শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০১ মে, ২০১৯ আপডেট:

বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ

অবশেষে বিএনপি সংসদে যোগ দিয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব যে আজ চরমভাবে দেউলিয়া, দেশবাসীর সামনে তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তারা সংসদে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংসদে শপথ নেবে না বলে অনড় অবস্থানে ছিল বিএনপি। দলের নির্বাচিত এমপিরা সংসদে যেতে চান, সেটি গণমাধ্যমেই আসেনি, তাদের বক্তব্যেও উঠে এসেছিল। কিন্তু দলের নেতৃত্ব সংসদে যোগদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দূরে থাক, কেউ শপথ নিলে বহিষ্কার করা হবে বলেও দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা বলেছিলেন। এমনকি নির্বাচনে বিজয়ী দলের এমপিরা সংসদে যোগদান নিয়ে যেন কোনো কথা না বলেন, সেজন্য দলের শীর্ষ নেতারা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছিলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধু, মুজিবকোট ও জয় বাংলা স্লোগান না ছেড়ে বিজয়ী হয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বরং নেতা-কর্মী, সমর্থকরা বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সুলতান মনসুর তার রাজনৈতিক চেতনার জায়গা থেকে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদান করেন। তারপর নিখোঁজ হয়ে এখনো ফিরে না আসা ইলিয়াস আলীর পতœী তাহসিনা রুশদীর লুনার সমর্থনে গণফোরাম থেকে বিজয়ী হয়ে আসা মোকাব্বির খানও পরে শপথ নেন। ঐক্যফ্রন্টে যখন একে একে নিভেছে দেউটি অবস্থা, তখনো বিএনপির হুঁশ ফেরেনি।

স্পিকারের কাছে শপথ গ্রহণের জন্য সময় চেয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন না জানালে এবং তা গৃহীত না হলে কিংবা শপথ না নিলে সাংবিধানিকভাবে সদস্যপদ থাকবে না। তাই দলের নির্বাচিত এমপিরা তাদের এলাকার মানুষ ও কর্মীদের চাপে অস্থির হয়ে উঠলেও বিএনপি দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেও একসঙ্গে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। অবশেষে ৩০ এপ্রিলের এক দিন আগেই সোমবার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিএনপির চার এমপি হারুন-অর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ও মোশারফ হোসেন শপথ নেন। তার আগে ঠাকুরগাঁও থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান শপথ নিয়েছিলেন। তার শপথের পরই দলের হাই কমান্ডের নিষেধাজ্ঞা এমনকি দলের লন্ডন নির্বাসিত যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিষেধাজ্ঞাও কোনো কাজে আসেনি। জাহিদকে বহিষ্কার করেও বিএনপির এমপিদের থামানো যায়নি শপথ নেওয়া থেকে। চারজন শপথ নিয়েছেন। আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সময় চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্বের দেউলিয়াত্ব দেশবাসীর সামনে উন্মোচন হয়ে যাওয়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেমন বলেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই এমপিরা শপথ নিয়েছেন। তেমনি শপথ নিয়ে এমপি হারুন-অর রশীদও একই কথা বলেছেন। রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও একই কথা বলেছেন। যদিও সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন, সরকারের চাপের মুখে, জবরদস্তির মুখে এমপিরা শপথ নিচ্ছেন। অথচ এমপিরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলেন, তাদের এলাকার জনগণের চাপেই তারা সংসদে যেতে চান। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব তাদের ভাষাও উপলব্ধি করতে পারেনি।

সরকারবিরোধী গণআন্দোলন গড়ে তোলার শক্তি, সামর্থ্য এবং সুযোগ এখন বিএনপির সামনে নেই। বিএনপির রাজনীতি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আবেগ-অনুভূতি সক্রিয় ঐক্যের জায়গা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। বিএনপি নেতাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো ক্ষমতা নেই। দলের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে লন্ডনে বসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান যে নির্দেশ দিচ্ছেন সেটিই হচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির জন্য রাজনীতির কঠিন মুহূর্তের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। নেতৃত্বহীন বিএনপি সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে সামনে নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামলেও পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে যেমন ছিল দুর্বল, তেমনি মাঠে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ নেতাদের বাদ দিয়ে একদল প্রবাসী সুবিধাভোগীকে মনোনয়নদান, অন্যদিকে এক আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্যন্ত দুজন/তিনজন করে প্রার্থীকে চিঠি দেওয়া এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে হামলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য প্রতিকূলে চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে বহুল বিতর্কিত জামায়াতকেও সঙ্গে রাখে বিএনপি। রাজনীতির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছোট ছোট দলের বড় নেতাদের পাশে পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। তার পরও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছিল। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়েছিল ফলাফল দেখে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলেও মানুষ অবাক হতো না। কিন্তু বিএনপির আসনপ্রাপ্তি এবং অনেক জনপ্রিয় নেতার প্রাপ্ত ভোটের চিত্র তাদের বিস্মিত করে দিয়েছিল। এ ফলাফলে সরকারি দলের নেতারাও আনন্দ পাননি। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা অনেকে বার বার বলেছি বিদ্যমান বাস্তবতায় বিএনপির উচিত এ কয়টি আসন নিয়েও সংসদে যেতে। সংসদে গেলে তাদের কথাই গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাবে। তাদের কথাই দেশবাসীকে আলোড়িত করবে। রাজনীতিতে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে কিছুটা হলেও শক্তি জোগাবে। দলের নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হলে, নির্যাতিত হলে, সংসদে কথা বললে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ তাদের দাবি-দাওয়া সংসদে উত্থাপন করতে পারবেন। প্রয়োজনে বিতর্ক ও ওয়াকআউট করতে পারবেন। না হয়, সংসদে নেই, রাজপথে নেই; বিএনপি কার্যত একটা লাশে পরিণত হয়েছিল। প্রেস ক্লাবের গোলটেবিল আর পল্টন অফিসের ব্রিফিং তাদের দল ও মানুষকেও নয়, গণমাধ্যমকেও ক্লান্ত করেছে। আমাদের অনেকের বক্তব্য বিএনপির সমর্থকরা গ্রহণ করেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথায় কথায় আমাদেরকে সরকার ও আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালি দিয়েছেন। বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের এখন মূল্যায়ন করতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে আমরা নই, সরকারের দালাল থাকলে বিএনপির নেতৃত্বেই রয়েছে।

এই যে বিএনপি সংসদে গেছে, এই যে সংসদে গিয়েই এমপি হারুন-অর রশীদ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভুল করে হোক আর মন থেকেই হোক শেখ হাসিনাকে ‘আমাদের নেত্রী’ বললেও ভুল  করেননি। প্রধানমন্ত্রী সবারই নেতা হন। জাতীয় নেতারা দেশের মানুষের নেতা হন। এমপি-মন্ত্রীরা দেশের মানুষের প্রতিনিধি হন। কিন্তু এমপি হারুন সেখানে তাদের দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন। নতুন নির্বাচনের দাবিও করেছেন। এ দাবি মির্জা ফখরুল যোগ দিয়ে উত্থাপন করলে গণমাধ্যম ও মানুষের কাছে যেমন গুরুত্ব পাবে, সরকারকেও সংসদে জবাব দিতে হবে। অল্প কজন সদস্য হলেও সংসদে ভূমিকা রাখতে পারলে সরকারের ওপর যেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন, তেমনি বাইরে দলকেও বাঁচাতে পারবেন। না হয়, দলকে লাশ বানিয়ে রাখলে, দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকলে, নেতা-কর্মীরা নির্জীব হয়ে ঘরে বসে থাকবে। না হয়, অনেকে সরকারি দলে যোগদানের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে যাবে।

বিএনপি সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে একটি সদস্য পাবে। সেখানে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মতো যুক্তি ও তথ্যনির্ভর তির্যক বাক্যবাণে বাগ্মী কর্মীটিকে সংসদে নিয়ে এলে বিতর্কের ঢেউ তুলতে পারবেন। সরকারি দলের শরিক হয়ে, শেখ হাসিনার ইমেজ ও শক্তির ওপর ভর করে অন্য শরিকদের মতো জাতীয় পার্টি সংসদে এসে বিরোধী দল হলেও মানুষের কাছে কার্যকর বিরোধী দল হতে পারেনি। সরকারি জোটের শরিকরা সরকারবিরোধী যত কথাই বলুক না কেন মানুষের কাছে তা কোনো আবেদন বা প্রভাব ফেলতে পারবে না। মনে হবে, এটি সাজানো নাটক।

দেশে এত নারী ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে, এত সড়ক হত্যা ঘটেছে; কিন্তু বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টি সংসদে বিতর্কের ঝড় তুলতে পারেনি। উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের রক্তনদীতে আমাদের চাঁদমুখ জায়ান নৃশংসভাবে অকালে ঝরে গেছে। সেটি নিয়েও বিরোধী দল আলোচনা করেনি। সাধারণ প্রস্তাব এনে প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে যুক্তিনির্ভর বিতর্ক ও আলোচনার ঝড় তুলতে পারলে রাজনৈতিকভাবে বিএনপিই লাভবান হবে না, তিনিও হয়ে উঠবেন মানুষের মনোজগতে সংসদের অঘোষিত বিরোধী দলের নেতা। বিএনপির সংসদে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ ছিল না। বিএনপি সব নির্বাচিত এমপিকে নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংসদে একসঙ্গে শপথ নিলে এ বিভ্রান্ত দলীয় নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটত না। এখন বিএনপি যেভাবে গেছে তাদের শরিক মুক্তিযোদ্ধা গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও বলেছেন, বিএনপি ভুলভাবে সংসদে গেছে। এখন বিএনপি নেতৃত্বকে কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দলের জন্য পুলিশের লাঠিপেটা খায়, মামলা খায়, জেলে যায় মাঠের নেতা-কর্মীরা। অথচ তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ, আলাপ-আলোচনা ছাড়াই বিএনপি শুধু সংসদে যোগদান প্রশ্নেই নয়, বিগত পাঁচ বছর বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা বলেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগ থেকে নিরন্তর বলে এসেছে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন রেখে তারা নির্বাচনে যাবে না। সহায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। এসব বলে বলে কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্তিতে রেখে অবশেষে নির্বাচনে গেছে। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যর্থতার জন্য একেকবার একেক কথা বলতে বলতে সংসদে যোগ দিয়ে নির্বাচন ও সরকারকে এবং সংসদকে নিজের দলের পক্ষ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের সামনে বৈধতার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। মাঝখানে দলের নেতা-কর্মীদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বহিষ্কার করেছে। সংসদেই যখন যাবেন তাহলে জাহিদুর রহমান জাহিদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কেন? দলের পোড় খাওয়া নেতাদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বর্জনের পথে হাঁটার দায় আজ কে নেবে? বিএনপির এভাবে সংসদে যোগদান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের  বক্তব্য মুখ রক্ষার নমুনা মাত্র। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে একসঙ্গে সংসদে যোগ দিলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবেই বিবেচিত হতো।

একসময় আমাদের চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতারা দর্শকদের হাসি-আনন্দ দিতেন। একসময় দেশের গ্রামগঞ্জে যাত্রাপালা হতো। সেখানে সঙের ভূমিকায় যেমন কেউ থাকতেন বিবেকের ভূমিকায়ও কেউ কেউ থাকতেন। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের এ যুগে যাত্রাপালা উঠে গেছে, বিবেক মরে গেছে। আর রাজনীতিতে কৌতুক ও বিনোদন নিয়ত দেখা যাচ্ছে। সেনাশাসক এরশাদকে নিয়ে বিএনপি উপহাস কম করেনি। গণতন্ত্রের নবযাত্রায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এরশাদ পাঁচটি করে আসনেই বিজয়ী হননি, তার দলও সম্মানজনক আসন পেয়েছিল। মামলার জালে আটকা এরশাদ চাপের মুখে কথা পাল্টাতেন। কিন্তু বিএনপি নিরন্তর এখন সকালে এক কথা তো বিকালে আরেক কথা বলছে। পল্টনে এক নেতা এক কথা বলেন, প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আরেক নেতা আরেক কথা বলেন। আদালতপাড়ায় বসে আরেক নেতা অন্য কথা বলেন।

দলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে নিবেদিত দলের কর্মীরা রয়েছে। টানা এক যুগে দুঃসময়ের মুখোমুখি এসব কর্মী হাল ছাড়েনি। কিন্তু নেতারা রাজনীতির ময়দানে তাদেরই উপহাসের পাত্র বানিয়ে দিয়েছেন। ২৯ তারিখ হয়তো এরশাদও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে হেসেছেন। রাজনীতিতে বিএনপির সার্কাস দেখে হাসিতে গড়াগড়ি খেয়েছেন। তবে সোমবার রাতটি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য গভীর সুখনিদ্রায় যাওয়ার রজনি। বিএনপির মতো একটা দল যারা দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা এমন করে সংসদে যোগ দিয়ে  নির্বাচন, সংসদ ও সরকারকেই কবুল করেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হাত পেতেছে। আর রাজনীতিতে চরম তামাশা নাটকের বিনোদন উপহার দিয়েছে।

আজকাল সিনেমায় যেমন কেউ কৌতুক অভিনেতা খোঁজে না, টিভি পর্দা ও টকশোতে মন দেয় না, তেমনি নাটকে বিনোদন খোঁজে না। সব বিনোদনের কা-কীর্তি এখন জাতীয় রাজনীতিতে।

বিএনপি যখন সংসদে যোগ দেয় তখন আমি কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষায়। আমার কাছে অপেক্ষা সবচেয়ে অসহনীয়, অসহ্য। যদিও রোমান্টিক কবিরা তাদের প্রেয়সীর জন্য অনন্তকাল অপেক্ষার আকুতি নিয়ে আসেন। সেখানে আমার কাছে ছোট্ট জীবনে এত অপেক্ষা চরম অসহ্যের। যানজটের নগরী ঢাকায় আমরা অপেক্ষায় থাকি। আমাদের পথ ফুরায় না। যাত্রাকালে অপেক্ষা আমার কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। জীবনে অনেকবার বাসের জন্য, ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় অস্থির হয়েছি। আন্তর্জাতিক রুটে কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার যন্ত্রণা সহ্য করেছি। এখন আর তা পারি না।

দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম এয়ার ইন্ডিয়ায়। হোটেল থেকে সকাল ১০টায় বেরিয়ে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাই। দুপুর ২টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে চড়ে বিকাল সোয়া ৪টায় কলকাতায় যেন আছাড় খেয়ে পড়ি। টিকিটে বলা ছিল, কলকাতা ফ্লাইট ছাড়বে ৭টা ২০ মিনিটে। বোর্ডিং পাসে লেখা হলো, ফ্লাইট ছাড়বে সাড়ে ৮টায়। পরে বলা হলো, ৯টা ২০ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে। লাউঞ্জে যাত্রীরা অসহায়ের মতো ছটফট করছেন। এয়ার ইন্ডিয়ার কেউ এসে খোঁজও করছেন না। অনেকে ছিলেন অপারেশন করে আসা রোগী। শিশুরাও ছিল। বয়স্করাও ছিলেন। একেকজন একেক জায়গা থেকে এসেছেন। কেউ মুম্বাই থেকে, কেউ চেন্নাই, কেউ দিল্লি থেকে। গরমে ক্লান্ত হয়ে আসা সবাই। পরে ঘোষণা হলো, ৯টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে। অবশেষে রাত সাড়ে ১০টায় ফ্লাইট ছাড়ল।

ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দিল্লির সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ও রয়েছে। সরকারেরই নয়, দেশের দায়িত্বশীল মানুষদেরও যখন তখন দিল্লি যেতে হয়। কিন্তু ঢাকা-দিল্লি, দিল্লি-ঢাকা কোনো এয়ারলাইনসের ফ্লাইট সরাসরি আসা-যাওয়া করে না। দেশের দায়িত্বশীলদের এটা কি ভাবায় না? লাউঞ্জে এসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলাম। এর মধ্যে বিএনপির সংসদে যোগদানের নাটকে নিজের অজান্তেই হাসি পেল।

দীর্ঘদিন থেকে গণমাধ্যমে খবর আসছিল, বিএনপি সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে। বেগম খালেদা জিয়া চান জামিন। সরকার চায় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশ যাবেন তিনি। একই সঙ্গে বিএনপিকে আসতে হবে সংসদে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, রাজনীতিতে আজকের সিদ্ধান্ত কালকে পরিবর্তন হয়। এটা সত্য। তার পূর্বসূরিরাও বলেছেন, রাজনীতিতে শেষ কথা নেই।

কিন্তু রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলের ফোরামে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পদক্ষেপ নিলে তা রাজনৈতিক বিবেচনায় নৈতিক জায়গা থেকে গ্রহণযোগ্যতা পায়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয়। বিএনপি যেভাবে সংসদে গেছে, সেটি কোনো গণতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক চেহারা উন্মোচন করেনি। একটি বড় দলের ব্যর্থ নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটেছে। আর এর অন্তরালে যদি বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে কোনো দফারফা হয়ে থাকে তাহলে সেটিও খুব দ্রুতই উন্মোচন হবে।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
জলবায়ু দারিদ্র্য
জলবায়ু দারিদ্র্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
মানবতন্ত্রী সালাহ্উদ্দীন আহমদ
মানবতন্ত্রী সালাহ্উদ্দীন আহমদ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
নাদির শাহর প্রমোদবালা ও আমাদের দেশপ্রেম
নাদির শাহর প্রমোদবালা ও আমাদের দেশপ্রেম
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
ফল বিপর্যয়
ফল বিপর্যয়
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
সর্বশেষ খবর
প্রতিদিন একটি শসা খেলে মিলবে যে উপকার
প্রতিদিন একটি শসা খেলে মিলবে যে উপকার

৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

রাশিয়ায় বিস্ফোরক কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৩
রাশিয়ায় বিস্ফোরক কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৩

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৫
ব্রাজিলে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হ্যারি কেইনের ৪০০ গোলের মাইলফলক
হ্যারি কেইনের ৪০০ গোলের মাইলফলক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঠ না ছাড়ার আহ্বান সামান্তা শারমিনের
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঠ না ছাড়ার আহ্বান সামান্তা শারমিনের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হামলা-হেনস্তায় মনোবল হারাচ্ছে পুলিশ বাহিনী
হামলা-হেনস্তায় মনোবল হারাচ্ছে পুলিশ বাহিনী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০ মাসে কর্মহীন ৬০ হাজার শ্রমিক
১০ মাসে কর্মহীন ৬০ হাজার শ্রমিক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি
২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের লক্ষ্য: আফগান-পাকিস্তান সংঘাত সমাধান হবে ‘নম্বর ৯’
ট্রাম্পের লক্ষ্য: আফগান-পাকিস্তান সংঘাত সমাধান হবে ‘নম্বর ৯’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‘আত্মহত্যা নয়, ঘুরে দাঁড়ানোই সমাধান’
‘আত্মহত্যা নয়, ঘুরে দাঁড়ানোই সমাধান’

৫ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা
দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরল
ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরল

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার কক্সবাজারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন
এবার কক্সবাজারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অ্যাপল উন্মোচন করলো নতুন আইপ্যাড প্রো এম৫
অ্যাপল উন্মোচন করলো নতুন আইপ্যাড প্রো এম৫

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারামুক্ত বিএনপি নেতাকে কুমিল্লায় সংবর্ধনা
কারামুক্ত বিএনপি নেতাকে কুমিল্লায় সংবর্ধনা

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ
ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনা কারাগারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
খুলনা কারাগারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু
ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: অন্তত ১০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: অন্তত ১০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদ্রাসা সুপারের বেত্রাঘাত, অভিভাবক আহত!
মাদ্রাসা সুপারের বেত্রাঘাত, অভিভাবক আহত!

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুর-৩ আসনে মাওলানা এহসানুল হকের গণসংযোগ
গাজীপুর-৩ আসনে মাওলানা এহসানুল হকের গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন
শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিমান হামলা পাকিস্তানের, নিহত বেড়ে ৪০
আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিমান হামলা পাকিস্তানের, নিহত বেড়ে ৪০

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে ট্রাম্পের ‘দুর্বল জায়গায়’ আঘাত করল চীন
যেভাবে ট্রাম্পের ‘দুর্বল জায়গায়’ আঘাত করল চীন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা: দ্য টেলিগ্রাফ
মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা: দ্য টেলিগ্রাফ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লেবাননে গাদ্দাফির ছেলে জামিন, তবে কার্যকরে দরকার ১১০ কোটি ডলার
লেবাননে গাদ্দাফির ছেলে জামিন, তবে কার্যকরে দরকার ১১০ কোটি ডলার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটের ব্যবহার
আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটের ব্যবহার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীর্ষ ৯ জেনারেলকে বরখাস্ত করলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি
শীর্ষ ৯ জেনারেলকে বরখাস্ত করলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাহিদ ইসলাম ‘সংগ্রামী নেতা’: জয়নুল আবদিন ফারুক
নাহিদ ইসলাম ‘সংগ্রামী নেতা’: জয়নুল আবদিন ফারুক

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি’
‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি’

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিকাব নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল পাস করল পর্তুগাল
নিকাব নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল পাস করল পর্তুগাল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে আপিল প্রত্যাখ্যান আইসিসির
নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে আপিল প্রত্যাখ্যান আইসিসির

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের
মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আফগানিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
আফগানিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে হুঁশিয়ারি
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে হুঁশিয়ারি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প
যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালীন ট্রাফিক নির্দেশনা
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালীন ট্রাফিক নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘অন্য কেউ হলে আমার এই সব সহ্য করতো না’
‘অন্য কেউ হলে আমার এই সব সহ্য করতো না’

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকাগামী ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে
ঢাকাগামী ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম
হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লঙ্কানদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আরও কাছে প্রোটিয়ারা
লঙ্কানদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আরও কাছে প্রোটিয়ারা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক : ইইউ
‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক : ইইউ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বেবিচক
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বেবিচক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে ১০ কিলোমিটার দৌড়ালেন অ্যাথলেট
গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে ১০ কিলোমিটার দৌড়ালেন অ্যাথলেট

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রবিবার ২টা থেকে শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম
রবিবার ২টা থেকে শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস
বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন
অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন

শোবিজ

এখনো সিঙ্গেল ইধিকা
এখনো সিঙ্গেল ইধিকা

শোবিজ

প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই
প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই

শোবিজ

মোশাররফ করিমের গল্প
মোশাররফ করিমের গল্প

শোবিজ

বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ
বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ

মাঠে ময়দানে

অভিনয় নিয়ে আফজাল
অভিনয় নিয়ে আফজাল

শোবিজ

মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা
মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা

দেশগ্রাম

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

পূর্ব-পশ্চিম

গাজা পুনর্গঠনে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান এরদোগানের
গাজা পুনর্গঠনে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান এরদোগানের

পূর্ব-পশ্চিম

ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি
ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি

দেশগ্রাম

কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে
কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে

দেশগ্রাম

পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান
পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান

পূর্ব-পশ্চিম

সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর
সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর

দেশগ্রাম

চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার
চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার

পূর্ব-পশ্চিম

ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ
ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ

দেশগ্রাম

বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি, আহত ৩০
বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি, আহত ৩০

দেশগ্রাম

প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ
প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ

দেশগ্রাম

কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!
কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!

পূর্ব-পশ্চিম

আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং
আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

দেশগ্রাম

মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ
মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ

দেশগ্রাম

উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা
উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা

দেশগ্রাম

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পেরু
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পেরু

পূর্ব-পশ্চিম

নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের
নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের

দেশগ্রাম

চলে গেলেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চেন নিং
চলে গেলেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চেন নিং

পূর্ব-পশ্চিম

ইকসু রোডম্যাপের দাবিতে বিক্ষোভ
ইকসু রোডম্যাপের দাবিতে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ সময় ইলিশ শিকার ৫৪১ জেলের দন্ড
নিষিদ্ধ সময় ইলিশ শিকার ৫৪১ জেলের দন্ড

দেশগ্রাম

ইয়েমেন উপকূলে জাহাজে হামলা
ইয়েমেন উপকূলে জাহাজে হামলা

পূর্ব-পশ্চিম