সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রস্তাবিত বাজেট ও আগামী দিনের বাংলাদেশ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

প্রস্তাবিত বাজেট ও আগামী দিনের বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে গত ১৩ জুন, ২০১৯। বাজেট শুধু বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়। শুধু আগামী এক বছর নয়, আগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে প্রতি বছরের বাজেট থেকে তার একটা ধারণা পাওয়া যায়। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবিলা করবে তারও দিকনির্দেশনা থাকে বাজেটে। ভারতের খ্যাতিমান পন্ডিত ব্যক্তি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম তার রচিত ইগনাইটেড মাইল্ডস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন-  একটি রাষ্ট্র সমৃদ্ধি অর্জনের পথে কোন জায়গায় অবস্থান করছে তা দেখার জন্য প্রধানত পাঁচটি সেক্টরের অগ্রগতির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। এগুলো হচ্ছে- কৃষি ও খাদ্য, দ্বিতীয় বিদ্যুৎ, তৃতীয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, চতুর্থ তথ্যপ্রযুক্তি এবং পঞ্চম হচ্ছে স্ট্রাটেজিক সেক্টর, যার আওতায় আসে মহাকাশ, পারমাণবিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান। এই সেক্টরগুলোতে বাংলাদেশ এখন কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং গত ১৩ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে এগুলো  কতখানি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে তার একটা বিচার-বিশ্লেষণ হওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই বলা যাক কৃষি ও খাদ্য সেক্টরের কথা। ক্রমাগত চাষযোগ্য জমি কমতে থাকলেও বিগত দশ বছরে কৃষি সেক্টরের সব উপখাতে উৎপাদন বেড়েছে প্রশংসনীয়ভাবে। আমাদের খাদ্যের প্রধান উপাদান চালে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূূর্ণ। গত দশ বছরে প্রায় এক কোটি মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ধান উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় চার কোটি মেট্রিক টন। এক্ষেত্রে সেচসহ বীজ, সার, কীটনাশক ইত্যাদি কৃষি উপকরণে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক ভর্তুকি, কৃষকের জন্য প্রশিক্ষণমূলক সচেতন কর্মসূচির সঙ্গে কৃষকের আপ্রাণ পরিশ্রমের সঠিক মেলবন্ধন ঘটেছে বিধায় এত বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে। কৃষির অন্যান্য উপখাত মাছ, শাকসবজি, ফল, পোলট্রি, এসব ক্ষেত্রের উৎপাদনেও বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের মধ্যে এখন তৃতীয় থেকে সপ্তম। অন্যান্য বছরের মতো এবারের বাজেটেও কৃষি সেক্টরের জন্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। একটা রাষ্ট্রের জন্য আকাক্সিক্ষত সমৃদ্ধির পথে এগোতে হলে এবং শক্তিশালী রাষ্ট্র হতে চাইলে সর্বপ্রথম খাদ্যের জায়গায় একটা টেকসই স্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করা প্রয়োজন, যে কথা এ পি জে আবদুল কালামও তার বইতে উল্লেখ করেছেন। কারণ, একটা নিরন্ন ক্ষুধার্ত জনগোষ্ঠী অন্য কোনো কাজেই অগ্রসর হতে পারে না। এই জায়গায় বাংলাদেশ এখন মোটামুটি একটি স্বস্তিকর জায়গায় পৌঁছে গেছে। তবে এ বছর কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পায়নি বলে বড় ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের কারণেই কৃষক সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য কীভাবে কৃষকের হাতে পৌঁছাতে পারে তার দিকনির্দেশনা অবশ্যই বাজেটে থাকা প্রয়োজন এবং তার বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের জানা থাকা দরকার। কৃষক হতাশ হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে অন্যান্য খাতে। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ সেক্টরে গত দশ বছরে যে অগ্রগতি এবং যেসব মেগা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে সেগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎ খাতে একটা স্থিতিশীল অবস্থা চলে আসবে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের যাত্রার প্রাক্কালে উৎপাদন ছিল মাত্র সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট, আর সেটি এখন প্রায় একুশ হাজার মেগাওয়াট যে কোনো মাপকাঠিতে এই প্রবৃদ্ধিকে উদাহরণ বলতে হবে। এবারও বাজেটে এই খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মোট ব্যয়ের শতকরা ৫.৪ ভাগ বরাদ্দ রাখা হয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে। এতে আশা করা যায় চলমান মেগা বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অর্থের অভাব হবে না। তবে বিদ্যুৎ যেহেতু সেবা খাত, তাই বিতরণ পর্যায়ে হয়রানিহীন বিদ্যুৎ সেবা জনগণ কতখানি পাচ্ছে তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ মিটার ক্রয়, স্থাপন এবং এতদসংক্রান্ত সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আছে। যে কোনো অভিযোগের সমাধান পেতে গ্রাহকদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একটা জনগণতান্ত্রিক সরকারকে শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ালেই হবে না, তার সঙ্গে জনসন্তুষ্টির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় রাখতে হবে। তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কোয়ানটিটিভ বা পরিসংখ্যানগত প্রবৃদ্ধি ঈর্ষণীয়। তবে কোয়ালিটেটিভ বা গুণগত মান নিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উভয় খাতেই জনঅসন্তুষ্টির জায়গা অনেক বড়। আমাদের শিক্ষার সার্বিক হার ও মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে। এ বছর বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে শিক্ষা খাত। মোট ব্যয়ের শতকরা ১৫.২ ভাগ বরাদ্দ রয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে এবং স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ শতকরা ৪.