শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

স্মরণে বিচারে এরশাদ ও বাংলাদেশের রাজনীতি

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
স্মরণে বিচারে এরশাদ ও বাংলাদেশের রাজনীতি

সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ১৪ জুলাই নশ্বর এ পৃথিবী ছেড়ে অবিনশ্বর জগতে চলে গেছেন। কিন্তু উল্লিখিত পদবিগুলোর সুবাদে আগামী আরও বেশ কিছুদিন সঙ্গতকারণেই এরশাদের কীর্তিকলাপ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হবে। আমি নিজে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হলেও এরশাদ সম্পর্কে স্মৃতিচারণমূলক লেখার বিষয়বস্তু তেমন কিছু আমার ভান্ডারে নেই। কারণ এরশাদ যখন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলেন তখন আমি একেবারে জুনিয়র অফিসার লেফটেন্যান্ট ক্যাপ্টেন পদবিতে ছিলাম। তবে একজন প্রবীণ প্রয়াত মানুষের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য দৈবক্রমে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনাচক্রের সূত্রে মনের মাঝে জমে থাকা অম্লমধুর দুটি স্মৃতির কথা এখানে উল্লেখ করতে চাই। ১৯৮২ সালে এরশাদ কর্তৃক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল ও সামরিক আইন জারির অব্যবহিত পরের ঘটনা। আমি তখন ঢাকা সেনানিবাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিটে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত। খেলাধুলার বিষয়টি সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণের একটা অংশ হিসেবেই ধরা হয়। প্রতি বছর প্রত্যেক গ্যারিসনে আন্তইউনিট খেলার প্রতিযোগিতা হয়। তাতে নিজ ইউনিট দলকে চ্যাম্পিয়ন রানার আপ করার আকাক্সক্ষায় জুনিয়র অফিসাররা খেলার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে দলের অনুশীলন চালিয়ে থাকেন। এ কারণে সৈনিকদের মূল প্রশিক্ষণ কখনো কখনো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই ওই সময়ে অর্থাৎ এরশাদ যখন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও সেনাপ্রধান তখন একটা নীতিনির্ধারণী হুকুম জারি হলো এই মর্মে যে, সকাল বিকাল খেলার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে খেলার অনুশীলন হতে পারবে না। তারপরও অনেক ইউনিট চুপেচাপে অতিরিক্ত সময় নিজ নিজ দলের খেলার অনুশীলন চালাত, স্রেফ জুনিয়র অফিসারদের দায়িত্বে ও তত্ত্বাবধায়নে। ইউনিটের ফাদার ফিগার কমান্ডিং অফিসারের পক্ষ থেকে জুনিয়র অফিসারের প্রতি একটা চাপ থাকে, যাতে ইউনিটের টিম যেন চ্যাম্পিয়ন রানার আপ হতে পারে। তো সে সময়ে আমাদের গ্যারিসনে আন্তইউনিট ভলিবল প্রতিযোগিতা চলছে। সঙ্গতকারণেই অতিরিক্ত সময়ে অনুশীলন চলত। আমাদের ইউনিটের অবস্থান একেবারেই সেনা সদর সংলগ্ন রাস্তার এপার ওপার। একদিন সকাল সাড়ে ৮টা বা ৯টা হতে পারে, আমাদের টিমের অনুশীলন চলছে। আমি একটু আগেই মাঠ থেকে এসে খেলার ড্রেস পরিবর্তন করে ইউনিফর্ম পরে অফিসে বসেছি, অফিস মাঠের সঙ্গে লাগোয়া। হঠাৎ করেই দৌড়াদৌড়ি, বাঁশির অতিরিক্ত হুইসেল। কে একজন দৌড়ে আমার রুমের সামনে এসে বলল, স্যার সেনাপ্রধান আসছেন। এর আগে আমি কখনো সেনাপ্রধানের সামনে পড়িনি বা দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। কমান্ডিং অফিসার ইউনিট উপস্থিত নেই, অন্য কোনো সিনিয়র অফিসারও নেই। আমি মরি কি বাঁচি মাথায় টুপি লাগাতে লাগাতে দৌড়ে মাঠে এসে দেখি সেনাপ্রধান একটা সাইকেলে আমাদের মাঠে হাজির, একটু পিছনে আরেকটি সাইকেলে এডিসি। আমি আর এডিসি অফিসার মেসে পাশাপাশি রুমে থাকি। তার মুখের দিকে একনজর তাকিয়ে দেখি তিনিও ভীষণ বিব্রতবোধ করছেন। কিন্তু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর করার কিছুই নেই। আমি সেনাপ্রধানের সামনে দাঁড়াতেই কেন সেনা সদরের নির্দেশ ভঙ্গ করে অতিরিক্ত সময় আমাদের টিম ভলিবল খেলছে, তার জন্য সেনাবাহিনীর নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজে কিছু সময় ধরে ভালো করে ঝাড়ি (বকা) দিলেন। শেষ কথা বললেন বাতির নিচে অন্ধকার। ইতিপূর্বে শিখেছি কোনো ভুলের কারণে সিনিয়র অফিসার যখন বকাঝকা করবে তখন বিপদ থেকে বাঁচার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে একেবারে নিশ্চুপ থাকা, ‘স্পিকটি নট’। একটু পরেই সেনাপ্রধান সাইকেল চালিয়ে চলে গেলেন। আমি ঘর্মাক্ত দেহে অফিসে ফিরে এলাম। সারাদিন দুর্ভাবনায় কাটল, ক্যারিয়ারের শুরুতেই যদি একটা শাস্তি হয়ে যায় তাহলে সারা জীবন তার খেসারত দিতে হবে। সন্ধ্যার পরে অফিসার মেসে এডিসির সঙ্গে দেখা হতেই জড়িয়ে ধরে বললেন, শিকদার চিন্তা কর না দুই দিন পরে চিফ সব ভুলে যাবে কিছুই হবে না। সে যাত্রায় বেঁচে গেলাম। কয়েক দিন যেতেই আরেক ঘটনা, আমাদের অফিসার মেসেই আরেক ব্যাচেলর সিনিয়র অফিসারের ঢাকা শহরে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চলছে। তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে এরকম শুনছি। হঠাৎ করে একদিন শুনি কী কারণে যেন মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষ বিয়েতে রাজি নয়- বড় বিপদের কথা। তখনো এরশাদ অপকর্মটি করেননি, সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার আছে। তো এক রবিবারে ওই অফিসার সকালে নাস্তার পরেই আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে ঢাকা শহরের দিকে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় বলে গেলেন এডিসি ও আমি যেন বাইরে কোথাও না যাই। ঘণ্টা দুয়েক পরে খবর এলো আমরা দুজন যেন দ্রুত পাশে অবস্থিত এক অফিসারের বাসায় হাজির হই। যথা হুকুম। হাজির হয়ে দেখি আমাদের হবু ভাবী খুব চিন্তিত হয়ে বসে আছেন। বুঝতে আর বাকি রইল না। আমি স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটা গাড়িতে করে কাজী নিয়ে এলাম। বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন হলো- রেজিস্টার বইতে এডিসি আর আমি বিয়ের সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করলাম। বিকাল নাগাদ খবর মেয়ের গার্ডিয়ানের কাছে পৌঁছানোর পর ঝড়ঝাপটা শুরু হয়ে গেল। পরের দিন সকালে প্রায় সব পত্রিকায় মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষের বক্তব্য একপেশে খবর ছাপা হলো। বর ও দুই সাক্ষীর নামসহ খবর হলো। আমরা নাকি জোরপূর্বক মেয়েকে উঠিয়ে এনেছি। সেনাসদরের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। সেনাপ্রধান সবেমাত্র ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’ দিয়েছেন, সামনে অনেক আশা। আর সেই সময় সেনা সদরের অফিসার, তারপর স্বয়ং সেনাপ্রধানের এডিসি শহর থেকে মেয়ে উঠিয়ে আনার অভিযোগে অভিযুক্ত। এডিসি ইতিমধ্যে সেনাপ্রধানের কাছ থেকে কড়া ঝাড়ি খেয়েছেন। খবর রটে গেল সেনাপ্রধান ভীষণ ক্ষুব্ধ, তিনজনের কারও চাকরি থাকছে না। কয়েকদিন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটানোর পর একদিন শুনলাম মেয়ের গার্ডিয়ান পক্ষ ভুল বুঝতে পেরে সব মনগড়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সে যাত্রায়ও বেঁচে গেলাম। শুনেছি তার সঙ্গে যারা কাজ করতেন এবং আশপাশে থাকতেন তাদের সবাইকে এরশাদ খুব ভালোবাসতেন এবং দেখাশোনা করতেন। অনেক ভালো একটা দিক। স্মৃতিচারণ থেকে আসল কথায় আসি। মৃত্যুর পর সামরিক শাসকরা সাধারণত বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। কিন্তু রাজনীতিতে এরশাদের রেখে যাওয়া ক্ষত চিহ্ন সহজে শুকাবে না বিধায় তার সম্পর্কে আরও কিছু দিন অনেক আলোচনা-সমালোচনা হবে। এরশাদ সম্পর্কে একবাক্যে বলতে গেলে বলতে হবে তিনি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছিলেন কবরে শায়িত হওয়ার আগ পর্যন্ত। একই সঙ্গে বলতে হবে তার ক্ষমতার লিপ্সা রাজনীতি ও রাষ্ট্রের যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। দেখুন ভাগ্য কাকে বলে। একাত্তরের এপ্রিল মাসে মুক্তিযুদ্ধ তুঙ্গে, বাংলাদেশে অবস্থিত সব বেঙ্গল রেজিমেন্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। অভিযোগ আছে, এই সময় এরশাদ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে এলেন এবং ছুটি কাটিয়ে নিশ্চিন্তে ফিরে গিয়ে পাকিস্তানের অনুগত অফিসার হিসেবে চাকরি করলেন ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পক্ষান্তরে ওই সময় নিজের ও পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেনারেল মঞ্জুর (তখন মেজর) পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেন। বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন। বীরউত্তম খেতাব পেলেন। সেই মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরকে ষড়যন্ত্রের মধ্যে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। তার কবর কোথায় আছে বাংলাদেশের মানুষ জানে না। অথচ এরশাদ সেনাপ্রধান হলেন, রাষ্ট্রপতি হলেন এবং মৃত্যুর পর মহাসমারোহে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হলেন। মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামি হিসেবে এরশাদ চিরবিদায় নিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান থেকে ফেরত আসার পর এরশাদের চাকরি থাকবে কিনা এমন কথা উঠেছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর পতপত করে কয়েক মাসের মধ্যেই কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার ও জেনারেল হয়ে গেলেন। উপসেনাপ্রধান থেকে জিয়াউর রহমান তাকে সেনাপ্রধান বানালেন। অনেকে বলে থাকেন এরশাদকে সেনাপ্রধান না বানালে জিয়াউর রহমানকে এমন করুণ পরিণতির শিকার হতে হতো না। ভাগ্যদেবীর প্রসন্নতায় এরশাদ ৯ বছর প্রতাপের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করলেন। সেই ভোগের মাত্রার সীমাহীনতায় এরশাদকে নিয়ে শিল্পী কামরুল হাসান যে চিত্র এঁকেছিলেন এবং তাতে যে ক্যাপশন দিয়েছিলেন তা এখন বাংলাদেশের ইতিহাস। গণআন্দোলনে উৎখাত হওয়ার পর বিশ্বের কোনো সামরিক শাসকের নামনিশানা কোথাও থাকেনি। আন্দোলনের তোড়ে ১৯৯০ সালে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৯ বছর এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে থেকেছেন।

ভাগ্য দেবীর হাত ধরে রাজনীতিতে এরশাদ হুবহু জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত দুই সামরিক শাসককেই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে রায় দিয়েছে। জিয়াউর রহমান রায় আসার আগেই মরে বেঁচে গেছেন। আর এরশাদ ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন। আর তা না হলে দুজনেরই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে বিচার হতে পারত। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন এরশাদ তো দেশের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। এটা ঠিক কিছু রাস্তাঘাট দালানকোঠা তৈরি করেছেন। সব দেশের সব সামরিক শাসকরা এমন কিছু কাজ করে থাকেন। প্রায় ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ব্রিটিশরা অনেক স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট রেললাইন তৈরি করেছেন। যার অনেক কিছুকেই যুগান্তকারী বলা যায়। পাকিস্তান যে এরকম কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেনি তা নয়। তাহলে আমরা ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের তাড়ালাম কেন। এই প্রশ্নের উত্তরে শত শত পৃষ্ঠা লিখতে হবে। ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশের কী ক্ষতি করেছে তা কেউ তথ্য-উপাত্তসহ জানতে চাইলে ভারতের রাজনীতিক ও লেখক শশী থারুরের লেখা এন ইরা অব ডার্কনেস বইটি পড়ে দেখতে পারেন। আজকের যে পাকিস্তান তার দিকে তাকালে বোঝা যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সামরিক শাসকরা মোল্লাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের কত বড় সর্বনাশ করেছেন। লাহোর ইসলামাবাদে গেলে উন্নয়নের ঝলকে আপনার চোখে ধাঁধা লেগে যাবে। এই পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা এখন শাসকদের কাছে আবেদন করছেন সুইডেন নয় আমাদের দেশকে বাংলাদেশের মতো করে দেন। সার্বভৌমত্ব বলতে পাকিস্তানের কিছু নেই। আমেরিকা জঙ্গি দমনের নামে পাকিস্তানের ভিতরে যখন তখন ড্রোন আক্রমণ চালায়। একবারও পাকিস্তানের কাউকে জিজ্ঞাসা করে না। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে একবার ওয়াশিংটন তো আরেকবার প্যারিস দৌড়াচ্ছেন। সামরিক শাসকদের উন্নয়নের চেহারা আর যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ওপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট। যাক সে সব, জাতীয় পার্টির কথায় ফিরে আসি। এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির কী হবে এটা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে। ভবিষ্যতে এ আলোচনা আরও জমে উঠবে। জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে এরশাদ নিজেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হিমশিম খেয়েছেন। দ্বন্দ্ব সামলাতে গিয়ে বছর দুই আগে এরশাদ একবার প্রকাশ্যে বলেছিলেন আই এম দ্য জাতীয় পার্টি। এ কথার বাস্তব রূপ দেখা গেছে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় আছে তাই এই মুহূর্তে দল হয়তো ভেঙে যাবে না। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্যারাডিস শিব এবং নতুন নতুন মেরুকরণের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি কেউ তার বর্তমান অবয়ব রক্ষা করতে পারবে বলে মনে হয় না। বিএনপির যেরকম লেজেগোবরে অবস্থা তাতে এটা প্রায় নিশ্চিত করে বলা যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান ধারার রাজনীতি ও নেতৃত্ব বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে না। তবে এর অনেকটাই নির্ভর করছে শাসক দল আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় বৃহত্তর জনগণের সন্তুষ্টি ও সমর্থন কতখানি অর্জন করতে পারছে তার ওপর। এখন এ কথা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অনৈক্য ও ব্যর্থতার ওপর ভর করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত জাতীয় পার্টি ক্ষমতা দখল ও তার বিস্তার ঘটিয়েছে নিজেদের নীতি আদর্শ বা অর্জনের ওপর ভিত্তি করে নয়। গত প্রায় ১০-১১ বছর বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ দর্শন চিন্তা চেতনা ও পথনির্দেশনার ওপর অটল রেখে বাংলাদেশকে আজ যে মর্যাদার আসনে শেখ হাসিনা অধিষ্ঠিত করেছেন তাতে বাংলাদেশের বৃহত্তর মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মগজে এই মর্মে বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে যে, ইতিমধ্যে উন্মোচিত অপার সম্ভাবনার বাস্তবায়ন চাইলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের দর্শন ও আদর্শের ওপর থাকতে হবে। সুতরাং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত এবং যারা আওয়ামী লীগ দল করতে পারবে না তারা অবশ্যই রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের বাইরে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করবেন। তখন সেটাই হবে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের অনুঘটক। এই উদ্যোগ কিছুটা সফল হলেই জাতীয় পার্টির বিক্ষুব্ধ অংশ হয়ে আওয়ামী লীগ আর নয় তো নতুন আবির্ভূত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সঙ্গে যোগ দিবে। তাতে ব্রাকেটের ভিতরে এরশাদের নাম সংবলিত দলের অবস্থা কী হয় তা দেখার জন্য সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে সব কথার শেষ কথা হলো সামরিক শাসকদের দল তার অবর্তমানে বিশ্বের কোথাও স্থায়ীভাবে টিকে থাকেনি।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
সর্বশেষ খবর
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

২৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত
রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন

৪৩ মিনিট আগে | শোবিজ

ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’

৪৯ মিনিট আগে | শোবিজ

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন
শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী
বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা
গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান
জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা
খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

৯ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা
গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

১৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ
স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব
ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন
রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের
আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল
এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল
প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ

সম্পাদকীয়

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা
৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর
রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ
রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা
ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা
নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ
সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন হাসপাতাল!
এ কেমন হাসপাতাল!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল
দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমের অন্ধকার অধ্যায়
গুমের অন্ধকার অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি
আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’
তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড
হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে
মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবি-জিনাত রেহানা
ভাবি-জিনাত রেহানা

শোবিজ

শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই
শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই

শোবিজ

বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে
বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!

পেছনের পৃষ্ঠা

এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি
এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি

নগর জীবন

এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার
এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার

নগর জীবন

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার
ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম

সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা