শিরোনাম
বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হজ পালনকারীরা কখনো দরিদ্র হয় না

মাওলানা আবদুর রশিদ

হজ পালনের আর্থিক সামর্থ্য আছে এমন মুসলমানের জন্য তা ফরজ ইবাদত। যৌক্তিক কারণ ছাড়া এ ইবাদত পালন না করলে গুনাহের ভাগিদার হতে হবে। হজ ফরজ হওয়ার পর ইবাদত পালনে গাফিলতি করা চরম দুর্ভাগ্যের বিষয়। এসব লোকের প্রতি হাদিস শরিফে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হজ ফরজ হওয়ার পর অনিবার্য কারণে অথবা অত্যাচারী শাসক কিংবা কঠিন রোগ যদি হজ পালন থেকে কাউকে বিরত না রাখে, আর সে হজ পালন না করেই মৃত্যুবরণ করে, তার মৃত্যু হবে ইহুদি নাসারার মৃত্যু সমতুল্য।— দায়েমী

উপরোক্ত হাদিসে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ পালন না করাকে কঠোরভাবে ভর্ত্সনা করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুকে বিধর্মীদের সঙ্গে তুলনা করে আখিরাতের জীবনে তারা যে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে সে বিষয়ে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অনেকে তাদের জন্য অবশ্য পালনীয় এ ইবাদত থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে বিরত থাকেন। যারা সামর্থ্যবান এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া ভাবেন, হজের বয়স হয়নি, পিতা-মাতা এখনো জীবিত তারা হজ করেননি, ছেলেমেয়েদের বিয়েশাদি শেষ হয়নি, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হবে, চাকরির মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি— এসব বাহানা দেখিয়ে হজ আদায়ে দেরি করা কোনো মতেই উচিত নয়। কারণ, হায়াত ও শক্তি-সামর্থ্যের কোনো ভরসা নেই।

হজ এমন এক ইবাদত যার পুরস্কার জান্নাত। এটি এমন এক ইবাদত যার মাধ্যমে গুনাহমুক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। অনেকগুলো হাদিসে হজের ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রাহ রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোন কাজটি সবচেয়ে ভালো? তিনি বলেন, আল্লাহ ও তার রসুলের প্রতি ইমান আনা। তারপর জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তার পর কোন কাজটি? তিনি বলেন, তারপর হচ্ছে, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তারপর কোনটি? উত্তরে তিনি বলেন, অতঃপর হচ্ছে, মাবরুর হজ। —বুখারি, মুসলিম।

হজ করার জন্য শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়ের মরতবা প্রসঙ্গে নবী পাক  (সা.) ইরশাদ করেন, যিনি হজ করেন তিনি কখনো দরিদ্র হন না।—মুসলিম

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর