শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০১ মে, ২০১৯ আপডেট:

বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ

অবশেষে বিএনপি সংসদে যোগ দিয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব যে আজ চরমভাবে দেউলিয়া, দেশবাসীর সামনে তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তারা সংসদে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংসদে শপথ নেবে না বলে অনড় অবস্থানে ছিল বিএনপি। দলের নির্বাচিত এমপিরা সংসদে যেতে চান, সেটি গণমাধ্যমেই আসেনি, তাদের বক্তব্যেও উঠে এসেছিল। কিন্তু দলের নেতৃত্ব সংসদে যোগদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দূরে থাক, কেউ শপথ নিলে বহিষ্কার করা হবে বলেও দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা বলেছিলেন। এমনকি নির্বাচনে বিজয়ী দলের এমপিরা সংসদে যোগদান নিয়ে যেন কোনো কথা না বলেন, সেজন্য দলের শীর্ষ নেতারা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছিলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধু, মুজিবকোট ও জয় বাংলা স্লোগান না ছেড়ে বিজয়ী হয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বরং নেতা-কর্মী, সমর্থকরা বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সুলতান মনসুর তার রাজনৈতিক চেতনার জায়গা থেকে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদান করেন। তারপর নিখোঁজ হয়ে এখনো ফিরে না আসা ইলিয়াস আলীর পতœী তাহসিনা রুশদীর লুনার সমর্থনে গণফোরাম থেকে বিজয়ী হয়ে আসা মোকাব্বির খানও পরে শপথ নেন। ঐক্যফ্রন্টে যখন একে একে নিভেছে দেউটি অবস্থা, তখনো বিএনপির হুঁশ ফেরেনি।

স্পিকারের কাছে শপথ গ্রহণের জন্য সময় চেয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন না জানালে এবং তা গৃহীত না হলে কিংবা শপথ না নিলে সাংবিধানিকভাবে সদস্যপদ থাকবে না। তাই দলের নির্বাচিত এমপিরা তাদের এলাকার মানুষ ও কর্মীদের চাপে অস্থির হয়ে উঠলেও বিএনপি দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেও একসঙ্গে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। অবশেষে ৩০ এপ্রিলের এক দিন আগেই সোমবার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিএনপির চার এমপি হারুন-অর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ও মোশারফ হোসেন শপথ নেন। তার আগে ঠাকুরগাঁও থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান শপথ নিয়েছিলেন। তার শপথের পরই দলের হাই কমান্ডের নিষেধাজ্ঞা এমনকি দলের লন্ডন নির্বাসিত যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিষেধাজ্ঞাও কোনো কাজে আসেনি। জাহিদকে বহিষ্কার করেও বিএনপির এমপিদের থামানো যায়নি শপথ নেওয়া থেকে। চারজন শপথ নিয়েছেন। আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সময় চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্বের দেউলিয়াত্ব দেশবাসীর সামনে উন্মোচন হয়ে যাওয়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেমন বলেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই এমপিরা শপথ নিয়েছেন। তেমনি শপথ নিয়ে এমপি হারুন-অর রশীদও একই কথা বলেছেন। রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও একই কথা বলেছেন। যদিও সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন, সরকারের চাপের মুখে, জবরদস্তির মুখে এমপিরা শপথ নিচ্ছেন। অথচ এমপিরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলেন, তাদের এলাকার জনগণের চাপেই তারা সংসদে যেতে চান। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব তাদের ভাষাও উপলব্ধি করতে পারেনি।

সরকারবিরোধী গণআন্দোলন গড়ে তোলার শক্তি, সামর্থ্য এবং সুযোগ এখন বিএনপির সামনে নেই। বিএনপির রাজনীতি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আবেগ-অনুভূতি সক্রিয় ঐক্যের জায়গা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। বিএনপি নেতাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো ক্ষমতা নেই। দলের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে লন্ডনে বসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান যে নির্দেশ দিচ্ছেন সেটিই হচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির জন্য রাজনীতির কঠিন মুহূর্তের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। নেতৃত্বহীন বিএনপি সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে সামনে নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামলেও পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে যেমন ছিল দুর্বল, তেমনি মাঠে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ নেতাদের বাদ দিয়ে একদল প্রবাসী সুবিধাভোগীকে মনোনয়নদান, অন্যদিকে এক আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্যন্ত দুজন/তিনজন করে প্রার্থীকে চিঠি দেওয়া এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে হামলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য প্রতিকূলে চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে বহুল বিতর্কিত জামায়াতকেও সঙ্গে রাখে বিএনপি। রাজনীতির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছোট ছোট দলের বড় নেতাদের পাশে পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। তার পরও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছিল। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়েছিল ফলাফল দেখে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলেও মানুষ অবাক হতো না। কিন্তু বিএনপির আসনপ্রাপ্তি এবং অনেক জনপ্রিয় নেতার প্রাপ্ত ভোটের চিত্র তাদের বিস্মিত করে দিয়েছিল। এ ফলাফলে সরকারি দলের নেতারাও আনন্দ পাননি। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা অনেকে বার বার বলেছি বিদ্যমান বাস্তবতায় বিএনপির উচিত এ কয়টি আসন নিয়েও সংসদে যেতে। সংসদে গেলে তাদের কথাই গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাবে। তাদের কথাই দেশবাসীকে আলোড়িত করবে। রাজনীতিতে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে কিছুটা হলেও শক্তি জোগাবে। দলের নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হলে, নির্যাতিত হলে, সংসদে কথা বললে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ তাদের দাবি-দাওয়া সংসদে উত্থাপন করতে পারবেন। প্রয়োজনে বিতর্ক ও ওয়াকআউট করতে পারবেন। না হয়, সংসদে নেই, রাজপথে নেই; বিএনপি কার্যত একটা লাশে পরিণত হয়েছিল। প্রেস ক্লাবের গোলটেবিল আর পল্টন অফিসের ব্রিফিং তাদের দল ও মানুষকেও নয়, গণমাধ্যমকেও ক্লান্ত করেছে। আমাদের অনেকের বক্তব্য বিএনপির সমর্থকরা গ্রহণ করেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথায় কথায় আমাদেরকে সরকার ও আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালি দিয়েছেন। বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের এখন মূল্যায়ন করতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে আমরা নই, সরকারের দালাল থাকলে বিএনপির নেতৃত্বেই রয়েছে।

এই যে বিএনপি সংসদে গেছে, এই যে সংসদে গিয়েই এমপি হারুন-অর রশীদ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভুল করে হোক আর মন থেকেই হোক শেখ হাসিনাকে ‘আমাদের নেত্রী’ বললেও ভুল  করেননি। প্রধানমন্ত্রী সবারই নেতা হন। জাতীয় নেতারা দেশের মানুষের নেতা হন। এমপি-মন্ত্রীরা দেশের মানুষের প্রতিনিধি হন। কিন্তু এমপি হারুন সেখানে তাদের দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন। নতুন নির্বাচনের দাবিও করেছেন। এ দাবি মির্জা ফখরুল যোগ দিয়ে উত্থাপন করলে গণমাধ্যম ও মানুষের কাছে যেমন গুরুত্ব পাবে, সরকারকেও সংসদে জবাব দিতে হবে। অল্প কজন সদস্য হলেও সংসদে ভূমিকা রাখতে পারলে সরকারের ওপর যেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন, তেমনি বাইরে দলকেও বাঁচাতে পারবেন। না হয়, দলকে লাশ বানিয়ে রাখলে, দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকলে, নেতা-কর্মীরা নির্জীব হয়ে ঘরে বসে থাকবে। না হয়, অনেকে সরকারি দলে যোগদানের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে যাবে।

বিএনপি সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে একটি সদস্য পাবে। সেখানে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মতো যুক্তি ও তথ্যনির্ভর তির্যক বাক্যবাণে বাগ্মী কর্মীটিকে সংসদে নিয়ে এলে বিতর্কের ঢেউ তুলতে পারবেন। সরকারি দলের শরিক হয়ে, শেখ হাসিনার ইমেজ ও শক্তির ওপর ভর করে অন্য শরিকদের মতো জাতীয় পার্টি সংসদে এসে বিরোধী দল হলেও মানুষের কাছে কার্যকর বিরোধী দল হতে পারেনি। সরকারি জোটের শরিকরা সরকারবিরোধী যত কথাই বলুক না কেন মানুষের কাছে তা কোনো আবেদন বা প্রভাব ফেলতে পারবে না। মনে হবে, এটি সাজানো নাটক।

দেশে এত নারী ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে, এত সড়ক হত্যা ঘটেছে; কিন্তু বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টি সংসদে বিতর্কের ঝড় তুলতে পারেনি। উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের রক্তনদীতে আমাদের চাঁদমুখ জায়ান নৃশংসভাবে অকালে ঝরে গেছে। সেটি নিয়েও বিরোধী দল আলোচনা করেনি। সাধারণ প্রস্তাব এনে প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে যুক্তিনির্ভর বিতর্ক ও আলোচনার ঝড় তুলতে পারলে রাজনৈতিকভাবে বিএনপিই লাভবান হবে না, তিনিও হয়ে উঠবেন মানুষের মনোজগতে সংসদের অঘোষিত বিরোধী দলের নেতা। বিএনপির সংসদে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ ছিল না। বিএনপি সব নির্বাচিত এমপিকে নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংসদে একসঙ্গে শপথ নিলে এ বিভ্রান্ত দলীয় নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটত না। এখন বিএনপি যেভাবে গেছে তাদের শরিক মুক্তিযোদ্ধা গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও বলেছেন, বিএনপি ভুলভাবে সংসদে গেছে। এখন বিএনপি নেতৃত্বকে কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দলের জন্য পুলিশের লাঠিপেটা খায়, মামলা খায়, জেলে যায় মাঠের নেতা-কর্মীরা। অথচ তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ, আলাপ-আলোচনা ছাড়াই বিএনপি শুধু সংসদে যোগদান প্রশ্নেই নয়, বিগত পাঁচ বছর বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা বলেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগ থেকে নিরন্তর বলে এসেছে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন রেখে তারা নির্বাচনে যাবে না। সহায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। এসব বলে বলে কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্তিতে রেখে অবশেষে নির্বাচনে গেছে। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যর্থতার জন্য একেকবার একেক কথা বলতে বলতে সংসদে যোগ দিয়ে নির্বাচন ও সরকারকে এবং সংসদকে নিজের দলের পক্ষ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের সামনে বৈধতার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। মাঝখানে দলের নেতা-কর্মীদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বহিষ্কার করেছে। সংসদেই যখন যাবেন তাহলে জাহিদুর রহমান জাহিদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কেন? দলের পোড় খাওয়া নেতাদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বর্জনের পথে হাঁটার দায় আজ কে নেবে? বিএনপির এভাবে সংসদে যোগদান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের  বক্তব্য মুখ রক্ষার নমুনা মাত্র। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে একসঙ্গে সংসদে যোগ দিলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবেই বিবেচিত হতো।

একসময় আমাদের চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতারা দর্শকদের হাসি-আনন্দ দিতেন। একসময় দেশের গ্রামগঞ্জে যাত্রাপালা হতো। সেখানে সঙের ভূমিকায় যেমন কেউ থাকতেন বিবেকের ভূমিকায়ও কেউ কেউ থাকতেন। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের এ যুগে যাত্রাপালা উঠে গেছে, বিবেক মরে গেছে। আর রাজনীতিতে কৌতুক ও বিনোদন নিয়ত দেখা যাচ্ছে। সেনাশাসক এরশাদকে নিয়ে বিএনপি উপহাস কম করেনি। গণতন্ত্রের নবযাত্রায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এরশাদ পাঁচটি করে আসনেই বিজয়ী হননি, তার দলও সম্মানজনক আসন পেয়েছিল। মামলার জালে আটকা এরশাদ চাপের মুখে কথা পাল্টাতেন। কিন্তু বিএনপি নিরন্তর এখন সকালে এক কথা তো বিকালে আরেক কথা বলছে। পল্টনে এক নেতা এক কথা বলেন, প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আরেক নেতা আরেক কথা বলেন। আদালতপাড়ায় বসে আরেক নেতা অন্য কথা বলেন।

দলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে নিবেদিত দলের কর্মীরা রয়েছে। টানা এক যুগে দুঃসময়ের মুখোমুখি এসব কর্মী হাল ছাড়েনি। কিন্তু নেতারা রাজনীতির ময়দানে তাদেরই উপহাসের পাত্র বানিয়ে দিয়েছেন। ২৯ তারিখ হয়তো এরশাদও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে হেসেছেন। রাজনীতিতে বিএনপির সার্কাস দেখে হাসিতে গড়াগড়ি খেয়েছেন। তবে সোমবার রাতটি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য গভীর সুখনিদ্রায় যাওয়ার রজনি। বিএনপির মতো একটা দল যারা দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা এমন করে সংসদে যোগ দিয়ে  নির্বাচন, সংসদ ও সরকারকেই কবুল করেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হাত পেতেছে। আর রাজনীতিতে চরম তামাশা নাটকের বিনোদন উপহার দিয়েছে।

আজকাল সিনেমায় যেমন কেউ কৌতুক অভিনেতা খোঁজে না, টিভি পর্দা ও টকশোতে মন দেয় না, তেমনি নাটকে বিনোদন খোঁজে না। সব বিনোদনের কা-কীর্তি এখন জাতীয় রাজনীতিতে।

বিএনপি যখন সংসদে যোগ দেয় তখন আমি কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষায়। আমার কাছে অপেক্ষা সবচেয়ে অসহনীয়, অসহ্য। যদিও রোমান্টিক কবিরা তাদের প্রেয়সীর জন্য অনন্তকাল অপেক্ষার আকুতি নিয়ে আসেন। সেখানে আমার কাছে ছোট্ট জীবনে এত অপেক্ষা চরম অসহ্যের। যানজটের নগরী ঢাকায় আমরা অপেক্ষায় থাকি। আমাদের পথ ফুরায় না। যাত্রাকালে অপেক্ষা আমার কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। জীবনে অনেকবার বাসের জন্য, ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় অস্থির হয়েছি। আন্তর্জাতিক রুটে কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার যন্ত্রণা সহ্য করেছি। এখন আর তা পারি না।

দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম এয়ার ইন্ডিয়ায়। হোটেল থেকে সকাল ১০টায় বেরিয়ে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাই। দুপুর ২টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে চড়ে বিকাল সোয়া ৪টায় কলকাতায় যেন আছাড় খেয়ে পড়ি। টিকিটে বলা ছিল, কলকাতা ফ্লাইট ছাড়বে ৭টা ২০ মিনিটে। বোর্ডিং পাসে লেখা হলো, ফ্লাইট ছাড়বে সাড়ে ৮টায়। পরে বলা হলো, ৯টা ২০ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে। লাউঞ্জে যাত্রীরা অসহায়ের মতো ছটফট করছেন। এয়ার ইন্ডিয়ার কেউ এসে খোঁজও করছেন না। অনেকে ছিলেন অপারেশন করে আসা রোগী। শিশুরাও ছিল। বয়স্করাও ছিলেন। একেকজন একেক জায়গা থেকে এসেছেন। কেউ মুম্বাই থেকে, কেউ চেন্নাই, কেউ দিল্লি থেকে। গরমে ক্লান্ত হয়ে আসা সবাই। পরে ঘোষণা হলো, ৯টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে। অবশেষে রাত সাড়ে ১০টায় ফ্লাইট ছাড়ল।

ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দিল্লির সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ও রয়েছে। সরকারেরই নয়, দেশের দায়িত্বশীল মানুষদেরও যখন তখন দিল্লি যেতে হয়। কিন্তু ঢাকা-দিল্লি, দিল্লি-ঢাকা কোনো এয়ারলাইনসের ফ্লাইট সরাসরি আসা-যাওয়া করে না। দেশের দায়িত্বশীলদের এটা কি ভাবায় না? লাউঞ্জে এসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলাম। এর মধ্যে বিএনপির সংসদে যোগদানের নাটকে নিজের অজান্তেই হাসি পেল।

দীর্ঘদিন থেকে গণমাধ্যমে খবর আসছিল, বিএনপি সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে। বেগম খালেদা জিয়া চান জামিন। সরকার চায় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশ যাবেন তিনি। একই সঙ্গে বিএনপিকে আসতে হবে সংসদে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, রাজনীতিতে আজকের সিদ্ধান্ত কালকে পরিবর্তন হয়। এটা সত্য। তার পূর্বসূরিরাও বলেছেন, রাজনীতিতে শেষ কথা নেই।

কিন্তু রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলের ফোরামে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পদক্ষেপ নিলে তা রাজনৈতিক বিবেচনায় নৈতিক জায়গা থেকে গ্রহণযোগ্যতা পায়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয়। বিএনপি যেভাবে সংসদে গেছে, সেটি কোনো গণতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক চেহারা উন্মোচন করেনি। একটি বড় দলের ব্যর্থ নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটেছে। আর এর অন্তরালে যদি বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে কোনো দফারফা হয়ে থাকে তাহলে সেটিও খুব দ্রুতই উন্মোচন হবে।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে এনসিপি নেতার মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে এনসিপি নেতার মৃত্যু

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

লুটের টাকায় ককটেল কিনে আওয়ামী লীগের নাশকতা : রিজভী
লুটের টাকায় ককটেল কিনে আওয়ামী লীগের নাশকতা : রিজভী

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

শাকসুর প্রার্থী হতে লাগবে ডোপ টেস্ট
শাকসুর প্রার্থী হতে লাগবে ডোপ টেস্ট

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মাদক নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় মা ও ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
মাদক নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় মা ও ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

এজলাসে পৌঁছেছেন প্রসিকিউশন টিম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী
এজলাসে পৌঁছেছেন প্রসিকিউশন টিম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: পরিবেশ উপদেষ্টা

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

কৃত্রিম পা লাগিয়ে আপাতত সুস্থ সেই গৌরী
কৃত্রিম পা লাগিয়ে আপাতত সুস্থ সেই গৌরী

২৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি আজ
ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি আজ

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মেহেরপুর–কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ
মেহেরপুর–কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাইজেরিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল কঙ্গো
নাইজেরিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল কঙ্গো

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

শাহবাগের ছবির হাটে ককটেল বিস্ফোরণ
শাহবাগের ছবির হাটে ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে সুন্দর দেশ গড়তে চাই: সিইসি
সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে সুন্দর দেশ গড়তে চাই: সিইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বংশালে জুতার কারখানায় আগুনে দগ্ধ ৪
বংশালে জুতার কারখানায় আগুনে দগ্ধ ৪

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাটডাউন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন, নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার ১৫
শাটডাউন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন, নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার ১৫

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর দুই কমান্ডার নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর দুই কমান্ডার নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেঞ্চুরির পর ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় মিচেল
সেঞ্চুরির পর ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় মিচেল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে সড়কে থামিয়ে রাখা বাসে আগুন
নারায়ণগঞ্জে সড়কে থামিয়ে রাখা বাসে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা: ক্যারিবীয় অঞ্চলে বৃহত্তম মার্কিন বিমানবাহী রণতরী
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা: ক্যারিবীয় অঞ্চলে বৃহত্তম মার্কিন বিমানবাহী রণতরী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিবচরে মহাসড়কে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি
শিবচরে মহাসড়কে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন, সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ
কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন, সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যানার-পোস্টার নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় শহীদদের স্বজনরা
ব্যানার-পোস্টার নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় শহীদদের স্বজনরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় মহাসড়কে কঠোর নজরদারি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার
ভাঙ্গায় মহাসড়কে কঠোর নজরদারি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই’
‘কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ সালে ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়
ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!
শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুক্তরাজ্যে শরণার্থীরা স্থায়ী নাগরিকত্ব পাবেন ২০ বছর পর
যুক্তরাজ্যে শরণার্থীরা স্থায়ী নাগরিকত্ব পাবেন ২০ বছর পর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তা বদলি
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তা বদলি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে

সরকারকে নিরপেক্ষতার আহ্বান আট দলের
সরকারকে নিরপেক্ষতার আহ্বান আট দলের

প্রথম পৃষ্ঠা