শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০১ মে, ২০১৯ আপডেট:

বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ

অবশেষে বিএনপি সংসদে যোগ দিয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব যে আজ চরমভাবে দেউলিয়া, দেশবাসীর সামনে তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তারা সংসদে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংসদে শপথ নেবে না বলে অনড় অবস্থানে ছিল বিএনপি। দলের নির্বাচিত এমপিরা সংসদে যেতে চান, সেটি গণমাধ্যমেই আসেনি, তাদের বক্তব্যেও উঠে এসেছিল। কিন্তু দলের নেতৃত্ব সংসদে যোগদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দূরে থাক, কেউ শপথ নিলে বহিষ্কার করা হবে বলেও দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা বলেছিলেন। এমনকি নির্বাচনে বিজয়ী দলের এমপিরা সংসদে যোগদান নিয়ে যেন কোনো কথা না বলেন, সেজন্য দলের শীর্ষ নেতারা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছিলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধু, মুজিবকোট ও জয় বাংলা স্লোগান না ছেড়ে বিজয়ী হয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বরং নেতা-কর্মী, সমর্থকরা বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সুলতান মনসুর তার রাজনৈতিক চেতনার জায়গা থেকে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদান করেন। তারপর নিখোঁজ হয়ে এখনো ফিরে না আসা ইলিয়াস আলীর পতœী তাহসিনা রুশদীর লুনার সমর্থনে গণফোরাম থেকে বিজয়ী হয়ে আসা মোকাব্বির খানও পরে শপথ নেন। ঐক্যফ্রন্টে যখন একে একে নিভেছে দেউটি অবস্থা, তখনো বিএনপির হুঁশ ফেরেনি।

স্পিকারের কাছে শপথ গ্রহণের জন্য সময় চেয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন না জানালে এবং তা গৃহীত না হলে কিংবা শপথ না নিলে সাংবিধানিকভাবে সদস্যপদ থাকবে না। তাই দলের নির্বাচিত এমপিরা তাদের এলাকার মানুষ ও কর্মীদের চাপে অস্থির হয়ে উঠলেও বিএনপি দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেও একসঙ্গে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। অবশেষে ৩০ এপ্রিলের এক দিন আগেই সোমবার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিএনপির চার এমপি হারুন-অর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ও মোশারফ হোসেন শপথ নেন। তার আগে ঠাকুরগাঁও থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান শপথ নিয়েছিলেন। তার শপথের পরই দলের হাই কমান্ডের নিষেধাজ্ঞা এমনকি দলের লন্ডন নির্বাসিত যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিষেধাজ্ঞাও কোনো কাজে আসেনি। জাহিদকে বহিষ্কার করেও বিএনপির এমপিদের থামানো যায়নি শপথ নেওয়া থেকে। চারজন শপথ নিয়েছেন। আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সময় চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্বের দেউলিয়াত্ব দেশবাসীর সামনে উন্মোচন হয়ে যাওয়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেমন বলেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই এমপিরা শপথ নিয়েছেন। তেমনি শপথ নিয়ে এমপি হারুন-অর রশীদও একই কথা বলেছেন। রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও একই কথা বলেছেন। যদিও সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন, সরকারের চাপের মুখে, জবরদস্তির মুখে এমপিরা শপথ নিচ্ছেন। অথচ এমপিরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলেন, তাদের এলাকার জনগণের চাপেই তারা সংসদে যেতে চান। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব তাদের ভাষাও উপলব্ধি করতে পারেনি।

সরকারবিরোধী গণআন্দোলন গড়ে তোলার শক্তি, সামর্থ্য এবং সুযোগ এখন বিএনপির সামনে নেই। বিএনপির রাজনীতি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আবেগ-অনুভূতি সক্রিয় ঐক্যের জায়গা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। বিএনপি নেতাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো ক্ষমতা নেই। দলের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে লন্ডনে বসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান যে নির্দেশ দিচ্ছেন সেটিই হচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির জন্য রাজনীতির কঠিন মুহূর্তের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। নেতৃত্বহীন বিএনপি সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে সামনে নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামলেও পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে যেমন ছিল দুর্বল, তেমনি মাঠে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ নেতাদের বাদ দিয়ে একদল প্রবাসী সুবিধাভোগীকে মনোনয়নদান, অন্যদিকে এক আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্যন্ত দুজন/তিনজন করে প্রার্থীকে চিঠি দেওয়া এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে হামলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য প্রতিকূলে চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে বহুল বিতর্কিত জামায়াতকেও সঙ্গে রাখে বিএনপি। রাজনীতির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছোট ছোট দলের বড় নেতাদের পাশে পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। তার পরও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছিল। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়েছিল ফলাফল দেখে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলেও মানুষ অবাক হতো না। কিন্তু বিএনপির আসনপ্রাপ্তি এবং অনেক জনপ্রিয় নেতার প্রাপ্ত ভোটের চিত্র তাদের বিস্মিত করে দিয়েছিল। এ ফলাফলে সরকারি দলের নেতারাও আনন্দ পাননি। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা অনেকে বার বার বলেছি বিদ্যমান বাস্তবতায় বিএনপির উচিত এ কয়টি আসন নিয়েও সংসদে যেতে। সংসদে গেলে তাদের কথাই গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাবে। তাদের কথাই দেশবাসীকে আলোড়িত করবে। রাজনীতিতে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে কিছুটা হলেও শক্তি জোগাবে। দলের নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হলে, নির্যাতিত হলে, সংসদে কথা বললে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ তাদের দাবি-দাওয়া সংসদে উত্থাপন করতে পারবেন। প্রয়োজনে বিতর্ক ও ওয়াকআউট করতে পারবেন। না হয়, সংসদে নেই, রাজপথে নেই; বিএনপি কার্যত একটা লাশে পরিণত হয়েছিল। প্রেস ক্লাবের গোলটেবিল আর পল্টন অফিসের ব্রিফিং তাদের দল ও মানুষকেও নয়, গণমাধ্যমকেও ক্লান্ত করেছে। আমাদের অনেকের বক্তব্য বিএনপির সমর্থকরা গ্রহণ করেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথায় কথায় আমাদেরকে সরকার ও আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালি দিয়েছেন। বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের এখন মূল্যায়ন করতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে আমরা নই, সরকারের দালাল থাকলে বিএনপির নেতৃত্বেই রয়েছে।

এই যে বিএনপি সংসদে গেছে, এই যে সংসদে গিয়েই এমপি হারুন-অর রশীদ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভুল করে হোক আর মন থেকেই হোক শেখ হাসিনাকে ‘আমাদের নেত্রী’ বললেও ভুল  করেননি। প্রধানমন্ত্রী সবারই নেতা হন। জাতীয় নেতারা দেশের মানুষের নেতা হন। এমপি-মন্ত্রীরা দেশের মানুষের প্রতিনিধি হন। কিন্তু এমপি হারুন সেখানে তাদের দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন। নতুন নির্বাচনের দাবিও করেছেন। এ দাবি মির্জা ফখরুল যোগ দিয়ে উত্থাপন করলে গণমাধ্যম ও মানুষের কাছে যেমন গুরুত্ব পাবে, সরকারকেও সংসদে জবাব দিতে হবে। অল্প কজন সদস্য হলেও সংসদে ভূমিকা রাখতে পারলে সরকারের ওপর যেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন, তেমনি বাইরে দলকেও বাঁচাতে পারবেন। না হয়, দলকে লাশ বানিয়ে রাখলে, দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকলে, নেতা-কর্মীরা নির্জীব হয়ে ঘরে বসে থাকবে। না হয়, অনেকে সরকারি দলে যোগদানের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে যাবে।

বিএনপি সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে একটি সদস্য পাবে। সেখানে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মতো যুক্তি ও তথ্যনির্ভর তির্যক বাক্যবাণে বাগ্মী কর্মীটিকে সংসদে নিয়ে এলে বিতর্কের ঢেউ তুলতে পারবেন। সরকারি দলের শরিক হয়ে, শেখ হাসিনার ইমেজ ও শক্তির ওপর ভর করে অন্য শরিকদের মতো জাতীয় পার্টি সংসদে এসে বিরোধী দল হলেও মানুষের কাছে কার্যকর বিরোধী দল হতে পারেনি। সরকারি জোটের শরিকরা সরকারবিরোধী যত কথাই বলুক না কেন মানুষের কাছে তা কোনো আবেদন বা প্রভাব ফেলতে পারবে না। মনে হবে, এটি সাজানো নাটক।

দেশে এত নারী ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে, এত সড়ক হত্যা ঘটেছে; কিন্তু বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টি সংসদে বিতর্কের ঝড় তুলতে পারেনি। উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের রক্তনদীতে আমাদের চাঁদমুখ জায়ান নৃশংসভাবে অকালে ঝরে গেছে। সেটি নিয়েও বিরোধী দল আলোচনা করেনি। সাধারণ প্রস্তাব এনে প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে যুক্তিনির্ভর বিতর্ক ও আলোচনার ঝড় তুলতে পারলে রাজনৈতিকভাবে বিএনপিই লাভবান হবে না, তিনিও হয়ে উঠবেন মানুষের মনোজগতে সংসদের অঘোষিত বিরোধী দলের নেতা। বিএনপির সংসদে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ ছিল না। বিএনপি সব নির্বাচিত এমপিকে নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংসদে একসঙ্গে শপথ নিলে এ বিভ্রান্ত দলীয় নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটত না। এখন বিএনপি যেভাবে গেছে তাদের শরিক মুক্তিযোদ্ধা গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও বলেছেন, বিএনপি ভুলভাবে সংসদে গেছে। এখন বিএনপি নেতৃত্বকে কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দলের জন্য পুলিশের লাঠিপেটা খায়, মামলা খায়, জেলে যায় মাঠের নেতা-কর্মীরা। অথচ তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ, আলাপ-আলোচনা ছাড়াই বিএনপি শুধু সংসদে যোগদান প্রশ্নেই নয়, বিগত পাঁচ বছর বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা বলেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগ থেকে নিরন্তর বলে এসেছে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন রেখে তারা নির্বাচনে যাবে না। সহায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। এসব বলে বলে কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্তিতে রেখে অবশেষে নির্বাচনে গেছে। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যর্থতার জন্য একেকবার একেক কথা বলতে বলতে সংসদে যোগ দিয়ে নির্বাচন ও সরকারকে এবং সংসদকে নিজের দলের পক্ষ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের সামনে বৈধতার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। মাঝখানে দলের নেতা-কর্মীদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বহিষ্কার করেছে। সংসদেই যখন যাবেন তাহলে জাহিদুর রহমান জাহিদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কেন? দলের পোড় খাওয়া নেতাদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বর্জনের পথে হাঁটার দায় আজ কে নেবে? বিএনপির এভাবে সংসদে যোগদান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের  বক্তব্য মুখ রক্ষার নমুনা মাত্র। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে একসঙ্গে সংসদে যোগ দিলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবেই বিবেচিত হতো।

একসময় আমাদের চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতারা দর্শকদের হাসি-আনন্দ দিতেন। একসময় দেশের গ্রামগঞ্জে যাত্রাপালা হতো। সেখানে সঙের ভূমিকায় যেমন কেউ থাকতেন বিবেকের ভূমিকায়ও কেউ কেউ থাকতেন। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের এ যুগে যাত্রাপালা উঠে গেছে, বিবেক মরে গেছে। আর রাজনীতিতে কৌতুক ও বিনোদন নিয়ত দেখা যাচ্ছে। সেনাশাসক এরশাদকে নিয়ে বিএনপি উপহাস কম করেনি। গণতন্ত্রের নবযাত্রায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এরশাদ পাঁচটি করে আসনেই বিজয়ী হননি, তার দলও সম্মানজনক আসন পেয়েছিল। মামলার জালে আটকা এরশাদ চাপের মুখে কথা পাল্টাতেন। কিন্তু বিএনপি নিরন্তর এখন সকালে এক কথা তো বিকালে আরেক কথা বলছে। পল্টনে এক নেতা এক কথা বলেন, প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আরেক নেতা আরেক কথা বলেন। আদালতপাড়ায় বসে আরেক নেতা অন্য কথা বলেন।

দলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে নিবেদিত দলের কর্মীরা রয়েছে। টানা এক যুগে দুঃসময়ের মুখোমুখি এসব কর্মী হাল ছাড়েনি। কিন্তু নেতারা রাজনীতির ময়দানে তাদেরই উপহাসের পাত্র বানিয়ে দিয়েছেন। ২৯ তারিখ হয়তো এরশাদও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে হেসেছেন। রাজনীতিতে বিএনপির সার্কাস দেখে হাসিতে গড়াগড়ি খেয়েছেন। তবে সোমবার রাতটি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য গভীর সুখনিদ্রায় যাওয়ার রজনি। বিএনপির মতো একটা দল যারা দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা এমন করে সংসদে যোগ দিয়ে  নির্বাচন, সংসদ ও সরকারকেই কবুল করেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হাত পেতেছে। আর রাজনীতিতে চরম তামাশা নাটকের বিনোদন উপহার দিয়েছে।

আজকাল সিনেমায় যেমন কেউ কৌতুক অভিনেতা খোঁজে না, টিভি পর্দা ও টকশোতে মন দেয় না, তেমনি নাটকে বিনোদন খোঁজে না। সব বিনোদনের কা-কীর্তি এখন জাতীয় রাজনীতিতে।

বিএনপি যখন সংসদে যোগ দেয় তখন আমি কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষায়। আমার কাছে অপেক্ষা সবচেয়ে অসহনীয়, অসহ্য। যদিও রোমান্টিক কবিরা তাদের প্রেয়সীর জন্য অনন্তকাল অপেক্ষার আকুতি নিয়ে আসেন। সেখানে আমার কাছে ছোট্ট জীবনে এত অপেক্ষা চরম অসহ্যের। যানজটের নগরী ঢাকায় আমরা অপেক্ষায় থাকি। আমাদের পথ ফুরায় না। যাত্রাকালে অপেক্ষা আমার কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। জীবনে অনেকবার বাসের জন্য, ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় অস্থির হয়েছি। আন্তর্জাতিক রুটে কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার যন্ত্রণা সহ্য করেছি। এখন আর তা পারি না।

দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম এয়ার ইন্ডিয়ায়। হোটেল থেকে সকাল ১০টায় বেরিয়ে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাই। দুপুর ২টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে চড়ে বিকাল সোয়া ৪টায় কলকাতায় যেন আছাড় খেয়ে পড়ি। টিকিটে বলা ছিল, কলকাতা ফ্লাইট ছাড়বে ৭টা ২০ মিনিটে। বোর্ডিং পাসে লেখা হলো, ফ্লাইট ছাড়বে সাড়ে ৮টায়। পরে বলা হলো, ৯টা ২০ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে। লাউঞ্জে যাত্রীরা অসহায়ের মতো ছটফট করছেন। এয়ার ইন্ডিয়ার কেউ এসে খোঁজও করছেন না। অনেকে ছিলেন অপারেশন করে আসা রোগী। শিশুরাও ছিল। বয়স্করাও ছিলেন। একেকজন একেক জায়গা থেকে এসেছেন। কেউ মুম্বাই থেকে, কেউ চেন্নাই, কেউ দিল্লি থেকে। গরমে ক্লান্ত হয়ে আসা সবাই। পরে ঘোষণা হলো, ৯টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে। অবশেষে রাত সাড়ে ১০টায় ফ্লাইট ছাড়ল।

ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দিল্লির সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ও রয়েছে। সরকারেরই নয়, দেশের দায়িত্বশীল মানুষদেরও যখন তখন দিল্লি যেতে হয়। কিন্তু ঢাকা-দিল্লি, দিল্লি-ঢাকা কোনো এয়ারলাইনসের ফ্লাইট সরাসরি আসা-যাওয়া করে না। দেশের দায়িত্বশীলদের এটা কি ভাবায় না? লাউঞ্জে এসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলাম। এর মধ্যে বিএনপির সংসদে যোগদানের নাটকে নিজের অজান্তেই হাসি পেল।

দীর্ঘদিন থেকে গণমাধ্যমে খবর আসছিল, বিএনপি সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে। বেগম খালেদা জিয়া চান জামিন। সরকার চায় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশ যাবেন তিনি। একই সঙ্গে বিএনপিকে আসতে হবে সংসদে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, রাজনীতিতে আজকের সিদ্ধান্ত কালকে পরিবর্তন হয়। এটা সত্য। তার পূর্বসূরিরাও বলেছেন, রাজনীতিতে শেষ কথা নেই।

কিন্তু রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলের ফোরামে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পদক্ষেপ নিলে তা রাজনৈতিক বিবেচনায় নৈতিক জায়গা থেকে গ্রহণযোগ্যতা পায়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয়। বিএনপি যেভাবে সংসদে গেছে, সেটি কোনো গণতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক চেহারা উন্মোচন করেনি। একটি বড় দলের ব্যর্থ নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটেছে। আর এর অন্তরালে যদি বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে কোনো দফারফা হয়ে থাকে তাহলে সেটিও খুব দ্রুতই উন্মোচন হবে।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু, আহত ২১
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু, আহত ২১

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাজনীতি হোক অনগ্রসর মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার : মাজেদ বাবু
রাজনীতি হোক অনগ্রসর মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার : মাজেদ বাবু

২২ সেকেন্ড আগে | ভোটের হাওয়া

হারের দায় ব্যাটসম্যানদের দিচ্ছেন গম্ভীর
হারের দায় ব্যাটসম্যানদের দিচ্ছেন গম্ভীর

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বিএম কলেজে পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি
বিএম কলেজে পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি

১৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে সম্মেলনে তুলে ধরা হলো সৌদির এআই অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে সম্মেলনে তুলে ধরা হলো সৌদির এআই অগ্রগতি

২২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বরিশালে তিনটি বেহুন্দি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
বরিশালে তিনটি বেহুন্দি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিবপুরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণসমাবেশ
শিবপুরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণসমাবেশ

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে
র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘ নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘ নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

২৫ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৪ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাল সৌদিআরব
১৪ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাল সৌদিআরব

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির
রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দিল রাসিক
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দিল রাসিক

৩৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

গোবিপ্রবির রবি ও সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত
গোবিপ্রবির রবি ও সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত

৩৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় আদিবাসী টেস্ট ক্রিকেটার ডগেট
অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় আদিবাসী টেস্ট ক্রিকেটার ডগেট

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে সরকারি সেবা নিয়ে অবহিতকরণ সভা
রংপুরে সরকারি সেবা নিয়ে অবহিতকরণ সভা

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল
ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল

৪২ মিনিট আগে | রাজনীতি

মঙ্গল গ্রহের আগ্নেয়গিরির দুর্লভ ছবি প্রকাশ
মঙ্গল গ্রহের আগ্নেয়গিরির দুর্লভ ছবি প্রকাশ

৫০ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না
গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাইবান্ধায় ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেফতার
গাইবান্ধায় ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেফতার

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে পুনঃনিরীক্ষণে ১৮৫ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন
বরিশালে পুনঃনিরীক্ষণে ১৮৫ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাজিলের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েলের চোট
ব্রাজিলের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েলের চোট

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’
‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মেহেরপুরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে শিক্ষক নিহত
মেহেরপুরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে শিক্ষক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীবাড়িতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
টঙ্গীবাড়িতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যেসব লজ্জার রেকর্ড গড়ল ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যেসব লজ্জার রেকর্ড গড়ল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রোনালদোকে ছাড়াই বিশ্বকাপ নিশ্চিতের মিশনে পর্তুগাল
রোনালদোকে ছাড়াই বিশ্বকাপ নিশ্চিতের মিশনে পর্তুগাল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের
তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ, পশ্চিমবঙ্গে ২৯ বাংলাদেশি আটক
ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ, পশ্চিমবঙ্গে ২৯ বাংলাদেশি আটক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা