শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬

উপজেলা পর্যায়ে কলেজ সরকারিকরণ ও শিক্ষার মান

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
উপজেলা পর্যায়ে কলেজ সরকারিকরণ ও শিক্ষার মান

দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি কলেজকে সরকারিকরণের ঘোষণা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক উৎসাহ ও আবেগ সৃষ্টি করেছে। সরকারি কলেজে মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে উন্নত শিক্ষার পরিবেশে শিক্ষার্থীরা উন্নত ও মানসম্মত শিক্ষা লাভ করছে, এমন ধারণা সবাই পোষণ করে। উপজেলা পর্যায়ে একটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে গ্রামগঞ্জের ছাত্রছাত্রীরা উন্নতমানের শিক্ষার সুযোগ পাবে। গ্রামাঞ্চলে সার্বিকভাবে শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল শহর ও মহানগরে অবস্থিত সরকারি কলেজগুলোর সমপর্যায়ে উন্নীত হবে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার মানের বৈষম্য দূরীভূত হবে। সাধারণ মানুষ প্রতি উপজেলায় একটি কলেজ সরকারিকরণের বিষয়টি নিয়ে এ ধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশাই করছেন। আর এ প্রত্যাশা থেকে শুরু হয়েছে দেশের উপজেলা পর্যায়ে তুমুল প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই, সেসব উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ক্ষেত্রবিশেষ ঘটছে তেলেসমাতি কাণ্ড। স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ দৌড়ঝাঁপ ও ধরনা দিতে শুরু করেছে। কোনটি বাদ দিয়ে কোনটি অন্তর্ভুক্ত হবে, এ নিয়ে চলছে নীরব ও সরব প্রতিযোগিতা। আয়োজন করা হচ্ছে সমাবেশ, বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদানের কার্যক্রম। এমনকি টাকা-পয়সা লেনদেনের অভিযোগের কথাও শোনা যাচ্ছে। তার উপরে আছে রাজনৈতিক চাপ।

এ ধরনের একটি মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়নের আগে মৌলিক কিছু বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন এবং সেসব সমস্যা সমাধানের বিষয়কে মাথায় রেখে অগ্রসর হওয়া সমীচীন হবে। সর্বপ্রথমে বিবেচনায় আনতে হবে— বর্তমানে যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ বিদ্যমান আছে, সেসব কলেজের সার্বিক অবস্থা, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কলেজের শিক্ষার পরিবেশ, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, ক্লাসরুমে শিক্ষক উপস্থিতি এবং সর্বোপরি এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক কিনা তা বিশ্লেষণ জরুরি। সন্তোষজনক না হলে তার কারণ অনুসন্ধান করে সমস্যা সমাধানের অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে এত বড় একটি মহৎ উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুবা উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের পরিবর্তে ওইসব সরকারি কলেজের শিক্ষার মানের মারাত্মক অবনতি ও পরীক্ষার ফলাফলের আশঙ্কাজনক ব্যর্থতার ভাগ্যবরণ করতে হবে। ওইসব সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জীবনে নেমে আসবে চরম বিপর্যয় ও হতাশা।

২০১৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার পর দেখা যায়, অন্য বছরের তুলনায় প্রতিটি বোর্ডেই ফল বিপর্যয় ঘটেছে। কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফলে পাসের হার ৫৯.৮০% এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ১৪৫২ জন। বিপর্যস্ত ফলাফলের মধ্যে কুমিল্লা বোর্ডের সরকারি কলেজগুলোর ফলাফল ছিল আশঙ্কাজনকভাবে খারাপ। ফলাফল প্রকাশের পর কুমিল্লা বোর্ডের সরকারি কলেজসমূহে এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের এক ভয়াবহ চিত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় (ইত্তেফাক, ৩০/০৮/২০১৫)। ওই বছর কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে ছয়টি জেলার ৩২৩টি কলেজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনটি, চাঁদপুরে দুটি, নোয়াখালীতে আটটি, লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি, ও ফেনীতে ছয়টি সরকারি কলেজ রয়েছে। কুমিল্লা বোর্ডের ৩৪টি সরকারি কলেজ থেকে তখন ২৮ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেছে ১২ হাজার ৮৯০ জন। এর মধ্যে ১৮টি কলেজের কোনো পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। এসব সরকারি কলেজের মধ্যে ১৮টি কলেজের পাসের হার ২০-৫০ শতাংশ, চারটি কলেজের পাসের হার ৫০-৬০ শতাংশ, সাতটি কলেজের পাসের হার ৬০-৭০ শতাংশ এবং তিনটি কলেজে পাসের হার ৭০-৮০ শতাংশ। অপর দুটি সরকারি কলেজের মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের পাসের হার ৮৬.৭৩ শতাংশ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পাসের হার ৮১.৮৮ শতাংশ। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এসব নামকরা সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিল। দুই বছর শিক্ষা লাভের পর এত অধিক সংখ্যক ফেল করায় এবং যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষা সচেতন মহল চরমভাবে হতাশ হয়েছে।

