শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০১ মে, ২০১৯ আপডেট:

বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ

অবশেষে বিএনপি সংসদে যোগ দিয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব যে আজ চরমভাবে দেউলিয়া, দেশবাসীর সামনে তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তারা সংসদে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংসদে শপথ নেবে না বলে অনড় অবস্থানে ছিল বিএনপি। দলের নির্বাচিত এমপিরা সংসদে যেতে চান, সেটি গণমাধ্যমেই আসেনি, তাদের বক্তব্যেও উঠে এসেছিল। কিন্তু দলের নেতৃত্ব সংসদে যোগদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দূরে থাক, কেউ শপথ নিলে বহিষ্কার করা হবে বলেও দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা বলেছিলেন। এমনকি নির্বাচনে বিজয়ী দলের এমপিরা সংসদে যোগদান নিয়ে যেন কোনো কথা না বলেন, সেজন্য দলের শীর্ষ নেতারা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছিলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধু, মুজিবকোট ও জয় বাংলা স্লোগান না ছেড়ে বিজয়ী হয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বরং নেতা-কর্মী, সমর্থকরা বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সুলতান মনসুর তার রাজনৈতিক চেতনার জায়গা থেকে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদান করেন। তারপর নিখোঁজ হয়ে এখনো ফিরে না আসা ইলিয়াস আলীর পতœী তাহসিনা রুশদীর লুনার সমর্থনে গণফোরাম থেকে বিজয়ী হয়ে আসা মোকাব্বির খানও পরে শপথ নেন। ঐক্যফ্রন্টে যখন একে একে নিভেছে দেউটি অবস্থা, তখনো বিএনপির হুঁশ ফেরেনি।

স্পিকারের কাছে শপথ গ্রহণের জন্য সময় চেয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন না জানালে এবং তা গৃহীত না হলে কিংবা শপথ না নিলে সাংবিধানিকভাবে সদস্যপদ থাকবে না। তাই দলের নির্বাচিত এমপিরা তাদের এলাকার মানুষ ও কর্মীদের চাপে অস্থির হয়ে উঠলেও বিএনপি দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেও একসঙ্গে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। অবশেষে ৩০ এপ্রিলের এক দিন আগেই সোমবার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিএনপির চার এমপি হারুন-অর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ও মোশারফ হোসেন শপথ নেন। তার আগে ঠাকুরগাঁও থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান শপথ নিয়েছিলেন। তার শপথের পরই দলের হাই কমান্ডের নিষেধাজ্ঞা এমনকি দলের লন্ডন নির্বাসিত যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিষেধাজ্ঞাও কোনো কাজে আসেনি। জাহিদকে বহিষ্কার করেও বিএনপির এমপিদের থামানো যায়নি শপথ নেওয়া থেকে। চারজন শপথ নিয়েছেন। আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সময় চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্বের দেউলিয়াত্ব দেশবাসীর সামনে উন্মোচন হয়ে যাওয়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেমন বলেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই এমপিরা শপথ নিয়েছেন। তেমনি শপথ নিয়ে এমপি হারুন-অর রশীদও একই কথা বলেছেন। রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও একই কথা বলেছেন। যদিও সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন, সরকারের চাপের মুখে, জবরদস্তির মুখে এমপিরা শপথ নিচ্ছেন। অথচ এমপিরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলেন, তাদের এলাকার জনগণের চাপেই তারা সংসদে যেতে চান। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব তাদের ভাষাও উপলব্ধি করতে পারেনি।

সরকারবিরোধী গণআন্দোলন গড়ে তোলার শক্তি, সামর্থ্য এবং সুযোগ এখন বিএনপির সামনে নেই। বিএনপির রাজনীতি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আবেগ-অনুভূতি সক্রিয় ঐক্যের জায়গা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। বিএনপি নেতাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো ক্ষমতা নেই। দলের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে লন্ডনে বসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান যে নির্দেশ দিচ্ছেন সেটিই হচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির জন্য রাজনীতির কঠিন মুহূর্তের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। নেতৃত্বহীন বিএনপি সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে সামনে নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামলেও পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে যেমন ছিল দুর্বল, তেমনি মাঠে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ নেতাদের বাদ দিয়ে একদল প্রবাসী সুবিধাভোগীকে মনোনয়নদান, অন্যদিকে এক আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্যন্ত দুজন/তিনজন করে প্রার্থীকে চিঠি দেওয়া এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে হামলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য প্রতিকূলে চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে বহুল বিতর্কিত জামায়াতকেও সঙ্গে রাখে বিএনপি। রাজনীতির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছোট ছোট দলের বড় নেতাদের পাশে পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। তার পরও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছিল। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়েছিল ফলাফল দেখে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলেও মানুষ অবাক হতো না। কিন্তু বিএনপির আসনপ্রাপ্তি এবং অনেক জনপ্রিয় নেতার প্রাপ্ত ভোটের চিত্র তাদের বিস্মিত করে দিয়েছিল। এ ফলাফলে সরকারি দলের নেতারাও আনন্দ পাননি। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা অনেকে বার বার বলেছি বিদ্যমান বাস্তবতায় বিএনপির উচিত এ কয়টি আসন নিয়েও সংসদে যেতে। সংসদে গেলে তাদের কথাই গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাবে। তাদের কথাই দেশবাসীকে আলোড়িত করবে। রাজনীতিতে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে কিছুটা হলেও শক্তি জোগাবে। দলের নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হলে, নির্যাতিত হলে, সংসদে কথা বললে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ তাদের দাবি-দাওয়া সংসদে উত্থাপন করতে পারবেন। প্রয়োজনে বিতর্ক ও ওয়াকআউট করতে পারবেন। না হয়, সংসদে নেই, রাজপথে নেই; বিএনপি কার্যত একটা লাশে পরিণত হয়েছিল। প্রেস ক্লাবের গোলটেবিল আর পল্টন অফিসের ব্রিফিং তাদের দল ও মানুষকেও নয়, গণমাধ্যমকেও ক্লান্ত করেছে। আমাদের অনেকের বক্তব্য বিএনপির সমর্থকরা গ্রহণ করেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথায় কথায় আমাদেরকে সরকার ও আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালি দিয়েছেন। বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের এখন মূল্যায়ন করতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে আমরা নই, সরকারের দালাল থাকলে বিএনপির নেতৃত্বেই রয়েছে।

এই যে বিএনপি সংসদে গেছে, এই যে সংসদে গিয়েই এমপি হারুন-অর রশীদ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভুল করে হোক আর মন থেকেই হোক শেখ হাসিনাকে ‘আমাদের নেত্রী’ বললেও ভুল  করেননি। প্রধানমন্ত্রী সবারই নেতা হন। জাতীয় নেতারা দেশের মানুষের নেতা হন। এমপি-মন্ত্রীরা দেশের মানুষের প্রতিনিধি হন। কিন্তু এমপি হারুন সেখানে তাদের দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন। নতুন নির্বাচনের দাবিও করেছেন। এ দাবি মির্জা ফখরুল যোগ দিয়ে উত্থাপন করলে গণমাধ্যম ও মানুষের কাছে যেমন গুরুত্ব পাবে, সরকারকেও সংসদে জবাব দিতে হবে। অল্প কজন সদস্য হলেও সংসদে ভূমিকা রাখতে পারলে সরকারের ওপর যেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন, তেমনি বাইরে দলকেও বাঁচাতে পারবেন। না হয়, দলকে লাশ বানিয়ে রাখলে, দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকলে, নেতা-কর্মীরা নির্জীব হয়ে ঘরে বসে থাকবে। না হয়, অনেকে সরকারি দলে যোগদানের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে যাবে।

বিএনপি সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে একটি সদস্য পাবে। সেখানে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মতো যুক্তি ও তথ্যনির্ভর তির্যক বাক্যবাণে বাগ্মী কর্মীটিকে সংসদে নিয়ে এলে বিতর্কের ঢেউ তুলতে পারবেন। সরকারি দলের শরিক হয়ে, শেখ হাসিনার ইমেজ ও শক্তির ওপর ভর করে অন্য শরিকদের মতো জাতীয় পার্টি সংসদে এসে বিরোধী দল হলেও মানুষের কাছে কার্যকর বিরোধী দল হতে পারেনি। সরকারি জোটের শরিকরা সরকারবিরোধী যত কথাই বলুক না কেন মানুষের কাছে তা কোনো আবেদন বা প্রভাব ফেলতে পারবে না। মনে হবে, এটি সাজানো নাটক।

দেশে এত নারী ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে, এত সড়ক হত্যা ঘটেছে; কিন্তু বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টি সংসদে বিতর্কের ঝড় তুলতে পারেনি। উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের রক্তনদীতে আমাদের চাঁদমুখ জায়ান নৃশংসভাবে অকালে ঝরে গেছে। সেটি নিয়েও বিরোধী দল আলোচনা করেনি। সাধারণ প্রস্তাব এনে প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে যুক্তিনির্ভর বিতর্ক ও আলোচনার ঝড় তুলতে পারলে রাজনৈতিকভাবে বিএনপিই লাভবান হবে না, তিনিও হয়ে উঠবেন মানুষের মনোজগতে সংসদের অঘোষিত বিরোধী দলের নেতা। বিএনপির সংসদে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ ছিল না। বিএনপি সব নির্বাচিত এমপিকে নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংসদে একসঙ্গে শপথ নিলে এ বিভ্রান্ত দলীয় নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটত না। এখন বিএনপি যেভাবে গেছে তাদের শরিক মুক্তিযোদ্ধা গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও বলেছেন, বিএনপি ভুলভাবে সংসদে গেছে। এখন বিএনপি নেতৃত্বকে কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দলের জন্য পুলিশের লাঠিপেটা খায়, মামলা খায়, জেলে যায় মাঠের নেতা-কর্মীরা। অথচ তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ, আলাপ-আলোচনা ছাড়াই বিএনপি শুধু সংসদে যোগদান প্রশ্নেই নয়, বিগত পাঁচ বছর বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা বলেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগ থেকে নিরন্তর বলে এসেছে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন রেখে তারা নির্বাচনে যাবে না। সহায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। এসব বলে বলে কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্তিতে রেখে অবশেষে নির্বাচনে গেছে। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যর্থতার জন্য একেকবার একেক কথা বলতে বলতে সংসদে যোগ দিয়ে নির্বাচন ও সরকারকে এবং সংসদকে নিজের দলের পক্ষ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের সামনে বৈধতার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। মাঝখানে দলের নেতা-কর্মীদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বহিষ্কার করেছে। সংসদেই যখন যাবেন তাহলে জাহিদুর রহমান জাহিদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কেন? দলের পোড় খাওয়া নেতাদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বর্জনের পথে হাঁটার দায় আজ কে নেবে? বিএনপির এভাবে সংসদে যোগদান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের  বক্তব্য মুখ রক্ষার নমুনা মাত্র। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে একসঙ্গে সংসদে যোগ দিলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবেই বিবেচিত হতো।

একসময় আমাদের চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতারা দর্শকদের হাসি-আনন্দ দিতেন। একসময় দেশের গ্রামগঞ্জে যাত্রাপালা হতো। সেখানে সঙের ভূমিকায় যেমন কেউ থাকতেন বিবেকের ভূমিকায়ও কেউ কেউ থাকতেন। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের এ যুগে যাত্রাপালা উঠে গেছে, বিবেক মরে গেছে। আর রাজনীতিতে কৌতুক ও বিনোদন নিয়ত দেখা যাচ্ছে। সেনাশাসক এরশাদকে নিয়ে বিএনপি উপহাস কম করেনি। গণতন্ত্রের নবযাত্রায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এরশাদ পাঁচটি করে আসনেই বিজয়ী হননি, তার দলও সম্মানজনক আসন পেয়েছিল। মামলার জালে আটকা এরশাদ চাপের মুখে কথা পাল্টাতেন। কিন্তু বিএনপি নিরন্তর এখন সকালে এক কথা তো বিকালে আরেক কথা বলছে। পল্টনে এক নেতা এক কথা বলেন, প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আরেক নেতা আরেক কথা বলেন। আদালতপাড়ায় বসে আরেক নেতা অন্য কথা বলেন।

দলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে নিবেদিত দলের কর্মীরা রয়েছে। টানা এক যুগে দুঃসময়ের মুখোমুখি এসব কর্মী হাল ছাড়েনি। কিন্তু নেতারা রাজনীতির ময়দানে তাদেরই উপহাসের পাত্র বানিয়ে দিয়েছেন। ২৯ তারিখ হয়তো এরশাদও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে হেসেছেন। রাজনীতিতে বিএনপির সার্কাস দেখে হাসিতে গড়াগড়ি খেয়েছেন। তবে সোমবার রাতটি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য গভীর সুখনিদ্রায় যাওয়ার রজনি। বিএনপির মতো একটা দল যারা দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা এমন করে সংসদে যোগ দিয়ে  নির্বাচন, সংসদ ও সরকারকেই কবুল করেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হাত পেতেছে। আর রাজনীতিতে চরম তামাশা নাটকের বিনোদন উপহার দিয়েছে।

আজকাল সিনেমায় যেমন কেউ কৌতুক অভিনেতা খোঁজে না, টিভি পর্দা ও টকশোতে মন দেয় না, তেমনি নাটকে বিনোদন খোঁজে না। সব বিনোদনের কা-কীর্তি এখন জাতীয় রাজনীতিতে।

বিএনপি যখন সংসদে যোগ দেয় তখন আমি কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষায়। আমার কাছে অপেক্ষা সবচেয়ে অসহনীয়, অসহ্য। যদিও রোমান্টিক কবিরা তাদের প্রেয়সীর জন্য অনন্তকাল অপেক্ষার আকুতি নিয়ে আসেন। সেখানে আমার কাছে ছোট্ট জীবনে এত অপেক্ষা চরম অসহ্যের। যানজটের নগরী ঢাকায় আমরা অপেক্ষায় থাকি। আমাদের পথ ফুরায় না। যাত্রাকালে অপেক্ষা আমার কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। জীবনে অনেকবার বাসের জন্য, ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় অস্থির হয়েছি। আন্তর্জাতিক রুটে কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার যন্ত্রণা সহ্য করেছি। এখন আর তা পারি না।

দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম এয়ার ইন্ডিয়ায়। হোটেল থেকে সকাল ১০টায় বেরিয়ে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাই। দুপুর ২টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে চড়ে বিকাল সোয়া ৪টায় কলকাতায় যেন আছাড় খেয়ে পড়ি। টিকিটে বলা ছিল, কলকাতা ফ্লাইট ছাড়বে ৭টা ২০ মিনিটে। বোর্ডিং পাসে লেখা হলো, ফ্লাইট ছাড়বে সাড়ে ৮টায়। পরে বলা হলো, ৯টা ২০ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে। লাউঞ্জে যাত্রীরা অসহায়ের মতো ছটফট করছেন। এয়ার ইন্ডিয়ার কেউ এসে খোঁজও করছেন না। অনেকে ছিলেন অপারেশন করে আসা রোগী। শিশুরাও ছিল। বয়স্করাও ছিলেন। একেকজন একেক জায়গা থেকে এসেছেন। কেউ মুম্বাই থেকে, কেউ চেন্নাই, কেউ দিল্লি থেকে। গরমে ক্লান্ত হয়ে আসা সবাই। পরে ঘোষণা হলো, ৯টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে। অবশেষে রাত সাড়ে ১০টায় ফ্লাইট ছাড়ল।

ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দিল্লির সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ও রয়েছে। সরকারেরই নয়, দেশের দায়িত্বশীল মানুষদেরও যখন তখন দিল্লি যেতে হয়। কিন্তু ঢাকা-দিল্লি, দিল্লি-ঢাকা কোনো এয়ারলাইনসের ফ্লাইট সরাসরি আসা-যাওয়া করে না। দেশের দায়িত্বশীলদের এটা কি ভাবায় না? লাউঞ্জে এসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলাম। এর মধ্যে বিএনপির সংসদে যোগদানের নাটকে নিজের অজান্তেই হাসি পেল।

দীর্ঘদিন থেকে গণমাধ্যমে খবর আসছিল, বিএনপি সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে। বেগম খালেদা জিয়া চান জামিন। সরকার চায় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশ যাবেন তিনি। একই সঙ্গে বিএনপিকে আসতে হবে সংসদে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, রাজনীতিতে আজকের সিদ্ধান্ত কালকে পরিবর্তন হয়। এটা সত্য। তার পূর্বসূরিরাও বলেছেন, রাজনীতিতে শেষ কথা নেই।

কিন্তু রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলের ফোরামে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পদক্ষেপ নিলে তা রাজনৈতিক বিবেচনায় নৈতিক জায়গা থেকে গ্রহণযোগ্যতা পায়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয়। বিএনপি যেভাবে সংসদে গেছে, সেটি কোনো গণতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক চেহারা উন্মোচন করেনি। একটি বড় দলের ব্যর্থ নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটেছে। আর এর অন্তরালে যদি বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে কোনো দফারফা হয়ে থাকে তাহলে সেটিও খুব দ্রুতই উন্মোচন হবে।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন
ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন

নগর জীবন

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

গরম খাবার
গরম খাবার

রকমারি রম্য

জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি
জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি

নগর জীবন

ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রথম পৃষ্ঠা