শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মহান ভাষাশহীদেরা

অপূর্ব আজাদ

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছিলেন তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। ছাত্রবিক্ষোভের পর পুলিশের গুলিতে নিহত অনেকের লাশ ওই রাতেই পুলিশ মর্গ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং গুম করে ফেলে। ভাষাশহীদদের একটি অসম্পূর্ণ তালিকা- ১. রফিকউদ্দীন আহমদ [১৯২৬-১৯৫২] ২. আবুল বরকত [১৯২৭-১৯৫২] ৩. শফিউর রহমান [১৯১৮-১৯৫২] ৪. আবদুল জব্বার [১৯২২-১৯৫২] ৫. আবদুস সালাম [১৯২৫-১৯৫২] ৬. অহিউল্লাহ [১৯৪৪-১৯৫২]। রফিকউদ্দিন আহমদ, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পারিল বলধারা গ্রামে ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর জন্ম নেন। পিতা আবদুল লতিফ, মাতা রাফিজা খাতুন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৬ বছর। আবুল বরকত পশ্চিবঙ্গের মুরশিদাবাদ জেলার বাবলা গ্রামে ১৯২৭ সালের ১৬ জুন জন্ম নেন। পিতা শামসুজ্জোহা। গ্রামের স্কুলেই পড়াশোনার শুরু। তালিবপুর হাইস্কুল থেকে ’৪৫ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে। এখান থেকে ’৪৭ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে পুলিশ যখন গুলি চালায় তখন তিনি দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ১২ নম্বর শেডের নিচে। শফিউর রহমান পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোন্নগর গ্রামে ১৯১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি জন্ম নেন। কলকাতার সরকারি কমার্শিয়াল কলেজ থেকে আইকম পাস করেন। সাতচল্লিশের পর সপরিবারে পূর্ববঙ্গে আসেন এবং ঢাকা হাই কোর্টে চাকরি শুরু করেন। বায়ান্নর ২২ ফেব্রুয়ারি নবাবপুর রোডের মিছিলে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। আবদুল জব্বার গফরগাঁওয়ের পাঁচাইরা গ্রামের আবদুল কাদেরের সন্তান। ভাষা আান্দোলনের আরেক বীর শহীদ আবদুস সালাম ফেনীর লক্ষণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলন চলাকালে তিনি ছিলেন ঢাকা সচিবালয়ের একজন পিয়ন। ২১ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে মাসাধিককাল ভোগান্তির পর মারা যান ৭ এপ্রিল। অহিউল্লাহ ভাষাশহীদদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। পিতার নাম হাবিবুর রহমান, পেশায় রাজমিস্ত্রি। ২২ ফেব্রুয়ারি নবাবপুর রোডের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে মারা যান। তার লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর