শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০ আপডেট:

ফিনিক্স পাখির মতো আগুনে পোড়া জাতির করোনায় কীসের ভয়

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
ফিনিক্স পাখির মতো আগুনে পোড়া জাতির করোনায় কীসের ভয়

আজকের পৃথিবী করোনোভাইরাসের মুখোমুখি। ভয়াবহ এই রোগের উৎপত্তি কিছুদিন আগে চীনের উহান প্রদেশে। সেখানে মহামারি আকারে এই অচেনা রোগ দেখা দিলে তারা সে প্রদেশকে অবরুদ্ধ করে। তবু উহানের করোনা চীনের প্রাচীর ছাড়িয়ে এখন দেশে দেশে মানুষকে আক্রান্ত করছে। শতাধিক দেশ এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সর্বশেষ রবিবার বিকালে বাংলাদেশে ইতালি-ফেরত দুজনসহ তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। কয়েকজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চীনের বাইরে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও ইরানে ব্যাপকহারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ইতালিতে ১ কোটি ৬০ লাখ নাগরিককে বাধ্যতামূলক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৬৬ জন। বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ১০ হাজার ১১০ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হলেও মৃতের সংখ্যা যেমন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করছে, ভয়-আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে, তেমনি আশার আলো জাগিয়েছে ৬২ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে। প্রায় ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে যার বড় অঙ্কটাই চীনে। তবে চীনেই এখন রোগী কমে যাওয়ায় অনেক হাসপাতাল যা সাময়িক চালু হয় তা বন্ধ করা হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্টও করোনার আঁতুড়ঘরে সফর করেছেন।

চীনসহ বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পৃথিবীজুড়েই শক্তিশালী, উন্নত রাষ্ট্রগুলো এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেনি। অনেক দেশ সে চেষ্টা শুরু করেছে। সফল হওয়ার খবর এখনো আসেনি। তবে আসবে। যারাই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করবে মোটা দামে যে কোনো বিখ্যাত ওষুধ কোম্পানি কিনে নিয়ে মুনাফা করবে। এটা যেমন সত্য, তেমনি মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে যে রক্ষা পাবে সেটাই সবচেয়ে আনন্দের সংবাদ হবে। অনেকে বলছেন, সভ্যতার নামে পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে উন্নত দুনিয়া বা মানবজাতি যে বৈরী পরিস্থিতি তৈরি করেছে, প্রকৃতি আজ তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। করোনাভাইরাস তাই মানবসভ্যতার সামনে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সংখ্যা দেখে চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্ক বা ভয়ের কোনো কারণ নেই। সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র পথ। যিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন, প্রস্তুতি না নিয়ে তার কাছে যাওয়া যাবে না। তাকে স্পর্শ করা যাবে না।

বাংলাদেশে একসময় ডেঙ্গুজ্বর নীরব ঘাতকের মতো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিত। মেডিসিনের বিখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ চিকিৎসাব্যবস্থা চালু করে ডেঙ্গু থেকে মানুষের প্রাণ রক্ষা করেন। কিন্তু দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতায় এডিস মশা ধ্বংস করতে না পারার কারণে গেল বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখের ওপরে মানুষ। গণমাধ্যম বলেছিল, আড়াই শর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর নিশ্চিত করেছিল ১৪৮ জনের প্রাণহাণি।

করোনাভাইরাসের আতঙ্ক পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার পর আমাদের দেশেও চিকিৎসকরা ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়ার এবং কী কী করণীয় তার বার্তা দিচ্ছেন। সরকার বলছে, হাসপাতালগুলোয় প্রস্তুতি রেখেছে। ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দও দিয়েছে। ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ যার কাছে মানুষের সবচেয়ে ভরসা তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আক্রান্ত হলেই যে মৃত্যু হবে এমন নয়। আক্রান্তের অধিকাংশই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বনের জন্য জনসমাগম বন্ধ রাখা, করমর্দন, কোলাকুলি না করা এবং খাবার ভালো করে সিদ্ধ করে খেতে বলেছেন। পারতপক্ষে ঘর থেকে বের হবেন না। হাঁচি, কাশি টিস্যুতে দেওয়া এবং সেই টিস্যু পুড়িয়ে ফেলতে হবে। অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মেঝে-ঘর, বিছানাপত্র, শরীরের কাপড়-চোপড় সব পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রয়োজনের বাইরে হাটবাজারে না যাওয়াই উত্তম। আক্রান্ত রোগীদের একটি অংশ হাসপাতালে যাবে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয়দের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হবে। মৃত্যু আতঙ্কে ভোগার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ এক কথায় শিক্ষাঙ্গন ও আক্রান্ত এলাকার হাটবাজারও বন্ধ করে দিতে হবে। এমনকি আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে রেখেও চিকিৎসা করা সম্ভব। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষাঙ্গন বন্ধের পরিবেশ এখনো হয়নি। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিলে বন্ধ করবেন। তাহলে সমাগম থেকে দূরে থাকার যে সচেতনতা তার কী হবে? বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল-ক্যাম্পাস ও হল একদিকে শিক্ষার্থী-স্টাফরা গিজগিজ করছেন। আর পরিবেশ কতটাই বা স্বাস্থ্যকর? সন্তান নিয়ে উৎকণ্ঠা সবার। বন্ধ করলে কী হয়?

করোনা নিয়ে আতঙ্ক না হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ২০০৩ সালে সারসভাইরাসে আক্রান্ত হয় ২৬টি দেশ। মৃত্যুর হার ছিল শতকরা ১০ ভাগ। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল না। ২০০৯ সালে সোয়ানফ্লুতে ৫৭ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়। মৃত্যুর হার ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে ইবোলায় মারা যায় ১১ হাজার ৩১০ জন। মৃত্যুর হার ছিল শতকরা ২৫ ভাগ। আর করোনায় মৃত্যুর হার শতকরা মাত্র ২ ভাগ। শত বছরের বৃদ্ধও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে ৪ বিলিয়ন মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দুঃসংবাদ ঘোড়ার আগে ছোটে। তাই কোনো আতঙ্ক বা গুজব নয়। সতর্ক ও সচেতন থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে।

ভীষণরকম ছোঁয়াচে করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যু অনিবার্য- এমনটি ভাবার কোনো কারণই নেই। চিকিৎসকরা আরও বলছেন, যাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বিষাক্ত বাতাসের নগরী ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকায় বিপুলসংখ্যক শিশু অ্যাজমা নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা নানা রোগে মানুষ হামেশা আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকদের এ পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকার পাশাপাশি মানসিক শক্তি কখনোই হারানো যাবে না। আমরা যুদ্ধজয়ী জাতি। লড়াই আর যুদ্ধে আমাদের রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। প্রকৃতির বিরুদ্ধেও অদম্য লড়াইয়ে আমরা জয়ী হয়েছি। এ জাতির জীবনে লড়াই একমাত্র পথ। আমরা একসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে কত অসহায় ছিলাম। একেকটি ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের করুণ মৃত্যু দেখেছি। জলোচ্ছ্বাসে মানুষ আর মানুষের কী বীভৎস লাশ আর লাশ। ঘরবাড়ি, গবাদি পশু শেষ হয়েছে। এখন আগাম প্রস্তুতি নিতে পারছি। ক্ষয়ক্ষতির খবর আগের মতো নেই। বন্যা হলেও প্রাণহানি আগের মতো হয় না, পুনর্বাসন কর্মকান্ড দ্রুত হয়েছে। একসময় কলেরার মহামারিতে গ্রামের পর গ্রাম মৃত্যু দেখেছে দেশ। বসন্ত রোগে কী আতঙ্কই না ছিল। এখন এসব মামুলি অসুখ। দুর্ভিক্ষ এখন নির্বাসিত। আমরা ভেজাল খাবারের ভয়াবহতার মুখে জীবনযাপন করছি। এখন অভিযান হচ্ছে। ভেজাল ওষুধ, কসমেটিকস পর্যন্ত ধরা পড়ছে যা মানবদেহের জন্য বিষ। অনেকে ওজন কমাতে যে ভিনেগার খাচ্ছে, তাও ভেজাল ও বিষাক্ত বলে ধরা পড়ছে।

আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ গণহত্যার শিকার, আড়াই লাখ মা-বোন ধর্ষিত, গোটা দেশ বিধ্বস্ত। আমরা লড়াই করে আগুনে পোড়া ফিনিক্স পাখির মতো উঠে এসেছি। আমরা লড়তে জানি।

আজকের পৃথিবীতে বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, অর্থনীতিতে উন্নত বিত্তশালী ক্ষমতাবান দেশগুলোও করোনাভাইরাসের আগ্রাসনে বড় অসহায়। অর্থনীতি সামাজিক পরিবেশে এর আঘাত বড় তীব্র। তবু দ্রুত পৃথিবী এ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে।

আমাদের মনোবল শক্ত রেখে, সরকারের সঙ্গে জনগণের যুক্ত সচেতনতার প্রচার ও ভূমিকা রেখে, এটাকে রুখতেই হবে। লোকসমাগম, মিছিল, সমাবেশ সাময়িক নিষিদ্ধ ও স্কুল-কলেজ এখন বন্ধ করা উচিত। যে দেশের মানুষ লড়াকু, তার করোনাকে ভয় কীসের? কোথাও কোনো লোকসমাগম নয়, অযথা কোথাও আতঙ্কে হুমড়ি খেয়ে পড়া নয়। ঘরের মেঝে পরিষ্কারের ক্লিনার, টিস্যু, হেক্সেসল, লিকুইড সোপ বা সাবান, হ্যান্ডওয়াশ হাতের কাছে রাখুন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এসব রাখার সামর্থ্য রাখে না। ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ কার্যত বস্তির মতো। অ্যাপার্টমেন্টগুলো, বাসাবাড়ি সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত সবখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা দরকার। বিত্তশালী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেভাবে মানবিক টানে মানুষের পাশে দাঁড়ায় ঠিক সেভাবে সারা দেশের মানুষের কাছে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিন। এমনকি যার টিস্যু পেপার কেনার সামর্থ্য নেই, লিকুইড সোপ বা সাবান ও মাস্ক কেনার সামর্থ্য নেই, তার কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। একদল যেমন মানবতার পাশে দাঁড়ায়, আরেকদল তেমনি মুনাফা লাভে পাগল হয় বাজারে। মাস্ক থেকে স্যানিটাইজারের দাম বাড়িয়ে দেয়। অনেকে একাই কিনে ফিলতে চান। সবটাই অপরাধ। এমনটা করবেন না। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নতুন নয়। তবু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সারা দেশে সব সরকারি ও অনেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। জীবাণু গিজগিজ করে। সেসব চিকিৎসা কেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে এসব মনিটর করার উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার করোনায় আক্রান্তদের খবর জানাতে হটলাইন টেলিফোন নম্বর দিয়েছে। গণমাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ মানুষের প্রতি গভীর মমত্ব ও ভালোবাসা নিয়ে যে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে তা আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। বিবেকের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এ লড়াইয়ে কেউ গুজব ছড়াবেন না। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ঢাকাসহ সারা দেশে এবার মশার সীমাহীন উপদ্রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোথাও বসা যায় না। কোথাও দাঁড়ানো যায় না। বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল, বাড়িঘর সবখানে মশার কামড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ দেশের সব পৌরসভায় মশক নিধন অভিযান জোরদার করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকায় আসতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এখানে দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা করা যাবে না।

করোনাভাইরাসের আক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গুর ভয়াবহতার হাতছানি সামনে রয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতা অনেক তিক্ত। করোনাভাইরাস আজকের পৃথিবীর সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর কোথাও এটি নিয়ে কোনো রাজনীতি হচ্ছে না। রাষ্ট্র ও সরকার এবং জনগণের লড়াই করোনার বিরুদ্ধে। আমরা যুদ্ধজয়ী বাংলাদেশের জনগণ। আগেই বলেছি, কত ধরনের লড়াই করে উঠে এসেছি। যদিও নানা কারণে বারবার প্রতারিত, বারবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে বিষাদগ্রস্ত মনে একা নিঃসঙ্গের মতো জীবনযাপন করি। কিন্তু পেশাগত দায়িত্ব পালনের জায়গা থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজের জায়গা থেকে দায়িত্বটা ইবাদতের মতো পালন করা রক্তের মধ্যে মিশে আছে। করোনাভাইরাসের ভয়ে আমরা আতঙ্কিত হতে পারি না। আমরা নিমতলীর ট্র্যাজেডিসহ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রাণহানির ঘটনা দেখেছি। মানুষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মানুষের অপরাধের দায় মানুষ বহন করছে। চীনের মানুষের বাদুড়, কুমির, সাপ, কুকুরসহ নানান খাদ্যাভ্যাস থেকেই এই জীবাণুর সংক্রমণ ঘটেছে বলে বিশ্ববাসী জেনেছে। আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কাছে সব ভাইরাস পরাস্ত। আমাদের দরকার শুধু প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ। তা হলে করোনাকে সহজেই ঘায়েল করে আমরা জয়ী হব।

আমাদের দেশের মানুষ যে কোনো বিপদে মানুষের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে বিলম্ব করে না। করোনাভাইরাসের অশুভ আগমনের সংবাদে দেশের গোটা জনগণকে এর বিরুদ্ধে সজাগ সতর্ক ও সচেতন হয়ে লড়াই করার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বরাজনীতির সেই মহান নেতা যিনি তাঁর দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনের ১৩টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। বাকিটা জীবন দুর্ধর্ষ সাহসী নেতা হিসেবে মৃত্যুভয়কে জয় করে স্বাধীনতার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অভিন্ন শব্দ। এক কথায় বলা যায়, বাংলাদেশের আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী জাতির জীবনে এক ঐতিহাসিক গৌরবের মাহেন্দ্রক্ষণ। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনে প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশ্ববরণ্যে নেতা ও অতিথিদের নিয়ে যে ব্যাপক লোকসমাগমের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার কথা ছিল মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা তা বাতিল করেছেন। বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের খবর জানিয়ে দাও। মুজিববর্ষের কর্মসূচি পরে। আগে দেশের জনগণ।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মহান নেতাই নন, বিশ্বের শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়েছিলেন। বিশ্বমানবতার বিরল নেতৃত্বের উচ্চতর মর্যাদায় ছিল তাঁর অবস্থান। তিনি এ দেশের জনকই নন, এ দেশের জনগণকে পিতৃহৃদয় দিয়ে তাঁর জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে যেখানে আগে জনগণের স্বার্থ সেখানে মুজিবকন্যার এ সিদ্ধান্ত প্রশংসার। চেয়েছিলাম লিখতে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নির্লোভ সততার, দেশপ্রেমের শপথ নিতে, চেয়েছিলাম সব চাটুকারিতা মতলববাজির ঊর্ধ্বে উঠে, মুনাফালাভের বিকৃত ধান্ধাবাজি থেকে বেরিয়ে এসে যেন আমরা বঙ্গবন্ধুর গভীর দেশপ্রেম ও সততার আদর্শকে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিজীবনে পালন করার শপথ নিই। চেয়েছিলাম লিখতে গান্ধীর চেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্র যেন নির্মিত হয় বঙ্গবন্ধু নিয়ে। যে চলচ্চিত্র বিশ্বের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার পর আমরা নিশ্চয়ই আমাদের হৃদয়, আবেগ-অনুভূতি দিয়ে মুজিববর্ষের মহান আয়োজন ও কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করব। এই সময়ে আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে চাই। ফিনিক্স পাখির মতো আগুনে পুড়ে যে জাতি উঠে আসে, সে জাতির সামনে করোনা কীসের ভয়? করোনায় কোনো ভয় নেই আমাদের।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিমানে বোমা আতঙ্ক
বিমানে বোমা আতঙ্ক
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
মানবাধিকার ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
মানবাধিকার ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
অন্যের শর্তে যেন দেশ না চলে
অন্যের শর্তে যেন দেশ না চলে
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
এসএসসির ফলাফল
এসএসসির ফলাফল
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশে দেড় লাখ মানুষকে আরব আমিরাত রাষ্ট্রদূতের সহায়তা
বাংলাদেশে দেড় লাখ মানুষকে আরব আমিরাত রাষ্ট্রদূতের সহায়তা

২ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ছবি থেকে ভিডিও তৈরির সুবিধা আনলো গুগলের জেমিনি
ছবি থেকে ভিডিও তৈরির সুবিধা আনলো গুগলের জেমিনি

৩ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাতে বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর
রাতে বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

দেশে ইকোফ্লোর পোর্টেবল পাওয়ার স্টেশন আনলো বেস্ট ইলেকট্রনিক্স
দেশে ইকোফ্লোর পোর্টেবল পাওয়ার স্টেশন আনলো বেস্ট ইলেকট্রনিক্স

১৪ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যে বিক্ষোভ

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেস্ট ক্রিকেটে ১০ বছর পর ঘটলো সেই বিরল ঘটনা
টেস্ট ক্রিকেটে ১০ বছর পর ঘটলো সেই বিরল ঘটনা

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীতে চার ছিনতাইকারী আটক, দুইজনকে গণধোলাই
টঙ্গীতে চার ছিনতাইকারী আটক, দুইজনকে গণধোলাই

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের
যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ডন-৩’ সিনেমায় শাহরুখ ফিরছেন কোন চরিত্রে?
‘ডন-৩’ সিনেমায় শাহরুখ ফিরছেন কোন চরিত্রে?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পঞ্চম ম্যাচেও জোড়া গোলের কীর্তি মেসির, দারুণ জয় মিয়ামির
পঞ্চম ম্যাচেও জোড়া গোলের কীর্তি মেসির, দারুণ জয় মিয়ামির

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি
অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাভাস্কারের মুখে আবার ‘স্টুপিড!’ — এবার কার উদ্দেশে?
গাভাস্কারের মুখে আবার ‘স্টুপিড!’ — এবার কার উদ্দেশে?

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিরিজ শুরুর আগেই স্কোয়াডে পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ার
সিরিজ শুরুর আগেই স্কোয়াডে পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-আইএইএ সহযোগিতা ‘নতুন রূপে চলবে’: আরাগচি
ইরান-আইএইএ সহযোগিতা ‘নতুন রূপে চলবে’: আরাগচি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় জ্বালানি সংকট চরমে পৌঁছেছে: জাতিসংঘ
গাজায় জ্বালানি সংকট চরমে পৌঁছেছে: জাতিসংঘ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কেউ কেউ সংস্কারের ধোঁয়া তুলে নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চাইছে’
‘কেউ কেউ সংস্কারের ধোঁয়া তুলে নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চাইছে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএসএফের গুলি থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী-পুরুষ কেউ
বিএসএফের গুলি থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী-পুরুষ কেউ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্লাব ফুটবলে নেই আগ্রহ, অন্য কিছুতে নজর ডাচ কোচের
ক্লাব ফুটবলে নেই আগ্রহ, অন্য কিছুতে নজর ডাচ কোচের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনুপ্রেরণার আলো ছড়ালেন হৃতিক
অনুপ্রেরণার আলো ছড়ালেন হৃতিক

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আল-কোরআনের ভাষারীতি
আল-কোরআনের ভাষারীতি

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ইসলামের দৃষ্টিতে রসিকতা ও রসবোধ
ইসলামের দৃষ্টিতে রসিকতা ও রসবোধ

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাসপাতালে ভর্তি কিয়ারা আদভানি
হাসপাতালে ভর্তি কিয়ারা আদভানি

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের পাত্রী ও মাহরাম নারীর কতটুকু দেখা যাবে
বিয়ের পাত্রী ও মাহরাম নারীর কতটুকু দেখা যাবে

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

২০২৫ সালে থাইল্যান্ডে মাংকিপক্সে আক্রান্ত ৪০ জন, মৃত্যু ১৩
২০২৫ সালে থাইল্যান্ডে মাংকিপক্সে আক্রান্ত ৪০ জন, মৃত্যু ১৩

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১০
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১০

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম
২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্টের খবর না দেখায় ছয় মাসের কারাদণ্ড
তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্টের খবর না দেখায় ছয় মাসের কারাদণ্ড

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন
পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের
চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব
এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার
ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী
সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের
১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও এক আসামি গ্রেফতার
ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও এক আসামি গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গরম মোকাবিলায় হাতে তৈরি এয়ার কুলার ব্যবহার করছেন আফগান ট্যাক্সি চালকরা
গরম মোকাবিলায় হাতে তৈরি এয়ার কুলার ব্যবহার করছেন আফগান ট্যাক্সি চালকরা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল
সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী
মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি
গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি
কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর
ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার
স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি
চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নৃশংস হত্যায় তোলপাড়
নৃশংস হত্যায় তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র
চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব
৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

যত আলো  তত অন্ধকার
যত আলো তত অন্ধকার

শোবিজ

কাটল না শুল্কসংকট
কাটল না শুল্কসংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক
প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ
জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ

প্রথম পৃষ্ঠা

হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে
হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে

পেছনের পৃষ্ঠা

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা
হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা

শোবিজ

নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন
নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের

মাঠে ময়দানে

পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি
পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

ববির সমুদ্রবিলাস
ববির সমুদ্রবিলাস

শোবিজ

রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স
রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন
সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের
ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের

মাঠে ময়দানে

ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া
ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই
অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই

মাঠে ময়দানে

সিনেমার মানুষে তারা...
সিনেমার মানুষে তারা...

শোবিজ

তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের
তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপালের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই
বাংলাদেশ-নেপালের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সাম্প্রতিক হত্যা-সহিংসতায় সিপিবির উদ্বেগ
সাম্প্রতিক হত্যা-সহিংসতায় সিপিবির উদ্বেগ

নগর জীবন

ধান রোপণে ব্যস্ত নারীরা
ধান রোপণে ব্যস্ত নারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা