শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সড়ক পরিবহন আইন

যথেচ্ছতার লাগাম টেনে ধরবে

বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর হয়েছে গতকাল থেকে। সড়ক নৈরাজ্য থামাতে নতুন আইন অবদান রাখবে- এমনটিই আশা করা হচ্ছে। সভ্য সমাজের মানুষ হিসেবে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলতে আইনটি সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা। তবে সে ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নতুন আইনে সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা অন্য যে কোনো ধরনের আইন ভঙ্গে যানবাহনের চালক ও মালিকদের দায় বাড়ানো হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটলে দায়ী চালকের সর্বোচ্চ সাজা হবে পাঁচ বছর। এটি জামিন-অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। পুরনো আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল তিন বছর এবং তা ছিল জামিনযোগ্য অপরাধ। নতুন আইন কার্যকরের মাধ্যমে রহিত হয়েছে মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩। নতুন আইনে সড়কে নিয়ম ভঙ্গের সাজা কয়েক গুণ বেড়েছে। বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান ছিল, নতুন আইনে সর্বোচ্চ জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা এবং ছয় মাসের কারাদ-। ভুয়া লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনে গাড়ি চালানোর সাজা সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা বা দুই বছর জেল অথবা উভয় দ-। অধ্যাদেশে রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি চালানোর সাজা ছিল সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাস কারাদ-। ফিটনেসবিহীন গাড়ির ক্ষেত্রে একই পরিমাণ সাজা ভোগ করতে হতো। নতুন আইনে রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছয় মাস জেলের বিধান রয়েছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর সাজা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। আইনের অধিকাংশ ধারায় সর্বোচ্চ সাজার কথা বলা থাকলেও সর্বনিম্ন সাজার উল্লেখ নেই। বিধিমালার মাধ্যমে তা নির্ধারণ করা হবে। তবে তা সর্বোচ্চ নির্ধারিত জরিমানার চেয়ে বেশি হবে না। ইতিমধ্যে নতুন আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। বাংলাদেশ সড়ক নৈরাজ্যের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে যানবাহন মালিক, চালক, যাত্রী, পথচারী, ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বহীনতায়। নতুন আইনটি যথেচ্ছতার লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হলে তা হবে এক বড় অর্জন।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর