বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকায় পাতাল রেল

দ্রুত পদক্ষেপ নিন

পাতাল রেলের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারের চলতি মেয়াদের মধ্যেই টঙ্গী ও আমিনবাজার থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেলের দুটি রুট বাস্তবায়ন প্রস্তুতি চলছে। তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে রাজধানীতে পাতাল রেল স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের নীতিনির্ধারকরা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টঙ্গী ও আমিনবাজার থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রথম ও দ্বিতীয় রুট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ রুট দুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে আনুমানিক হিসেবে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় ৬৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বর্তমান সরকার আমলে পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বড় বড় প্রকল্প এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। এ বাস্তবতা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে পাতাল রেল স্থাপনের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে গত ডিসেম্বরে রাজধানীর গুলশানের একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাতাল রেল সেবা চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে রাজধানীর বিরক্তিকর যানজট দূর

করতে পাতাল রেল সেবা চালুর কথা বলেন তিনি। পাতাল রেল প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতিও পাওয়া গেছে। রাজধানীর যানজট নিরসনে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক এ ধরনের প্রকল্পে অর্থায়ন করতে আগ্রহী। পাতাল রেলের জন্য সাবওয়ে স্থাপন হলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ মিটার নিচ দিয়ে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। এতে মহানগরীর প্রায় ৪০ লাখ যাত্রী পরিবহন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত মেগা সিটি ঢাকায় যাতায়াত সহজ করতে পাতাল রেল প্রকল্প আলোর পথ দেখাতে পারে। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সুষ্ঠুভাবে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে- এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর