শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৪ জুন, ২০১৬ আপডেট:

শিরক-বিদআত এবং তিন জামাতের বিসংবাদ!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
শিরক-বিদআত এবং তিন জামাতের বিসংবাদ!

বিষয়টি বেশ জটিল এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। শিরক ও বিদআত নিয়ে গত চৌদ্দশ বছরে তামাম দুনিয়ার আলেম ওলামা এবং গাউস-কুতুবগণ যে যাই বলুন না কেন তা আর ইদানীংকালে বাংলাদেশে তেমনটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো এদেশের মুসলমানগণ তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের সঙ্গে বিবাদ-বিসংবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা পরস্পর পরস্পরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য করছেন না এহেন কর্ম খুবই কম।  তারা নিরন্তর চেষ্টা করছেন নিজেদের দল ভারী করার জন্য এবং অর্থবিত্ত ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। তাদের কারও শক্তি কারও তুলনায় কম নয়— আবার কর্মী-সমর্থক এবং অনুসারীদের সংখ্যাও প্রায় সমান। ফলে ছয় কোটি সক্ষম এবং সামর্থ্যবান বাংলাদেশি মুসলিম নর-নারী, যুবক-যুবতী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাগণ তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়ে ইসলামের চির মীমাংসিত কতগুলো বিষয় নিয়ে যেমন বাদ-বিসংবাদ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি নিজেদের উদ্ভাবিত কিছু বিষয়াদিকে ইসলামী শরিয়তের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। ফলে মুসলমানদের গৌরবময় চৌদ্দশ বছরের ইতিহাসে যেসব ফেতনা-ফ্যাসাদ কোথাও ঘটেনি সেসব বিষয় ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমানের দেশ বলে পরিচিত আমাদের বাংলাদেশে।

কোন কোন শিরক এবং বিদআত নিয়ে বিসংবাদ হচ্ছে তা বলার আগে বাংলাদেশের তিন প্রকৃতির জামাত সম্পর্কে সংক্ষেপে বলে নিই। প্রথমে দলটির নাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। দ্বিতীয় দলে রয়েছে তাবলিগ জামাত এবং তৃতীয়টি হলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠার লগ্ন এবং প্রাচীনত্ব বিবেচনা করে তিন জামাতকে ক্রমিক নম্বরে সাজানো হয়েছে। সাধারণ মুসলমান, মুমিন-মুত্তাকি অথবা আরও ঊর্ধ্বস্তরের ওলিআল্লাহ কিংবা আবেদ আবদালগণের সবাই তাদের প্রাত্যহিক জীবনে ধর্ম-কর্ম বলতে পবিত্র কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনাবলিকে গ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের শরিয়তের ভিত্তি ছিল কোরআন-হাদিস আর মারফত অনুসরণ ছিল একান্ত ব্যক্তিগত এবং গোপনীয়। বর্তমান বাংলাদেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীগণ নিজ নিজ পীর অথবা মর্শিদের বাণীকেই অকাট্য দলিল মনে করেন। তাবলিগিরা তাদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইলিয়াস কর্তৃক স্বপ্নে প্রাপ্ত ছয়টি নিয়মকে জীবনের ইবাদত বন্দেগির মূল প্রতিপাদ্য মনে করেন। অন্যদিকে জামাতিরা প্রথমত আবু ওয়াহাব নজদী এবং প্রধানত আবুল আলা মওদুদীর মতবাদকে তাদের ধর্মীয় জীবনের সর্বস্ব মনে করেন।

বাংলাদেশের তিন জামাতের বিবাদ-বিসংবাদের মতো ঘটনা পৃথিবীর অন্য কোনো মুসলিম দেশে কোনো কালে ছিল না এবং বর্তমানেও নেই। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানগণের মধ্যে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বটিই মৌলিক এবং প্রাচীন। এর বাইরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব, আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব, ভাষা ও সংস্কৃতির দ্বন্দ্বের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে যোগ হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল অঞ্চল, অনুর্বর, ঊষর এবং দুর্গম মরু ও পাহাড়বেষ্টিত এলাকা এবং কম ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্বের জন্য প্রতিকূল হওয়া সত্ত্বেও গত একশ বছরে তামাম মুসলিম উম্মাহর সর্বনাশটির শুরু হয়েছিল ওই এলাকা থেকেই। বিবাদকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীর একেক দলের লোকসংখ্যা দুই-চার হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই-চার লাখ মাত্র। এই স্বল্প সংখ্যক লোকের দ্বন্দ্ব সংখ্যাও বিশাল বিশাল এলাকাকে যেখানে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছে সেখানে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ সমতল ভূমিতে যদি পরস্পরবিরোধী ছয় কোটি লোক তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তবে সর্বাত্মক ধ্বংসলীলা সাধিত হতে কি একশ বছর লাগবে নাকি এক ঘণ্টা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

বাংলাদেশের তিন জামাতের দ্বন্দ্বের তিনটি মূল কারণ রয়েছে যথা— সামাজিক ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয়। তিনটি কারণের মধ্যে তারা সর্বদা তৃতীয় কারণ অর্থাৎ ধর্মকেই সব সময় সামনে তুলে ধরেন। তাদের দ্বন্দ্বটিও ত্রিমুখী— অর্থাৎ কেউ কাউকে দেখতে পারে না। তাবলিগ জামাতের লোকজন প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া খুব কম দেখায়। তারা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট আলাপ-আলোচনা এবং মিছিল-মিটিং পরিহার করে বটে— তবে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোকে দিনকে দিন মজবুতীকরণ, কর্মী-সমর্থকগণের সংখ্যা বাড়ানো এবং কর্মের অধিক্ষেত্রের আয়তন বৃদ্ধির সূচকে তারা অন্য দুই জামাতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে জ্যামিতিক হারে। তাদের সর্বাঙ্গীণ প্রবৃদ্ধি এবং সার্বিক কর্মকাণ্ডকে দুই জামাত দুই চোখে দেখতে পারে না। ফলে তারা দশ মুখে তাবলিগের বিরুদ্ধে নানা প্রচার প্রোপাগান্ডা চালানোর পাশাপাশি তাদের কর্মকাণ্ডকে ইসলাম বিরুদ্ধ বলে ফতোয়া দিচ্ছে এবং কিছু কর্মকাণ্ডকে শিরক এবং বিদআত বলে প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। তাবলিগিরা এসব প্রচার প্রোপাগান্ডায় সামান্য প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে কেবল এগিয়েই যাচ্ছেন যা বাকি দুই জামাতকে রীতিমতো ভাবনার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

তাবলিগ জামাতের ছয়টি মূলনীতি হলো— কালিমা, সালাত বা নামাজ, ইলম এবং জিকির, ইকরাম-ই মুসলিম বা মুসলমানদের সম্মান জানান, ইখলাস-ই নিয়ত বা সঠিক নিয়ত অর্থাৎ উদ্দেশ্য এবং তাবলিগ দাওয়াত। তাদের নীতিমালাসমূহ তাদের ইমাম মোহাম্মদ ইলিয়াস কর্তৃক প্রণীত এবং ১৯২৭ সাল থেকে প্রচলিত। জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা রশিদ আহম্মেদ গাঙ্গুহী ছিলেন তাবলিগি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের শিক্ষক। জনাব ইলিয়াস তার ছয়টি নীতি যা তাবলিগি উসুল নামে পরিচিত তা প্রচার করতে গিয়ে যখন সেগুলোর উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন যে— এসব তিনি স্বপ্নে পেয়েছিলেন। তাবলিগবিরোধীরা জোর গলায় প্রচার করেন যে— কেবল নবী এবং রসুলগণ ব্যতীত অন্য কোনো মানুষের স্বপ্ন সহিহ হতে পারে না। কোনো সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, কোনো ওলিআল্লাহ, গাউস কুতুব, পীর আবদাল, তাবই তাবইগণ, তাবই এবং সাহাবাগণের স্বপ্ন ও মুসলমানদের শরিয়ত রূপে স্বীকৃতি পায়নি এবং অনাগত দিনেও পাবে না।

তাবলিগবিরোধীরা আরও অভিযোগ করেন যে, তাবলিগিরা তাদের ছয়টি উসুল চালু এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের সঙ্গে শিরক শুরু করেছে। অন্যদিকে, তাবলিগ শব্দটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তারা নবী এবং রসুলদের কর্মের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কর্মকে একাকার করার মাধ্যমে শিরক ও বিদআদ চালু করেছে। তাবলিগিরা তাদের তাবলিগ শব্দটি পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরানের ১০৪ নম্বর আয়াতের আলোকে ব্যাখ্যা প্রদানের চেষ্টা করেন। এ ছাড়া ৪১ নম্বর সূরার ৩৩ নম্বর আয়াতের মর্মবাণীকে নিজেদের কর্মের ভিত্তি হিসেবে তারা সব সময় প্রচার করে থাকেন। তাবলিগবিরোধীদের দাবি পবিত্র কোরআনে তাবলিগের মর্মবাণী নবী ও রসুলগণের শানে ব্যবহৃত হয়েছে, যা কেবল বিধর্মীদের মধ্যে প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এক মুসলমান কর্তৃক অন্য মুসলমানের কাছে ধর্মের শিক্ষা এবং দীক্ষাকে প্রচারের জন্য তাবলিগ শব্দটি প্রযোজ্য নয়। অন্যদিকে, কোনো মুসলমান কর্তৃক অন্য অমুসলিমের কাছে ইসলামের মর্মবাণীর দাওয়াত পৌঁছানোকে তাবলিগ বলে প্রচার করা যাবে না। কারণ শব্দটি কেবল নবী ও রসুলগণের জন্যই প্রযোজ্য। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তাবলিগ জামাতের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না থাকার দরুন আমি তা পাঠকদের জানাতে পারলাম না।

এবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ এবং সেসব অভিযোগের ব্যাপারে তাদের জবাব এবং যুক্তিসমূহ নিয়ে আলোচনা করা যাক। জামায়াতে ইসলামপন্থিরা বলেন যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন আসলে আহলে বেদআত এবং ভ্রান্ত আকিদার লোক। তারা রসুল (সা.)-কে অতীব মর্যাদাশীল প্রমাণ করার জন্য অনেক মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী বর্ণনা করেন। তারা মাজার পূজার মাধ্যমে সরাসরি শিরক এবং পীর প্রথার মাধ্যমে বিদআত চালু করার কাজে লিপ্ত। রসুল (সা.) হাজির-নাজির, নূরের তৈরি এবং তিনি এলমে, গায়েব জানেন— আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এ ধরনের দাবি জামায়াতে ইসলাম সরাসরি নাকচ করে দেয়। কোনো মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করার রেওয়াজটিও জামায়াতে ইসলাম সমর্থন করে না। অন্যদিকে ওহাবি-মওদুদী মতবাদ প্রভাবিত জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের রয়েছে এন্তার অভিযোগ। তাদের অনেক পীর মাশায়েখ লাখ লাখ লোকের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ উত্থাপন করেন যা আমি আজকের নিবন্ধে উল্লেখ করলাম না নতুন ফেতনা-ফ্যাসাদের ভয়ে।

আলোচনার এ পর্যায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দাবিগুলোর সপক্ষে তারা যেসব যুক্তি এবং প্রমাণ হাজির করেন তা সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি। তাদের মতে, রসুল (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা, ভক্তি শ্রদ্ধা, আনুগত্য এবং তার সিদ্ধান্তসমূহ মান্য করার ক্ষেত্রে একচুল নড়চড় হলে কেউ মোমিন মোত্তাকী হতে পারবে না। সূরা নিসার ৬৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ স্বয়ং এ ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে কেউ যদি জেনেশুনে রসুল (সা.)-এর শানে একটু বেয়াদবি করে অথবা তার সম্মানহানিকর কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য পেশ করে তবে লোকটি মুসলমান হলে সঙ্গে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে। তাদের বক্তব্য হলো— মোমিন মোত্তাকী হওয়ার জন্য এবং কাফের হওয়া থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার রসুল (সা.)-কে সত্যিকারভাবে জানা এবং চেনা। রসুল (সা.)-এর গুণাবলি পদ-পদবি এবং আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদা সম্পর্কে না জানলে একজন মানুষের পক্ষে রসুল (সা.)-কে নিজ পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততির চেয়ে বেশি ভালোবাসা সম্ভব নয়। অন্যদিকে তার অলৌকিত্ব, বিশেষত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে তাকে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে স্থান দিয়ে তার হুকুম এবং আহকামসমূহ পালন করা সম্ভব নয়। এ কারণেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে রসুল (সা.) সম্পর্কে জানার জন্য এবং বোঝার জন্য তাগিদ দেন।

তারা বলেন, হুজুর (সা.) নূরের তৈরি না হলে মেরাজ সম্ভব নয়। অন্যদিকে তার নূর, আল্লাহর জাত থেকে উৎসরিত না হলে তিনি লা মাকামে যেতে পারতেন না। কারণ মেরাজের রাতে স্বয়ং জিবরাইল লা মাকামে যেতে পারেননি। এ ব্যাপারে তারা রসুল (সা.) জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বজন স্বীকৃত প্রমাণ পেশ করেন। একটি হলো— হুজুর (সা.)-এর শরীরের কোনো ছায়া ছিল না। তিনি  প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বাইরে কোথাও গেলে একখণ্ড মেঘ সব সময় তাকে ছায়া প্রদান করত। দ্বিতীয়ত: তার শরীরে কোনো দিন মশা-মাছি কিংবা অন্য কোনো পোকামাকড় কীট-পতঙ্গ বসেনি। তিনি হাজির নাজির এবং এলমে গায়েব সম্পর্কে অবগত এমন দাবির সপক্ষে কোরআন হাদিস এবং ইতিহাস থেকেই তারা অনেক অকাট্য যুক্তি, প্রমাণ এবং দলিলাদি হাজির করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রসুল (সা.)কে রহমাতুল্লিল আলামিন বলে সম্মানিত করেছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য— অর্থাৎ তামাম মাখলুকাত সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত তিনি সবার জন্য রহমত। আল্লাহ আরও বলেন, কেয়ামতের দিন অনেক মানুষ আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে বেমালুম নিজেদের পাপকর্মসমূহ অস্বীকার করে বসবে আর তখন আল্লাহ রসুল (সা.)-কে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করবেন। কোরআনের এ দুটি তাত্পর্যপূর্ণ আয়াতই প্রমাণ করে তিনি হাজির নাজির। ইলমে গায়েব এবং হাজির নাজিরের  প্রমাণ দিতে গিয়ে তারা ৬১ হিজরিতে সংঘটিত কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে উম্মে সালামা বর্ণিত তিরমিজি শরিফের বিখ্যাত হাদিসটিকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। উক্ত হাদিসে হজরত উম্মে সালামা (রা.) রসুল (সা.)-কে স্বপ্নে দেখেন ১০ মহররম তারিখে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার অব্যবহিত পর। রসুল (সা.)-কে তিনি বলতে শোনেন যে, ইমাম হোসেন (রা.) পরিবারের অনেকের সঙ্গে এই মাত্র শহীদ হয়েছেন। মদিনা থেকে ৮০০ মাইল দূরে সংঘটিত একটি দুর্ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে নির্ভুলভাবে স্বপ্নে দেখার বিষয়টি তিরমিজি শরিফে হাদিস হিসেবে সংকলিত হওয়ার মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর হায়াতুন্নবী, হাজের নাজের এবং এলমে গায়েব জানার বিষয়টি প্রমাণিত। কারণ কোনো মৃত ব্যক্তির স্বপ্নের নির্দেশ বা বক্তব্য শরিয়তের বিধান হয় না। দ্বিতীয়ত: হাদিস বলতে রসুল (সা.)-এর কাজকর্ম, আদেশ, নির্দেশ, অছিয়ত ইত্যাদিকে বুঝায় যা তিনি জীবিত অবস্থায় করেছেন। কাজেই ৬১ হিজরিতেই তিনি উম্মে সালামা (রা.)-কে যে স্বপ্নে দেখা দিলেন ঠিক তখন যদি তাকে আমাদের মতো মৃত বলে গণ্য করা হতো তবে তা হাদিস হিসেবে বর্ণিত হতো না। এবার ইতিহাসের সুবিখ্যাত একটি কাহিনী বলার মাধ্যমে রসুল (সা.)-এর এলমে গায়েবের সর্বজন স্বীকৃত উদাহরণটি পেশ করে জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে চলে যাব।

অটোম্যান সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী কনসটান্টিনোপল দখল করেন ১৪৮১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের ৩ তারিখে, অর্থাৎ আল্লাহর রসুল (সা.) ওফাতের ৮৪৯ বছর পর। ইতিহাস বিখ্যাত এ ঘটনাটি রসুল (সা.) বলে গিয়েছিলেন তার জীবদ্দশায়। তিনি বিজেতার নাম এবং বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত উল্লেখ করে গিয়েছিলেন। এবার জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিরুদ্ধবাদীদের কিছু অভিযোগ এবং জামায়াতিদের যুক্তিসমূহ বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানব। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ইসলামের রুহানি বিষয়াদি, এলমে মারফত এবং সুফিবাদকে অস্বীকার করে। অলি আল্লাহগণের মাজার সংরক্ষণ, মাজারকে কেন্দ্র করে প্রচলিত ওয়াজ নছিয়ত, বার্ষিক জলসা, ওরস ইত্যাদিকে বেদআত এবং ফেতনা-ফ্যাসাদ মনে করে। মাজার জিয়ারত, মাজারে গিয়ে কোনো কিছু প্রার্থনা বা কোনো পীরের কাছে গিয়ে নিজের দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণের ব্যাপারে সাহায্য চাওয়াকে তারা ইসলামবিরুদ্ধ মনে করে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা এসব কর্মকে শিরক হিসেবে বিবেচনা করে। তারা কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নেই এমন বিষয়কে ইসলাম শরিয়ত হিসেবে মানতে নারাজ।

তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তারা আল্লাহর রসুল (সা.)-কে নূরের তৈরি বলে স্বীকার করে না। রসুল (সা.)-এর ইলমে গায়েব, হাজির নাজির থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। এমনকি নবুয়ত প্রাপ্তির আগে তার জীবন ও জিন্দিগীর ৪০টি বছর তারা তাকে মক্কার একজন সাধারণ ভালো মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে। নবুয়ত প্রাপ্তির আগে তার মধ্যে নবুয়তির কোনো শান, মান ও মর্যাদা ছিল— এমনতরো কথা তারা বিশ্বাস করে না। তারা আরও বলে যে, ওফাতের পর রসুল (সা.)-এর মর্যাদা একজন মৃত মানুষের মতো। রসুল (সা.)-এর ব্যক্তিগত জীবন, দৈনন্দিন কর্ম ইত্যাদিতে সাধারণ ভুলভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক ছিল বলেও তারা মতামত দেয়। তবে নবী হিসেবে তিনি যে নিষ্পাপ ছিলেন তা তারা স্বীকার করে।

জামায়াতে ইসলামী বিরোধীরা মনে করেন— জামায়াত ধর্মের ব্যাপারে মস্তবড় ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। রসুল (সা.) সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কবিরা গুনাহের পর্যায়ে পড়ে। কারণ কোরআনের ভাষ্যমতে— রসুল (সা.)-কে আল্লাহ শরিয়তের বিধান প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মা আয়েশা সিদ্দিকার বর্ণনা মতে, রসুল (সা.) জীবন হলো জীবন্ত এবং চলমান কোরআন। এক্ষেত্রে জীবন বলতে তিনি কেবল নবুয়তের সময়কালকে বোঝাননি— বরং পুরো জীবনকেই বুঝিয়েছেন। বোখারি শরিফের বর্ণনা মতে— হিরা পর্বতে জিবরাইল কর্তৃক প্রথম আয়াত নাজিল হওয়ার আগে ছয় মাস ধরে রসুল (সা.)-এর প্রতি ওহি নাজিল হয়েছে স্বপ্নে। তিনি জন্মের মুহূর্ত থেকেই কোরআনে বর্ণিত প্রতিটি হুকুম পালন করে আসছিলেন। দুধ মায়ের একটি দুধ থেকে পান করা এবং অন্য দুটি দুধভাই আব্দুল্লাহর জন্য রেখে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সেই শৈশবে তায়েব হক আদায় করেছেন। ২৪ মাস দুধ পানের মাধ্যমে কোরআনের হুকুম পালন করেছেন যা নাজিল হয়েছিল মদিনায় তার জন্মের ৫০ বছর পর। তাঁর বিয়েশাদি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক জীবনের একটি মুহূর্তও কেউ দেখাতে পারবে না যেখানে তিনি নবুয়তের আগে কোরআনবিরুদ্ধ কোনো কাজ করছেন। কাজেই হজরত ওমর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছানি বিচার প্রার্থীকে যেরূপ শাস্তি দিয়েছিলেন ঠিক অনুরূপ কায়দায় রসুল (সা.)-কে অসম্মানকারীদের বিচার হওয়া উচিত বলে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধবাদীরা ওয়াজ নছিহত করে বেড়ায়।

উপসংহারে শুধু এটুকুই বলব— বাংলাদেশের রাষ্ট্রশক্তির উচিত তিন জামায়াতের বিবাদ বিসংবাদ দূর করার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দ্বন্দ্ব, বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব বা অন্যান্য মুখরোচক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা বাংলাদেশের তিন জামায়াতের বিসংবাদের কাছে নস্যি মাত্র।  কাজেই প্রলয় ঘটার আগেই যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে পুরো জাতিকেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

     লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
ঢাকার আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে
ঢাকার আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে

৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজ ঢাকার বাতাস যাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর
আজ ঢাকার বাতাস যাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর

১৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন আজ
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন আজ

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়া-৬ আসনে তারেক রহমানের পক্ষে গণসংযোগ
বগুড়া-৬ আসনে তারেক রহমানের পক্ষে গণসংযোগ

২৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

১০ বছর পূর্ণ করল দীপ্ত টেলিভিশন
১০ বছর পূর্ণ করল দীপ্ত টেলিভিশন

৩২ মিনিট আগে | শোবিজ

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদন
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদন

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে আজ
মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে আজ

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

জবির কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
জবির কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

৪৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাম্পের মামলা মোকাবেলার ঘোষণা বিবিসি চেয়ারম্যানের
ট্রাম্পের মামলা মোকাবেলার ঘোষণা বিবিসি চেয়ারম্যানের

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মুমিনের অসুস্থতা পাপমোচনের মাধ্যম
মুমিনের অসুস্থতা পাপমোচনের মাধ্যম

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

স্বল্প ব্যয়ে উন্নত ন্যানোম্যাটেরিয়াল তৈরির কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন
স্বল্প ব্যয়ে উন্নত ন্যানোম্যাটেরিয়াল তৈরির কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জকসু নির্বাচনে ৩৪ পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ ৩১২
জকসু নির্বাচনে ৩৪ পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ ৩১২

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প
সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!
প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?
রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?
ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

৯ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্যাশনের জন্যই মুশফিকের ১০০তম টেস্ট
প্যাশনের জন্যই মুশফিকের ১০০তম টেস্ট

মাঠে ময়দানে