শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

নোয়াখালীর দুঃখ ঘুচুক

আমিনুল ইসলাম মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
নোয়াখালীর দুঃখ ঘুচুক

প্রকৃতির রুদ্ররোষে বারবার নিপতিত ভাগ্যবিড়ম্বিত এক দুঃখিনী জনপদের নাম ‘নোয়াখালী’। সুদূর অতীতকাল থেকে প্রমত্তা মেঘনার করাল গ্রাসে এ জনপদ বারবার ভেঙেছে, আবার গড়েছে; আবার ভেঙেছে আবার গড়েছে। ভাঙা-গড়ার এ নিত্য খেলা আজও বহমান। এ মুহূর্তে লক্ষ্মীপুর জেলার (সাবেক নোয়াখালী) রামগতি উপজেলাসহ নোয়াখালীর দক্ষিণে বিভিন্ন এলাকা মেঘনার তীব্র ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত। তবে সবচেয়ে বড় নদী ভাঙন শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনের শেষ প্রান্তে। বহু চেষ্টা-তদবির করেও যখন মেঘনার করাল গ্রাস থেকে নোয়াখালী জেলা সদরকে রক্ষা করা যায়নি তখন তড়িঘড়ি করে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান মাইজদী মৌজায় শহর স্থানান্তর করা হয়। বিলীন হয়ে যায় একসময়ের পূর্ববঙ্গের অন্যতম ব্যস্ত শহর-বন্দর-ব্যবসা কেন্দ্র; সাজানো-গোছানো এক অপরূপা জনপদ ‘শহর নোয়াখালী’। লোকমুখে শোনা যায়, নোয়াখালী পুরাতন শহরের সবচেয়ে বড় জামে মসজিদ ছিল শিল্প-কারুকার্যে সুশোভিত এক অপরূপ স্থাপনা। যেদিন জামে মসজিদ ভাঙে সেদিন হাজার হাজার মানুষের কান্নার রোল নাকি খোদ আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে তুলেছিল। মসজিদ স্থানান্তর করে মাইজদীতে বর্তমান স্থানে ছোট পরিসরে গড়ে তোলা হয়। হাজার হাজার ব্যবসায়ীর মধ্যে মাত্র কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ীকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে সিনেমা হল পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে পুনর্বাসিত করা হয়। বড় একটা দিঘি কেটে তার চারপাশে সরকারি অফিস-আদালত স্থাপন করা হয়। তদ্রুপ আরেকটি দিঘি খনন করে তার চারপাশে আইনজীবী/ব্যবসায়ী/শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার মধ্যে আইনজীবীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এটাকে ল-ইয়ার্স কলোনি বলা হয়। তখনো নোয়াখালী জেলার হেডকোয়ার্টার কোথায় হবে তা নির্ধারিত হয়নি। চৌমুহনীর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় একটি সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন করা হয় এবং মীরওয়ারিশপুর (ভোলাবাদশা) মৌজার বিপুল জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে ফেনীবাসীর দাবি ছিল জেলা সদর ফেনীতে হোক। এমনিভাবে প্রায় এক যুগ কেটে যাওয়ার পরে সম্ভবত ১৯৬২ সালে বড় মসজিদের সামনে ব্যারাক মাঠে এক বিরাট জনসভায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লে. জে. আজম খান জেলা সদর মাইজদীতে থাকবে বলে ঘোষণা দেন। কথিত আছে, ওই সভায় সে সময়কার নোয়াখালীর বিশিষ্ট আলেম মাওলানা নুরুল্লাহ বক্তৃতা করেন। তিনি একটি গজল পরিবেশন করেন এবং হৃদয়স্পর্শী এক মোনাজাত দেন, যা গভর্নর আজম খানকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছিল এবং তিনি সভাস্থলে বসেই মাইজদীতেই জেলা সদর স্থাপনের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাবার হাত ধরে আমিও সে সভায় উপস্থিত ছিলাম। সেই থেকেই পথচলা নতুন ‘শহর নোয়াখালী’ বা মাইজদীর। দিনে দিনে সরকারি স্থাপনা বাড়তে থাকে। স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে থাকে। স্বাধীনতার পর শহরের ব্যাপ্তি আরও বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ১৯৪০-৫০ সালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া জমি পুনরায় জেগে উঠতে থাকে। মানুষের বসতি শুরু হয়। সোনাপুর থেকে স্টিমারঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এখন এক সমৃদ্ধ-উর্বর জনপদ। এর ঢেউ শহরে লাগে, শহরের লোকসংখ্যাও দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু সেই যে ১৯৫০-এর এক রাস্তার শহর, সেই দুর্নাম থেকে আজও নোয়াখালী শহর মুক্তি পায়নি। ‘ঘুমোতে গেলে যাকে দেখি/রাত পোহালেই তাকেই দেখি’Ñ এ রকম একটি কথা নোয়াখালীতে প্রচলিত। আজও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণমুখী একটি মাত্র রাস্তায় প্রবেশ করে গোটা শহর ডিঙিয়ে একটি বাহনকে সোনাপুর যেতে ওই এক রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। তার ওপর রাস্তাটি সংকীর্ণ। একসময় যাত্রীবাহী বাস পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলত। কিন্তু কালের প্রবাহে এখন ঢাকা-নোয়াখালী, চট্টগ্রাম-নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী, কুমিল্লা-নোয়াখালীসহ সব রুটের বাসই শহরের বুক চিরে সোনাপুর পর্যন্ত যায়। ফলে দিন দিন যানজট বাড়ছে। জনদুর্ভোগ বাড়ছে। কিন্তু নতুন কোনো রাস্তা হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প’-এর অধীনে বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ১৩.৩৮ কিলোমিটার রাস্তাকে চার লেনে উন্নীত করার পদক্ষেপ নেয়। চার লেন সড়কের প্রস্থ হবে ৮৫ ফুট। মাঝখানে ৫ ফুট প্রশস্ত আইল্যান্ড থাকবে। প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয় ৯৬২ কোটি টাকা; যার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ৭৩০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ১ জুলাই, ২০১৭ থেকে ৩০ জুন, ২০২০- তিন বছর। কিন্তু হাতে মাত্র আট মাস থাকলেও প্রকল্পের অগ্রগতি খুবই মন্থর। এ পর্যন্ত মাত্র ৫৩ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প শেষ করতে হলে সমন্বিত জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।

বেগমগঞ্জ-সোনাপুর চার লেন সড়ক নির্মাণে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে নোয়াখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে কল্যাণ হাইস্কুল পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ নিয়ে; ১৯৪৮-৪৯ সালে যখন শহর পত্তন হয় তখন রাস্তার পশ্চিম পাশে যেসব ব্যবসায়ীকে জায়গা প্রদান করা হয়, গত প্রায় পৌনে এক শতাব্দী ধরে যারা এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে এবং দোকানের পেছনে বাসাবাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তাদের নিয়ে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য তাদের দোকানপাট ভাঙা হয়েছে। এখন তারা অনেকেই স্থায়ী স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এবারও যদি তাদের ওপর অধিগ্রহণ বা ভাঙনের খড়্গ নেমে আসে তা সহ্য করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণে খুবই বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘জমি অধিগ্রহণ করব, বাজারমূল্যের তিন গুণ টাকা বেশি দেব; অসুবিধা কোথায়’- এই মানসিকতা যেন কর্তৃপক্ষের কোনোভাবেই না হয়। এসব ব্যবসায়ী বড়ই হতভাগা। মেঘনার নদী ভাঙনের মতো বারবার তাদের ওপর ভাঙনের খড়্গ নেমে আসে। তাই এবার বিষয়টি খুবই মানবিক ও সুচিন্তাপ্রসূত দৃষ্টিতে দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার আগে নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি জমির সর্বশেষ ইঞ্চি ব্যবহার করার পরে জনগণের জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। নোয়াখালী শহরের ছেলে হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, যদি রাস্তার পুব দিকের খাল-নালা-ড্রেন চার লেনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে পশ্চিম দিকে অধিগ্রহণের চাপ কম পড়বে। প্রয়োজনে সরকারি সম্পত্তি থেকে ৫-৭ ফুট রাস্তার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। নোয়াখালী শহরে যে ড্রেন করা হয়েছে, সেই ড্রেনের পুব পাশেও নাকি সরকারি জমি রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ড্রেনের সংস্কার করে একেবারে পুব প্রান্ত পর্যন্ত ড্রেন সরিয়ে নিয়ে ড্রেনের পশ্চিম দিকের অংশ রাস্তার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অর্থ ব্যয় হবে, তবে অধিগ্রহণের অর্থের চেয়ে কম হবে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে জামে মসজিদের মোড় পর্যন্ত পুব পাশে যেসব দোকান রয়েছে তাকে প্রয়োজনে আরও পুব দিকে সরিয়ে নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। যদি প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ডাকঘর, গণপূর্ত কলোনি, গণপপূর্ত অফিস, পুরাতন ব্যারাকের জমিসহ পুব দিকের সরকারি সম্পত্তি থেকে কয়েক ফুট নেওয়া যেতে পারে এবং অধিগ্রহণের টাকায় সরকারি দেয়াল/স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, স্বল্প ও সীমিত পরিসরে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন খুবই জটিল। সবাইকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

অন্যদিকে ছাগলমারা খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছে। কিন্তু এখন শুনছি, এ খাল, যার অস্তিত্ব শহরের মধ্যে পৌরবাজার থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত (সড়কসংলগ্ন) মাত্র কয়েক শ গজ তা উন্মুুক্ত রাখা হবে। এটি হবে একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ উন্মুক্ত এ জলাশয় ছয় মাসেই একটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হবে। জলের প্রবাহ তো থাকবেই না বরং আবর্জনার দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হবে। তার চেয়ে এটিকে কাভার্ড ড্রেনে পরিণত করলে তা ফুটপাথ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি রিকশা/সাইকেলের জন্য আলাদা লেন হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে রাস্তার পশ্চিম পাশে অধিগ্রহণের পরিমাণও কমে যাবে। অন্যদিকে এই কয়েক শ গজ উন্মুুক্ত রাখা কোনোভাবেই নোয়াখালী শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখার গ্যারান্টি নয়। আসলে প্রাকৃতিক কারণেই নোয়াখালী শহরকে সম্পূর্ণরূপে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব নয়, এই কঠিন সত্য সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। কারণ ১৯৪০-৫০ সালে নদী ভাঙন শেষে পুনরায় যখন ভূমি জেগে ওঠে তা প্রকৃতির অবদান হিসেবে আরও উর্বর ও উঁচু হয়। সে হিসেবে নোয়াখালী শহর এখন একটি ‘ভাতের থালার’ মতো; যার চারদিক উঁচু, মাঝখানে নিচু। এ ক্ষেত্রে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন সমীক্ষা/প্রচেষ্টা/উদ্যোগ নেওয়া হয় কিন্তু সবই ব্যর্থ। এটা কিন্তু শুধু নোয়াখালী শহরের সমস্যাই নয়, গোটা বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ি-চাটখিল উপজেলাসহ কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাংশেরও সমস্যা। সবাই জলাবদ্ধতার শিকার। খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কার হচ্ছে ভালো কথা, এখন নেদারল্যান্ডসের সিডিএসপি/এলআরপির গবেষণালব্ধ রিপোর্ট অনুযায়ী ছাগলমারা খালকে ক্রমে ঢালু করে সোনাপুরের দক্ষিণে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে এক জায়গায় জমা করতে হবে। সেখান থেকে নিয়মিত (প্রয়োজন অনুযায়ী) পাম্প আউট করে পানি বাইরে ফেলে দিতে হবে। সংগত কারণেই ছাগলমারা খালের বকশী মিজির পোল (পৌর মার্কেট) থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত অংশ উন্মুক্ত রাখার যৌক্তিকতা নেই। বরং একে চওড়া কাভার্ড ড্রেন করে মাঝে মাঝে একটি স্লাব আলগা রাখা যেতে পারে, যাতে ড্রেনের মধ্যে জ্যাম হলে তা পরিষ্কার করা যায়। অন্যদিকে বকশী মিজির পুল থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত যদি কাভার্ড ড্রেন করা হয় তাহলে রাস্তার পশ্চিমের দোকানগুলো অনেকটাই অধিগ্রহণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। মনে রাখতে হবে, অধিগ্রহণের টাকা জনগণের টাকা। বাহুল্যব্যয় অবশ্যই পরিত্যাজ্য। অন্যদিকে মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত রাস্তাটি যথাসম্ভব সোজা রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া চার লেনের মাঝখানে ৫ ফুট প্রশস্ত ডিভাইডার বা আইল্যান্ড না করে সর্বোচ্চ ১ ফুট ভিত্তির ওপর ৫ ফুট খাড়া কংক্রিট ঢালাই দেয়াল নির্মাণ করা যেতে পারে, যেমনটি ঢাকা এয়ারপোর্ট রোডে আছে। এর ফলে অন্তত ৩-৪ ফুট রাস্তা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাইজদী বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনাপুর পর্যন্ত যদি কোনো স্থানে রাস্তার প্রশস্ততা ২/৪ ফুট কম হয় তাহলে তা মেনে নিয়ে রাস্তা নির্মাণ করাই শ্রেয়। এতে একদিকে অধিগ্রহণের টাকা বাঁচবে অন্যদিকে জনগণও ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। প্রকল্পপত্র কোনো বেদবাক্য নয় যে, জনকল্যাণে এবং জনস্বার্থে তা কিঞ্চিত পরিবর্তন/পরিমার্জন করা যাবে না। এটি হলে বাসস্ট্যান্ড থেকে মাইজদী জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার পুব দিকের দোকানপাটও রেহাই পাবে। এ কথা আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই রাস্তার সম্পূর্ণ অংশ ব্যবহৃত হয় না। স্থানভেদে ২০-৩০% অংশে যানবাহন চলে না। ফুটপাথে দোকানপাট-ঘুণ্টিঘর, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র বিভিন্ন মালামাল রাখা বাঙালির অভ্যাস। নোয়াখালীও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই বণিক সমিতি, সব পরিবহন সমিতি, পৌরসভা এবং সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন মিলে সর্বদলীয় কমিটি করে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, নোয়াখালী চার লেন সড়কে শহরের অংশে রাস্তা সম্পূর্ণ অবমুক্ত থাকবে। শহরের মধ্যে স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-ব্যবসা কেন্দ্র থাকায় মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত যানবাহনের গতিবেগ সীমিত থাকবে এবং কোনোভাবেই ট্রাফিক জ্যাম হতে দেওয়া যাবে না। এগুলো নিশ্চিত করা কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। প্রশাসন আন্তরিক হলেই তা সম্ভব।

তবে নোয়াখালী শহরে প্রবেশের আরও বিকল্প রাস্তার সন্ধান করতে হবে। রেললাইনের পাশ দিয়ে কোনো রাস্তা করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে নোয়াখালী পৌরসভা ভবন থেকে দক্ষিণমুখী বকশী মিজির পুল পর্যন্ত বিস্তৃত জলাশয়ের আংশিক ভরাট করে রাস্তা/মার্কেট করা যেতে পারে। এমনিতেই অভিযোগ শোনা যায়, শহরের প্রধান রাস্তার পশ্চিম পাশের দোকানদাররা বরাদ্দকৃত ৬০-৬৫ ফুটের অধিক জায়গা দখল করে আছেন। সরকারকে অবশ্যই বরাদ্দবহির্ভূত জায়গা নিজ দখলে নিতে হবে। এ জায়গা যা বর্তমানে জলাশয়, তাকে একটি নান্দনিক রূপ দেওয়া যায়। উত্তর-দক্ষিণে একটি সুন্দর জলাধার তৈরি করা যায়। এ ছাড়া একটি চওড়া রাস্তা করা যায় এবং এক পাশে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পুনর্বাসন করা যায়। সরকারি আবাসিক এলাকায় পুব পাশের রাস্তাসহ প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশের দোকানদারদের বরাদ্দকৃত জায়গায় পরে যা থাকবে তা এবং বর্তমান জলাশয়টি পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে শহরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে। বেদখলকৃত সব স্থাপনা ভেঙে দিয়ে সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন।

পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, বহু সাধনার ফল এই চার লেন সড়ক। কোনোভাবেই এটি নির্মাণের মান নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে আপস করা চলবে না। ঠিকাদারদের নির্বিঘ্নে কাজের সুযোগ দিতে হবে। যে দেশে ফুটপাথে পান দোকান করতে চাঁদা দিতে হয়, যে দেশে বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংগঠনের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়, সে দেশে ৯৬২ কোটি টাকার কাজে কী হালহকিকত তা আল্লাহ ভালো জানেন। ১০%-৫% বা নগদ-বাকির কোনো হিসাব-নিকাশ নেই তো? তবে সরকার এখন দুর্নীতি-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে- এ কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সরকারপ্রধানের মনোভাব পরিপূর্ণভাবে অনুধাবন করতে পারবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে। শেষ করার আগে চার লেন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানাই, এই অভাগা জনপদে চার লেন আশার আলো সঞ্চার করেছে। শহর বড় হবে, দক্ষিণে সেনানিবাস হয়েছে, বিমানবন্দর হবে, হয়তো একদিন সমুদ্রবন্দরও হবেÑ এ আশায় নোয়াখালীবাসী বুক বাঁধছে। তাই চার লেন নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। একান্ত প্রয়োজন না হলে জমি অধিগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তদুপরি এ ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ‘মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষতি না করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে মানুষের ক্ষতি করা চলবে না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো উন্নয়ন নয়।’ যদিও একশ্রেণির সরকারি-বেসরকারি লোকজনের অধিগ্রহণের প্রতি ঝোঁক বেশি। ভারতবর্ষের ইতিহাস বলে, অধিগ্রহণের টাকা মূল ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে কখনোই সঠিকভাবে পৌঁছায় না। নানা দালাল চক্র এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে অধিগ্রহণের টাকার পরিমাণ যতই হোক না কেন, বাস্তুহারা ব্যক্তির কাছে সম্পদ হারানো সন্তান হারানোর মতোই বেদনাদায়ক ও কষ্টকর। এ দিকটি কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিলেই নোয়াখালীবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে।

                লেখক : সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরও খবর
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
সর্বশেষ খবর
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত
রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন

৩২ মিনিট আগে | শোবিজ

ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন
শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী
বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা
গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান
জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা
খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

৮ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা
গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ
ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ
স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব
ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন
রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের
আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল
এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল
প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অর্থবছরের প্রথম দিনেই মোংলা বন্দরে একসঙ্গে ৪ বিদেশি জাহাজ
অর্থবছরের প্রথম দিনেই মোংলা বন্দরে একসঙ্গে ৪ বিদেশি জাহাজ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ

সম্পাদকীয়

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা
৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর
রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ
রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা
ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ
সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা
নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন হাসপাতাল!
এ কেমন হাসপাতাল!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল
দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমের অন্ধকার অধ্যায়
গুমের অন্ধকার অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি
আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’
তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড
হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে
মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবি-জিনাত রেহানা
ভাবি-জিনাত রেহানা

শোবিজ

শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই
শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই

শোবিজ

বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে
বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!

পেছনের পৃষ্ঠা

এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি
এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি

নগর জীবন

এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার
এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার

নগর জীবন

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার
ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম

আশুগঞ্জ মোকামে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম
আশুগঞ্জ মোকামে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম

দেশগ্রাম