মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভালোবাসার ভালোমন্দ

সাইফুর রহমান

ভালোবাসার ভালোমন্দ

ট্রয় নগরের রাজা প্রায়ামের পুত্র প্যারিস ভাগ্যদোষে শিশুকালেই নির্বাসিত হয়েছিলেন আইডা পর্বতের পাদদেশে। মেষপালক হিসেবে ধীরে ধীরে তিনি সাবালক হয়ে উঠলেন সেখানেই। একসময় সমুদ্রদেবী থেটিস আর মহান গ্রিক বীর পেলেউসের মধ্যে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। থেটিসের এই বিয়ে উৎসবে একজন ছাড়া আর সব দেবদেবীকেই নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। বাদ পড়েছিল শুধু কলহ-বিবাদের দেবী ইরিস। যেহেতু বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি সেজন্য তিনি সঙ্গোপনে সেই বিয়ের বিশাল ভোজকক্ষে গিয়ে সমবেত অতিথিদের মাঝখানে একটি সোনার আপেল ছুড়ে দিলেন। আপেলের ওপর খোদাই করে লেখা ছিল— ‘সবচেয়ে সুন্দরীর জন্য এই উপহার’। দেবদেবীদের মধ্যে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ল আপেলটির ওপর। কে কার চেয়ে অধিকতর সুন্দরী এই নিয়ে বিবাদ চলল বেশ কিছু সময় ধরে। এর মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম সুন্দরী ও দুর্বল দেবীরা রণেভঙ্গ দিয়ে সটকে পড়ল দ্রুত। বাকি রইলেন শুধু তিনজন, তারা কেউই নিজের দাবি ছাড়তে প্রস্তুত নন। এই তিন দেবীর একজন হলেন জিউসপত্নী হেরা, বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী অ্যাথেনা এবং প্রেমের দেবী অ্যাফ্রোদিতি। দেবীদের এই সৌন্দর্যের বিচারের ভার দেবতারাও ভয়ে নিতে অস্বীকার করলেন। এই বিচারের ভার কার ওপর অর্পণ করা যায় এ নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে এই তিনজন দেবী গিয়ে হাজির হলেন প্যারিসের সামনে। দেবীদের রূপ-সৌন্দর্য প্যারিস নিজেও যেন সহ্য করতে পারছিলেন না। কিন্তু দেবীরা তাকে অভয় দিয়ে বললেন, তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী তাই শুধু ঠিক করতে হবে প্যারিসকে। এই বিচার অতিশয় কঠিন বলে মনে হলো প্যারিসের কাছে। কারণ তিনজনের মধ্যে সৌন্দর্যের বিচারে কেউ কারও চেয়ে কম নন। তখন প্রত্যেক দেবীই প্যারিসকে পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে প্রভাবিত করতে চাইলেন। প্রথমে হেরা বললেন, প্যারিস যদি তাকেই সেরা সুন্দরীর পুরস্কারটি দেন তাহলে তিনি তাকে পৃথিবীর সব মানুষ ও নগরীর ওপর প্রভুত্ব দান করবেন। এই কথা শুনে প্যারিস হেরাকেই সোনার আপেলটি দিয়ে দিতে উদ্যত হচ্ছিলেন, কিন্তু অ্যাথেনা তার শান্ত ও নির্ভীক চোখ দুটি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বিরক্তির সঙ্গে বললেন, জ্ঞান বা শিক্ষাহীন যে ক্ষমতা তাতে ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু জ্ঞান তোমাকে শুধু আনন্দই দেবে না, তুমি যদি চাও তাহলে ক্ষমতাও দেবে। প্যারিস আবার সংশয়ে পড়ে গেলেন কী করবেন তিনি? ঠিক তখন হাস্য-পরিহাস্যপ্রিয় অ্যাফ্রোদিতি তার সোনালি চুলের গোছা ঝাঁকি দিয়ে সরিয়ে মৃদু হেসে প্যারিসের দিকে তাকালেন। বললেন, শোনো প্যারিস! মরণশীল মানুষের আয়ু খুবই সীমিত আর তার মধ্যে সত্যিকারের সুখ বড়ই কম। কিন্তু প্রেমের মধ্যেই সেই ঐশ্বরিক সুখ আছে। আমি তোমাকে দেব পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী রমণীর প্রেম। সে রমণীর নাম হেলেন। সব গ্রিক বীরই তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। সে এখন তার স্বামী মেনেলাউসের সঙ্গে স্পার্টায় বাস করছে। সোনার আপেলটি আমার হাতে তুলে দিলেই তুমি হেলেনকে পাবে। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের কথা শুনে তার হৃদয়ের মানসপটে তিনি হেলেনকে যেন দেখতে পেলেন এবং মুহূর্তেই তাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্যারিসকে আচ্ছন্ন করে ফেলল। তিনি হৃষ্টচিত্তে সোনার আপেলটি প্রেমের দেবী অ্যাফ্রোদিতির হাতে তুলে দিলেন।

গ্রিক মহাকবি হোমারের ইলিয়াড মহাকাব্যে আমরা দেখি যে, ভালোবাসার এমনই অসীম এক শক্তি যে একজন সর্বস্ব হারানো রাজকুমারও একটি সুন্দরী নারীর ভালোবাসা পেতে সব মানুষ ও নগরীর ওপর প্রভুত্ব করার ক্ষমতা কিংবা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী হওয়ার দুর্লভ সুযোগ হাতছাড়া করে দিচ্ছেন অম্লান বদনে। আমার মতে, পৃথিবীতে যত কবিতা, গান, সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস রচিত হয়েছে তার অর্ধেকই সম্ভবত প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ-বিচ্ছেদ এ-সংক্রান্ত। মহাবিশ্বের তাবৎ লেখকের মধ্যে বোধ করি বেশির ভাগ লেখক-সাহিত্যিকই প্রেম-ভালোবাসার প্রতি অনুভব করেন এক দুর্বার আকর্ষণ। কার কথা বলব রবীন্দ্রনাথ, শরৎ চন্দ্র, জীবনানন্দ, বোদলেয়ার, বালজাক, মোপাসাঁ, গুস্তাফ ফ্লবের, দান্তে আরও কত শত নাম। বেশির ভাগ লেখকই ভালোবাসাকে অনুভব করার চেষ্টা করেছেন আলো-আঁধারিতে, পাওয়া-না পাওয়ার তৃপ্তি কিংবা অতৃপ্তি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাই যদি ধরি প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কিত অজস্র দর্শন ছড়িয়ে আছে তার কবিতা-গল্প-উপন্যাসে। শেষের কবিতা, ঘরে-বাইরে, মানসী, রক্তকবরী ইত্যাদি ছাড়াও আরও অনেক লেখায়। কড়ি ও কোমল কবিতায় রবিবাবু লিখেছেন— ভালোবাসা কাঁদে, হাসে, মোছে অশ্রুজল/চায়, পায়, হারায় আবার। ব্যক্তিজীবনে রবীন্দ্রনাথ কাকে সত্যিকারের ভালোবেসেছিলেন? তার দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরীকে, নাকি তার নাতনির বয়সী রানুকে, নাকি একেবারে যৌবনে পদার্পণ করে যাকে দেখেছিলেন সেই আনা তাড়খোরকে। নাকি সবাইকে ভালোবেসেছিলেন ক্রমান্বয়ে। একজনের পর আরেকজনকে। এসব প্রশ্নের উত্তর শীতের ভোরের কুয়াশার মতো অস্পষ্ট। আসলে ভালোবাসা বিষয়টিই যেন নিদারুণ গোলমেলে ও জটিল। অনেকটা স্তূপীকৃত সুতার মতো— এর প্রান্ত হয়তো একটি আছে, কিন্তু কোনো শেষ নেই। ভালোবাসা বিষয়টি যদি গোলমেলে ও জটিলই না হবে তবে রবীন্দ্রনাথ, শরৎ চন্দ্র, মোপাসাঁ, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে প্রমুখ লেখকের জীবনে যেখানে বহু নারীর আনাগোনা সেখানে কিনা ইতালির মহাকবি দান্তে অ্যালিখেরি (১২৬৫-১৩২৪) একটি মাত্র মেয়ের কথা ভেবে ভেবে কাটিয়ে দিলেন সারা জীবন। মেয়েটিকে তিনি দেখেছিলেন মাত্র একবার, তাও সেটা নয় বছর বয়সে। তারপর বিয়াত্রিসের সঙ্গে দান্তের আর কোনো দিন যোগাযোগ হয়নি। দান্তের মানস প্রেমিকা বিয়াত্রিসের আসল নাম ছিল বিস প্রটিনারি। কিন্তু নামটি দান্তের পছন্দ হয়নি, তাই তিনি মানস প্রতিমার নাম দিলেন নিজের মতো করে। নাম রাখলেন বিয়াত্রিস। বিয়াত্রিস মারা যান ১২৯০ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুন। ২৪ বছর বয়সে দান্তে গিয়েছিলেন কম্পালাডিনো যুদ্ধে। যুদ্ধ থেকে ফিরেই বিয়াত্রিসের মৃত্যু সংবাদ শুনতে পান তিনি। এই মৃত্যুতে দারুণভাবে আঘাত পেলেন দান্তে। তিনি অবসন্ন ও হতাশার গহিনে ডুবে গেলেন একেবারে। তার পরই সহস্র স্বপ্নবৎ শোকের ঘন কুয়াশার মধ্যে তার মানসচোখে আবার নবরূপে দেখতে পেলেন বিয়াত্রিসকে। বিয়াত্রিসকে স্বপ্নে দেখে তিনি যে অমর নীতিকাব্য রচনা করেছিলেন সেটাই ছিল ‘ভিটানোভা’ বা নবজীবন (The New Life)। ভিটানোভার সংক্ষিপ্ত কাহিনী মূলত দান্তেরই নিজের জীবনকথা। এ কাব্যে তিনি বর্ণনা করেছেন কেমন করে বালক বয়সে বিয়াত্রিস নামে এক ফুটফুটে পরীর মতো সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হলো, কীভাবে তিনি অলক্ষ্যে ও অজান্তে বিয়াত্রিসকে ভালোবেসেছিলেন। শুধু দান্তে নন, ১৯৩৬ সালে ইংরেজ রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডও প্রেমিকা সিম্পসানের জন্য রাজসিংহাসনটি তার কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন স্পেনে। স্বেচ্ছা নির্বাসনে। ইংরেজ রাজাদের সাধারণত বিবাহিত মেয়েদের রানীরূপে গ্রহণ করার রীতি নেই। সেজন্য অষ্টম এডওয়ার্ড সিম্পসানকে বিয়ে করতে পারছিলেন না। অবশেষে প্রেমেরই জয় হলো। তিনি রাজসিংহাসন ত্যাগ করতে এতটুকুও কুণ্ঠাবোধ করলেন না। স্থান-কাল-পাত্র ও সংস্কৃতিভেদে মানুষের ভালোবাসার ধরন ও বহিঃপ্রকাশে ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন আমাদের দেশের সংস্কৃতিতেই এই কিছুকাল আগেও ভালোবাসায় সততা বলে একটি বিষয় ছিল। একটি মেয়ে কিংবা একটি ছেলে সাধারণত একজনের প্রতিই অনুরক্ত ও বিশ্বস্ত থাকতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় একটি ছেলে কিংবা একটি মেয়ে একসঙ্গে বহু প্রেমে জড়িয়ে পড়ছে। এটি বড়ই আশ্চর্যজনক ও বেদনাদায়ক। অবশ্য এজন্য অনেক সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক আমাদের দেশের অবারিত আকাশ সংস্কৃতি ও বিভিন্ন সামাজিক গণযোগাযোগমাধ্যম দায়ী বলে প্রতিনিয়ত ওয়াজ-নসিহত করেন। লেখাপড়ার বদৌলতে দীর্ঘদিন আমাকে কাটাতে হয়েছিল পাশ্চাত্য দেশগুলোয়। সেখানে আমি দেখেছি যেহেতু মানুষের হৃদয় একটি জটিল বিষয় এবং কেউ কারও মনের ভিতর ঢুকে দেখতে পারছে না যে আসলে সেখানে কী চলছে। সেহেতু অন্তত একটি জায়গায় ভালোবাসার বিশ্বাসঘাতকতার একটি সীমারেখা টেনে রাখা প্রয়োজন। আর সেই সীমারেখাটি হলো যতদিন একটি মেয়ে ও একটি ছেলে একসঙ্গে থাকবে, তারা পরস্পর একজন আরেকজনের প্রতি অনুগত ও বিশ্বস্ত থাকবে। অর্থাৎ একজন আরেকজনের অগোচরে কারও অঙ্কশায়িনী হবে না, কাউকে ভালোবাসবে না। আর যদি মেয়েটি কিংবা ছেলেটি অন্য কারও শয্যাসঙ্গী হয় তবে ধরে নেওয়া হবে যে, সেই মানুষটি অন্য মানুষটির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল এবং তার মনে অন্যজনের জন্য আর কোনো ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এ ধরনের কোনো বোধই আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। একটি ছেলে হয়তো একটি মেয়েকে বলছে, আমি তোমাকে ভালোবাসি, ঠিক একই সঙ্গে সেই ছেলেটি দেখা যাচ্ছে আরও একটি কিংবা একাধিক মেয়েকে বলছে আমি তোমাকে ভালোবাসি। প্রথম মেয়েটি ছেলেটির এই বহুচারিতা জেনেবুঝেও তাকে কিছু বলছে না। তার ভালোবাসা যে অপমানিত হচ্ছে সেই ধারণা কিংবা বোধটিই যেন তার মধ্যে কখনো জন্মায়নি। এর কারণ হয়তো দেখা যায়, সেই মেয়েটিও সবার অলক্ষ্যে জুটিয়ে নিয়েছে একাধিক পুরুষ। আমি যখন ১৯৯৯ সালে লেখাপড়ার জন্য যুক্তরাজ্যে যাই সেখানে একটি বিষয় দেখে ভারি আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলাম। আমি ভর্তি হয়েছিলাম আইনে ওয়েলসের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে। একদিন মাছ বাজারে গিয়েছি কিছু মাছ কিনতে। দেখলাম পরীর মতো ফুটফুটে একটি মেয়ে বসে মাছ বিক্রি করছে। আমি দেখে অভিভূত হলাম। অনেক দিন পরে আমার এক প্রফেসর ফিলিপ থমাসের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমি ফিলিপ থমাসকে বললাম, এ দেশে এসে দেখলাম সবাই কাজ করে। এ দিকটা বেশ ভালো। আমাদের দেশে একে তো কাজের বেশ অভাব দ্বিতীয়ত অনেক সুন্দরী মেয়েই চাকরি-বাকরির ধার না ধরে নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে কোনো বিত্তশালীর বাহুলগ্না হয়ে ঘুরে বেড়ান। প্রফেসর সাহেব আমাকে বললেন, এখানকার তরুণ ছেলে-মেয়েদের আত্মসম্মান বোধটি কিন্তু অতি টনটনে। তারা জান দেবে তবুও মান দেবে না। অনেক কষ্ট করে জীবন নির্বাহ করবে তবুও কারও কাছে হাত পাতবে না কিংবা নিজের সম্ভ্রম বিকিয়ে দেবে না। আমি বললাম, আমাদের দেশে ঠিক এর উল্টো। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এই আত্মসম্মান বোধটিই কখনো জাগ্রত হলো না। প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস-ডে অর্থাৎ ভালোবাসা দিবস পালিত হয়। সেদিন অনেকের হাতেই ফুল, কার্ড ইত্যাদি দেখা যায়। ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস নামে একজন খ্রিস্টান পাদরি ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লাডিয়াস তাকে বন্দী করেছিলেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল।

বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে দুজনের মধ্যে ভাব-ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। আর সেজন্য সেন্ট ভ্যালেন্টাইনসের প্রতি ক্রোধ ও ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডের আগে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস রাজকুমারীকে একটি প্রেমপত্র দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুদণ্ডটি কার্যকর হয়েছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। এই ভ্যালেন্টাইনস-ডেটি অতীতে এত জনপ্রিয় ছিল না। একে প্রথম দিকে জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে কাজ করেছিলেন মধ্যযুগের দুই ইংরেজ কবি। প্রথমজন চসার, দ্বিতীয়জন মহাকবি শেকসপিয়র। শেকসপিয়রের ‘হ্যামলেট’ নাটকে আমরা দেখি ওফেলিয়া বলছে, কাল ভ্যালেন্টাইনস-ডে, আমি তোমার জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকব তোমার ভ্যালেন্টাইনস হতে। নানা বর্ণাঢ্য-আয়োজনে একটি দিন ভালোবাসা দিবস হিসেবে উদ্যাপনে আমার কোনো দ্বিমত নেই। তবে মানুষের প্রতিটি দিনই হওয়া উচিত ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।

     লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল :  [email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর