শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

স্মরণে বিচারে এরশাদ ও বাংলাদেশের রাজনীতি

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
স্মরণে বিচারে এরশাদ ও বাংলাদেশের রাজনীতি

সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ১৪ জুলাই নশ্বর এ পৃথিবী ছেড়ে অবিনশ্বর জগতে চলে গেছেন। কিন্তু উল্লিখিত পদবিগুলোর সুবাদে আগামী আরও বেশ কিছুদিন সঙ্গতকারণেই এরশাদের কীর্তিকলাপ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হবে। আমি নিজে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হলেও এরশাদ সম্পর্কে স্মৃতিচারণমূলক লেখার বিষয়বস্তু তেমন কিছু আমার ভান্ডারে নেই। কারণ এরশাদ যখন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলেন তখন আমি একেবারে জুনিয়র অফিসার লেফটেন্যান্ট ক্যাপ্টেন পদবিতে ছিলাম। তবে একজন প্রবীণ প্রয়াত মানুষের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য দৈবক্রমে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনাচক্রের সূত্রে মনের মাঝে জমে থাকা অম্লমধুর দুটি স্মৃতির কথা এখানে উল্লেখ করতে চাই। ১৯৮২ সালে এরশাদ কর্তৃক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল ও সামরিক আইন জারির অব্যবহিত পরের ঘটনা। আমি তখন ঢাকা সেনানিবাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিটে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত। খেলাধুলার বিষয়টি সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণের একটা অংশ হিসেবেই ধরা হয়। প্রতি বছর প্রত্যেক গ্যারিসনে আন্তইউনিট খেলার প্রতিযোগিতা হয়। তাতে নিজ ইউনিট দলকে চ্যাম্পিয়ন রানার আপ করার আকাক্সক্ষায় জুনিয়র অফিসাররা খেলার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে দলের অনুশীলন চালিয়ে থাকেন। এ কারণে সৈনিকদের মূল প্রশিক্ষণ কখনো কখনো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই ওই সময়ে অর্থাৎ এরশাদ যখন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও সেনাপ্রধান তখন একটা নীতিনির্ধারণী হুকুম জারি হলো এই মর্মে যে, সকাল বিকাল খেলার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে খেলার অনুশীলন হতে পারবে না। তারপরও অনেক ইউনিট চুপেচাপে অতিরিক্ত সময় নিজ নিজ দলের খেলার অনুশীলন চালাত, স্রেফ জুনিয়র অফিসারদের দায়িত্বে ও তত্ত্বাবধায়নে। ইউনিটের ফাদার ফিগার কমান্ডিং অফিসারের পক্ষ থেকে জুনিয়র অফিসারের প্রতি একটা চাপ থাকে, যাতে ইউনিটের টিম যেন চ্যাম্পিয়ন রানার আপ হতে পারে। তো সে সময়ে আমাদের গ্যারিসনে আন্তইউনিট ভলিবল প্রতিযোগিতা চলছে। সঙ্গতকারণেই অতিরিক্ত সময়ে অনুশীলন চলত। আমাদের ইউনিটের অবস্থান একেবারেই সেনা সদর সংলগ্ন রাস্তার এপার ওপার। একদিন সকাল সাড়ে ৮টা বা ৯টা হতে পারে, আমাদের টিমের অনুশীলন চলছে। আমি একটু আগেই মাঠ থেকে এসে খেলার ড্রেস পরিবর্তন করে ইউনিফর্ম পরে অফিসে বসেছি, অফিস মাঠের সঙ্গে লাগোয়া। হঠাৎ করেই দৌড়াদৌড়ি, বাঁশির অতিরিক্ত হুইসেল। কে একজন দৌড়ে আমার রুমের সামনে এসে বলল, স্যার সেনাপ্রধান আসছেন। এর আগে আমি কখনো সেনাপ্রধানের সামনে পড়িনি বা দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। কমান্ডিং অফিসার ইউনিট উপস্থিত নেই, অন্য কোনো সিনিয়র অফিসারও নেই। আমি মরি কি বাঁচি মাথায় টুপি লাগাতে লাগাতে দৌড়ে মাঠে এসে দেখি সেনাপ্রধান একটা সাইকেলে আমাদের মাঠে হাজির, একটু পিছনে আরেকটি সাইকেলে এডিসি। আমি আর এডিসি অফিসার মেসে পাশাপাশি রুমে থাকি। তার মুখের দিকে একনজর তাকিয়ে দেখি তিনিও ভীষণ বিব্রতবোধ করছেন। কিন্তু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর করার কিছুই নেই। আমি সেনাপ্রধানের সামনে দাঁড়াতেই কেন সেনা সদরের নির্দেশ ভঙ্গ করে অতিরিক্ত সময় আমাদের টিম ভলিবল খেলছে, তার জন্য সেনাবাহিনীর নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজে কিছু সময় ধরে ভালো করে ঝাড়ি (বকা) দিলেন। শেষ কথা বললেন বাতির নিচে অন্ধকার। ইতিপূর্বে শিখেছি কোনো ভুলের কারণে সিনিয়র অফিসার যখন বকাঝকা করবে তখন বিপদ থেকে বাঁচার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে একেবারে নিশ্চুপ থাকা, ‘স্পিকটি নট’। একটু পরেই সেনাপ্রধান সাইকেল চালিয়ে চলে গেলেন। আমি ঘর্মাক্ত দেহে অফিসে ফিরে এলাম। সারাদিন দুর্ভাবনায় কাটল, ক্যারিয়ারের শুরুতেই যদি একটা শাস্তি হয়ে যায় তাহলে সারা জীবন তার খেসারত দিতে হবে। সন্ধ্যার পরে অফিসার মেসে এডিসির সঙ্গে দেখা হতেই জড়িয়ে ধরে বললেন, শিকদার চিন্তা কর না দুই দিন পরে চিফ সব ভুলে যাবে কিছুই হবে না। সে যাত্রায় বেঁচে গেলাম। কয়েক দিন যেতেই আরেক ঘটনা, আমাদের অফিসার মেসেই আরেক ব্যাচেলর সিনিয়র অফিসারের ঢাকা শহরে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চলছে। তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে এরকম শুনছি। হঠাৎ করে একদিন শুনি কী কারণে যেন মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষ বিয়েতে রাজি নয়- বড় বিপদের কথা। তখনো এরশাদ অপকর্মটি করেননি, সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার আছে। তো এক রবিবারে ওই অফিসার সকালে নাস্তার পরেই আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে ঢাকা শহরের দিকে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় বলে গেলেন এডিসি ও আমি যেন বাইরে কোথাও না যাই। ঘণ্টা দুয়েক পরে খবর এলো আমরা দুজন যেন দ্রুত পাশে অবস্থিত এক অফিসারের বাসায় হাজির হই। যথা হুকুম। হাজির হয়ে দেখি আমাদের হবু ভাবী খুব চিন্তিত হয়ে বসে আছেন। বুঝতে আর বাকি রইল না। আমি স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটা গাড়িতে করে কাজী নিয়ে এলাম। বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন হলো- রেজিস্টার বইতে এডিসি আর আমি বিয়ের সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করলাম। বিকাল নাগাদ খবর মেয়ের গার্ডিয়ানের কাছে পৌঁছানোর পর ঝড়ঝাপটা শুরু হয়ে গেল। পরের দিন সকালে প্রায় সব পত্রিকায় মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষের বক্তব্য একপেশে খবর ছাপা হলো। বর ও দুই সাক্ষীর নামসহ খবর হলো। আমরা নাকি জোরপূর্বক মেয়েকে উঠিয়ে এনেছি। সেনাসদরের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। সেনাপ্রধান সবেমাত্র ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’ দিয়েছেন, সামনে অনেক আশা। আর সেই সময় সেনা সদরের অফিসার, তারপর স্বয়ং সেনাপ্রধানের এডিসি শহর থেকে মেয়ে উঠিয়ে আনার অভিযোগে অভিযুক্ত। এডিসি ইতিমধ্যে সেনাপ্রধানের কাছ থেকে কড়া ঝাড়ি খেয়েছেন। খবর রটে গেল সেনাপ্রধান ভীষণ ক্ষুব্ধ, তিনজনের