শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

নোয়াখালীর দুঃখ ঘুচুক

আমিনুল ইসলাম মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
নোয়াখালীর দুঃখ ঘুচুক

প্রকৃতির রুদ্ররোষে বারবার নিপতিত ভাগ্যবিড়ম্বিত এক দুঃখিনী জনপদের নাম ‘নোয়াখালী’। সুদূর অতীতকাল থেকে প্রমত্তা মেঘনার করাল গ্রাসে এ জনপদ বারবার ভেঙেছে, আবার গড়েছে; আবার ভেঙেছে আবার গড়েছে। ভাঙা-গড়ার এ নিত্য খেলা আজও বহমান। এ মুহূর্তে লক্ষ্মীপুর জেলার (সাবেক নোয়াখালী) রামগতি উপজেলাসহ নোয়াখালীর দক্ষিণে বিভিন্ন এলাকা মেঘনার তীব্র ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত। তবে সবচেয়ে বড় নদী ভাঙন শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনের শেষ প্রান্তে। বহু চেষ্টা-তদবির করেও যখন মেঘনার করাল গ্রাস থেকে নোয়াখালী জেলা সদরকে রক্ষা করা যায়নি তখন তড়িঘড়ি করে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান মাইজদী মৌজায় শহর স্থানান্তর করা হয়। বিলীন হয়ে যায় একসময়ের পূর্ববঙ্গের অন্যতম ব্যস্ত শহর-বন্দর-ব্যবসা কেন্দ্র; সাজানো-গোছানো এক অপরূপা জনপদ ‘শহর নোয়াখালী’। লোকমুখে শোনা যায়, নোয়াখালী পুরাতন শহরের সবচেয়ে বড় জামে মসজিদ ছিল শিল্প-কারুকার্যে সুশোভিত এক অপরূপ স্থাপনা। যেদিন জামে মসজিদ ভাঙে সেদিন হাজার হাজার মানুষের কান্নার রোল নাকি খোদ আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে তুলেছিল। মসজিদ স্থানান্তর করে মাইজদীতে বর্তমান স্থানে ছোট পরিসরে গড়ে তোলা হয়। হাজার হাজার ব্যবসায়ীর মধ্যে মাত্র কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ীকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে সিনেমা হল পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে পুনর্বাসিত করা হয়। বড় একটা দিঘি কেটে তার চারপাশে সরকারি অফিস-আদালত স্থাপন করা হয়। তদ্রুপ আরেকটি দিঘি খনন করে তার চারপাশে আইনজীবী/ব্যবসায়ী/শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার মধ্যে আইনজীবীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এটাকে ল-ইয়ার্স কলোনি বলা হয়। তখনো নোয়াখালী জেলার হেডকোয়ার্টার কোথায় হবে তা নির্ধারিত হয়নি। চৌমুহনীর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় একটি সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন করা হয় এবং মীরওয়ারিশপুর (ভোলাবাদশা) মৌজার বিপুল জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে ফেনীবাসীর দাবি ছিল জেলা সদর ফেনীতে হোক। এমনিভাবে প্রায় এক যুগ কেটে যাওয়ার পরে সম্ভবত ১৯৬২ সালে বড় মসজিদের সামনে ব্যারাক মাঠে এক বিরাট জনসভায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লে. জে. আজম খান জেলা সদর মাইজদীতে থাকবে বলে ঘোষণা দেন। কথিত আছে, ওই সভায় সে সময়কার নোয়াখালীর বিশিষ্ট আলেম মাওলানা নুরুল্লাহ বক্তৃতা করেন। তিনি একটি গজল পরিবেশন করেন এবং হৃদয়স্পর্শী এক মোনাজাত দেন, যা গভর্নর আজম খানকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছিল এবং তিনি সভাস্থলে বসেই মাইজদীতেই জেলা সদর স্থাপনের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাবার হাত ধরে আমিও সে সভায় উপস্থিত ছিলাম। সেই থেকেই পথচলা নতুন ‘শহর নোয়াখালী’ বা মাইজদীর। দিনে দিনে সরকারি স্থাপনা বাড়তে থাকে। স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে থাকে। স্বাধীনতার পর শহরের ব্যাপ্তি আরও বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ১৯৪০-৫০ সালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া জমি পুনরায় জেগে উঠতে থাকে। মানুষের বসতি শুরু হয়। সোনাপুর থেকে স্টিমারঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এখন এক সমৃদ্ধ-উর্বর জনপদ। এর ঢেউ শহরে লাগে, শহরের লোকসংখ্যাও দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু সেই যে ১৯৫০-এর এক রাস্তার শহর, সেই দুর্নাম থেকে আজও নোয়াখালী শহর মুক্তি পায়নি। ‘ঘুমোতে গেলে যাকে দেখি/রাত পোহালেই তাকেই দেখি’Ñ এ রকম একটি কথা নোয়াখালীতে প্রচলিত। আজও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণমুখী একটি মাত্র রাস্তায় প্রবেশ করে গোটা শহর ডিঙিয়ে একটি বাহনকে সোনাপুর যেতে ওই এক রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। তার ওপর রাস্তাটি সংকীর্ণ। একসময় যাত্রীবাহী বাস পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলত। কিন্তু কালের প্রবাহে এখন ঢাকা-নোয়াখালী, চট্টগ্রাম-নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী, কুমিল্লা-নোয়াখালীসহ সব রুটের বাসই শহরের বুক চিরে সোনাপুর পর্যন্ত যায়। ফলে দিন দিন যানজট বাড়ছে। জনদুর্ভোগ বাড়ছে। কিন্তু নতুন কোনো রাস্তা হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প’-এর অধীনে বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ১৩.৩৮ কিলোমিটার রাস্তাকে চার লেনে উন্নীত করার পদক্ষেপ নেয়। চার লেন সড়কের প্রস্থ হবে ৮৫ ফুট। মাঝখানে ৫ ফুট প্রশস্ত আইল্যান্ড থাকবে। প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয় ৯৬২ কোটি টাকা; যার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ৭৩০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ১ জুলাই, ২০১৭ থেকে ৩০ জুন, ২০২০- তিন বছর। কিন্তু হাতে মাত্র আট মাস থাকলেও প্রকল্পের অগ্রগতি খুবই মন্থর। এ পর্যন্ত মাত্র ৫৩ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প শেষ করতে হলে সমন্বিত জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।

বেগমগঞ্জ-সোনাপুর চার লেন সড়ক নির্মাণে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে নোয়াখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে কল্যাণ হাইস্কুল পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ নিয়ে; ১৯৪৮-৪৯ সালে যখন শহর পত্তন হয় তখন রাস্তার পশ্চিম পাশে যেসব ব্যবসায়ীকে জায়গা প্রদান করা হয়, গত প্রায় পৌনে এক শতাব্দী ধরে যারা এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে এবং দোকানের পেছনে বাসাবাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তাদের নিয়ে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য তাদের দোকানপাট ভাঙা হয়েছে। এখন তারা অনেকেই স্থায়ী স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এবারও যদি তাদের ওপর অধিগ্রহণ বা ভাঙনের খড়্গ নেমে আসে তা সহ্য করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণে খুবই বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘জমি অধিগ্রহণ করব, বাজারমূল্যের তিন গুণ টাকা বেশি দেব; অসুবিধা কোথায়’- এই মানসিকতা যেন কর্তৃপক্ষের কোনোভাবেই না হয়। এসব ব্যবসায়ী বড়ই হতভাগা। মেঘনার নদী ভাঙনের মতো বারবার তাদের ওপর ভাঙনের খড়্গ নেমে আসে। তাই এবার বিষয়টি খুবই মানবিক ও সুচিন্তাপ্রসূত দৃষ্টিতে দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার আগে নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি জমির সর্বশেষ ইঞ্চি ব্যবহার করার পরে জনগণের জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। নোয়াখালী শহরের ছেলে হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, যদি রাস্তার পুব দিকের খাল-নালা-ড্রেন চার লেনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে পশ্চিম দিকে অধিগ্রহণের চাপ কম পড়বে। প্রয়োজনে সরকারি সম্পত্তি থেকে ৫-৭ ফুট রাস্তার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। নোয়াখালী শহরে যে ড্রেন করা হয়েছে, সেই ড্রেনের পুব পাশেও নাকি সরকারি জমি রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ড্রেনের সংস্কার করে একেবারে পুব প্রান্ত পর্যন্ত ড্রেন সরিয়ে নিয়ে ড্রেনের পশ্চিম দিকের অংশ রাস্তার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অর্থ ব্যয় হবে, তবে অধিগ্রহণের অর্থের চেয়ে কম হবে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে জামে মসজিদের মোড় পর্যন্ত পুব পাশে যেসব দোকান রয়েছে তাকে প্রয়োজনে আরও পুব দিকে সরিয়ে নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। যদি প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ডাকঘর, গণপূর্ত কলোনি, গণপপূর্ত অফিস, পুরাতন ব্যারাকের জমিসহ পুব দিকের সরকারি সম্পত্তি থেকে কয়েক ফুট নেওয়া যেতে পারে এবং অধিগ্রহণের টাকায় সরকারি দেয়াল/স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, স্বল্প ও সীমিত পরিসরে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন খুবই জটিল। সবাইকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

অন্যদিকে ছাগলমারা খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছে। কিন্তু এখন শুনছি, এ খাল, যার অস্তিত্ব শহরের মধ্যে পৌরবাজার থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত (সড়কসংলগ্ন) মাত্র কয়েক শ গজ তা উন্মুুক্ত রাখা হবে। এটি হবে একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ উন্মুক্ত এ জলাশয় ছয় মাসেই একটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হবে। জলের প্রবাহ তো থাকবেই না বরং আবর্জনার দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হবে। তার চেয়ে এটিকে কাভার্ড ড্রেনে পরিণত করলে তা ফুটপাথ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি রিকশা/সাইকেলের জন্য আলাদা লেন হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে রাস্তার পশ্চিম পাশে অধিগ্রহণের পরিমাণও কমে যাবে। অন্যদিকে এই কয়েক শ গজ উন্মুুক্ত রাখা কোনোভাবেই নোয়াখালী শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখার গ্যারান্টি নয়। আসলে প্রাকৃতিক কারণেই নোয়াখালী শহরকে সম্পূর্ণরূপে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব নয়, এই কঠিন সত্য সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। কারণ ১৯৪০-৫০ সালে নদী ভাঙন শেষে পুনরায় যখন ভূমি জেগে ওঠে তা প্রকৃতির অবদান হিসেবে আরও উর্বর ও উঁচু হয়। সে হিসেবে নোয়াখালী শহর এখন একটি ‘ভাতের থালার’ মতো; যার চারদিক উঁচু, মাঝখানে নিচু। এ ক্ষেত্রে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন সমীক্ষা/প্রচেষ্টা/উদ্যোগ নেওয়া হয় কিন্তু সবই ব্যর্থ। এটা কিন্তু শুধু নোয়াখালী শহরের সমস্যাই নয়, গোটা বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ি-চাটখিল উপজেলাসহ কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাংশেরও সমস্যা। সবাই জলাবদ্ধতার শিকার। খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কার হচ্ছে ভালো কথা, এখন নেদারল্যান্ডসের সিডিএসপি/এলআরপির গবেষণালব্ধ রিপোর্ট অনুযায়ী ছাগলমারা খালকে ক্রমে ঢালু করে সোনাপুরের দক্ষিণে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে এক জায়গায় জমা করতে হবে। সেখান থেকে নিয়মিত (প্রয়োজন অনুযায়ী) পাম্প আউট করে পানি বাইরে ফেলে দিতে হবে। সংগত কারণেই ছাগলমারা খালের বকশী মিজির পোল (পৌর মার্কেট) থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত অংশ উন্মুক্ত রাখার যৌক্তিকতা নেই। বরং একে চওড়া কাভার্ড ড্রেন করে মাঝে মাঝে একটি স্লাব আলগা রাখা যেতে পারে, যাতে ড্রেনের মধ্যে জ্যাম হলে তা পরিষ্কার করা যায়। অন্যদিকে বকশী মিজির পুল থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত যদি কাভার্ড ড্রেন করা হয় তাহলে রাস্তার পশ্চিমের দোকানগুলো অনেকটাই অধিগ্রহণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। মনে রাখতে হবে, অধিগ্রহণের টাকা জনগণের টাকা। বাহুল্যব্যয় অবশ্যই পরিত্যাজ্য। অন্যদিকে মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত রাস্তাটি যথাসম্ভব সোজা রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া চার লেনের মাঝখানে ৫ ফুট প্রশস্ত ডিভাইডার বা আইল্যান্ড না করে সর্বোচ্চ ১ ফুট ভিত্তির ওপর ৫ ফুট খাড়া কংক্রিট ঢালাই দেয়াল নির্মাণ করা যেতে পারে, যেমনটি ঢাকা এয়ারপোর্ট রোডে আছে। এর ফলে অন্তত ৩-৪ ফুট রাস্তা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাইজদী বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনাপুর পর্যন্ত যদি কোনো স্থানে রাস্তার প্রশস্ততা ২/৪ ফুট কম হয় তাহলে তা মেনে নিয়ে রাস্তা নির্মাণ করাই শ্রেয়। এতে একদিকে অধিগ্রহণের টাকা বাঁচবে অন্যদিকে জনগণও ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। প্রকল্পপত্র কোনো বেদবাক্য নয় যে, জনকল্যাণে এবং জনস্বার্থে তা কিঞ্চিত পরিবর্তন/পরিমার্জন করা যাবে না। এটি হলে বাসস্ট্যান্ড থেকে মাইজদী জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার পুব দিকের দোকানপাটও রেহাই পাবে। এ কথা আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই রাস্তার সম্পূর্ণ অংশ ব্যবহৃত হয় না। স্থানভেদে ২০-৩০% অংশে যানবাহন চলে না। ফুটপাথে দোকানপাট-ঘুণ্টিঘর, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র বিভিন্ন মালামাল রাখা বাঙালির অভ্যাস। নোয়াখালীও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই বণিক সমিতি, সব পরিবহন সমিতি, পৌরসভা এবং সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন মিলে সর্বদলীয় কমিটি করে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, নোয়াখালী চার লেন সড়কে শহরের অংশে রাস্তা সম্পূর্ণ অবমুক্ত থাকবে। শহরের মধ্যে স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-ব্যবসা কেন্দ্র থাকায় মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত যানবাহনের গতিবেগ সীমিত থাকবে এবং কোনোভাবেই ট্রাফিক জ্যাম হতে দেওয়া যাবে না। এগুলো নিশ্চিত করা কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। প্রশাসন আন্তরিক হলেই তা সম্ভব।

তবে নোয়াখালী শহরে প্রবেশের আরও বিকল্প রাস্তার সন্ধান করতে হবে। রেললাইনের পাশ দিয়ে কোনো রাস্তা করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে নোয়াখালী পৌরসভা ভবন থেকে দক্ষিণমুখী বকশী মিজির পুল পর্যন্ত বিস্তৃত জলাশয়ের আংশিক ভরাট করে রাস্তা/মার্কেট করা যেতে পারে। এমনিতেই অভিযোগ শোনা যায়, শহরের প্রধান রাস্তার পশ্চিম পাশের দোকানদাররা বরাদ্দকৃত ৬০-৬৫ ফুটের অধিক জায়গা দখল করে আছেন। সরকারকে অবশ্যই বরাদ্দবহির্ভূত জায়গা নিজ দখলে নিতে হবে। এ জায়গা যা বর্তমানে জলাশয়, তাকে একটি নান্দনিক রূপ দেওয়া যায়। উত্তর-দক্ষিণে একটি সুন্দর জলাধার তৈরি করা যায়। এ ছাড়া একটি চওড়া রাস্তা করা যায় এবং এক পাশে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পুনর্বাসন করা যায়। সরকারি আবাসিক এলাকায় পুব পাশের রাস্তাসহ প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশের দোকানদারদের বরাদ্দকৃত জায়গায় পরে যা থাকবে তা এবং বর্তমান জলাশয়টি পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে শহরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে। বেদখলকৃত সব স্থাপনা ভেঙে দিয়ে সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন।

পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, বহু সাধনার ফল এই চার লেন সড়ক। কোনোভাবেই এটি নির্মাণের মান নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে আপস করা চলবে না। ঠিকাদারদের নির্বিঘ্নে কাজের সুযোগ দিতে হবে। যে দেশে ফুটপাথে পান দোকান করতে চাঁদা দিতে হয়, যে দেশে বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংগঠনের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়, সে দেশে ৯৬২ কোটি টাকার কাজে কী হালহকিকত তা আল্লাহ ভালো জানেন। ১০%-৫% বা নগদ-বাকির কোনো হিসাব-নিকাশ নেই তো? তবে সরকার এখন দুর্নীতি-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে- এ কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সরকারপ্রধানের মনোভাব পরিপূর্ণভাবে অনুধাবন করতে পারবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে। শেষ করার আগে চার লেন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানাই, এই অভাগা জনপদে চার লেন আশার আলো সঞ্চার করেছে। শহর বড় হবে, দক্ষিণে সেনানিবাস হয়েছে, বিমানবন্দর হবে, হয়তো একদিন সমুদ্রবন্দরও হবেÑ এ আশায় নোয়াখালীবাসী বুক বাঁধছে। তাই চার লেন নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। একান্ত প্রয়োজন না হলে জমি অধিগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তদুপরি এ ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ‘মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষতি না করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে মানুষের ক্ষতি করা চলবে না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো উন্নয়ন নয়।’ যদিও একশ্রেণির সরকারি-বেসরকারি লোকজনের অধিগ্রহণের প্রতি ঝোঁক বেশি। ভারতবর্ষের ইতিহাস বলে, অধিগ্রহণের টাকা মূল ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে কখনোই সঠিকভাবে পৌঁছায় না। নানা দালাল চক্র এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে অধিগ্রহণের টাকার পরিমাণ যতই হোক না কেন, বাস্তুহারা ব্যক্তির কাছে সম্পদ হারানো সন্তান হারানোর মতোই বেদনাদায়ক ও কষ্টকর। এ দিকটি কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিলেই নোয়াখালীবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে।

                লেখক : সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

টেলিকম খাত পুনর্গঠনে গেজেট প্রকাশ, মধ্যস্বত্বভোগী লাইসেন্স বাতিল
টেলিকম খাত পুনর্গঠনে গেজেট প্রকাশ, মধ্যস্বত্বভোগী লাইসেন্স বাতিল

১৫ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

এবার ঘরের মাঠে নটিংহ্যামের কাছে বিধ্বস্ত লিভারপুল
এবার ঘরের মাঠে নটিংহ্যামের কাছে বিধ্বস্ত লিভারপুল

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৫৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ২৪
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ২৪

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাতে নফল নামাজের আয়োজন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাতে নফল নামাজের আয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব
সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন
রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল
ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা