শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬ আপডেট:

সভ্যতার সংকট যখন মন এবং মস্তিষ্কে!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সভ্যতার সংকট যখন মন এবং মস্তিষ্কে!

মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমীর কিছু নীতিবাক্য পড়তে গিয়ে আজকের নিবন্ধের শিরোনামের কথা মনে হলো। পারস্যের এ মহান কবি মানব সভ্যতার ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন তার মসনবী নামক গ্রন্থের জন্য। তাকে বলা হয় আধ্যাত্মিক জগতের সম্রাট। মানব মন, মানব মস্তিষ্ক এবং মানব প্রেমের সর্বোত্তম ব্যবহার করে কিরূপে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির সর্বোত্কৃষ্ট ভালোবাসা,  শ্রদ্ধা এবং স্নেহ-মায়া-মমতা অর্জন করা যায় তা মাওলানা রুমী কেবল তার লেখনীর মাধ্যমে নয়, নিজের ব্যক্তিগত জীবনাচরণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণ রেখে গেছেন। তার জীবনকাল অর্থাৎ ১২০৭ সাল থেকে ১২৭৩ সালের মধ্যবর্তী সময়টুকু নানা কারণে তৎকালীন দুনিয়া উত্তাল হয়ে পড়েছিল। তার জন্মভূমি পারস্য এবং পার্শ্ববর্তী তুর্য, তাজিক, পশতুন এবং মধ্য এশিয়ায় তখন ইতিহাসের নৃশংসতম জ্বালাও-পোড়াও, মারামারি-কাটাকাটি, খুন-জখম এবং উচ্ছেদের মতো অমানবিক ঘটনা ঘটে চলছিল।

মাওলানা রুমীর জীবৎকালের প্রায় সমসাময়িক ছিলেন কুখ্যাত মোঙ্গল নেতা হালাকু খান। তিনি জন্মেছিলেন ১২১৮ সালে এবং মারা গেছেন ১২৬৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার হাতে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দুটি সাম্রাজ্যের পতন হয় এবং প্রায় পঞ্চাশ লাখ লোকের রক্তে মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া এবং পারস্যের বিশাল অঞ্চল প্লাবিত হয়। বাগদাদের ভুবন বিখ্যাত আব্বাসীয় খিলাফত এবং পারস্যের নামকরা বহু জনপদ এবং মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশের শাসক খাওয়েরেজম শাহীর পতন তার হাতে হয়। সিরিয়া, মিসরসহ অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিম শাসনও দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য, ইরান, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়ায় যে সীমাহীন অস্থিরতা, রক্তারক্তি এবং লঙ্কাকাণ্ড ঘটতে থাকে তার নির্মমতার সঙ্গে পৃথিবীর ইতিহাসের কোনো কালের এবং কোনো জনপদের সঙ্গে তুলনা চলে না।

হালাকু খানকে মানব সভ্যতার বিকাশ বাধাগ্রস্তকারীদের তালিকার অন্যতম পুরোধা বিবেচনা করা হয়। তার অসভ্য শাসন এবং বর্বরতার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে দাঁড়ানোর মতো কোনো বীর তৎকালীন দুনিয়ায় ছিল না। তার বিশাল সাম্রাজ্যে তাকে প্রকাশ্যে তো দূরের কথা মনে মনে ঘৃণা জানানোর মতো সাহসী মন খুঁজে পাওয়া ছিল রীতিমতো অসাধ্য ব্যাপার। চক্ষুষ্মান মানুষ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাদের কান থাকা সত্ত্বেও তারা বধির হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। মানুষের আত্মা মরে গিয়েছিল এবং আবেগ অনুভূতিও উধাও হয়ে গিয়েছিল। ফলে প্রতিটি নর-নারী, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার জীবন ছিল মূলত জিন্দা লাশের মতো। ঠিক এ সময়টিতে মাওলানা রুমী তার কলম এবং বাণীর মাধ্যমে সমসাময়িক দুনিয়ার মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। কেবল প্রেম এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দ্বারা যে হালাকু খানের মতো সন্ত্রাসীদের তাবৎ অপকর্ম-সন্ত্রাস এবং নির্মমতা রুখে দেওয়া যায় তা মাওলানা রুমী হাতেকলমে বিশ্ববাসীকে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন।

মাওলানা রুমী প্রচারিত সুফিবাদ এবং সুখ-শান্তি অর্জনের জন্য মানবিক বোধ-বুদ্ধি এবং আত্মার শুদ্ধি অর্জনের উপায়সমূহ বলতে গেলে হুবহু অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছে আধুনিককালের বিজ্ঞান। আমি নিজে বেশ কিছুকাল ধরে রুমীর কিছু মতবাদ নিজের ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করেছি। ক্ষেত্রবিশেষে সুফল পেয়েছি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মজার মজার অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। বিশেষ করে আত্মার প্রশান্তি এবং আমার পারিপার্শ্বিক সমাজের সঙ্গে মানিয়ে চলা নতুবা সমাজকে বিরক্ত না করে এড়িয়ে চলার সূত্রসমূহ ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োগের সমন্বয় করা যে কতটা দুরূহ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো— প্রতিবার ব্যর্থ হওয়ার পর যখন পুনরায় সূত্রগুলোর দিকে তাকাই তখন মনে হয় আমিই ভুল— সূত্রগুলো নির্ভুল। আমার দুর্বল মস্তিষ্ক এবং তার চেয়েও দুর্বল বোধ-বুদ্ধি এবং প্রয়োগ করার জ্ঞানের অসীম সীমাবদ্ধতার কারণে আমি ব্যর্থ হয়ে যাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে।

মাওলানা রুমীর মতে, পৃথিবীর তাবৎ সভ্যতার সৃষ্টি হয় মানুষের মস্তিষ্ক থেকে। সভ্যতার সৌন্দর্য বিকশিত হয় বিশুদ্ধ চিত্তের বিশালতার মাধ্যমে। অন্যদিকে সভ্যতার বিস্তার লাভ ঘটে উন্নত চরিত্র, মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কৃতজ্ঞ মনের বিনয় প্রকাশের কারণে। যেসব কারণে সভ্যতার সৃষ্টি, বিকাশ এবং বিস্তার ঘটে ঠিক সেসব কারণ অনুপস্থিতির জন্য সভ্যতার ক্ষয়, বিনাশ এবং ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো— সভ্য হওয়ার প্রক্রিয়াটি কোথা থেকে শুরু করতে হবে? এ ব্যাপারে মাওলানা রুমীর বক্তব্য হলো— শুরুটা ব্যক্তির মন-মস্তিষ্ক এবং মননশীলতা থেকেই হতে হবে এবং তা করতে হবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে। ব্যক্তি তার একান্ত ভাবনা, পছন্দ এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তির দ্বারা নিজেকে সভ্যতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং অসভ্যতা থেকে বেঁচে থাকার সর্বোত চেষ্টা করবে।

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অভাববোধ, দুঃখ ও কষ্টের বিরাট একটি অধ্যায় রচিত হয় ঈর্ষাবোধ থেকে। আমাদের মস্তিষ্ক যখন কোনো ব্যক্তিকে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অথবা উদহরণ হিসেবে দাঁড় করিয়ে বলতে আরম্ভ করে যে— তুমি লোকটির তুলনায় ভালো নেই ঠিক তখন থেকেই শুরু হয় অসুখ। ঈর্ষার আরেকটি শাখার নাম হিংসা এবং দ্বেষ। এসব রোগে আক্রান্ত মস্তিষ্ক কোনো উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে পারে না। মস্তিষ্কের এ রোগ ধীরে ধীরে মনকে কলুষিত করে এবং পর্যায়ক্রমে তা মানবদেহে বিস্তার লাভ করে। এ রোগে আক্রান্ত মানুষের পোশাক, খাবারদাবার, চালচলন এবং কথাবার্তা তার আশপাশের পরিবার, সমাজ, পরিবেশ এবং প্রতিবেশকে ক্রমাগত অশান্তির দিকে নিয়ে যায়, যা থেকে শুরু হয় নিত্য নতুন অসভ্যতার।

মস্তিষ্কে সভ্যতার সংকট দেখা দিলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়ে যায়। সে কোনো কিছুই স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখতে পায় না— কোনো কিছু স্বাভাবিকভাবে শুনতে পারে না এবং অনেক কিছু বুঝতে পারে না। সে শত্রুকে মিত্র ভাবে এবং মিত্রকে শত্রু উপাধি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে। নিত্যনতুন ফ্যাতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি, কলহ বিবাদে জড়িয়ে পড়ার প্রবল আগ্রহ এবং সারাক্ষণ হা হুতাশ করা তার অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। সে কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না— এমনকি নিজেকেও নয়। কারও মঙ্গল কিংবা উন্নতি দেখলে সে অকারণে আঁতকে ওঠে, মঙ্গলের বিরুদ্ধে অমঙ্গল এবং শান্তির বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টির প্রবল তাড়না দ্বারা চালিত হতে থাকে। আধুনিক সমাজবিজ্ঞান এটিকে স্যাডিস্ট এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান একে হ্যালুসিনেশন রোগ বলে আখ্যা দিয়েছে।

মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে মানুষের মন-মস্তিষ্ক ও দেহে যে রোগবালাই বাসা বেঁধেছে তার শতকরা ১০ ভাগও বাহ্যিক কারণে হয়নি। অর্থাৎ বাইরের রোগজীবাণু, দুর্ঘটনা, অন্য প্রাণী, পশু, কীটপতঙ্গ ইত্যাদির কারণে রোগাক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ১০ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে শতকরা ৯০ ভাগ রোগের উত্পত্তি, বিস্তার এবং বিস্তৃতি ঘটে অসভ্য মস্তিষ্কের কারণে। অসভ্য মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষ নিজেকে যেমন তিলে তিলে শেষ করে দেয় তেমনি অশান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস করে ফেলে। তারা সামাজিক বন্ধন শিথিল এবং গোত্র বা দলসমূহের মধ্যে বিবাদ বিসংবাদ সৃষ্টি করে মানব সভ্যতার চাকা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে অসভ্যতার দিকে টানতে আরম্ভ করে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে এ যাবৎ যত ওষুধপত্র আবিষ্কার হয়েছে তার বেশির ভাগই মন ও মস্তিষ্কের ওষুধ। এ যাবৎ যত থেরাপি আবিষ্কার হয়েছে তার বেশির ভাগই শরীরের পরিবর্তে মন-মস্তিষ্কের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। শরীর বিজ্ঞানের চেয়ে মনোবিজ্ঞানের ব্যাপ্তি অনেক অনেক গুণ বেশি। শারীরিক চিকিৎসালয়ের তুলনায় মানসিক চিকিৎসালয়ের সংখ্যা কয়েক হাজার গুণ বেশি। পৃথিবীর তাবৎ হাসপাতাল, নার্সিংহোম এবং ডাক্তারদের চেম্বারের তুলনায় সাধু-সন্ন্যাসীর আশ্রম, পীর-দরবেশদের খানকা, মাজার, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা এবং তীর্থ কেন্দ্রে মানুষের আনাগোনা কয়েকগুণ বেশি। মানুষ শরীরের জন্য যা খরচ করে তার চেয়েও লাখ লাখ গুণ বেশি খরচ করে মনের জন্য। মানুষ বনের হিংস্র প্রাণী, বিষধর কীটপতঙ্গ এবং সরীসৃপকে যতটা না ভয় পায় তার চেয়েও বেশি ভয় পায় উন্মাদ এবং ঔদ্ধত্য অত্যাচারীকে।

অসভ্য মন-মস্তিষ্ক এবং অসুস্থ দেহের চিকিৎসার জন্য সেই আদিকাল থেকেই বিজ্ঞানীদের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। যাবতীয় ওষুধপত্রের কাঁচামাল তৈরি হয় গাছপালা, লতা, গুল্ম, মাটি, প্রাণী, পশুপাখি, কীট-পতঙ্গের শরীর অথবা শরীর নিসৃত বর্জ্য থেকে। এসব কারণে সভ্য মন-মস্তিষ্ক সব সময়ই প্রকৃতির সব সৃষ্টির প্রতি যথাযোগ্য সম্মান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। নিজেদের অজ্ঞতার কারণে আমরা কিছু প্রাণীকে ভয় পাই এবং সুযোগ পেলেই মেরে ফেলি। অথচ মানুষের টিকে থাকার জন্য ওসব প্রাণী যে কতটা দরকারি তা ভাবলে শ্রদ্ধা-কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসায় মানুষের অন্তর পূর্ণতা লাভ করে। উদাহরণ হিসেবে আমি বিষধর সাপ সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলে আজকের প্রসঙ্গে ফিরে যাব।

সাপের শরীরের বিষের ৯৯ ভাগ ব্যবহৃত হয় তাদের হজম শক্তির জন্য। বাকি একভাগ প্রতিরক্ষার জন্য। সাপের বিষ দ্বারা মানুষের দেহ-মন ও মস্তিষ্কের অসুখের জন্য যে দুর্লভ ওষুধসমূহ তৈরি হয় তা অন্য কোনো প্রাণী থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। কাজেই সাপকে শত্রু মনে করার মতো নির্বুদ্ধিতা সভ্য মস্তিষ্ক প্রদর্শন করে না। ঠিক একই রূপে ঘোড়া ও গাধার উপকারিতা এবং মানব সভ্যতার বিকাশে প্রাণীগুলোর অবদান জানলে কেউ ভুলেও ওসব নাম নিয়ে কাউকে গালি দিত না— অন্যদিকে গালি খাওয়া মানুষগুলোর বুদ্ধিসুদ্ধির সভ্যতা শঙ্কিত পর্যায়ে থাকলে তারাও অপমানিতবোধ করে ক্রোধান্ধ হতো না। বর্তমানকালের চিকিৎসাবিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং হাজারও মরণব্যাধির প্রতিষেধক আবিষ্কার এবং সফল অস্ত্রোপচারের দক্ষতা অর্জনের জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক জননীবৃন্দ তিনটি প্রাণীর প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সেগুলোকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখেন। প্রাণী তিনটি হলো— ইঁদুর, বানর এবং ব্যাঙ।

ইঁদুর সম্পর্কে যারা খুব বেশি ওয়াকিবহাল নন তাদের জ্ঞাতার্থে প্রাণীটি সম্পর্কে কিছু তথ্য পেশ করতে চাচ্ছি। এরা নিজেদের মধ্যে কোনো দিন ঝগড়া বিবাদ করে না— অন্য কোনো প্রাণীদের সঙ্গে গণ্ডগোল, মারামারি কিংবা যুদ্ধ করে না। প্রকৃতির সব প্রাণীর মধ্যে ইঁদুরের সহনশীলতা এবং পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। ইঁদুরের মতো শক্তিশালী চোয়াল, দাঁত এবং মুখের ক্ষমতা অন্য কারও নেই। ইঁদুরের হৃদযন্ত্রের স্পন্দন, হজম করার ক্ষমতা এবং রেচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। তাদের পেট খারাপ, বদহজম এবং পাতলা পায়খানা হয় না। ইঁদুরের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস এবং মলমূত্রের দুর্গন্ধ সব প্রাণীর চেয়ে কম। ইঁদুরের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অসীম, দুঃখ-কষ্ট-বেদনা এবং প্রতিকূল আবহাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা অসাধারণ। ইঁদুরের মন অন্য প্রাণীর প্রতি শত্রু ভাবাপন্ন নয় আর তাদের মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি সীমা অতিক্রম করে না। ইঁদুরেরা নির্দিষ্ট স্থানে পরিবারভুক্ত অথবা দলভুক্ত হয়ে থাকতে পছন্দ করে এবং যাযাবরের মতো জীবনযাপন একদম পছন্দ করে না। এতসব গুণাবলির জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞান সব সময় ইুঁদরকে তাদের গবেষণা কর্মে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে আসছে।

ইঁদুরের আত্মমর্যাদা, মান-সম্মান এবং লজ্জা শরমের মাত্রাও অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা। তারা রাগ করে না, অভিমান করে না। কিন্তু অতিরিক্ত লজ্জা-শরমের কারণে প্রকাশ্যে চলাফেরাও করে না। মলত্যাগ এবং দৈহিক মিলনের ক্ষেত্রে তারা সর্বোত্তম শালীনতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখে। ইঁদুরের যৌন মিলন প্রত্যক্ষ করেছে এমন কোনো মানুষ কেবল চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণাগার ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। আগেই বলেছি যে, ইঁদুর কাউকে আক্রমণ করে না। তবে তার আত্মমর্যাদা ও মান-সম্মানের একটি স্থানে আঘাত এলে সে কাউকে ছাড়ে না। এ ব্যাপারে তথ্য পেশের আগে জ্ঞানার্জনের মাহাত্ম্য এবং জ্ঞানী ব্যক্তির সম্মান সম্পর্কে সংক্ষেপে একটি ঘটনা বলতে চাই। যাদের মনমানসিকতা হীরক রাজার মতো, অর্থাৎ জানার কোনো শেষ নেই, জানার চেষ্টা বৃথা এ তথ্যে বিশ্বাসী তাদের প্রতি অনুরোধ তারা যেন নিবন্ধের বাকি অংশটুকু না পড়েন। অন্যদিকে যারা হজরত ইমাম আবু হানিফার মতো জ্ঞান অন্বেষণকারী তারা নিশ্চয়ই পরবর্তী অংশের মধ্যে ভিন্নতর স্বাদ, রূপ ও রসের সন্ধান পাবেন।

ইমাম আবু হানিফা (র.)-কে প্রশ্ন করা হলো— কুকুর শাবকের সাবালকত্ব প্রাপ্তির নমুনা বা চিহ্ন কি? আবু হানিফা বিষয়টি জানতেন না। তিনি পাগলের মতো কয়েক বছর ঘুরে অবশেষে এক মুচির কাছ থেকে বিষয়টি জানলেন। মৃত্যুর আগে ইমাম আবু হানিফা তার ভক্তকুলকে অছিয়ত করে গেলেন যে, তার যুব্বাটি যেন তার শিক্ষক মুচিকে সসম্মানে পৌঁছে দেওয়া হয়। কুকুর-শাবকের সাবালকত্বের নমুনার তথ্যটি জানার জন্য বছরের পর বছর ঘুরে বেড়ানো এবং একজন মুচিকে শিক্ষক হিসেবে সম্মান জানানোর মতো বিশাল হৃদয়, বিনয়ী মন এবং উন্নত মস্তিষ্কের কারণে ইমাম আবু হানিফা তামাম দুনিয়ার মানুষের মাথার তাজ হিসেবে সম্মানিত হয়ে আছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবেন ইনশা আল্লাহ!

আমরা আজকের নিবন্ধের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। কুকুরের সাবালকত্বের নমুনা, ইঁদুরের আত্মমর্যাদা এবং মান-সম্মানের স্পর্শকাতরতার বিষয়টি বলে আজকের প্রসঙ্গ শেষ করব। কুকুর-শাবক যখন তিন পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে এক পা উঁচু করে জলবিয়োগ আরম্ভ করে ঠিক তখন থেকে তার সাবালকত্ব শুরু হয়। অন্যদিকে কেউ যদি ইঁদুরের লেজটি ধরে টান মারে এবং উঁচু করে তুলে ধরার চেষ্টা করে তবে সে ভীষণ অসম্মানিতবোধ করে এবং ক্রোধান্বিত হয়ে সর্বশক্তি দিয়ে লেজ ধরে টান মারা প্রাণীটিকে আক্রমণ করে থাকে।  উল্লিখিত দুটো ঘটনার কার্যকারণ এবং নেপথ্যের গুপ্ত কথা নিয়ে পরবর্তী কোনো সময়ে সুযোগ হলে বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করব।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
জলবায়ু দারিদ্র্য
জলবায়ু দারিদ্র্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
মানবতন্ত্রী সালাহ্উদ্দীন আহমদ
মানবতন্ত্রী সালাহ্উদ্দীন আহমদ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
নাদির শাহর প্রমোদবালা ও আমাদের দেশপ্রেম
নাদির শাহর প্রমোদবালা ও আমাদের দেশপ্রেম
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
ফল বিপর্যয়
ফল বিপর্যয়
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
সর্বশেষ খবর
গাজায় ব্যাপক বিমান হামলার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
গাজায় ব্যাপক বিমান হামলার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য পেল কানাডা-চীনের বিজ্ঞানীরা
চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য পেল কানাডা-চীনের বিজ্ঞানীরা

১২ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

৪৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
৪৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

মেক্সিকোর গুহায় দুই হাজার বছর আগের শিশু ও টিয়াপাখির মমি আবিষ্কার
মেক্সিকোর গুহায় দুই হাজার বছর আগের শিশু ও টিয়াপাখির মমি আবিষ্কার

২৬ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মোংলায় খালে ভেসে এলো মৃত কুমির, গলায় রশি ও আঘাতের চিহ্ন
মোংলায় খালে ভেসে এলো মৃত কুমির, গলায় রশি ও আঘাতের চিহ্ন

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর মতিঝিলে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
রাজধানীর মতিঝিলে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

কুমারখালীতে সাহিত্য আড্ডা
কুমারখালীতে সাহিত্য আড্ডা

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে মদসহ গ্রেফতার ১
বান্দরবানে মদসহ গ্রেফতার ১

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ
পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

গাজীপুরের কৃষি জমিতে বালু ভরাট, সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
গাজীপুরের কৃষি জমিতে বালু ভরাট, সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হলো ডোঙ্গা বাইচ
ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হলো ডোঙ্গা বাইচ

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ও চীনের পরিবহন মন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক
নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ও চীনের পরিবহন মন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

লাল কার্ড দেখার পর নিজেকে নির্দোষ দাবি বার্সা কোচের
লাল কার্ড দেখার পর নিজেকে নির্দোষ দাবি বার্সা কোচের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাছের ডাল পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
গাছের ডাল পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাম বেড়ে স্বর্ণের ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার
দাম বেড়ে স্বর্ণের ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বরিশালে এসএসিপির কর্মশালা
বরিশালে এসএসিপির কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: বিকল্প স্থানে পণ্য খালাস কার্যক্রমের কথা জানালো এনবিআর
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: বিকল্প স্থানে পণ্য খালাস কার্যক্রমের কথা জানালো এনবিআর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুভেন্টাসের বিপক্ষে ৭৩ বছরের প্রতীক্ষিত জয় কোমোর
জুভেন্টাসের বিপক্ষে ৭৩ বছরের প্রতীক্ষিত জয় কোমোর

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯ হাজার কোটি টাকা
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯ হাজার কোটি টাকা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নারায়ণগঞ্জে কারেন্ট জাল জব্দ
নারায়ণগঞ্জে কারেন্ট জাল জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইস্পাতের চেয়েও শক্ত কাঠ আবিষ্কার
ইস্পাতের চেয়েও শক্ত কাঠ আবিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

গাজীপুরে নদীতে ডুবে দুই নারীর মৃত্যু
গাজীপুরে নদীতে ডুবে দুই নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে ২ মাদক কারবারি আটক
কুড়িগ্রামে ২ মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেরপুরে জাল টাকা কাণ্ডে পোস্ট অফিসের দুই কর্মচারী গ্রেফতার
শেরপুরে জাল টাকা কাণ্ডে পোস্ট অফিসের দুই কর্মচারী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে বিজিবির অভিযানে শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
বান্দরবানে বিজিবির অভিযানে শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দীর্ঘ বিরতির পর ছোট পর্দায় নওশাবা
দীর্ঘ বিরতির পর ছোট পর্দায় নওশাবা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধারাবাহিক আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কোর কমিটি
ধারাবাহিক আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কোর কমিটি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটের মাধ্যমে যে আইন হয়, তার দায় ভোটারদেরও নিতে হবে: ফয়জুল করীম
ভোটের মাধ্যমে যে আইন হয়, তার দায় ভোটারদেরও নিতে হবে: ফয়জুল করীম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট
গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নির্ধারণ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নির্ধারণ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বলছেন ব্যবসায়ীরা
বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বলছেন ব্যবসায়ীরা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা
দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন পদক্ষেপ, লাহোরে নাটকীয়ভাবে কমল ৭০ শতাংশ বায়ুদূষণ
নতুন পদক্ষেপ, লাহোরে নাটকীয়ভাবে কমল ৭০ শতাংশ বায়ুদূষণ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি
২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে আবারও পরমাণু বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান
ভারতকে আবারও পরমাণু বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল
শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাষ্ট্র ও সংবিধান থেকে নজর সরাতে পিআর আন্দোলন: নাহিদ ইসলাম
রাষ্ট্র ও সংবিধান থেকে নজর সরাতে পিআর আন্দোলন: নাহিদ ইসলাম

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে : সালাহউদ্দিন
জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লেস্টারে ফিরে হামজার ঝলক
লেস্টারে ফিরে হামজার ঝলক

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের
আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিদিন একটি শসা খেলে মিলবে যে উপকার
প্রতিদিন একটি শসা খেলে মিলবে যে উপকার

১৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

কানাডা কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে?
কানাডা কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে জনতার ঢল, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে জনতার ঢল, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসের স্থপতি’ ইসরায়েলের ১৭ বিজ্ঞানীর তথ্য ফাঁস
‘হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসের স্থপতি’ ইসরায়েলের ১৭ বিজ্ঞানীর তথ্য ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে হামলা মানেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা: নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে রিয়াদ
সৌদিতে হামলা মানেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা: নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে রিয়াদ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ
ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির ডেলিভারি: বিশ্বরেকর্ড না কি প্রযুক্তিগত ত্রুটি?
স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির ডেলিভারি: বিশ্বরেকর্ড না কি প্রযুক্তিগত ত্রুটি?

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তিন দিন অতিরিক্ত ফ্লাইটের চার্জ মওকুফ
আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তিন দিন অতিরিক্ত ফ্লাইটের চার্জ মওকুফ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'‌সন্ধ্যা কাটে না, অথচ দিব্যি বছর ঘুরে বছর আসে'‌
'‌সন্ধ্যা কাটে না, অথচ দিব্যি বছর ঘুরে বছর আসে'‌

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী স্ত্রী ভরণপোষণ চাইতে পারবেন না
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী স্ত্রী ভরণপোষণ চাইতে পারবেন না

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারিনার সাথে দাম্পত্যে সুখী সাইফ, তবু অমৃতার স্মৃতিতে বারবার ফিরে যান
কারিনার সাথে দাম্পত্যে সুখী সাইফ, তবু অমৃতার স্মৃতিতে বারবার ফিরে যান

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যাত্রীচাপ সামলাতে সময় বাড়ল মেট্রোরেল চলাচলের
যাত্রীচাপ সামলাতে সময় বাড়ল মেট্রোরেল চলাচলের

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস
বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন
অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন

শোবিজ

এখনো সিঙ্গেল ইধিকা
এখনো সিঙ্গেল ইধিকা

শোবিজ

বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ
বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ

মাঠে ময়দানে

অভিনয় নিয়ে আফজাল
অভিনয় নিয়ে আফজাল

শোবিজ

মোশাররফ করিমের গল্প
মোশাররফ করিমের গল্প

শোবিজ

প্রচারে বিএনপি জামায়াত এনসিপি ইসলামি দল
প্রচারে বিএনপি জামায়াত এনসিপি ইসলামি দল

নগর জীবন

কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!
কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!

পূর্ব-পশ্চিম

প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই
প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই

শোবিজ

নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের
নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের

দেশগ্রাম

ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি
ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি

দেশগ্রাম

বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন
বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ
প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ

দেশগ্রাম

বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি স্পষ্ট
বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি স্পষ্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া এখন সময়ের দাবি
ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া এখন সময়ের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে
সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান
পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান

পূর্ব-পশ্চিম

উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা
উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা

দেশগ্রাম

আইনি ভিত্তি না হলে প্রহসন হবে
আইনি ভিত্তি না হলে প্রহসন হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা
মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা

দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার
চট্টগ্রামে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার

নগর জীবন

ভক্তের পদচারণে মুখর সাঁইজির আখড়া
ভক্তের পদচারণে মুখর সাঁইজির আখড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ
ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ

দেশগ্রাম

কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে
কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে

দেশগ্রাম

চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার
চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার

পূর্ব-পশ্চিম

আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং
আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

দেশগ্রাম

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

পূর্ব-পশ্চিম

সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর
সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর

দেশগ্রাম