৯ ভাগ। শিক্ষা খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জাতিকে অশিক্ষা কুশিক্ষা ও ধর্মান্ধতার কবল থেকে মুক্ত করা। বাংলাদেশকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক আদর্শভিত্তিক জনমানসতন্ত্র গঠন অতি আবশ্যক। কিন্তু এ পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও ধর্মান্ধতায় পূর্ণ শিক্ষা উপকরণ ও সিলেবাস। মাদ্রাসা শিক্ষায় যথেষ্ট বরাদ্দ থাকছে প্রতি বছর। কিন্তু এই ক্ষেত্রের লাখ লাখ শিক্ষার্থীর একটা বৃহৎ অংশ আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও বিকৃত ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠছে, যেটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ভয়ের জায়গা। জঙ্গি সন্ত্রাস ধর্মান্ধতামুক্ত পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক একটা রাষ্ট্রীয় পরিবেশ তৈরি করার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ আমাদের লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সম্পর্কিত সব ভ্রান্ত ও বিকৃত ধারণা থেকে বের করে আনার সব ব্যবস্থা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে থাকতে হবে। অনেক চেষ্টা করেও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা গেল না। এসব ব্লাক স্পট নিয়ে আকাক্সিক্ষত জায়গায় পৌঁছানো কষ্টকর হবে। স্বাস্থ্য রাষ্ট্রের অন্যতম আরেকটি সেবা খাত। গত দশ বছরে চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে, যদিও সেটি চাহিদার তুলনায় এখনো অপ্রতুল। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ও স্যানিটারি খাতে বাংলাদেশ ভারতসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অগ্রগামী অবস্থানে আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতের জন্য ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সব রকম খাদ্যে এবং অনেক রকম ওষুধে ভেজাল। এ বিষয়ে হাই কোর্ট সম্প্রতি অনেকগুলো রুল ও আদেশ জারি করেছে। ভেজালের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান পরিলক্ষিত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। ভেজাল খাদ্য এবং ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হত্যার সমান অপরাধ। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে অত্যন্ত কঠোর ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নেওয়ার জন্য চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ খাতের বিষয়ে বলতে গিয়ে এ পি জে আবদুল কালাম বলেছেন, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কথা। গত দশ বছরে এই খাতের বিস্তারে বাংলাদেশে একটা নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। হাজার হাজার তরুণ প্রজন্ম আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে অপার সম্ভাবনাময় আউট সোর্সের মাধ্যমে। ফলে ঘরে বসে বিশ্বব্যাপী বিচরণ করছে আমাদের তরুণ সমাজ। সরকারের পক্ষ থেকে স্থাপিত অনেকগুলো হাইটেক পার্ক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সব স্তরের শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে। তবে মুদ্রার অপর পিঠের মতো প্রযুক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিতর বহু ইতিবাচক দিকের সঙ্গে এটি এখন জননিরাপত্তার জন্য ক্রমশই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেটে কী থাকছে সেটি জননিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ, অর্থাৎ পঞ্চম যে সেক্টরের কথা এ পি জে আবদুল কালাম বলেছেন, সেটি হলো স্ট্রাটেজি সেক্টর, যার আওতায় আসে মহাকাশ (স্পেস), প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান (ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ) এবং পারমাণবিক খাত। এই সেক্টরে বাংলাদেশ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে মাত্র। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশেও আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ এই ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব বড় আকারের প্রকল্প নেওয়া প্রয়োজন। ২০৩০ ও ২০৪০ সালে সমৃদ্ধি সোপানের যে স্তরে বাংলাদেশ উন্নত হবে তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ এখনই নেওয়া প্রয়োজন। সর্বশেষ জননিরাপত্তার ওপর সামান্য আলোকপাত করেই লেখাটি শেষ করব।

যেহেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অপর সম্ভাবনার দ্বার ইতিমধ্যেই উন্মোচিত হয়েছে, তাই জননিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে ১৭ কোটি মানুষের ৩৪ কোটি হাতের স্পর্শে বাংলাদেশকে আর কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। প্রস্তাবিত বাজেটে জননিরাপত্তা খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে, মোট ব্যয়ের শতকরা ৫.৩ ভাগ। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি সন্ত্রাস দমনে ইতিমধ্যেই বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। প্রশংসনীয় অনেক ভালো কাজ তারা করছে। কিন্তু মাঝে মাঝে পুলিশ বাহিনীর দুয়েকজন সদস্যের অপকর্মের জন্য পুরো পুলিশ বাহিনীর জনআস্থার জায়গায় গহিন গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশ বাহিনী এখন রাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। সোনাগাজীর ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ডিআইজি মিজানুর রহমানকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনীর অবস্থান ও পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের ভিতর ভীষণ রকম অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়েছে। অপকর্মকারী মাত্র দুজন সদস্যের জন্য সম্পূর্ণ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াটা মানুষ মোটেই মেনে নিতে পারছে না। এই দুজনের বিষয়ে হাই কোর্ট হস্তক্ষেপ করার আগেই পুলিশ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে জনআস্থা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। লেখাটি শেষ করছি এই বলে, এ পি জে আবদুল কালাম বর্ণিত পাঁচটি সেক্টর আজ যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে এই যাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ ও ২০৪০ সালে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যে স্বপ্নের কথা বিশ্বের নামকরা গবেষণা সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হচ্ছে তা অর্জিত হওয়ার আশা অবশ্যই আমরা করতে পারি। এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সর্বশেষ আউট লুক ২০১৯, তাতে বলা হয়েছে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর