শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

নোয়াখালীর দুঃখ ঘুচুক

আমিনুল ইসলাম মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
নোয়াখালীর দুঃখ ঘুচুক

প্রকৃতির রুদ্ররোষে বারবার নিপতিত ভাগ্যবিড়ম্বিত এক দুঃখিনী জনপদের নাম ‘নোয়াখালী’। সুদূর অতীতকাল থেকে প্রমত্তা মেঘনার করাল গ্রাসে এ জনপদ বারবার ভেঙেছে, আবার গড়েছে; আবার ভেঙেছে আবার গড়েছে। ভাঙা-গড়ার এ নিত্য খেলা আজও বহমান। এ মুহূর্তে লক্ষ্মীপুর জেলার (সাবেক নোয়াখালী) রামগতি উপজেলাসহ নোয়াখালীর দক্ষিণে বিভিন্ন এলাকা মেঘনার তীব্র ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত। তবে সবচেয়ে বড় নদী ভাঙন শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনের শেষ প্রান্তে। বহু চেষ্টা-তদবির করেও যখন মেঘনার করাল গ্রাস থেকে নোয়াখালী জেলা সদরকে রক্ষা করা যায়নি তখন তড়িঘড়ি করে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান মাইজদী মৌজায় শহর স্থানান্তর করা হয়। বিলীন হয়ে যায় একসময়ের পূর্ববঙ্গের অন্যতম ব্যস্ত শহর-বন্দর-ব্যবসা কেন্দ্র; সাজানো-গোছানো এক অপরূপা জনপদ ‘শহর নোয়াখালী’। লোকমুখে শোনা যায়, নোয়াখালী পুরাতন শহরের সবচেয়ে বড় জামে মসজিদ ছিল শিল্প-কারুকার্যে সুশোভিত এক অপরূপ স্থাপনা। যেদিন জামে মসজিদ ভাঙে সেদিন হাজার হাজার মানুষের কান্নার রোল নাকি খোদ আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে তুলেছিল। মসজিদ স্থানান্তর করে মাইজদীতে বর্তমান স্থানে ছোট পরিসরে গড়ে তোলা হয়। হাজার হাজার ব্যবসায়ীর মধ্যে মাত্র কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ীকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে সিনেমা হল পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে পুনর্বাসিত করা হয়। বড় একটা দিঘি কেটে তার চারপাশে সরকারি অফিস-আদালত স্থাপন করা হয়। তদ্রুপ আরেকটি দিঘি খনন করে তার চারপাশে আইনজীবী/ব্যবসায়ী/শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার মধ্যে আইনজীবীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এটাকে ল-ইয়ার্স কলোনি বলা হয়। তখনো নোয়াখালী জেলার হেডকোয়ার্টার কোথায় হবে তা নির্ধারিত হয়নি। চৌমুহনীর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় একটি সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন করা হয় এবং মীরওয়ারিশপুর (ভোলাবাদশা) মৌজার বিপুল জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে ফেনীবাসীর দাবি ছিল জেলা সদর ফেনীতে হোক। এমনিভাবে প্রায় এক যুগ কেটে যাওয়ার পরে সম্ভবত ১৯৬২ সালে বড় মসজিদের সামনে ব্যারাক মাঠে এক বিরাট জনসভায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লে. জে. আজম খান জেলা সদর মাইজদীতে থাকবে বলে ঘোষণা দেন। কথিত আছে, ওই সভায় সে সময়কার নোয়াখালীর বিশিষ্ট আলেম মাওলানা নুরুল্লাহ বক্তৃতা করেন। তিনি একটি গজল পরিবেশন করেন এবং হৃদয়স্পর্শী এক মোনাজাত দেন, যা গভর্নর আজম খানকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছিল এবং তিনি সভাস্থলে বসেই মাইজদীতেই জেলা সদর স্থাপনের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাবার হাত ধরে আমিও সে সভায় উপস্থিত ছিলাম। সেই থেকেই পথচলা নতুন ‘শহর নোয়াখালী’ বা মাইজদীর। দিনে দিনে সরকারি স্থাপনা বাড়তে থাকে। স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে থাকে। স্বাধীনতার পর শহরের ব্যাপ্তি আরও বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ১৯৪০-৫০ সালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া জমি পুনরায় জেগে উঠতে থাকে। মানুষের বসতি শুরু হয়। সোনাপুর থেকে স্টিমারঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এখন এক সমৃদ্ধ-উর্বর জনপদ। এর ঢেউ শহরে লাগে, শহরের লোকসংখ্যাও দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু সেই যে ১৯৫০-এর এক রাস্তার শহর, সেই দুর্নাম থেকে আজও নোয়াখালী শহর মুক্তি পায়নি। ‘ঘুমোতে গেলে যাকে দেখি/রাত পোহালেই তাকেই দেখি’Ñ এ রকম একটি কথা নোয়াখালীতে প্রচলিত। আজও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণমুখী একটি মাত্র রাস্তায় প্রবেশ করে গোটা শহর ডিঙিয়ে একটি বাহনকে সোনাপুর যেতে ওই এক রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। তার ওপর রাস্তাটি সংকীর্ণ। একসময় যাত্রীবাহী বাস পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলত। কিন্তু কালের প্রবাহে এখন ঢাকা-নোয়াখালী, চট্টগ্রাম-নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী, কুমিল্লা-নোয়াখালীসহ সব রুটের বাসই শহরের বুক চিরে সোনাপুর পর্যন্ত যায়। ফলে দিন দিন যানজট বাড়ছে। জনদুর্ভোগ বাড়ছে। কিন্তু নতুন কোনো রাস্তা হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প’-এর অধীনে বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ১৩.৩৮ কিলোমিটার রাস্তাকে চার লেনে উন্নীত করার পদক্ষেপ নেয়। চার লেন সড়কের প্রস্থ হবে ৮৫ ফুট। মাঝখানে ৫ ফুট প্রশস্ত আইল্যান্ড থাকবে। প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয় ৯৬২ কোটি টাকা; যার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ৭৩০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ১ জুলাই, ২০১৭ থেকে ৩০ জুন, ২০২০- তিন বছর। কিন্তু হাতে মাত্র আট মাস থাকলেও প্রকল্পের অগ্রগতি খুবই মন্থর। এ পর্যন্ত মাত্র ৫৩ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প শেষ করতে হলে সমন্বিত জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।

বেগমগঞ্জ-সোনাপুর চার লেন সড়ক নির্মাণে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে নোয়াখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে কল্যাণ হাইস্কুল পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ নিয়ে; ১৯৪৮-৪৯ সালে যখন শহর পত্তন হয় তখন রাস্তার পশ্চিম পাশে যেসব ব্যবসায়ীকে জায়গা প্রদান করা হয়, গত প্রায় পৌনে এক শতাব্দী ধরে যারা এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে এবং দোকানের পেছনে বাসাবাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তাদের নিয়ে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য তাদের দোকানপাট ভাঙা হয়েছে। এখন তারা অনেকেই স্থায়ী স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এবারও যদি তাদের ওপর অধিগ্রহণ বা ভাঙনের খড়্গ নেমে আসে তা সহ্য করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণে খুবই বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘জমি অধিগ্রহণ করব, বাজারমূল্যের তিন গুণ টাকা বেশি দেব; অসুবিধা কোথায়’- এই মানসিকতা যেন কর্তৃপক্ষের কোনোভাবেই না হয়। এসব ব্যবসায়ী বড়ই হতভাগা। মেঘনার নদী ভাঙনের মতো বারবার তাদের ওপর ভাঙনের খড়্গ নেমে আসে। তাই এবার বিষয়টি খুবই মানবিক ও সুচিন্তাপ্রসূত দৃষ্টিতে দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার আগে নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি জমির সর্বশেষ ইঞ্চি ব্যবহার করার পরে জনগণের জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। নোয়াখালী শহরের ছেলে হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, যদি রাস্তার পুব দিকের খাল-নালা-ড্রেন চার লেনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে পশ্চিম দিকে অধিগ্রহণের চাপ কম পড়বে। প্রয়োজনে সরকারি সম্পত্তি থেকে ৫-৭ ফুট রাস্তার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। নোয়াখালী শহরে যে ড্রেন করা হয়েছে, সেই ড্রেনের পুব পাশেও নাকি সরকারি জমি রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ড্রেনের সংস্কার করে একেবারে পুব প্রান্ত পর্যন্ত ড্রেন সরিয়ে নিয়ে ড্রেনের পশ্চিম দিকের অংশ রাস্তার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অর্থ ব্যয় হবে, তবে অধিগ্রহণের অর্থের চেয়ে কম হবে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে জামে মসজিদের মোড় পর্যন্ত পুব পাশে যেসব দোকান রয়েছে তাকে প্রয়োজনে আরও পুব দিকে সরিয়ে নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। যদি প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ডাকঘর, গণপূর্ত কলোনি, গণপপূর্ত অফিস, পুরাতন ব্যারাকের জমিসহ পুব দিকের সরকারি সম্পত্তি থেকে কয়েক ফুট নেওয়া যেতে পারে এবং অধিগ্রহণের টাকায় সরকারি দেয়াল/স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, স্বল্প ও সীমিত পরিসরে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন খুবই জটিল। সবাইকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

অন্যদিকে ছাগলমারা খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছে। কিন্তু এখন শুনছি, এ খাল, যার অস্তিত্ব শহরের মধ্যে পৌরবাজার থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত (সড়কসংলগ্ন) মাত্র কয়েক শ গজ তা উন্মুুক্ত রাখা হবে। এটি হবে একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ উন্মুক্ত এ জলাশয় ছয় মাসেই একটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হবে। জলের প্রবাহ তো থাকবেই না বরং আবর্জনার দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হবে। তার চেয়ে এটিকে কাভার্ড ড্রেনে পরিণত করলে তা ফুটপাথ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি রিকশা/সাইকেলের জন্য আলাদা লেন হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে রাস্তার পশ্চিম পাশে অধিগ্রহণের পরিমাণও কমে যাবে। অন্যদিকে এই কয়েক শ গজ উন্মুুক্ত রাখা কোনোভাবেই নোয়াখালী শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখার গ্যারান্টি নয়। আসলে প্রাকৃতিক কারণেই নোয়াখালী শহরকে সম্পূর্ণরূপে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব নয়, এই কঠিন সত্য সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। কারণ ১৯৪০-৫০ সালে নদী ভাঙন শেষে পুনরায় যখন ভূমি জেগে ওঠে তা প্রকৃতির অবদান হিসেবে আরও উর্বর ও উঁচু হয়। সে হিসেবে নোয়াখালী শহর এখন একটি ‘ভাতের থালার’ মতো; যার চারদিক উঁচু, মাঝখানে নিচু। এ ক্ষেত্রে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন সমীক্ষা/প্রচেষ্টা/উদ্যোগ নেওয়া হয় কিন্তু সবই ব্যর্থ। এটা কিন্তু শুধু নোয়াখালী শহরের সমস্যাই নয়, গোটা বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ি-চাটখিল উপজেলাসহ কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাংশেরও সমস্যা। সবাই জলাবদ্ধতার শিকার। খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কার হচ্ছে ভালো কথা, এখন নেদারল্যান্ডসের সিডিএসপি/এলআরপির গবেষণালব্ধ রিপোর্ট অনুযায়ী ছাগলমারা খালকে ক্রমে ঢালু করে সোনাপুরের দক্ষিণে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে এক জায়গায় জমা করতে হবে। সেখান থেকে নিয়মিত (প্রয়োজন অনুযায়ী) পাম্প আউট করে পানি বাইরে ফেলে দিতে হবে। সংগত কারণেই ছাগলমারা খালের বকশী মিজির পোল (পৌর মার্কেট) থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত অংশ উন্মুক্ত রাখার যৌক্তিকতা নেই। বরং একে চওড়া কাভার্ড ড্রেন করে মাঝে মাঝে একটি স্লাব আলগা রাখা যেতে পারে, যাতে ড্রেনের মধ্যে জ্যাম হলে তা পরিষ্কার করা যায়। অন্যদিকে বকশী মিজির পুল থেকে দেবালয়ের পুল পর্যন্ত যদি কাভার্ড ড্রেন করা হয় তাহলে রাস্তার পশ্চিমের দোকানগুলো অনেকটাই অধিগ্রহণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। মনে রাখতে হবে, অধিগ্রহণের টাকা জনগণের টাকা। বাহুল্যব্যয় অবশ্যই পরিত্যাজ্য। অন্যদিকে মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত রাস্তাটি যথাসম্ভব সোজা রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া চার লেনের মাঝখানে ৫ ফুট প্রশস্ত ডিভাইডার বা আইল্যান্ড না করে সর্বোচ্চ ১ ফুট ভিত্তির ওপর ৫ ফুট খাড়া কংক্রিট ঢালাই দেয়াল নির্মাণ করা যেতে পারে, যেমনটি ঢাকা এয়ারপোর্ট রোডে আছে। এর ফলে অন্তত ৩-৪ ফুট রাস্তা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাইজদী বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনাপুর পর্যন্ত যদি কোনো স্থানে রাস্তার প্রশস্ততা ২/৪ ফুট কম হয় তাহলে তা মেনে নিয়ে রাস্তা নির্মাণ করাই শ্রেয়। এতে একদিকে অধিগ্রহণের টাকা বাঁচবে অন্যদিকে জনগণও ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। প্রকল্পপত্র কোনো বেদবাক্য নয় যে, জনকল্যাণে এবং জনস্বার্থে তা কিঞ্চিত পরিবর্তন/পরিমার্জন করা যাবে না। এটি হলে বাসস্ট্যান্ড থেকে মাইজদী জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার পুব দিকের দোকানপাটও রেহাই পাবে। এ কথা আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই রাস্তার সম্পূর্ণ অংশ ব্যবহৃত হয় না। স্থানভেদে ২০-৩০% অংশে যানবাহন চলে না। ফুটপাথে দোকানপাট-ঘুণ্টিঘর, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র বিভিন্ন মালামাল রাখা বাঙালির অভ্যাস। নোয়াখালীও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই বণিক সমিতি, সব পরিবহন সমিতি, পৌরসভা এবং সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন মিলে সর্বদলীয় কমিটি করে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, নোয়াখালী চার লেন সড়কে শহরের অংশে রাস্তা সম্পূর্ণ অবমুক্ত থাকবে। শহরের মধ্যে স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-ব্যবসা কেন্দ্র থাকায় মাইজদী বাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত যানবাহনের গতিবেগ সীমিত থাকবে এবং কোনোভাবেই ট্রাফিক জ্যাম হতে দেওয়া যাবে না। এগুলো নিশ্চিত করা কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। প্রশাসন আন্তরিক হলেই তা সম্ভব।