কারও চাকরি থাকছে না। কয়েকদিন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটানোর পর একদিন শুনলাম মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষ ভুল বুঝতে পেরে সব মনগড়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সে যাত্রায়ও বেঁচে গেলাম। শুনেছি তার সঙ্গে যারা কাজ করতেন এবং আশপাশে থাকতেন তাদের সবাইকে এরশাদ খুব ভালোবাসতেন এবং দেখাশোনা করতেন। অনেক ভালো একটা দিক। স্মৃতিচারণ থেকে আসল কথায় আসি। মৃত্যুর পর সামরিক শাসকরা সাধারণত বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। কিন্তু রাজনীতিতে এরশাদের রেখে যাওয়া ক্ষত চিহ্ন সহজে শুকাবে না বিধায় তার সম্পর্কে আরও কিছু দিন অনেক আলোচনা-সমালোচনা হবে। এরশাদ সম্পর্কে একবাক্যে বলতে গেলে বলতে হবে তিনি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছিলেন কবরে শায়িত হওয়ার আগ পর্যন্ত। একই সঙ্গে বলতে হবে তার ক্ষমতার লিপ্সা রাজনীতি ও রাষ্ট্রের যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। দেখুন ভাগ্য কাকে বলে। একাত্তরের এপ্রিল মাসে মুক্তিযুদ্ধ তুঙ্গে, বাংলাদেশে অবস্থিত সব বেঙ্গল রেজিমেন্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। অভিযোগ আছে, এই সময় এরশাদ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে এলেন এবং ছুটি কাটিয়ে নিশ্চিন্তে ফিরে গিয়ে পাকিস্তানের অনুগত অফিসার হিসেবে চাকরি করলেন ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পক্ষান্তরে ওই সময় নিজের ও পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেনারেল মঞ্জুর (তখন মেজর) পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেন। বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন। বীরউত্তম খেতাব পেলেন। সেই মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরকে ষড়যন্ত্রের মধ্যে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। তার কবর কোথায় আছে বাংলাদেশের মানুষ জানে না। অথচ এরশাদ সেনাপ্রধান হলেন, রাষ্ট্রপতি হলেন এবং মৃত্যুর পর মহাসমারোহে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হলেন। মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামি হিসেবে এরশাদ চিরবিদায় নিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান থেকে ফেরত আসার পর এরশাদের চাকরি থাকবে কিনা এমন কথা উঠেছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর পতপত করে কয়েক মাসের মধ্যেই কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার ও জেনারেল হয়ে গেলেন। উপসেনাপ্রধান থেকে জিয়াউর রহমান তাকে সেনাপ্রধান বানালেন। অনেকে বলে থাকেন এরশাদকে সেনাপ্রধান না বানালে জিয়াউর রহমানকে এমন করুণ পরিণতির শিকার হতে হতো না। ভাগ্যদেবীর প্রসন্নতায় এরশাদ ৯ বছর প্রতাপের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করলেন। সেই ভোগের মাত্রার সীমাহীনতায় এরশাদকে নিয়ে শিল্পী কামরুল হাসান যে চিত্র এঁকেছিলেন এবং তাতে যে ক্যাপশন দিয়েছিলেন তা এখন বাংলাদেশের ইতিহাস। গণআন্দোলনে উৎখাত হওয়ার পর বিশ্বের কোনো সামরিক শাসকের নামনিশানা কোথাও থাকেনি। আন্দোলনের তোড়ে ১৯৯০ সালে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৯ বছর এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে থেকেছেন।

ভাগ্য দেবীর হাত ধরে রাজনীতিতে এরশাদ হুবহু জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত দুই সামরিক শাসককেই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে রায় দিয়েছে। জিয়াউর রহমান রায় আসার আগেই মরে বেঁচে গেছেন। আর এরশাদ ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন। আর তা না হলে দুজনেরই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে বিচার হতে পারত। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন এরশাদ তো দেশের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। এটা ঠিক কিছু রাস্তাঘাট দালানকোঠা তৈরি করেছেন। সব দেশের সব সামরিক শাসকরা এমন কিছু কাজ করে থাকেন। প্রায় ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ব্রিটিশরা অনেক স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট রেললাইন তৈরি করেছেন। যার অনেক কিছুকেই যুগান্তকারী বলা যায়। পাকিস্তান যে এরকম কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেনি তা নয়। তাহলে আমরা ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের তাড়ালাম কেন। এই প্রশ্নের উত্তরে শত শত পৃষ্ঠা লিখতে হবে। ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশের কী ক্ষতি করেছে তা কেউ তথ্য-উপাত্তসহ জানতে চাইলে ভারতের রাজনীতিক ও লেখক শশী থারুরের লেখা এন ইরা অব ডার্কনেস বইটি পড়ে দেখতে পারেন। আজকের যে পাকিস্তান তার দিকে তাকালে বোঝা যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সামরিক শাসকরা মোল্লাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের কত বড় সর্বনাশ করেছেন। লাহোর ইসলামাবাদে গেলে উন্নয়নের ঝলকে আপনার চোখে ধাঁধা লেগে যাবে। এই পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা এখন শাসকদের কাছে আবেদন করছেন সুইডেন নয় আমাদের দেশকে বাংলাদেশের মতো করে দেন। সার্বভৌমত্ব বলতে পাকিস্তানের কিছু নেই। আমেরিকা জঙ্গি দমনের নামে পাকিস্তানের ভিতরে যখন তখন ড্রোন আক্রমণ চালায়। একবারও পাকিস্তানের কাউকে জিজ্ঞাসা করে না। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে একবার ওয়াশিংটন তো আরেকবার প্যারিস দৌড়াচ্ছেন। সামরিক শাসকদের উন্নয়নের চেহারা আর যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ওপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট। যাক সে সব, জাতীয় পার্টির কথায় ফিরে আসি। এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির কী হবে এটা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে। ভবিষ্যতে এ আলোচনা আরও জমে উঠবে। জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে এরশাদ নিজেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হিমশিম খেয়েছেন। দ্বন্দ্ব সামলাতে গিয়ে বছর দুই আগে এরশাদ একবার প্রকাশ্যে বলেছিলেন আই এম দ্য জাতীয় পার্টি। এ কথার বাস্তব রূপ দেখা গেছে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় আছে তাই এই মুহূর্তে দল হয়তো ভেঙে যাবে না। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্যারাডিস শিব এবং নতুন নতুন মেরুকরণের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি কেউ তার বর্তমান অবয়ব রক্ষা করতে পারবে বলে মনে হয় না। বিএনপির যেরকম লেজেগোবরে অবস্থা তাতে এটা প্রায় নিশ্চিত করে বলা যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান ধারার রাজনীতি ও নেতৃত্ব বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে না। তবে এর অনেকটাই নির্ভর করছে শাসক দল আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় বৃহত্তর জনগণের সন্তুষ্টি ও সমর্থন কতখানি অর্জন করতে পারছে তার ওপর। এখন এ কথা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অনৈক্য ও ব্যর্থতার ওপর ভর করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত জাতীয় পার্টি ক্ষমতা দখল ও তার বিস্তার ঘটিয়েছে নিজেদের নীতি আদর্শ বা অর্জনের ওপর ভিত্তি করে নয়। গত প্রায় ১০-১১ বছর বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ দর্শন চিন্তা চেতনা ও পথনির্দেশনার ওপর অটল রেখে বাংলাদেশকে আজ যে মর্যাদার আসনে শেখ হাসিনা অধিষ্ঠিত করেছেন তাতে বাংলাদেশের বৃহত্তর মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মগজে এই মর্মে বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে যে, ইতিমধ্যে উন্মোচিত অপার সম্ভাবনার বাস্তবায়ন চাইলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের দর্শন ও আদর্শের ওপর থাকতে হবে। সুতরাং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত এবং যারা আওয়ামী লীগ দল করতে পারবে না তারা অবশ্যই রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের বাইরে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করবেন। তখন সেটাই হবে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের অনুঘটক। এই উদ্যোগ কিছুটা সফল হলেই জাতীয় পার্টির বিক্ষুব্ধ অংশ হয়ে আওয়ামী লীগ আর নয় তো নতুন আবির্ভূত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সঙ্গে যোগ দিবে। তাতে ব্রাকেটের ভিতরে এরশাদের নাম সংবলিত দলের অবস্থা কী হয় তা দেখার জন্য সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে সব কথার শেষ কথা হলো সামরিক শাসকদের দল তার অবর্তমানে বিশ্বের কোথাও স্থায়ীভাবে টিকে থাকেনি।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
নতুন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট চালুর ঘোষণা ফিফার
নতুন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট চালুর ঘোষণা ফিফার

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

৪৭ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত
দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিয়েতনামে বন্যায় ৫৫ জনের প্রাণহানি
ভিয়েতনামে বন্যায় ৫৫ জনের প্রাণহানি

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোলিং পিচে হেডের ঝড়, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি
বোলিং পিচে হেডের ঝড়, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বরগুনায় ৪ ভুয়া চিকিৎসক আটক
বরগুনায় ৪ ভুয়া চিকিৎসক আটক

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুদানে গণহত্যা: আরএসএফের শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা
সুদানে গণহত্যা: আরএসএফের শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে
ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা
সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

৩৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শুভসংঘ ঢাবি শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ
ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শুভসংঘ ঢাবি শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ

৩৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

টেক্টরকে ফিরিয়ে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ
টেক্টরকে ফিরিয়ে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা

৪৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

৫৫ মিনিট আগে | শোবিজ

শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা
শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাইপালে নয়, নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
ফের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাইপালে নয়, নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক
আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার
র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক
দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন
গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা