান্য প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে কেবল এগিয়েই যাচ্ছেন যা বাকি দুই জামাতকে রীতিমতো ভাবনার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

তাবলিগ জামাতের ছয়টি মূলনীতি হলো— কালিমা, সালাত বা নামাজ, ইলম এবং জিকির, ইকরাম-ই মুসলিম বা মুসলমানদের সম্মান জানান, ইখলাস-ই নিয়ত বা সঠিক নিয়ত অর্থাৎ উদ্দেশ্য এবং তাবলিগ দাওয়াত। তাদের নীতিমালাসমূহ তাদের ইমাম মোহাম্মদ ইলিয়াস কর্তৃক প্রণীত এবং ১৯২৭ সাল থেকে প্রচলিত। জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা রশিদ আহম্মেদ গাঙ্গুহী ছিলেন তাবলিগি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের শিক্ষক। জনাব ইলিয়াস তার ছয়টি নীতি যা তাবলিগি উসুল নামে পরিচিত তা প্রচার করতে গিয়ে যখন সেগুলোর উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন যে— এসব তিনি স্বপ্নে পেয়েছিলেন। তাবলিগবিরোধীরা জোর গলায় প্রচার করেন যে— কেবল নবী এবং রসুলগণ ব্যতীত অন্য কোনো মানুষের স্বপ্ন সহিহ হতে পারে না। কোনো সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, কোনো ওলিআল্লাহ, গাউস কুতুব, পীর আবদাল, তাবই তাবইগণ, তাবই এবং সাহাবাগণের স্বপ্ন ও মুসলমানদের শরিয়ত রূপে স্বীকৃতি পায়নি এবং অনাগত দিনেও পাবে না।

তাবলিগবিরোধীরা আরও অভিযোগ করেন যে, তাবলিগিরা তাদের ছয়টি উসুল চালু এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের সঙ্গে শিরক শুরু করেছে। অন্যদিকে, তাবলিগ শব্দটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তারা নবী এবং রসুলদের কর্মের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কর্মকে একাকার করার মাধ্যমে শিরক ও বিদআদ চালু করেছে। তাবলিগিরা তাদের তাবলিগ শব্দটি পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরানের ১০৪ নম্বর আয়াতের আলোকে ব্যাখ্যা প্রদানের চেষ্টা করেন। এ ছাড়া ৪১ নম্বর সূরার ৩৩ নম্বর আয়াতের মর্মবাণীকে নিজেদের কর্মের ভিত্তি হিসেবে তারা সব সময় প্রচার করে থাকেন। তাবলিগবিরোধীদের দাবি পবিত্র কোরআনে তাবলিগের মর্মবাণী নবী ও রসুলগণের শানে ব্যবহৃত হয়েছে, যা কেবল বিধর্মীদের মধ্যে প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এক মুসলমান কর্তৃক অন্য মুসলমানের কাছে ধর্মের শিক্ষা এবং দীক্ষাকে প্রচারের জন্য তাবলিগ শব্দটি প্রযোজ্য নয়। অন্যদিকে, কোনো মুসলমান কর্তৃক অন্য অমুসলিমের কাছে ইসলামের মর্মবাণীর দাওয়াত পৌঁছানোকে তাবলিগ বলে প্রচার করা যাবে না। কারণ শব্দটি কেবল নবী ও রসুলগণের জন্যই প্রযোজ্য। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তাবলিগ জামাতের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না থাকার দরুন আমি তা পাঠকদের জানাতে পারলাম না।

এবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ এবং সেসব অভিযোগের ব্যাপারে তাদের জবাব এবং যুক্তিসমূহ নিয়ে আলোচনা করা যাক। জামায়াতে ইসলামপন্থিরা বলেন যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন আসলে আহলে বেদআত এবং ভ্রান্ত আকিদার লোক। তারা রসুল (সা.)-কে অতীব মর্যাদাশীল প্রমাণ করার জন্য অনেক মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী বর্ণনা করেন। তারা মাজার পূজার মাধ্যমে সরাসরি শিরক এবং পীর প্রথার মাধ্যমে বিদআত চালু করার কাজে লিপ্ত। রসুল (সা.) হাজির-নাজির, নূরের তৈরি এবং তিনি এলমে, গায়েব জানেন— আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এ ধরনের দাবি জামায়াতে ইসলাম সরাসরি নাকচ করে দেয়। কোনো মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করার রেওয়াজটিও জামায়াতে ইসলাম সমর্থন করে না। অন্যদিকে ওহাবি-মওদুদী মতবাদ প্রভাবিত জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের রয়েছে এন্তার অভিযোগ। তাদের অনেক পীর মাশায়েখ লাখ লাখ লোকের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ উত্থাপন করেন যা আমি আজকের নিবন্ধে উল্লেখ করলাম না নতুন ফেতনা-ফ্যাসাদের ভয়ে।

আলোচনার এ পর্যায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দাবিগুলোর সপক্ষে তারা যেসব যুক্তি এবং প্রমাণ হাজির করেন তা সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি। তাদের মতে, রসুল (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা, ভক্তি শ্রদ্ধা, আনুগত্য এবং তার সিদ্ধান্তসমূহ মান্য করার ক্ষেত্রে একচুল নড়চড় হলে কেউ মোমিন মোত্তাকী হতে পারবে না। সূরা নিসার ৬৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ স্বয়ং এ ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে কেউ যদি জেনেশুনে রসুল (সা.)-এর শানে একটু বেয়াদবি করে অথবা তার সম্মানহানিকর কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য পেশ করে তবে লোকটি মুসলমান হলে সঙ্গে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে। তাদের বক্তব্য হলো— মোমিন মোত্তাকী হওয়ার জন্য এবং কাফের হওয়া থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার রসুল (সা.)-কে সত্যিকারভাবে জানা এবং চেনা। রসুল (সা.)-এর গুণাবলি পদ-পদবি এবং আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদা সম্পর্কে না জানলে একজন মানুষের পক্ষে রসুল (সা.)-কে নিজ পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততির চেয়ে বেশি ভালোবাসা সম্ভব নয়। অন্যদিকে তার অলৌকিত্ব, বিশেষত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে তাকে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে স্থান দিয়ে তার হুকুম এবং আহকামসমূহ পালন করা সম্ভব নয়। এ কারণেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে রসুল (সা.) সম্পর্কে জানার জন্য এবং বোঝার জন্য তাগিদ দেন।

তারা বলেন, হুজুর (সা.) নূরের তৈরি না হলে মেরাজ সম্ভব নয়। অন্যদিকে তার নূর, আল্লাহর জাত থেকে উৎসরিত না হলে তিনি লা মাকামে যেতে পারতেন না। কারণ মেরাজের রাতে স্বয়ং জিবরাইল লা মাকামে যেতে পারেননি। এ ব্যাপারে তারা রসুল (সা.) জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বজন স্বীকৃত প্রমাণ পেশ করেন। একটি হলো— হুজুর (সা.)-এর শরীরের কোনো ছায়া ছিল না। তিনি  প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বাইরে কোথাও গেলে একখণ্ড মেঘ সব সময় তাকে ছায়া প্রদান করত। দ্বিতীয়ত: তার শরীরে কোনো দিন মশা-মাছি কিংবা অন্য কোনো পোকামাকড় কীট-পতঙ্গ বসেনি। তিনি হাজির নাজির এবং এলমে গায়েব সম্পর্কে অবগত এমন দাবির সপক্ষে কোরআন হাদিস এবং ইতিহাস থেকেই তারা অনেক অকাট্য যুক্তি, প্রমাণ এবং দলিলাদি হাজির করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রসুল (সা.)কে রহমাতুল্লিল আলামিন বলে সম্মানিত করেছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য— অর্থাৎ তামাম মাখলুকাত সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত তিনি সবার জন্য রহমত। আল্লাহ আরও বলেন, কেয়ামতের দিন অনেক মানুষ আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে বেমালুম নিজেদের পাপকর্মসমূহ অস্বীকার করে বসবে আর তখন আল্লাহ রসুল (সা.)-কে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করবেন। কোরআনের এ দুটি তাত্পর্যপূর্ণ আয়াতই প্রমাণ করে তিনি হাজির নাজির। ইলমে গায়েব এবং হাজির নাজিরের  প্রমাণ দিতে গিয়ে তারা ৬১ হিজরিতে সংঘটিত কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে উম্মে সালামা বর্ণিত তিরমিজি শরিফের বিখ্যাত হাদিসটিকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। উক্ত হাদিসে হজরত উম্মে সালামা (রা.) রসুল (সা.)-কে স্বপ্নে দেখেন ১০ মহররম তারিখে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার অব্যবহিত পর। রসুল (সা.)-কে তিনি বলতে শোনেন যে, ইমাম হোসেন (রা.) পরিবারের অনেকের সঙ্গে এই মাত্র শহীদ হয়েছেন। মদিনা থেকে ৮০০ মাইল দূরে সংঘটিত একটি দুর্ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে নির্ভুলভাবে স্বপ্নে দেখার বিষয়টি তিরমিজি শরিফে হাদিস হিসেবে সংকলিত হওয়ার মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর হায়াতুন্নবী, হাজের নাজের এবং এলমে গায়েব জানার বিষয়টি প্রমাণিত। কারণ কোনো মৃত ব্যক্তির স্বপ্নের নির্দেশ বা বক্তব্য শরিয়তের বিধান হয় না। দ্বিতীয়ত: হাদিস বলতে রসুল (সা.)-এর কাজকর্ম, আদেশ, নির্দেশ, অছিয়ত ইত্যাদিকে বুঝায় যা তিনি জীবিত অবস্থায় করেছেন। কাজেই ৬১ হিজরিতেই তিনি উম্মে সালামা (রা.)-কে যে স্বপ্নে দেখা দিলেন ঠিক তখন যদি তাকে আমাদের মতো মৃত বলে গণ্য করা হতো তবে তা হাদিস হিসেবে বর্ণিত হতো না। এবার ইতিহাসের সুবিখ্যাত একটি কাহিনী বলার মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর এলমে গায়েবের সর্বজন স্বীকৃত উদাহরণটি পেশ করে জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে চলে যাব।

অটোম্যান সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী কনসটান্টিনোপল দখল করেন ১৪৮১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের ৩ তারিখে, অর্থাৎ আল্লাহর রসুল (সা.) ওফাতের ৮৪৯ বছর পর। ইতিহাস বিখ্যাত এ ঘটনাটি রসুল (সা.) বলে গিয়েছিলেন তার জীবদ্দশায়। তিনি বিজেতার নাম এবং বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত উল্লেখ করে গিয়েছিলেন। এবার জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিরুদ্ধবাদীদের কিছু অভিযোগ এবং জামায়াতিদের যুক্তিসমূহ বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানব। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ইসলামের রুহানি বিষয়াদি, এলমে মারফত এবং সুফিবাদকে অস্বীকার করে। অলি আল্লাহগণের মাজার সংরক্ষণ, মাজারকে কেন্দ্র করে প্রচলিত ওয়াজ নছিয়ত, বার্ষিক জলসা, ওরস ইত্যাদিকে বেদআত এবং ফেতনা-ফ্যাসাদ মনে করে। মাজার জিয়ারত, মাজারে গিয়ে কোনো কিছু প্রার্থনা বা কোনো পীরের কাছে গিয়ে নিজের দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণের ব্যাপারে সাহায্য চাওয়াকে তারা ইসলামবিরুদ্ধ মনে করে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা এসব কর্মকে শিরক হিসেবে বিবেচনা করে। তারা কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নেই এমন বিষয়কে ইসলাম শরিয়ত হিসেবে মানতে নারাজ।

তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তারা আল্লাহর রসুল (সা.)-কে নূরের তৈরি বলে স্বীকার করে না। রসুল (সা.)-এর ইলমে গায়েব, হাজির নাজির থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। এমনকি নবুয়ত প্রাপ্তির আগে তার জীবন ও জিন্দিগীর ৪০টি বছর তারা তাকে মক্কার একজন সাধারণ ভালো মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে। নবুয়ত প্রাপ্তির আগে তার মধ্যে নবুয়তির কোনো শান, মান ও মর্যাদা ছিল— এমনতরো কথা তারা বিশ্বাস করে না। তারা আরও বলে যে, ওফাতের পর রসুল (সা.)-এর মর্যাদা একজন মৃত মানুষের মতো। রসুল (সা.)-এর ব্যক্তিগত জীবন, দৈনন্দিন কর্ম ইত্যাদিতে সাধারণ ভুলভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক ছিল বলেও তারা মতামত দেয়। তবে নবী হিসেবে তিনি যে নিষ্পাপ ছিলেন তা তারা স্বীকার করে।

জামায়াতে ইসলামী বিরোধীরা মনে করেন— জামায়াত ধর্মের ব্যাপারে মস্তবড় ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। রসুল (সা.) সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কবিরা গুনাহের পর্যায়ে পড়ে। কারণ কোরআনের ভাষ্যমতে— রসুল (সা.)-কে আল্লাহ শরিয়তের বিধান প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মা আয়েশা সিদ্দিকার বর্ণনা মতে, রসুল (সা.) জীবন হলো জীবন্ত এবং চলমান কোরআন। এক্ষেত্রে জীবন বলতে তিনি কেবল নবুয়তের সময়কালকে বোঝাননি— বরং পুরো জীবনকেই বুঝিয়েছেন। বোখারি শরিফের বর্ণনা মতে— হিরা পর্বতে জিবরাইল কর্তৃক প্রথম আয়াত নাজিল হওয়ার আগে ছয় মাস ধরে রসুল (সা.)-এর প্রতি ওহি নাজিল হয়েছে স্বপ্নে। তিনি জন্মের মুহূর্ত থেকেই কোরআনে বর্ণিত প্রতিটি হুকুম পালন করে আসছিলেন। দুধ মায়ের একটি দুধ থেকে পান করা এবং অন্য দুটি দুধভাই আব্দুল্লাহর জন্য রেখে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সেই শৈশবে তায়েব হক আদায় করেছেন। ২৪ মাস দুধ পানের মাধ্যমে কোরআনের হুকুম পালন করেছেন যা নাজিল হয়েছিল মদিনায় তার জন্মের ৫০ বছর পর। তাঁর বিয়েশাদি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক জীবনের একটি মুহূর্তও কেউ দেখাতে পারবে না যেখানে তিনি নবুয়তের আগে কোরআনবিরুদ্ধ কোনো কাজ করছেন। কাজেই হজরত ওমর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছানি বিচার প্রার্থীকে যেরূপ শাস্তি দিয়েছিলেন ঠিক অনুরূপ কায়দায় রসুল (সা.)-কে অসম্মানকারীদের বিচার হওয়া উচিত বলে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধবাদীরা ওয়াজ নছিহত করে বেড়ায়।

উপসংহারে শুধু এটুকুই বলব— বাংলাদেশের রাষ্ট্রশক্তির উচিত তিন জামায়াতের বিবাদ বিসংবাদ দূর করার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দ্বন্দ্ব, বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব বা অন্যান্য মুখরোচক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা বাংলাদেশের তিন জামায়াতের বিসংবাদের কাছে নস্যি মাত্র।  কাজেই প্রলয় ঘটার আগেই যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে পুরো জাতিকেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

     লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
সেনারা পারে, পারতেই হয়
সেনারা পারে, পারতেই হয়
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
সর্বশেষ খবর
অনশনরত তারেককে বিএনপির পক্ষ থেকে সংহতি জানালেন রিজভী
অনশনরত তারেককে বিএনপির পক্ষ থেকে সংহতি জানালেন রিজভী

২ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঝালকাঠিতে ইলেন ভুট্টোর নির্বাচনী নির্বাচনী গণসংযোগ
ঝালকাঠিতে ইলেন ভুট্টোর নির্বাচনী নির্বাচনী গণসংযোগ

৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভোট যেন না হয় সে ষড়যন্ত্র চলছে : সরোয়ার
ভোট যেন না হয় সে ষড়যন্ত্র চলছে : সরোয়ার

৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বুড়িমারীতে সিসা ও উচ্চমূল্যের ওষুধসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
বুড়িমারীতে সিসা ও উচ্চমূল্যের ওষুধসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পুষ্টি ক্যাম্পেইন মেলা’ অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পুষ্টি ক্যাম্পেইন মেলা’ অনুষ্ঠিত

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বালু মহাল নিয়ে দ্বদ্বের জেরে খুন হন হাকিম: পুলিশ
বালু মহাল নিয়ে দ্বদ্বের জেরে খুন হন হাকিম: পুলিশ

১৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাল নোট প্রতিরোধে বিজিবির নজরদারি জোরদার
জাল নোট প্রতিরোধে বিজিবির নজরদারি জোরদার

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রাথমিকে সঙ্গীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে রাবিতে কর্মসূচি
প্রাথমিকে সঙ্গীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে রাবিতে কর্মসূচি

১৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ

১৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘কেজিএফ’ খ্যাত অভিনেতা হরিশ আর নেই
‘কেজিএফ’ খ্যাত অভিনেতা হরিশ আর নেই

১৭ মিনিট আগে | শোবিজ

মোদির দলের সামনে অগ্নিপরীক্ষা
মোদির দলের সামনে অগ্নিপরীক্ষা

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন
জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব এলাকায় ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব এলাকায় ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

রামগতিতে অভিযানে দু’টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
রামগতিতে অভিযানে দু’টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জকসু নির্বাচনের দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জকসু নির্বাচনের দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪

৩৫ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিল ইরান: আরাঘচি
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিল ইরান: আরাঘচি

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চকবাজারে র‌্যাবের অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা ও জরিমানা
চকবাজারে র‌্যাবের অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা ও জরিমানা

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

টানা দ্বিতীয়বার এমএলএসের বর্ষসেরা একাদশে মেসি
টানা দ্বিতীয়বার এমএলএসের বর্ষসেরা একাদশে মেসি

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দলিত জনগোষ্ঠীর পাশে থাকার অঙ্গীকার বিএনপি নেতা ফরিদের
দলিত জনগোষ্ঠীর পাশে থাকার অঙ্গীকার বিএনপি নেতা ফরিদের

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢামেকে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢামেকে কারাবন্দীর মৃত্যু

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

লালমনিরহাট সীমান্তে দখলের খবরটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
লালমনিরহাট সীমান্তে দখলের খবরটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন বিজয়-রাশমিকা!
ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন বিজয়-রাশমিকা!

৪৯ মিনিট আগে | শোবিজ

অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

চোট কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেন পান্ত
চোট কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেন পান্ত

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আড়াইহাজারে ৬ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
আড়াইহাজারে ৬ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাগেরহাটে ৮৩০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
বাগেরহাটে ৮৩০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিপাকে রায়না-শিখর, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিপাকে রায়না-শিখর, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে ৩০ বছরে কমেছে প্রায় ২০ লাখ মহিষ
রংপুরে ৩০ বছরে কমেছে প্রায় ২০ লাখ মহিষ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট বিলম্বিত বা বাতিল করার ষড়যন্ত্র চলছে: খন্দকার মোশাররফ
ভোট বিলম্বিত বা বাতিল করার ষড়যন্ত্র চলছে: খন্দকার মোশাররফ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী
অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া
বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই
ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার
বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১১ তারিখ পর্যন্ত আলটিমেটাম, না মানলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে: গোলাম পরওয়ার
১১ তারিখ পর্যন্ত আলটিমেটাম, না মানলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে: গোলাম পরওয়ার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফাশারের কসাই কে এই আবু লুলু?
ফাশারের কসাই কে এই আবু লুলু?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাথমিকে শিক্ষক পদে আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর
প্রাথমিকে শিক্ষক পদে আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা
তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর
ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন
উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ
মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’
‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে দুই বছরের দণ্ড ও জরিমানা
ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে দুই বছরের দণ্ড ও জরিমানা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম
জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার
সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত
গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো
দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

ভুল নকশায় ভোগান্তি
ভুল নকশায় ভোগান্তি

রকমারি নগর পরিক্রমা

তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর
তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল
পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম পৃষ্ঠা

এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি
এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী

দেশগ্রাম

ডেকে নিয়ে হত্যা দুই ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধকে
ডেকে নিয়ে হত্যা দুই ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধকে

দেশগ্রাম

সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক
সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক

পেছনের পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে ডেনিম এক্সপো
আইসিসিবিতে ডেনিম এক্সপো

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটে আগুনে ঘি ঢেলে দেয় প্রথম আলো
সংকটে আগুনে ঘি ঢেলে দেয় প্রথম আলো

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্রীড়াঙ্গনে অন্যরকম নভেম্বর
ক্রীড়াঙ্গনে অন্যরকম নভেম্বর

মাঠে ময়দানে

মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ
মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

দেশগ্রাম

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

দেশগ্রাম

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি

নগর জীবন

বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত
বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত

নগর জীবন

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নগর জীবন

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত

নগর জীবন

সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন
সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০
ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০

পূর্ব-পশ্চিম