শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৪ জুন, ২০১৬ আপডেট:

শিরক-বিদআত এবং তিন জামাতের বিসংবাদ!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
শিরক-বিদআত এবং তিন জামাতের বিসংবাদ!

বিষয়টি বেশ জটিল এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। শিরক ও বিদআত নিয়ে গত চৌদ্দশ বছরে তামাম দুনিয়ার আলেম ওলামা এবং গাউস-কুতুবগণ যে যাই বলুন না কেন তা আর ইদানীংকালে বাংলাদেশে তেমনটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো এদেশের মুসলমানগণ তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের সঙ্গে বিবাদ-বিসংবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা পরস্পর পরস্পরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য করছেন না এহেন কর্ম খুবই কম।  তারা নিরন্তর চেষ্টা করছেন নিজেদের দল ভারী করার জন্য এবং অর্থবিত্ত ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। তাদের কারও শক্তি কারও তুলনায় কম নয়— আবার কর্মী-সমর্থক এবং অনুসারীদের সংখ্যাও প্রায় সমান। ফলে ছয় কোটি সক্ষম এবং সামর্থ্যবান বাংলাদেশি মুসলিম নর-নারী, যুবক-যুবতী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাগণ তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়ে ইসলামের চির মীমাংসিত কতগুলো বিষয় নিয়ে যেমন বাদ-বিসংবাদ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি নিজেদের উদ্ভাবিত কিছু বিষয়াদিকে ইসলামী শরিয়তের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। ফলে মুসলমানদের গৌরবময় চৌদ্দশ বছরের ইতিহাসে যেসব ফেতনা-ফ্যাসাদ কোথাও ঘটেনি সেসব বিষয় ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমানের দেশ বলে পরিচিত আমাদের বাংলাদেশে।

কোন কোন শিরক এবং বিদআত নিয়ে বিসংবাদ হচ্ছে তা বলার আগে বাংলাদেশের তিন প্রকৃতির জামাত সম্পর্কে সংক্ষেপে বলে নিই। প্রথমে দলটির নাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। দ্বিতীয় দলে রয়েছে তাবলিগ জামাত এবং তৃতীয়টি হলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠার লগ্ন এবং প্রাচীনত্ব বিবেচনা করে তিন জামাতকে ক্রমিক নম্বরে সাজানো হয়েছে। সাধারণ মুসলমান, মুমিন-মুত্তাকি অথবা আরও ঊর্ধ্বস্তরের ওলিআল্লাহ কিংবা আবেদ আবদালগণের সবাই তাদের প্রাত্যহিক জীবনে ধর্ম-কর্ম বলতে পবিত্র কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনাবলিকে গ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের শরিয়তের ভিত্তি ছিল কোরআন-হাদিস আর মারফত অনুসরণ ছিল একান্ত ব্যক্তিগত এবং গোপনীয়। বর্তমান বাংলাদেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীগণ নিজ নিজ পীর অথবা মর্শিদের বাণীকেই অকাট্য দলিল মনে করেন। তাবলিগিরা তাদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইলিয়াস কর্তৃক স্বপ্নে প্রাপ্ত ছয়টি নিয়মকে জীবনের ইবাদত বন্দেগির মূল প্রতিপাদ্য মনে করেন। অন্যদিকে জামাতিরা প্রথমত আবু ওয়াহাব নজদী এবং প্রধানত আবুল আলা মওদুদীর মতবাদকে তাদের ধর্মীয় জীবনের সর্বস্ব মনে করেন।

বাংলাদেশের তিন জামাতের বিবাদ-বিসংবাদের মতো ঘটনা পৃথিবীর অন্য কোনো মুসলিম দেশে কোনো কালে ছিল না এবং বর্তমানেও নেই। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানগণের মধ্যে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বটিই মৌলিক এবং প্রাচীন। এর বাইরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব, আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব, ভাষা ও সংস্কৃতির দ্বন্দ্বের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে যোগ হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল অঞ্চল, অনুর্বর, ঊষর এবং দুর্গম মরু ও পাহাড়বেষ্টিত এলাকা এবং কম ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্বের জন্য প্রতিকূল হওয়া সত্ত্বেও গত একশ বছরে তামাম মুসলিম উম্মাহর সর্বনাশটির শুরু হয়েছিল ওই এলাকা থেকেই। বিবাদকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীর একেক দলের লোকসংখ্যা দুই-চার হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই-চার লাখ মাত্র। এই স্বল্প সংখ্যক লোকের দ্বন্দ্ব সংখ্যাও বিশাল বিশাল এলাকাকে যেখানে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছে সেখানে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ সমতল ভূমিতে যদি পরস্পরবিরোধী ছয় কোটি লোক তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তবে সর্বাত্মক ধ্বংসলীলা সাধিত হতে কি একশ বছর লাগবে নাকি এক ঘণ্টা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

বাংলাদেশের তিন জামাতের দ্বন্দ্বের তিনটি মূল কারণ রয়েছে যথা— সামাজিক ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয়। তিনটি কারণের মধ্যে তারা সর্বদা তৃতীয় কারণ অর্থাৎ ধর্মকেই সব সময় সামনে তুলে ধরেন। তাদের দ্বন্দ্বটিও ত্রিমুখী— অর্থাৎ কেউ কাউকে দেখতে পারে না। তাবলিগ জামাতের লোকজন প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া খুব কম দেখায়। তারা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট আলাপ-আলোচনা এবং মিছিল-মিটিং পরিহার করে বটে— তবে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোকে দিনকে দিন মজবুতীকরণ, কর্মী-সমর্থকগণের সংখ্যা বাড়ানো এবং কর্মের অধিক্ষেত্রের আয়তন বৃদ্ধির সূচকে তারা অন্য দুই জামাতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে জ্যামিতিক হারে। তাদের সর্বাঙ্গীণ প্রবৃদ্ধি এবং সার্বিক কর্মকাণ্ডকে দুই জামাত দুই চোখে দেখতে পারে না। ফলে তারা দশ মুখে তাবলিগের বিরুদ্ধে নানা প্রচার প্রোপাগান্ডা চালানোর পাশাপাশি তাদের কর্মকাণ্ডকে ইসলাম বিরুদ্ধ বলে ফতোয়া দিচ্ছে এবং কিছু কর্মকাণ্ডকে শিরক এবং বিদআত বলে প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। তাবলিগিরা এসব প্রচার প্রোপাগান্ডায় সামান্য প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে কেবল এগিয়েই যাচ্ছেন যা বাকি দুই জামাতকে রীতিমতো ভাবনার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

তাবলিগ জামাতের ছয়টি মূলনীতি হলো— কালিমা, সালাত বা নামাজ, ইলম এবং জিকির, ইকরাম-ই মুসলিম বা মুসলমানদের সম্মান জানান, ইখলাস-ই নিয়ত বা সঠিক নিয়ত অর্থাৎ উদ্দেশ্য এবং তাবলিগ দাওয়াত। তাদের নীতিমালাসমূহ তাদের ইমাম মোহাম্মদ ইলিয়াস কর্তৃক প্রণীত এবং ১৯২৭ সাল থেকে প্রচলিত। জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা রশিদ আহম্মেদ গাঙ্গুহী ছিলেন তাবলিগি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের শিক্ষক। জনাব ইলিয়াস তার ছয়টি নীতি যা তাবলিগি উসুল নামে পরিচিত তা প্রচার করতে গিয়ে যখন সেগুলোর উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন যে— এসব তিনি স্বপ্নে পেয়েছিলেন। তাবলিগবিরোধীরা জোর গলায় প্রচার করেন যে— কেবল নবী এবং রসুলগণ ব্যতীত অন্য কোনো মানুষের স্বপ্ন সহিহ হতে পারে না। কোনো সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, কোনো ওলিআল্লাহ, গাউস কুতুব, পীর আবদাল, তাবই তাবইগণ, তাবই এবং সাহাবাগণের স্বপ্ন ও মুসলমানদের শরিয়ত রূপে স্বীকৃতি পায়নি এবং অনাগত দিনেও পাবে না।

তাবলিগবিরোধীরা আরও অভিযোগ করেন যে, তাবলিগিরা তাদের ছয়টি উসুল চালু এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের সঙ্গে শিরক শুরু করেছে। অন্যদিকে, তাবলিগ শব্দটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তারা নবী এবং রসুলদের কর্মের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কর্মকে একাকার করার মাধ্যমে শিরক ও বিদআদ চালু করেছে। তাবলিগিরা তাদের তাবলিগ শব্দটি পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরানের ১০৪ নম্বর আয়াতের আলোকে ব্যাখ্যা প্রদানের চেষ্টা করেন। এ ছাড়া ৪১ নম্বর সূরার ৩৩ নম্বর আয়াতের মর্মবাণীকে নিজেদের কর্মের ভিত্তি হিসেবে তারা সব সময় প্রচার করে থাকেন। তাবলিগবিরোধীদের দাবি পবিত্র কোরআনে তাবলিগের মর্মবাণী নবী ও রসুলগণের শানে ব্যবহৃত হয়েছে, যা কেবল বিধর্মীদের মধ্যে প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এক মুসলমান কর্তৃক অন্য মুসলমানের কাছে ধর্মের শিক্ষা এবং দীক্ষাকে প্রচারের জন্য তাবলিগ শব্দটি প্রযোজ্য নয়। অন্যদিকে, কোনো মুসলমান কর্তৃক অন্য অমুসলিমের কাছে ইসলামের মর্মবাণীর দাওয়াত পৌঁছানোকে তাবলিগ বলে প্রচার করা যাবে না। কারণ শব্দটি কেবল নবী ও রসুলগণের জন্যই প্রযোজ্য। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তাবলিগ জামাতের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না থাকার দরুন আমি তা পাঠকদের জানাতে পারলাম না।

এবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ এবং সেসব অভিযোগের ব্যাপারে তাদের জবাব এবং যুক্তিসমূহ নিয়ে আলোচনা করা যাক। জামায়াতে ইসলামপন্থিরা বলেন যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন আসলে আহলে বেদআত এবং ভ্রান্ত আকিদার লোক। তারা রসুল (সা.)-কে অতীব মর্যাদাশীল প্রমাণ করার জন্য অনেক মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী বর্ণনা করেন। তারা মাজার পূজার মাধ্যমে সরাসরি শিরক এবং পীর প্রথার মাধ্যমে বিদআত চালু করার কাজে লিপ্ত। রসুল (সা.) হাজির-নাজির, নূরের তৈরি এবং তিনি এলমে, গায়েব জানেন— আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এ ধরনের দাবি জামায়াতে ইসলাম সরাসরি নাকচ করে দেয়। কোনো মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করার রেওয়াজটিও জামায়াতে ইসলাম সমর্থন করে না। অন্যদিকে ওহাবি-মওদুদী মতবাদ প্রভাবিত জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের রয়েছে এন্তার অভিযোগ। তাদের অনেক পীর মাশায়েখ লাখ লাখ লোকের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ উত্থাপন করেন যা আমি আজকের নিবন্ধে উল্লেখ করলাম না নতুন ফেতনা-ফ্যাসাদের ভয়ে।

আলোচনার এ পর্যায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দাবিগুলোর সপক্ষে তারা যেসব যুক্তি এবং প্রমাণ হাজির করেন তা সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি। তাদের মতে, রসুল (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা, ভক্তি শ্রদ্ধা, আনুগত্য এবং তার সিদ্ধান্তসমূহ মান্য করার ক্ষেত্রে একচুল নড়চড় হলে কেউ মোমিন মোত্তাকী হতে পারবে না। সূরা নিসার ৬৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ স্বয়ং এ ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে কেউ যদি জেনেশুনে রসুল (সা.)-এর শানে একটু বেয়াদবি করে অথবা তার সম্মানহানিকর কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য পেশ করে তবে লোকটি মুসলমান হলে সঙ্গে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে। তাদের বক্তব্য হলো— মোমিন মোত্তাকী হওয়ার জন্য এবং কাফের হওয়া থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার রসুল (সা.)-কে সত্যিকারভাবে জানা এবং চেনা। রসুল (সা.)-এর গুণাবলি পদ-পদবি এবং আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদা সম্পর্কে না জানলে একজন মানুষের পক্ষে রসুল (সা.)-কে নিজ পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততির চেয়ে বেশি ভালোবাসা সম্ভব নয়। অন্যদিকে তার অলৌকিত্ব, বিশেষত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে তাকে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে স্থান দিয়ে তার হুকুম এবং আহকামসমূহ পালন করা সম্ভব নয়। এ কারণেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে রসুল (সা.) সম্পর্কে জানার জন্য এবং বোঝার জন্য তাগিদ দেন।

তারা বলেন, হুজুর (সা.) নূরের তৈরি না হলে মেরাজ সম্ভব নয়। অন্যদিকে তার নূর, আল্লাহর জাত থেকে উৎসরিত না হলে তিনি লা মাকামে যেতে পারতেন না। কারণ মেরাজের রাতে স্বয়ং জিবরাইল লা মাকামে যেতে পারেননি। এ ব্যাপারে তারা রসুল (সা.) জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বজন স্বীকৃত প্রমাণ পেশ করেন। একটি হলো— হুজুর (সা.)-এর শরীরের কোনো ছায়া ছিল না। তিনি  প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বাইরে কোথাও গেলে একখণ্ড মেঘ সব সময় তাকে ছায়া প্রদান করত। দ্বিতীয়ত: তার শরীরে কোনো দিন মশা-মাছি কিংবা অন্য কোনো পোকামাকড় কীট-পতঙ্গ বসেনি। তিনি হাজির নাজির এবং এলমে গায়েব সম্পর্কে অবগত এমন দাবির সপক্ষে কোরআন হাদিস এবং ইতিহাস থেকেই তারা অনেক অকাট্য যুক্তি, প্রমাণ এবং দলিলাদি হাজির করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রসুল (সা.)কে রহমাতুল্লিল আলামিন বলে সম্মানিত করেছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য— অর্থাৎ তামাম মাখলুকাত সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত তিনি সবার জন্য রহমত। আল্লাহ আরও বলেন, কেয়ামতের দিন অনেক মানুষ আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে বেমালুম নিজেদের পাপকর্মসমূহ অস্বীকার করে বসবে আর তখন আল্লাহ রসুল (সা.)-কে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করবেন। কোরআনের এ দুটি তাত্পর্যপূর্ণ আয়াতই প্রমাণ করে তিনি হাজির নাজির। ইলমে গায়েব এবং হাজির নাজিরের  প্রমাণ দিতে গিয়ে তারা ৬১ হিজরিতে সংঘটিত কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে উম্মে সালামা বর্ণিত তিরমিজি শরিফের বিখ্যাত হাদিসটিকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। উক্ত হাদিসে হজরত উম্মে সালামা (রা.) রসুল (সা.)-কে স্বপ্নে দেখেন ১০ মহররম তারিখে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার অব্যবহিত পর। রসুল (সা.)-কে তিনি বলতে শোনেন যে, ইমাম হোসেন (রা.) পরিবারের অনেকের সঙ্গে এই মাত্র শহীদ হয়েছেন। মদিনা থেকে ৮০০ মাইল দূরে সংঘটিত একটি দুর্ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে নির্ভুলভাবে স্বপ্নে দেখার বিষয়টি তিরমিজি শরিফে হাদিস হিসেবে সংকলিত হওয়ার মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর হায়াতুন্নবী, হাজের নাজের এবং এলমে গায়েব জানার বিষয়টি প্রমাণিত। কারণ কোনো মৃত ব্যক্তির স্বপ্নের নির্দেশ বা বক্তব্য শরিয়তের বিধান হয় না। দ্বিতীয়ত: হাদিস বলতে রসুল (সা.)-এর কাজকর্ম, আদেশ, নির্দেশ, অছিয়ত ইত্যাদিকে বুঝায় যা তিনি জীবিত অবস্থায় করেছেন। কাজেই ৬১ হিজরিতেই তিনি উম্মে সালামা (রা.)-কে যে স্বপ্নে দেখা দিলেন ঠিক তখন যদি তাকে আমাদের মতো মৃত বলে গণ্য করা হতো তবে তা হাদিস হিসেবে বর্ণিত হতো না। এবার ইতিহাসের সুবিখ্যাত একটি কাহিনী বলার মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর এলমে গায়েবের সর্বজন স্বীকৃত উদাহরণটি পেশ করে জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে চলে যাব।