তবে নোয়াখালী শহরে প্রবেশের আরও বিকল্প রাস্তার সন্ধান করতে হবে। রেললাইনের পাশ দিয়ে কোনো রাস্তা করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে নোয়াখালী পৌরসভা ভবন থেকে দক্ষিণমুখী বকশী মিজির পুল পর্যন্ত বিস্তৃত জলাশয়ের আংশিক ভরাট করে রাস্তা/মার্কেট করা যেতে পারে। এমনিতেই অভিযোগ শোনা যায়, শহরের প্রধান রাস্তার পশ্চিম পাশের দোকানদাররা বরাদ্দকৃত ৬০-৬৫ ফুটের অধিক জায়গা দখল করে আছেন। সরকারকে অবশ্যই বরাদ্দবহির্ভূত জায়গা নিজ দখলে নিতে হবে। এ জায়গা যা বর্তমানে জলাশয়, তাকে একটি নান্দনিক রূপ দেওয়া যায়। উত্তর-দক্ষিণে একটি সুন্দর জলাধার তৈরি করা যায়। এ ছাড়া একটি চওড়া রাস্তা করা যায় এবং এক পাশে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পুনর্বাসন করা যায়। সরকারি আবাসিক এলাকায় পুব পাশের রাস্তাসহ প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশের দোকানদারদের বরাদ্দকৃত জায়গায় পরে যা থাকবে তা এবং বর্তমান জলাশয়টি পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে শহরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে। বেদখলকৃত সব স্থাপনা ভেঙে দিয়ে সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন।

পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, বহু সাধনার ফল এই চার লেন সড়ক। কোনোভাবেই এটি নির্মাণের মান নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে আপস করা চলবে না। ঠিকাদারদের নির্বিঘ্নে কাজের সুযোগ দিতে হবে। যে দেশে ফুটপাথে পান দোকান করতে চাঁদা দিতে হয়, যে দেশে বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংগঠনের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়, সে দেশে ৯৬২ কোটি টাকার কাজে কী হালহকিকত তা আল্লাহ ভালো জানেন। ১০%-৫% বা নগদ-বাকির কোনো হিসাব-নিকাশ নেই তো? তবে সরকার এখন দুর্নীতি-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে- এ কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সরকারপ্রধানের মনোভাব পরিপূর্ণভাবে অনুধাবন করতে পারবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে। শেষ করার আগে চার লেন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানাই, এই অভাগা জনপদে চার লেন আশার আলো সঞ্চার করেছে। শহর বড় হবে, দক্ষিণে সেনানিবাস হয়েছে, বিমানবন্দর হবে, হয়তো একদিন সমুদ্রবন্দরও হবেÑ এ আশায় নোয়াখালীবাসী বুক বাঁধছে। তাই চার লেন নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। একান্ত প্রয়োজন না হলে জমি অধিগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তদুপরি এ ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ‘মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষতি না করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে মানুষের ক্ষতি করা চলবে না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো উন্নয়ন নয়।’ যদিও একশ্রেণির সরকারি-বেসরকারি লোকজনের অধিগ্রহণের প্রতি ঝোঁক বেশি। ভারতবর্ষের ইতিহাস বলে, অধিগ্রহণের টাকা মূল ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে কখনোই সঠিকভাবে পৌঁছায় না। নানা দালাল চক্র এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে অধিগ্রহণের টাকার পরিমাণ যতই হোক না কেন, বাস্তুহারা ব্যক্তির কাছে সম্পদ হারানো সন্তান হারানোর মতোই বেদনাদায়ক ও কষ্টকর। এ দিকটি কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিলেই নোয়াখালীবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে।

                লেখক : সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি
কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সকালে গরম পানি পানের ৭ উপকার
সকালে গরম পানি পানের ৭ উপকার

৮ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

রাজধানীতে অভিযানে নিষিদ্ধ যুবলীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানীতে অভিযানে নিষিদ্ধ যুবলীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল
কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান
চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সহিংসতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ: জেন-জি আন্দোলনে উত্তপ্ত মেক্সিকো
সহিংসতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ: জেন-জি আন্দোলনে উত্তপ্ত মেক্সিকো

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল
পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ
হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল
জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ আজ
এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ আজ

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সাভারে মহাসড়কের পাশে থেমে থাকা বাসে আগুন
সাভারে মহাসড়কের পাশে থেমে থাকা বাসে আগুন

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ নভেম্বর)

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘আমি অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করি না’
‘আমি অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করি না’

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ ১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ
আজ ১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৮
ইরাকে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা, উপকূলে নৌকাডুবে প্রাণ গেল ৪ জনের
অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা, উপকূলে নৌকাডুবে প্রাণ গেল ৪ জনের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি
ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা