শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

নোয়াখালীর দুঃখ ঘুচুক

আমিনুল ইসলাম মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
নোয়াখালীর দুঃখ ঘুচুক

প্রকৃতির রুদ্ররোষে বারবার নিপতিত ভাগ্যবিড়ম্বিত এক দুঃখিনী জনপদের নাম ‘নোয়াখালী’। সুদূর অতীতকাল থেকে প্রমত্তা মেঘনার করাল গ্রাসে এ জনপদ বারবার ভেঙেছে, আবার গড়েছে; আবার ভেঙেছে আবার গড়েছে। ভাঙা-গড়ার এ নিত্য খেলা আজও বহমান। এ মুহূর্তে লক্ষ্মীপুর জেলার (সাবেক নোয়াখালী) রামগতি উপজেলাসহ নোয়াখালীর দক্ষিণে বিভিন্ন এলাকা মেঘনার তীব্র ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত। তবে সবচেয়ে বড় নদী ভাঙন শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনের শেষ প্রান্তে। বহু চেষ্টা-তদবির করেও যখন মেঘনার করাল গ্রাস থেকে নোয়াখালী জেলা সদরকে রক্ষা করা যায়নি তখন তড়িঘড়ি করে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান মাইজদী মৌজায় শহর স্থানান্তর করা হয়। বিলীন হয়ে যায় একসময়ের পূর্ববঙ্গের অন্যতম ব্যস্ত শহর-বন্দর-ব্যবসা কেন্দ্র; সাজানো-গোছানো এক অপরূপা জনপদ ‘শহর নোয়াখালী’। লোকমুখে শোনা যায়, নোয়াখালী পুরাতন শহরের সবচেয়ে বড় জামে মসজিদ ছিল শিল্প-কারুকার্যে সুশোভিত এক অপরূপ স্থাপনা। যেদিন জামে মসজিদ ভাঙে সেদিন হাজার হাজার মানুষের কান্নার রোল নাকি খোদ আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে তুলেছিল। মসজিদ স্থানান্তর করে মাইজদীতে বর্তমান স্থানে ছোট পরিসরে গড়ে তোলা হয়। হাজার হাজার ব্যবসায়ীর মধ্যে মাত্র কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ীকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে সিনেমা হল পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে পুনর্বাসিত করা হয়। বড় একটা দিঘি কেটে তার চারপাশে সরকারি অফিস-আদালত স্থাপন করা হয়। তদ্রুপ আরেকটি দিঘি খনন করে তার চারপাশে আইনজীবী/ব্যবসায়ী/শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার মধ্যে আইনজীবীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এটাকে ল-ইয়ার্স কলোনি বলা হয়। তখনো নোয়াখালী জেলার হেডকোয়ার্টার কোথায় হবে তা নির্ধারিত হয়নি। চৌমুহনীর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় একটি সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন করা হয় এবং মীরওয়ারিশপুর (ভোলাবাদশা) মৌজার বিপুল জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে ফেনীবাসীর দাবি ছিল জেলা সদর ফেনীতে হোক। এমনিভাবে প্রায় এক যুগ কেটে যাওয়ার পরে সম্ভবত ১৯৬২ সালে বড় মসজিদের সামনে ব্যারাক মাঠে এক বিরাট জনসভায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লে. জে. আজম খান জেলা সদর মাইজদীতে থাকবে বলে ঘোষণা দেন। কথিত আছে, ওই সভায় সে সময়কার নোয়াখালীর বিশিষ্ট আলেম মাওলানা নুরুল্লাহ বক্তৃতা করেন। তিনি একটি গজল পরিবেশন করেন এবং হৃদয়স্পর্শী এক মোনাজাত দেন, যা গভর্নর আজম খানকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছিল এবং তিনি সভাস্থলে বসেই মাইজদীতেই জেলা সদর স্থাপনের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাবার হাত ধরে আমিও সে সভায় উপস্থিত ছিলাম। সেই থেকেই পথচলা নতুন ‘শহর নোয়াখালী’ বা মাইজদীর। দিনে দিনে সরকারি স্থাপনা বাড়তে থাকে। স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে থাকে। স্বাধীনতার পর শহরের ব্যাপ্তি আরও বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ১৯৪০-৫০ সালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া জমি পুনরায় জেগে উঠতে থাকে। মানুষের বসতি শুরু হয়। সোনাপুর থেকে স্টিমারঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এখন এক সমৃদ্ধ-উর্বর জনপদ। এর ঢেউ শহরে লাগে, শহরের লোকসংখ্যাও দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু সেই যে ১৯৫০-এর এক রাস্তার শহর, সেই দুর্নাম থেকে আজও নোয়াখালী শহর মুক্তি পায়নি। ‘ঘুমোতে গেলে যাকে দেখি/রাত পোহালেই তাকেই দেখি’Ñ এ রকম একটি কথা নোয়াখালীতে প্রচলিত। আজও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণমুখী একটি মাত্র রাস্তায় প্রবেশ করে গোটা শহর ডিঙিয়ে একটি বাহনকে সোনাপুর যেতে ওই এক রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। তার ওপর রাস্তাটি সংকীর্ণ। একসময় যাত্রীবাহী বাস পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলত। কিন্তু কালের প্রবাহে এখন ঢাকা-নোয়াখালী, চট্টগ্রাম-নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী, কুমিল্লা-নোয়াখালীসহ সব রুটের বাসই শহরের বুক চিরে সোনাপুর পর্যন্ত যায়। ফলে দিন দিন যানজট বাড়ছে। জনদুর্ভোগ বাড়ছে। কিন্তু নতুন কোনো রাস্তা হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প’-এর অধীনে বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ১৩.৩৮ কিলোমিটার রাস্তাকে চার লেনে উন্নীত করার পদক্ষেপ নেয়। চার লেন সড়কের প্রস্থ হবে ৮৫ ফুট। মাঝখানে ৫ ফুট প্রশস্ত আইল্যান্ড থাকবে। প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয় ৯৬২ কোটি টাকা; যার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ৭৩০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ১ জুলাই, ২০১৭ থেকে ৩০ জুন, ২০২০- তিন বছর। কিন্তু হাতে মাত্র আট মাস থাকলেও প্রকল্পের অগ্রগতি খুবই মন্থর। এ পর্যন্ত মাত্র ৫৩ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প শেষ করতে হলে সমন্বিত জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।

বেগমগঞ্জ-সোনাপুর চার লেন সড়ক নির্মাণে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে নোয়াখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে কল্যাণ হাইস্কুল পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ নিয়ে; ১৯৪৮-৪৯ সালে যখন শহর পত্তন হয় তখন রাস্তার পশ্চিম পাশে যেসব ব্যবসায়ীকে জায়গা প্রদান করা হয়, গত প্রায় পৌনে এক শতাব্দী ধরে যারা এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে এবং দোকানের পেছনে বাসাবাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তাদের নিয়ে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য তাদের দোকানপাট ভাঙা হয়েছে। এখন তারা অনেকেই স্থায়ী স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এবারও যদি তাদের ওপর অধিগ্রহণ বা ভাঙনের খড়্গ নেমে আসে তা সহ্য করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণে খুবই বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘জমি অধিগ্রহণ করব, বাজারমূল্যের তিন গুণ টাকা বেশি দেব; অসুবিধা কোথায়’- এই মানসিকতা যেন কর্তৃপক্ষের কোনোভাবেই না হয়। এসব ব্যবসায়ী বড়ই হতভাগা। মেঘনার নদী ভাঙনের মতো বারবার তাদের ওপর ভাঙনের খড়্গ নেমে আসে। তাই এবার বিষয়টি খুবই মানবিক ও সুচিন্তাপ্রসূত দৃষ্টিতে দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার আগে নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি জমির সর্বশেষ ইঞ্চি ব্যবহার করার পরে জনগণের জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। নোয়াখালী শহরের ছেলে হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, যদি রাস্তার পুব দিকের খাল-নালা-ড্রেন চার লেনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে পশ্চিম দিকে অধিগ্রহণের চাপ কম পড়বে। প্রয়োজনে সরকারি সম্পত্তি থেকে ৫-৭ ফুট রাস্তার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। নোয়াখালী শহরে যে ড্রেন করা হয়েছে, সেই ড্রেনের পুব পাশেও নাকি সরকারি জমি রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ড্রেনের সংস্কার করে একেবারে পুব প্রান্ত পর্যন্ত ড্রেন সরিয়ে নিয়ে ড্রেনের পশ্চিম দিকের অংশ রাস্তার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অর্থ ব্যয় হবে, তবে অধিগ্রহণের অর্থের চেয়ে কম হবে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে জামে মসজিদের মোড় পর্যন্ত পুব পাশে যেসব দোকান রয়েছে তাকে প্রয়োজনে আরও পুব দিকে সরিয়ে নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। যদি প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ডাকঘর, গণপূর্ত কলোনি, গণপপূর্ত অফিস, পুরাতন ব্যারাকের জমিসহ পুব দিকের সরকারি সম্পত্তি থেকে কয়েক ফুট নেওয়া যেতে পারে এবং অধিগ্রহণের টাকায় সরকারি দেয়াল/স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, স্বল্প ও সীমিত পরিসরে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন খুবই জটিল। সবাইকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

অন্যদিকে ছাগলমারা খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছে। কিন্তু এখন শুনছি, এ খাল, যার অস্তিত্ব শহরের মধ্যে পৌরবাজার থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত (সড়কসংলগ্ন) মাত্র কয়েক শ গজ তা উন্মুুক্ত রাখা হবে। এটি হবে একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ উন্মুক্ত এ জলাশয় ছয় মাসেই একটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হবে। জলের প্রবাহ তো থাকবেই না বরং আবর্জনার দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হবে। তার চেয়ে এটিকে কাভার্ড ড্রেনে পরিণত করলে তা ফুটপাথ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি রিকশা/সাইকেলের জন্য আলাদা লেন হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে রাস্তার পশ্চিম পাশে অধিগ্রহণের পরিমাণও কমে যাবে। অন্যদিকে এই কয়েক শ গজ উন্মুুক্ত রাখা কোনোভাবেই নোয়াখালী শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখার গ্যারান্টি নয়। আসলে প্রাকৃতিক কারণেই নোয়াখালী শহরকে সম্পূর্ণরূপে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব নয়, এই কঠিন সত্য সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। কারণ ১৯৪০-৫০ সালে নদী ভাঙন শেষে পুনরায় যখন ভূমি জেগে ওঠে তা প্রকৃতির অবদান হিসেবে আরও উর্বর ও উঁচু হয়। সে হিসেবে নোয়াখালী শহর এখন একটি ‘ভাতের থালার’ মতো; যার চারদিক উঁচু, মাঝখানে নিচু। এ ক্ষেত্রে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন সমীক্ষা/প্রচেষ্টা/উদ্যোগ নেওয়া হয় কিন্তু সবই ব্যর্থ। এটা কিন্তু শুধু নোয়াখালী শহরের সমস্যাই নয়, গোটা বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ি-চাটখিল উপজেলাসহ কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাংশেরও সমস্যা। সবাই জলাবদ্ধতার শিকার। খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কার হচ্ছে ভালো কথা, এখন নেদারল্যান্ডসের সিডিএসপি/এলআরপির গবেষণালব্ধ রিপোর্ট অনুযায়ী ছাগলমারা খালকে ক্রমে ঢালু করে সোনাপুরের দক্ষিণে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে এক জায়গায় জমা করতে হবে। সেখান থেকে নিয়মিত (প্রয়োজন অনুযায়ী) পাম্প আউট করে পানি বাইরে ফেলে দিতে হবে। সংগত কারণেই ছাগলমারা খালের বকশী মিজির পোল (পৌর মার্কেট) থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত অংশ উন্মুক্ত রাখার যৌক্তিকতা নেই। বরং একে চওড়া কাভার্ড ড্রেন করে মাঝে মাঝে একটি স্লাব আলগা রাখা যেতে পারে, যাতে ড্রেনের মধ্যে জ্যাম হলে তা পরিষ্কার করা যায়। অন্যদিকে বকশী মিজির পুল থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত যদি কাভার্ড ড্রেন করা হয় তাহলে রাস্তার পশ্চিমের দোকানগুলো অনেকটাই অধিগ্রহণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। মনে রাখতে হবে, অধিগ্রহণের টাকা জনগণের টাকা। বাহুল্যব্যয় অবশ্যই পরিত্যাজ্য। অন্যদিকে মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত রাস্তাটি যথাসম্ভব সোজা রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া চার লেনের মাঝখানে ৫ ফুট প্রশস্ত ডিভাইডার বা আইল্যান্ড না করে সর্বোচ্চ ১ ফুট ভিত্তির ওপর ৫ ফুট খাড়া কংক্রিট ঢালাই দেয়াল নির্মাণ করা যেতে পারে, যেমনটি ঢাকা এয়ারপোর্ট রোডে আছে। এর ফলে অন্তত ৩-৪ ফুট রাস্তা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাইজদী বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনাপুর পর্যন্ত যদি কোনো স্থানে রাস্তার প্রশস্ততা ২/৪ ফুট কম হয় তাহলে তা মেনে নিয়ে রাস্তা নির্মাণ করাই শ্রেয়। এতে একদিকে অধিগ্রহণের টাকা বাঁচবে অন্যদিকে জনগণও ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। প্রকল্পপত্র কোনো বেদবাক্য নয় যে, জনকল্যাণে এবং জনস্বার্থে তা কিঞ্চিত পরিবর্তন/পরিমার্জন করা যাবে না। এটি হলে বাসস্ট্যান্ড থেকে মাইজদী জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার পুব দিকের দোকানপাটও রেহাই পাবে। এ কথা আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই রাস্তার সম্পূর্ণ অংশ ব্যবহৃত হয় না। স্থানভেদে ২০-৩০% অংশে যানবাহন চলে না। ফুটপাথে দোকানপাট-ঘুণ্টিঘর, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র বিভিন্ন মালামাল রাখা বাঙালির অভ্যাস। নোয়াখালীও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই বণিক সমিতি, সব পরিবহন সমিতি, পৌরসভা এবং সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন মিলে সর্বদলীয় কমিটি করে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, নোয়াখালী চার লেন সড়কে শহরের অংশে রাস্তা সম্পূর্ণ অবমুক্ত থাকবে। শহরের মধ্যে স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-ব্যবসা কেন্দ্র থাকায় মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত যানবাহনের গতিবেগ সীমিত থাকবে এবং কোনোভাবেই ট্রাফিক জ্যাম হতে দেওয়া যাবে না। এগুলো নিশ্চিত করা কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। প্রশাসন আন্তরিক হলেই তা সম্ভব।

তবে নোয়াখালী শহরে প্রবেশের আরও বিকল্প রাস্তার সন্ধান করতে হবে। রেললাইনের পাশ দিয়ে কোনো রাস্তা করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে নোয়াখালী পৌরসভা ভবন থেকে দক্ষিণমুখী বকশী মিজির পুল পর্যন্ত বিস্তৃত জলাশয়ের আংশিক ভরাট করে রাস্তা/মার্কেট করা যেতে পারে। এমনিতেই অভিযোগ শোনা যায়, শহরের প্রধান রাস্তার পশ্চিম পাশের দোকানদাররা বরাদ্দকৃত ৬০-৬৫ ফুটের অধিক জায়গা দখল করে আছেন। সরকারকে অবশ্যই বরাদ্দবহির্ভূত জায়গা নিজ দখলে নিতে হবে। এ জায়গা যা বর্তমানে জলাশয়, তাকে একটি নান্দনিক রূপ দেওয়া যায়। উত্তর-দক্ষিণে একটি সুন্দর জলাধার তৈরি করা যায়। এ ছাড়া একটি চওড়া রাস্তা করা যায় এবং এক পাশে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পুনর্বাসন করা যায়। সরকারি আবাসিক এলাকায় পুব পাশের রাস্তাসহ প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশের দোকানদারদের বরাদ্দকৃত জায়গায় পরে যা থাকবে তা এবং বর্তমান জলাশয়টি পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে শহরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে। বেদখলকৃত সব স্থাপনা ভেঙে দিয়ে সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন।

পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, বহু সাধনার ফল এই চার লেন সড়ক। কোনোভাবেই এটি নির্মাণের মান নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে আপস করা চলবে না। ঠিকাদারদের নির্বিঘ্নে কাজের সুযোগ দিতে হবে। যে দেশে ফুটপাথে পান দোকান করতে চাঁদা দিতে হয়, যে দেশে বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংগঠনের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়, সে দেশে ৯৬২ কোটি টাকার কাজে কী হালহকিকত তা আল্লাহ ভালো জানেন। ১০%-৫% বা নগদ-বাকির কোনো হিসাব-নিকাশ নেই তো? তবে সরকার এখন দুর্নীতি-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে- এ কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সরকারপ্রধানের মনোভাব পরিপূর্ণভাবে অনুধাবন করতে পারবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে। শেষ করার আগে চার লেন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানাই, এই অভাগা জনপদে চার লেন আশার আলো সঞ্চার করেছে। শহর বড় হবে, দক্ষিণে সেনানিবাস হয়েছে, বিমানবন্দর হবে, হয়তো একদিন সমুদ্রবন্দরও হবেÑ এ আশায় নোয়াখালীবাসী বুক বাঁধছে। তাই চার লেন নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। একান্ত প্রয়োজন না হলে জমি অধিগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তদুপরি এ ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ‘মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষতি না করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে মানুষের ক্ষতি করা চলবে না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো উন্নয়ন নয়।’ যদিও একশ্রেণির সরকারি-বেসরকারি লোকজনের অধিগ্রহণের প্রতি ঝোঁক বেশি। ভারতবর্ষের ইতিহাস বলে, অধিগ্রহণের টাকা মূল ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে কখনোই সঠিকভাবে পৌঁছায় না। নানা দালাল চক্র এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে অধিগ্রহণের টাকার পরিমাণ যতই হোক না কেন, বাস্তুহারা ব্যক্তির কাছে সম্পদ হারানো সন্তান হারানোর মতোই বেদনাদায়ক ও কষ্টকর। এ দিকটি কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিলেই নোয়াখালীবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে।

                লেখক : সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরও খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
মরণযাত্রা
মরণযাত্রা
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
সর্বশেষ খবর
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন
বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি
রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল
গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর
বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি
বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি
চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই
প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ
আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ
নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা
লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান
রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস
১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প
গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে
কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি
আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত
দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ
অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প
ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ
ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর
‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প
হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু
প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’
‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা
জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’
‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা
ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন
ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে: তাহের
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে: তাহের

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কিছুই থাকে না বিএনপির
কিছুই থাকে না বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার
রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কতটা প্রস্তুত হামজারা?
কতটা প্রস্তুত হামজারা?

মাঠে ময়দানে

মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পেছনের পৃষ্ঠা

জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার

সম্পাদকীয়

জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত
জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

পেছনের পৃষ্ঠা

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের
সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ
ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার
বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার

নগর জীবন

টিকা মানেই টাকা
টিকা মানেই টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা
বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি
নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ
এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ

নগর জীবন

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে
আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম
সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি

পেছনের পৃষ্ঠা

দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে
পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর
সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নগর জীবন

উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর
উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে
জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে

নগর জীবন

বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা
বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা

নগর জীবন