কুমিল্লা বোর্ডের অধীন এক উপজেলায় দুটি সরকারি কলেজ একমাত্র আমার উপজেলা দাউদকান্দিতে অবস্থিত। একই উপজেলার দুটি বেসরকারি কলেজের পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে দুটি সরকারি কলেজের ফলাফলের তুলনামূলক পর্যালোচনা করলে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কলেজগুলোর বেহাল অবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে। উল্লিখিত চারটি কলেজই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এবং যাতায়াত ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধার বিবেচনায় প্রায় সমান অবস্থান। সে কারণেই এ চারটি কলেজের পরীক্ষার ফলাফল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছি। দাউদকান্দি উপজেলার দুটি বেসরকারি ও দুটি সরকারি কলেজের বিগত ৩ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের একটি তুলনামূলক চিত্র নিম্নে ছকে দেওয়া হলো :

ছক-‘ক’

দাউদকান্দি উপজেলার দুটি বেসরকারি কলেজের সঙ্গে দুটি সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার তিন বছরের ফলাফলের তুলনামূলক চিত্র :

উপরোক্ত ছক (ছক-‘ক’) পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৫ সালের অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার দুটি বেসরকারি কলেজ থেকে যাথাক্রমে ৯৭.৫৬ শতাংশ ও ৯৩.৬৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। আর অন্যদিকে দুটি সরকারি কলেজ থেকে যথাক্রমে ৩৬.১৭ শতাংশ ও ৩২.৪৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। একই বছরে দুটি বেসরকারি কলেজ থেকে যথাক্রমে ১৭ জন ও ছয়জন জিপিএ-৫ লাভ করেছে, আর অন্যদিকে সরকারি দুটি কলেজ থেকে কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। ২০১৫ সালের ফলাফলে দুটি বেসরকারি কলেজ থেকে যথাক্রমে ২০০ জন এবং ১৬৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-(অ) পেয়ে পাস করেছে। আর অন্যদিকে দুটি সরকারি কলেজ থেকে ‘অ’ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র তিনজন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বেসরকারি দুটি কলেজ থেকে যথাক্রমে ৬৭ জন এবং ছয়জন জিপিএ-৫ লাভ করেছিল। ২০১৪ সালের পরীক্ষায় দুটি সরকারি কলেজ থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। এভাবে বিগত তিন বছরের ফলাফল (ছক-‘ক’) এবং তার পূর্বের ফলাফলও তুলনামূলকভাবে প্রায় একই ধরনের। উল্লিখিত চারটি কলেজে দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। একই ভৌগোলিক অবস্থান, একই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা এবং সরকারি কলেজে বাড়তি সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন সরকারি কলেজে ফলাফল বিপর্যয় ঘটে বা অব্যাহতভাবে ফলাফল খারাপ হয়, তার একটি বাস্তবভিত্তিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

দাউদকান্দি উপজেলায় উল্লিখিত দুটি বেসরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই দুটি সরকারি কলেজের ফলাফল অব্যাহতভাবে খারাপ ছিল। ১৯৯১ সাল থেকে এ এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকারি কলেজ দুটির শিক্ষার মান উন্নয়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, আমার সব উদ্যোগ ব্যর্থতায় পর্যবশিত হয়েছে। সরকারিকরণের পর থেকেই দুটি সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট বিরাজমান ছিল। চার থেকে পাঁচ বিষয়ে শিক্ষকের অভাব সারা বছরই এ দুই কলেজে বিদ্যমান ছিল। আমার প্রচেষ্টায় শূন্য পদে শিক্ষক দেওয়ার ব্যবস্থা করার পরও দেখা গেছে, শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে তদবির করে বদলি ঠেকিয়ে শহরেই থেকে গেছে। যাদের দুটি সরকারি কলেজে যোগদানে বাধ্য করা হয়েছে তারাও কয়েক মাসের মধ্যে পুনরায় বদলি হয়ে শহরে চলে গেছে। বদলিকৃত নতুন শিক্ষকরা কয়েক মাস থাকলেও পুরনো শিক্ষকরা বদলি হয়ে চলে যাওয়ায় অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষকশূন্যতা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত দাউদকান্দি উপজেলার এ দুই সরকারি কলেজে একই অবস্থা চলে আসছে। একজন শিক্ষার্থী দুই বছরের কোর্স সম্পন্নকালে গড়ে চার-পাঁচ বিষয়ে যদি শ্রেণিশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তার পক্ষে ওইসব বিষয়ে নিজে নিজে পড়ে পরীক্ষায় পাস করা সম্ভব নয়। শিক্ষকশূন্যতার কারণে যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করে তাদের কি দায়ী করা যাবে? অথচ তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে যে অন্ধকার নেমে আসছে তার দায়দায়িত্ব কে নেবে?

উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কলেজগুলো বিশেষ করে দাউদকান্দি উপজেলার দুটি সরকারি কলেজের বেহাল অবস্থার কারণ অনুসন্ধান করে দেখা যায় : (ক) কলেজ দুটি সরকারিকরণের পর থেকেই শিক্ষকের অভাব, (খ) শিক্ষকদের আবাসিক সমস্যা, (গ) শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষক উপস্থিতি, শিক্ষার মানসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদারকির জন্য বেসরকারি কলেজের মতো কোনো পরিচালনা পর্ষদ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি, (ঘ) সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে পদায়িত শিক্ষকরা শহরে (ঢাকা অথবা কুমিল্লা) বসবাস করে প্রতিদিন কলেজে সময়মতো উপস্থিত হতে ব্যর্থতার কারণে কলেজের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও শিক্ষা কার্যক্রম বিপর্যস্ত হওয়া, (ঙ) রাজনৈতিক বিবেচনায় কলেজ দুটিকে সরকারিকরণ, (চ) উভয় কলেজের ভৌগোলিক অবস্থান, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও অবকাঠামোকে বিবেচনায় না নেওয়া এবং (ছ) প্রতিদিনের ক্লাস রুটিনে গড়ে চার-পাঁচটি ক্লাস না হওয়া এবং পদায়িত শিক্ষকরাও রীতিমতো ক্লাস না নেওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান আহরণের অনীহা সৃষ্টি ইত্যাদি। এসব কারণে সরকারি কলেজে উন্নত শিক্ষা লাভের প্রত্যাশায় যেসব কোমলমতি ও মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল তাদের শিক্ষাজীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে কোনো কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করায় তাদের উচ্চশিক্ষার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এসব শিক্ষার্থী তাদের পরিবারে চরমভাবে অবহেলিত হচ্ছে। আর অন্যদিকে সেই ব্যর্থ শিক্ষার্থীর সতীর্থ ও শ্রেণিবন্ধু একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী বেসরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ অথবা ‘অ’ গ্রেডে পাস করে উচ্চশিক্ষার সোপানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তার পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করছে।

উপরোক্ত পর্যালোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে, উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কলেজগুলোর বেহাল অবস্থা ও ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য মূলত শিক্ষক স্বল্পতাই দায়ী। এ প্রসঙ্গে ইউনেস্কো ইএফএ গ্লোবাল মনিটরিং রিপোর্ট-২০১৩-১৪ এ শিক্ষক সংকট সমাধানের জন্য যে ১০টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে তার মধ্যে ১নং প্রস্তাবে ‘শিক্ষক ঘাটতি পূরণ’ করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এ শিক্ষকদের প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সুশিক্ষা ও মানসম্পন্ন শিক্ষক’। সুশিক্ষা, মানসম্মত শিক্ষা এবং এমনকি সাধারণ মানের শিক্ষাদানের জন্য পাঠদানকারী শিক্ষকদের কোনো বিকল্প নেই। সরকারি কলেজের শিক্ষকরা বিভিন্ন বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে তাদের সবাই মেধাবী ও মানসম্পন্ন শিক্ষক। কিন্তু তাদের যদি উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কলেজে রাখা না যায় বা পদায়ন করা না যায় তাহলে উপজেলা পর্যায়ে উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষাদান তো দূরের কথা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় পাস করার মতো শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হয়।

প্রতি উপজেলায় একটি কলেজ সরকারিকরণ বা একটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার মহৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নের আগে কুমিল্লা বোর্ডের উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কলেজ ও বিশেষ করে দাউদকান্দি উপজেলার দুটি সরকারি কলেজের বিদ্যমান পরিস্থিতি, শিক্ষার মান ও ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনাকে বিবেচনায় আনা আবশ্যক। এসব কলেজে প্রতিনিয়ত যে ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে তার সন্তোষজনক সমাধান মাথায় রেখে এ কার্যক্রম নিয়ে অগ্রসর হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্যথায় লক্ষ্য অর্জনের পরিবর্তে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কলেজসমূহে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সরকারি কলেজগুলোর মতোই মুখ থুবড়ে পড়বে এবং উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার মানের আরও অধঃপতন ঘটবে। উপজেলা পর্যায়ে একটি কলেজকে সরকারিকরণের আগে যেসব বিষয় সবিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে তা হলো : (১) উপজেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত কোনো বেসরকারি কলেজকে সরকারিকরণ না করে নতুন একটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। নতুন কলেজের মানসম্মত অবকাঠামো, শিক্ষকদের বাসস্থান, শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ও আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা, (২) নতুন সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব না হলে সেই উপজেলায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় অসমর্থ, ফলাফলের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন ও দুর্বল বেসরকারি কলেজকে সরকারিকরণ করে উপযুক্ত অবকাঠামো নির্মাণ করে সচল করা, (৩) উপজেলা পর্যায়ে নতুন সরকারি কলেজ বা সরকারিকরণকৃত কলেজের যেন সব বিষয়ে পাঠদানের জন্য সব শিক্ষক সারা বছর কলেজে থাকে, এরকম ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা, (৪) রাজনৈতিক বিবেচনায় বা ব্যক্তির ইচ্ছায় বা আবেগের বশবর্তী না হয়ে নতুন সরকারি কলেজ বা সরকারিকরণ করা, (৫) সরকারি কলেজ বা সরকারিকরণ করা কলেজের স্থান নির্বাচনকালে উপজেলা সদরকে অগ্রাধিকার প্রদান। উপজেলা সদরে সরকারি কলেজ প্রয়োজন না হলে কলেজের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করা যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো এবং তা কোনো বড় বাজার বা গ্রোথ সেন্টারে অবস্থিত, (৬) সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা বা বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোপরি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও শিক্ষার পরিবেশের বিষয়টি বিবেচনায় আনা, (৭) সরকারি কলেজের তদারকি করার জন্য বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির অনুরূপ সরকারি কলেজ পরিচালনা কমিটির ব্যবস্থা করা।

প্রতি উপজেলায় একটি কলেজ সরকারিকরণ অথবা একটি নতুন সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে ইতিমধ্যে উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত সরকারি কলেজগুলোর অভিজ্ঞতাকে নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের অগ্রিম কার্যক্রম গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

বিশেষ করে শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি এবং শিক্ষকদের উপজেলা পর্যায়ে রাখার যথাযথ ব্যবস্থা না করে রাজনৈতিক বিবেচনা বা ভাবাবেগের বশবর্তী হয়ে এ ধরনের মহৎ একটি উদ্যোগ কার্যত হিতে বিপরীত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহল বর্ণিত বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন বলে সবার প্রত্যাশা।

লেখক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান।

এই বিভাগের আরও খবর
বিমানে বোমা আতঙ্ক
বিমানে বোমা আতঙ্ক
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
মানবাধিকার ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
মানবাধিকার ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
অন্যের শর্তে যেন দেশ না চলে
অন্যের শর্তে যেন দেশ না চলে
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
এসএসসির ফলাফল
এসএসসির ফলাফল
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
সর্বশেষ খবর
জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

এই মাত্র | শোবিজ

জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা
জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা

৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

লোহারপুল-পোস্তগোলা রাস্তা সংস্কারসহ দুই দাবি এলাকাবাসীর
লোহারপুল-পোস্তগোলা রাস্তা সংস্কারসহ দুই দাবি এলাকাবাসীর

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন
অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার
ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও
চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও

২৬ মিনিট আগে | শোবিজ

যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প
যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৯ বন্দিকে মুক্তি দিলো কারা কর্তৃপক্ষ
২৯ বন্দিকে মুক্তি দিলো কারা কর্তৃপক্ষ

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২
শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘিরে বেরোবিতে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘিরে বেরোবিতে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

৪৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি
সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা
এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার
সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার

৫৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রবাসী নিহত, চালক-হেলপার আটক
সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রবাসী নিহত, চালক-হেলপার আটক

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অস্ট্রেলিয়াকে অল্পেই গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বস্তিতে নেই উইন্ডিজও
অস্ট্রেলিয়াকে অল্পেই গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বস্তিতে নেই উইন্ডিজও

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঝিনাইদহে ডিবি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ৪
ঝিনাইদহে ডিবি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এ সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ
এ সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে লেক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ৭ সহপাঠী জিজ্ঞাসাবাদে
চাঁদপুরে লেক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ৭ সহপাঠী জিজ্ঞাসাবাদে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়ার যেকোনও কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের
ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়ার যেকোনও কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার
ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দেখার কেউ নেই শাবির অর্ধকোটি টাকার টেনিস কোর্ট
দেখার কেউ নেই শাবির অর্ধকোটি টাকার টেনিস কোর্ট

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর গায়ে ছুরি, হাসপাতালে অভিনেত্রী
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর গায়ে ছুরি, হাসপাতালে অভিনেত্রী

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব : বিবিসি বাংলাকে সিইসি
আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব : বিবিসি বাংলাকে সিইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পটিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ
পটিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: ১২ আসামি ট্রাইব্যুনালে
আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: ১২ আসামি ট্রাইব্যুনালে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বেচ্ছাসেবক দলনেতার পদত্যাগ
স্বেচ্ছাসেবক দলনেতার পদত্যাগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন শানায়া কাপুর
প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন শানায়া কাপুর

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন
পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার
ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের
১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের
চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের
যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি
কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল
সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী
মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি
গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ
এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর
ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম
২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি
অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!
এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নরওয়ের কাছে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
নরওয়ের কাছে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি
চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার
স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

নৃশংস হত্যায় তোলপাড়
নৃশংস হত্যায় তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র
চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব
৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

কাটল না শুল্কসংকট
কাটল না শুল্কসংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

যত আলো  তত অন্ধকার
যত আলো তত অন্ধকার

শোবিজ

প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক
প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ
জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা
হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা

শোবিজ

হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে
হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান
প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন
নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি
পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন
সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ববির সমুদ্রবিলাস
ববির সমুদ্রবিলাস

শোবিজ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের

মাঠে ময়দানে

তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের
তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স
রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান
কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া
ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের
ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের

মাঠে ময়দানে

অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই
অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই

মাঠে ময়দানে

সিনেমার মানুষে তারা...
সিনেমার মানুষে তারা...

শোবিজ

বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপালের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই
বাংলাদেশ-নেপালের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

মাঠে ময়দানে