অটোম্যান সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী কনসটান্টিনোপল দখল করেন ১৪৮১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের ৩ তারিখে, অর্থাৎ আল্লাহর রসুল (সা.) ওফাতের ৮৪৯ বছর পর। ইতিহাস বিখ্যাত এ ঘটনাটি রসুল (সা.) বলে গিয়েছিলেন তার জীবদ্দশায়। তিনি বিজেতার নাম এবং বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত উল্লেখ করে গিয়েছিলেন। এবার জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিরুদ্ধবাদীদের কিছু অভিযোগ এবং জামায়াতিদের যুক্তিসমূহ বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানব। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ইসলামের রুহানি বিষয়াদি, এলমে মারফত এবং সুফিবাদকে অস্বীকার করে। অলি আল্লাহগণের মাজার সংরক্ষণ, মাজারকে কেন্দ্র করে প্রচলিত ওয়াজ নছিয়ত, বার্ষিক জলসা, ওরস ইত্যাদিকে বেদআত এবং ফেতনা-ফ্যাসাদ মনে করে। মাজার জিয়ারত, মাজারে গিয়ে কোনো কিছু প্রার্থনা বা কোনো পীরের কাছে গিয়ে নিজের দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণের ব্যাপারে সাহায্য চাওয়াকে তারা ইসলামবিরুদ্ধ মনে করে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা এসব কর্মকে শিরক হিসেবে বিবেচনা করে। তারা কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নেই এমন বিষয়কে ইসলাম শরিয়ত হিসেবে মানতে নারাজ।

তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তারা আল্লাহর রসুল (সা.)-কে নূরের তৈরি বলে স্বীকার করে না। রসুল (সা.)-এর ইলমে গায়েব, হাজির নাজির থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। এমনকি নবুয়ত প্রাপ্তির আগে তার জীবন ও জিন্দিগীর ৪০টি বছর তারা তাকে মক্কার একজন সাধারণ ভালো মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে। নবুয়ত প্রাপ্তির আগে তার মধ্যে নবুয়তির কোনো শান, মান ও মর্যাদা ছিল— এমনতরো কথা তারা বিশ্বাস করে না। তারা আরও বলে যে, ওফাতের পর রসুল (সা.)-এর মর্যাদা একজন মৃত মানুষের মতো। রসুল (সা.)-এর ব্যক্তিগত জীবন, দৈনন্দিন কর্ম ইত্যাদিতে সাধারণ ভুলভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক ছিল বলেও তারা মতামত দেয়। তবে নবী হিসেবে তিনি যে নিষ্পাপ ছিলেন তা তারা স্বীকার করে।

জামায়াতে ইসলামী বিরোধীরা মনে করেন— জামায়াত ধর্মের ব্যাপারে মস্তবড় ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। রসুল (সা.) সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কবিরা গুনাহের পর্যায়ে পড়ে। কারণ কোরআনের ভাষ্যমতে— রসুল (সা.)-কে আল্লাহ শরিয়তের বিধান প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মা আয়েশা সিদ্দিকার বর্ণনা মতে, রসুল (সা.) জীবন হলো জীবন্ত এবং চলমান কোরআন। এক্ষেত্রে জীবন বলতে তিনি কেবল নবুয়তের সময়কালকে বোঝাননি— বরং পুরো জীবনকেই বুঝিয়েছেন। বোখারি শরিফের বর্ণনা মতে— হিরা পর্বতে জিবরাইল কর্তৃক প্রথম আয়াত নাজিল হওয়ার আগে ছয় মাস ধরে রসুল (সা.)-এর প্রতি ওহি নাজিল হয়েছে স্বপ্নে। তিনি জন্মের মুহূর্ত থেকেই কোরআনে বর্ণিত প্রতিটি হুকুম পালন করে আসছিলেন। দুধ মায়ের একটি দুধ থেকে পান করা এবং অন্য দুটি দুধভাই আব্দুল্লাহর জন্য রেখে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সেই শৈশবে তায়েব হক আদায় করেছেন। ২৪ মাস দুধ পানের মাধ্যমে কোরআনের হুকুম পালন করেছেন যা নাজিল হয়েছিল মদিনায় তার জন্মের ৫০ বছর পর। তাঁর বিয়েশাদি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক জীবনের একটি মুহূর্তও কেউ দেখাতে পারবে না যেখানে তিনি নবুয়তের আগে কোরআনবিরুদ্ধ কোনো কাজ করছেন। কাজেই হজরত ওমর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছানি বিচার প্রার্থীকে যেরূপ শাস্তি দিয়েছিলেন ঠিক অনুরূপ কায়দায় রসুল (সা.)-কে অসম্মানকারীদের বিচার হওয়া উচিত বলে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধবাদীরা ওয়াজ নছিহত করে বেড়ায়।

উপসংহারে শুধু এটুকুই বলব— বাংলাদেশের রাষ্ট্রশক্তির উচিত তিন জামায়াতের বিবাদ বিসংবাদ দূর করার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দ্বন্দ্ব, বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব বা অন্যান্য মুখরোচক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা বাংলাদেশের তিন জামায়াতের বিসংবাদের কাছে নস্যি মাত্র।  কাজেই প্রলয় ঘটার আগেই যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে পুরো জাতিকেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

     লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
বিমানে বোমা আতঙ্ক
বিমানে বোমা আতঙ্ক
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
মানবাধিকার ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
মানবাধিকার ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
অন্যের শর্তে যেন দেশ না চলে
অন্যের শর্তে যেন দেশ না চলে
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
এসএসসির ফলাফল
এসএসসির ফলাফল
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
সর্বশেষ খবর
ভারতের রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদের তালিকায় চার বিশিষ্ট নাগরিক
ভারতের রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদের তালিকায় চার বিশিষ্ট নাগরিক

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫১ জন
বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫১ জন

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

৪ মিনিট আগে | শোবিজ

জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা
জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা

৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

লোহারপুল-পোস্তগোলা রাস্তা সংস্কারসহ দুই দাবি এলাকাবাসীর
লোহারপুল-পোস্তগোলা রাস্তা সংস্কারসহ দুই দাবি এলাকাবাসীর

১৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন
অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার
ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও
চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প
যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৯ বন্দিকে মুক্তি দিলো কারা কর্তৃপক্ষ
২৯ বন্দিকে মুক্তি দিলো কারা কর্তৃপক্ষ

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২
শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘিরে বেরোবিতে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘিরে বেরোবিতে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

৫০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি
সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা
এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার
সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রবাসী নিহত, চালক-হেলপার আটক
সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রবাসী নিহত, চালক-হেলপার আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্ট্রেলিয়াকে অল্পেই গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বস্তিতে নেই উইন্ডিজও
অস্ট্রেলিয়াকে অল্পেই গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বস্তিতে নেই উইন্ডিজও

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঝিনাইদহে ডিবি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ৪
ঝিনাইদহে ডিবি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এ সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ
এ সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে লেক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ৭ সহপাঠী জিজ্ঞাসাবাদে
চাঁদপুরে লেক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ৭ সহপাঠী জিজ্ঞাসাবাদে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়ার যেকোনও কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের
ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়ার যেকোনও কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার
ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দেখার কেউ নেই শাবির অর্ধকোটি টাকার টেনিস কোর্ট
দেখার কেউ নেই শাবির অর্ধকোটি টাকার টেনিস কোর্ট

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর গায়ে ছুরি, হাসপাতালে অভিনেত্রী
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর গায়ে ছুরি, হাসপাতালে অভিনেত্রী

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব : বিবিসি বাংলাকে সিইসি
আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব : বিবিসি বাংলাকে সিইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পটিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ
পটিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: ১২ আসামি ট্রাইব্যুনালে
আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: ১২ আসামি ট্রাইব্যুনালে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন
পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার
ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের
১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের
চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের
যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি
কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল
সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী
মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি
গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ
এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর
ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি
অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম
২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!
এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নরওয়ের কাছে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
নরওয়ের কাছে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি
চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার
স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

নৃশংস হত্যায় তোলপাড়
নৃশংস হত্যায় তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র
চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব
৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

কাটল না শুল্কসংকট
কাটল না শুল্কসংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

যত আলো  তত অন্ধকার
যত আলো তত অন্ধকার

শোবিজ

প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক
প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ
জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা
হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা

শোবিজ

হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে
হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান
প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন
নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি
পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন
সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ববির সমুদ্রবিলাস
ববির সমুদ্রবিলাস

শোবিজ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের

মাঠে ময়দানে

তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের
তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স
রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান
কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া
ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের
ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের

মাঠে ময়দানে

অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই
অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই

মাঠে ময়দানে

সিনেমার মানুষে তারা...
সিনেমার মানুষে তারা...

শোবিজ

বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপালের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই
বাংলাদেশ-নেপালের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

মাঠে ময়দানে