শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

স্মরণে বিচারে এরশাদ ও বাংলাদেশের রাজনীতি

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
স্মরণে বিচারে এরশাদ ও বাংলাদেশের রাজনীতি

সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ১৪ জুলাই নশ্বর এ পৃথিবী ছেড়ে অবিনশ্বর জগতে চলে গেছেন। কিন্তু উল্লিখিত পদবিগুলোর সুবাদে আগামী আরও বেশ কিছুদিন সঙ্গতকারণেই এরশাদের কীর্তিকলাপ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হবে। আমি নিজে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হলেও এরশাদ সম্পর্কে স্মৃতিচারণমূলক লেখার বিষয়বস্তু তেমন কিছু আমার ভান্ডারে নেই। কারণ এরশাদ যখন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলেন তখন আমি একেবারে জুনিয়র অফিসার লেফটেন্যান্ট ক্যাপ্টেন পদবিতে ছিলাম। তবে একজন প্রবীণ প্রয়াত মানুষের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য দৈবক্রমে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনাচক্রের সূত্রে মনের মাঝে জমে থাকা অম্লমধুর দুটি স্মৃতির কথা এখানে উল্লেখ করতে চাই। ১৯৮২ সালে এরশাদ কর্তৃক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল ও সামরিক আইন জারির অব্যবহিত পরের ঘটনা। আমি তখন ঢাকা সেনানিবাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিটে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত। খেলাধুলার বিষয়টি সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণের একটা অংশ হিসেবেই ধরা হয়। প্রতি বছর প্রত্যেক গ্যারিসনে আন্তইউনিট খেলার প্রতিযোগিতা হয়। তাতে নিজ ইউনিট দলকে চ্যাম্পিয়ন রানার আপ করার আকাক্সক্ষায় জুনিয়র অফিসাররা খেলার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে দলের অনুশীলন চালিয়ে থাকেন। এ কারণে সৈনিকদের মূল প্রশিক্ষণ কখনো কখনো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই ওই সময়ে অর্থাৎ এরশাদ যখন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও সেনাপ্রধান তখন একটা নীতিনির্ধারণী হুকুম জারি হলো এই মর্মে যে, সকাল বিকাল খেলার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে খেলার অনুশীলন হতে পারবে না। তারপরও অনেক ইউনিট চুপেচাপে অতিরিক্ত সময় নিজ নিজ দলের খেলার অনুশীলন চালাত, স্রেফ জুনিয়র অফিসারদের দায়িত্বে ও তত্ত্বাবধায়নে। ইউনিটের ফাদার ফিগার কমান্ডিং অফিসারের পক্ষ থেকে জুনিয়র অফিসারের প্রতি একটা চাপ থাকে, যাতে ইউনিটের টিম যেন চ্যাম্পিয়ন রানার আপ হতে পারে। তো সে সময়ে আমাদের গ্যারিসনে আন্তইউনিট ভলিবল প্রতিযোগিতা চলছে। সঙ্গতকারণেই অতিরিক্ত সময়ে অনুশীলন চলত। আমাদের ইউনিটের অবস্থান একেবারেই সেনা সদর সংলগ্ন রাস্তার এপার ওপার। একদিন সকাল সাড়ে ৮টা বা ৯টা হতে পারে, আমাদের টিমের অনুশীলন চলছে। আমি একটু আগেই মাঠ থেকে এসে খেলার ড্রেস পরিবর্তন করে ইউনিফর্ম পরে অফিসে বসেছি, অফিস মাঠের সঙ্গে লাগোয়া। হঠাৎ করেই দৌড়াদৌড়ি, বাঁশির অতিরিক্ত হুইসেল। কে একজন দৌড়ে আমার রুমের সামনে এসে বলল, স্যার সেনাপ্রধান আসছেন। এর আগে আমি কখনো সেনাপ্রধানের সামনে পড়িনি বা দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। কমান্ডিং অফিসার ইউনিট উপস্থিত নেই, অন্য কোনো সিনিয়র অফিসারও নেই। আমি মরি কি বাঁচি মাথায় টুপি লাগাতে লাগাতে দৌড়ে মাঠে এসে দেখি সেনাপ্রধান একটা সাইকেলে আমাদের মাঠে হাজির, একটু পিছনে আরেকটি সাইকেলে এডিসি। আমি আর এডিসি অফিসার মেসে পাশাপাশি রুমে থাকি। তার মুখের দিকে একনজর তাকিয়ে দেখি তিনিও ভীষণ বিব্রতবোধ করছেন। কিন্তু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর করার কিছুই নেই। আমি সেনাপ্রধানের সামনে দাঁড়াতেই কেন সেনা সদরের নির্দেশ ভঙ্গ করে অতিরিক্ত সময় আমাদের টিম ভলিবল খেলছে, তার জন্য সেনাবাহিনীর নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজে কিছু সময় ধরে ভালো করে ঝাড়ি (বকা) দিলেন। শেষ কথা বললেন বাতির নিচে অন্ধকার। ইতিপূর্বে শিখেছি কোনো ভুলের কারণে সিনিয়র অফিসার যখন বকাঝকা করবে তখন বিপদ থেকে বাঁচার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে একেবারে নিশ্চুপ থাকা, ‘স্পিকটি নট’। একটু পরেই সেনাপ্রধান সাইকেল চালিয়ে চলে গেলেন। আমি ঘর্মাক্ত দেহে অফিসে ফিরে এলাম। সারাদিন দুর্ভাবনায় কাটল, ক্যারিয়ারের শুরুতেই যদি একটা শাস্তি হয়ে যায় তাহলে সারা জীবন তার খেসারত দিতে হবে। সন্ধ্যার পরে অফিসার মেসে এডিসির সঙ্গে দেখা হতেই জড়িয়ে ধরে বললেন, শিকদার চিন্তা কর না দুই দিন পরে চিফ সব ভুলে যাবে কিছুই হবে না। সে যাত্রায় বেঁচে গেলাম। কয়েক দিন যেতেই আরেক ঘটনা, আমাদের অফিসার মেসেই আরেক ব্যাচেলর সিনিয়র অফিসারের ঢাকা শহরে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চলছে। তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে এরকম শুনছি। হঠাৎ করে একদিন শুনি কী কারণে যেন মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষ বিয়েতে রাজি নয়- বড় বিপদের কথা। তখনো এরশাদ অপকর্মটি করেননি, সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার আছে। তো এক রবিবারে ওই অফিসার সকালে নাস্তার পরেই আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে ঢাকা শহরের দিকে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় বলে গেলেন এডিসি ও আমি যেন বাইরে কোথাও না যাই। ঘণ্টা দুয়েক পরে খবর এলো আমরা দুজন যেন দ্রুত পাশে অবস্থিত এক অফিসারের বাসায় হাজির হই। যথা হুকুম। হাজির হয়ে দেখি আমাদের হবু ভাবী খুব চিন্তিত হয়ে বসে আছেন। বুঝতে আর বাকি রইল না। আমি স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটা গাড়িতে করে কাজী নিয়ে এলাম। বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন হলো- রেজিস্টার বইতে এডিসি আর আমি বিয়ের সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করলাম। বিকাল নাগাদ খবর মেয়ের গার্ডিয়ানের কাছে পৌঁছানোর পর ঝড়ঝাপটা শুরু হয়ে গেল। পরের দিন সকালে প্রায় সব পত্রিকায় মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষের বক্তব্য একপেশে খবর ছাপা হলো। বর ও দুই সাক্ষীর নামসহ খবর হলো। আমরা নাকি জোরপূর্বক মেয়েকে উঠিয়ে এনেছি। সেনাসদরের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। সেনাপ্রধান সবেমাত্র ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’ দিয়েছেন, সামনে অনেক আশা। আর সেই সময় সেনা সদরের অফিসার, তারপর স্বয়ং সেনাপ্রধানের এডিসি শহর থেকে মেয়ে উঠিয়ে আনার অভিযোগে অভিযুক্ত। এডিসি ইতিমধ্যে সেনাপ্রধানের কাছ থেকে কড়া ঝাড়ি খেয়েছেন। খবর রটে গেল সেনাপ্রধান ভীষণ ক্ষুব্ধ, তিনজনের কারও চাকরি থাকছে না। কয়েকদিন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটানোর পর একদিন শুনলাম মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষ ভুল বুঝতে পেরে সব মনগড়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সে যাত্রায়ও বেঁচে গেলাম। শুনেছি তার সঙ্গে যারা কাজ করতেন এবং আশপাশে থাকতেন তাদের সবাইকে এরশাদ খুব ভালোবাসতেন এবং দেখাশোনা করতেন। অনেক ভালো একটা দিক। স্মৃতিচারণ থেকে আসল কথায় আসি। মৃত্যুর পর সামরিক শাসকরা সাধারণত বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। কিন্তু রাজনীতিতে এরশাদের রেখে যাওয়া ক্ষত চিহ্ন সহজে শুকাবে না বিধায় তার সম্পর্কে আরও কিছু দিন অনেক আলোচনা-সমালোচনা হবে। এরশাদ সম্পর্কে একবাক্যে বলতে গেলে বলতে হবে তিনি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছিলেন কবরে শায়িত হওয়ার আগ পর্যন্ত। একই সঙ্গে বলতে হবে তার ক্ষমতার লিপ্সা রাজনীতি ও রাষ্ট্রের যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। দেখুন ভাগ্য কাকে বলে। একাত্তরের এপ্রিল মাসে মুক্তিযুদ্ধ তুঙ্গে, বাংলাদেশে অবস্থিত সব বেঙ্গল রেজিমেন্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। অভিযোগ আছে, এই সময় এরশাদ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে এলেন এবং ছুটি কাটিয়ে নিশ্চিন্তে ফিরে গিয়ে পাকিস্তানের অনুগত অফিসার হিসেবে চাকরি করলেন ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পক্ষান্তরে ওই সময় নিজের ও পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেনারেল মঞ্জুর (তখন মেজর) পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেন। বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন। বীরউত্তম খেতাব পেলেন। সেই মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরকে ষড়যন্ত্রের মধ্যে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। তার কবর কোথায় আছে বাংলাদেশের মানুষ জানে না। অথচ এরশাদ সেনাপ্রধান হলেন, রাষ্ট্রপতি হলেন এবং মৃত্যুর পর মহাসমারোহে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হলেন। মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামি হিসেবে এরশাদ চিরবিদায় নিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান থেকে ফেরত আসার পর এরশাদের চাকরি থাকবে কিনা এমন কথা উঠেছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর পতপত করে কয়েক মাসের মধ্যেই কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার ও জেনারেল হয়ে গেলেন। উপসেনাপ্রধান থেকে জিয়াউর রহমান তাকে সেনাপ্রধান বানালেন। অনেকে বলে থাকেন এরশাদকে সেনাপ্রধান না বানালে জিয়াউর রহমানকে এমন করুণ পরিণতির শিকার হতে হতো না। ভাগ্যদেবীর প্রসন্নতায় এরশাদ ৯ বছর প্রতাপের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করলেন। সেই ভোগের মাত্রার সীমাহীনতায় এরশাদকে নিয়ে শিল্পী কামরুল হাসান যে চিত্র এঁকেছিলেন এবং তাতে যে ক্যাপশন দিয়েছিলেন তা এখন বাংলাদেশের ইতিহাস। গণআন্দোলনে উৎখাত হওয়ার পর বিশ্বের কোনো সামরিক শাসকের নামনিশানা কোথাও থাকেনি। আন্দোলনের তোড়ে ১৯৯০ সালে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৯ বছর এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে থেকেছেন।

ভাগ্য দেবীর হাত ধরে রাজনীতিতে এরশাদ হুবহু জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত দুই সামরিক শাসককেই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে রায় দিয়েছে। জিয়াউর রহমান রায় আসার আগেই মরে বেঁচে গেছেন। আর এরশাদ ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন। আর তা না হলে দুজনেরই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে বিচার হতে পারত। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন এরশাদ তো দেশের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। এটা ঠিক কিছু রাস্তাঘাট দালানকোঠা তৈরি করেছেন। সব দেশের সব সামরিক শাসকরা এমন কিছু কাজ করে থাকেন। প্রায় ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ব্রিটিশরা অনেক স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট রেললাইন তৈরি করেছেন। যার অনেক কিছুকেই যুগান্তকারী বলা যায়। পাকিস্তান যে এরকম কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেনি তা নয়। তাহলে আমরা ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের তাড়ালাম কেন। এই প্রশ্নের উত্তরে শত শত পৃষ্ঠা লিখতে হবে। ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশের কী ক্ষতি করেছে তা কেউ তথ্য-উপাত্তসহ জানতে চাইলে ভারতের রাজনীতিক ও লেখক শশী থারুরের লেখা এন ইরা অব ডার্কনেস বইটি পড়ে দেখতে পারেন। আজকের যে পাকিস্তান তার দিকে তাকালে বোঝা যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সামরিক শাসকরা মোল্লাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের কত বড় সর্বনাশ করেছেন। লাহোর ইসলামাবাদে গেলে উন্নয়নের ঝলকে আপনার চোখে ধাঁধা লেগে যাবে। এই পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা এখন শাসকদের কাছে আবেদন করছেন সুইডেন নয় আমাদের দেশকে বাংলাদেশের মতো করে দেন। সার্বভৌমত্ব বলতে পাকিস্তানের কিছু নেই। আমেরিকা জঙ্গি দমনের নামে পাকিস্তানের ভিতরে যখন তখন ড্রোন আক্রমণ চালায়। একবারও পাকিস্তানের কাউকে জিজ্ঞাসা করে না। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে একবার ওয়াশিংটন তো আরেকবার প্যারিস দৌড়াচ্ছেন। সামরিক শাসকদের উন্নয়নের চেহারা আর যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ওপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট। যাক সে সব, জাতীয় পার্টির কথায় ফিরে আসি। এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির কী হবে এটা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে। ভবিষ্যতে এ আলোচনা আরও জমে উঠবে। জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে এরশাদ নিজেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হিমশিম খেয়েছেন। দ্বন্দ্ব সামলাতে গিয়ে বছর দুই আগে এরশাদ একবার প্রকাশ্যে বলেছিলেন আই এম দ্য জাতীয় পার্টি। এ কথার বাস্তব রূপ দেখা গেছে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় আছে তাই এই মুহূর্তে দল হয়তো ভেঙে যাবে না। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্যারাডিস শিব এবং নতুন নতুন মেরুকরণের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি কেউ তার বর্তমান অবয়ব রক্ষা করতে পারবে বলে মনে হয় না। বিএনপির যেরকম লেজেগোবরে অবস্থা তাতে এটা প্রায় নিশ্চিত করে বলা যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান ধারার রাজনীতি ও নেতৃত্ব বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে না। তবে এর অনেকটাই নির্ভর করছে শাসক দল আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় বৃহত্তর জনগণের সন্তুষ্টি ও সমর্থন কতখানি অর্জন করতে পারছে তার ওপর। এখন এ কথা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অনৈক্য ও ব্যর্থতার ওপর ভর করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত জাতীয় পার্টি ক্ষমতা দখল ও তার বিস্তার ঘটিয়েছে নিজেদের নীতি আদর্শ বা অর্জনের ওপর ভিত্তি করে নয়। গত প্রায় ১০-১১ বছর বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ দর্শন চিন্তা চেতনা ও পথনির্দেশনার ওপর অটল রেখে বাংলাদেশকে আজ যে মর্যাদার আসনে শেখ হাসিনা অধিষ্ঠিত করেছেন তাতে বাংলাদেশের বৃহত্তর মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মগজে এই মর্মে বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে যে, ইতিমধ্যে উন্মোচিত অপার সম্ভাবনার বাস্তবায়ন চাইলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের দর্শন ও আদর্শের ওপর থাকতে হবে। সুতরাং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত এবং যারা আওয়ামী লীগ দল করতে পারবে না তারা অবশ্যই রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের বাইরে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করবেন। তখন সেটাই হবে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের অনুঘটক। এই উদ্যোগ কিছুটা সফল হলেই জাতীয় পার্টির বিক্ষুব্ধ অংশ হয়ে আওয়ামী লীগ আর নয় তো নতুন আবির্ভূত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সঙ্গে যোগ দিবে। তাতে ব্রাকেটের ভিতরে এরশাদের নাম সংবলিত দলের অবস্থা কী হয় তা দেখার জন্য সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে সব কথার শেষ কথা হলো সামরিক শাসকদের দল তার অবর্তমানে বিশ্বের কোথাও স্থায়ীভাবে টিকে থাকেনি।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান

১ মিনিট আগে | জাতীয়

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল

২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক
গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু
গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু

৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

১৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিউক্যাসল বাংলাদেশ কমিউনিটির ১০ বছর পূর্তি উদযাপন
নিউক্যাসল বাংলাদেশ কমিউনিটির ১০ বছর পূর্তি উদযাপন

১৩ মিনিট আগে | পরবাস

ভালবাসার টানে চীন থেকে মুন্সীগঞ্জে এসে বিয়ে করলেন চীনা যুবক
ভালবাসার টানে চীন থেকে মুন্সীগঞ্জে এসে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা

১৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কানাডা
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কানাডা

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৭৮
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৭৮

২১ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বাউবির ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন খালি করার নির্দেশ
বাউবির ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন খালি করার নির্দেশ

২৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে
নির্বাচনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

আইসিসির সাবেক আম্পায়ার খিজার হায়াতের মৃত্যু
আইসিসির সাবেক আম্পায়ার খিজার হায়াতের মৃত্যু

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ভূমিকম্পের চেয়েও বড় ঝুঁকি তৈরি করছে’
‘অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ভূমিকম্পের চেয়েও বড় ঝুঁকি তৈরি করছে’

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু

৩৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

৩৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

রাজনীতিতে সহনশীলতা না থাকায় সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে : রিজভী
রাজনীতিতে সহনশীলতা না থাকায় সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে : রিজভী

৩৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপের নিরাপত্তাও দেখতে হবে: ম্যাক্রোঁ
ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপের নিরাপত্তাও দেখতে হবে: ম্যাক্রোঁ

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেরপুরের চরাঞ্চলে ব্রিজের অভাবে চরম ভোগান্তি
শেরপুরের চরাঞ্চলে ব্রিজের অভাবে চরম ভোগান্তি

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিডা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিডা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রেলপথ অবরোধ করে ফের বিক্ষোভ রাবি শিক্ষার্থীদের
রেলপথ অবরোধ করে ফের বিক্ষোভ রাবি শিক্ষার্থীদের

৫৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চট্টগ্রামে থানার শৌচাগারে এএসআইয়ের লাশ
চট্টগ্রামে থানার শৌচাগারে এএসআইয়ের লাশ

৫৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে: এ্যানি
মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে: এ্যানি

৫৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর
গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত
মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা