দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা দেশের দুই বৃহত্তম নগরী রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অধিবাসীদের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনছে। বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এমনিতেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম যানজটের নগরী হিসেবে পরিচিত। বৃষ্টি হলে জলজট আর যানজটে নগর জীবন নাকাল হয়ে পড়ে। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন মেয়র জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর এক বছর কেটে গেলেও সে প্রতিশ্রুতির কিছুই পূরণ হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। কোথাও কোথাও হাঁটুসমান, আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। রাস্তায় নামা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। গণপরিবহনের স্বল্পতা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তোলে। ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকায় বৃষ্টির পর পানি নিষ্কাশনে সময় লাগে। জলাবদ্ধতার কারণে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন আটকে থাকে। মালিবাগ-শান্তিনগর, ইস্কাটন, আরামবাগ, মতিঝিল, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কালশী মোড়, বাড্ডা, নাখালপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় ভারী এমনকি মাঝারি বৃষ্টি হলেই পানি জমে। পূর্ব রামপুরার কিছু গলিতে হাঁটুপানি হয় সামান্য বৃষ্টিতেই। চট্টগ্রামে বৃষ্টি হলেই নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সময় জোয়ারের পানি প্রবেশ করলে এলাকাবাসীর জন্য তা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে বিবেচিত হয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্য। ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। গত সপ্তাহে টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানি জমে যায় বেশ কিছু সড়ক, উপসড়ক, বাই লেনে। নগরীর বৃহত্তর বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট থেকে মুরাদপুর, বাদুড়তলা, চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন ব্লক, চকবাজার, শুলকবহর, আগ্রাবাদ, বৃহত্তর হালিশহরসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থার হতশ্রী অবস্থা দেশের দুই বৃহত্তম নগরীর দুই কোটিরও বেশি মানুষের জন্য যে দুর্ভোগ বয়ে আনছে, তা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিরোনাম
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
- ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
- জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
- লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র্যালি
- জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেলে প্রবেশ নিষেধ
- দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন, বর্জন যুক্তরাষ্ট্রের
- চাপের মুখে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করতে যাচ্ছে ইইউ
- সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের
দুই নগরীর জলাবদ্ধতা
সমস্যার আশু সমাধান কাম্য
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম