শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২০ আপডেট:

করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর গার্মেন্ট মালিক সিন্ডিকেট

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর গার্মেন্ট মালিক সিন্ডিকেট

আজ কত তারিখ, বার কী? জানতে হয়। নিজ থেকে আর মনে থাকে না। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মুখে নিস্তব্ধ অসহায় পৃথিবীর সন্তান আমরা এখন। গোটা মানবজাতিই করোনার তান্ডবলীলায় মর্মান্তিক মৃত্যুর ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে। কিয়ামতের এমন আজাব অতীতে দেখেনি পৃথিবী। এমন অসহায় কোনো বিশ্বযুদ্ধেও হয়নি। মানবজাতি আজ বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ে, লাশের মিছিলের সামনে অচল পৃথিবীর লকডাউনে এক মোহনায় মিলিত। বাকরুদ্ধ মানুষের নিঃশব্দ আর্তনাদে এমন ভারী দমবন্ধ পরিবেশ দুনিয়ায় কখনো নামেনি। এত দিন আমরা পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাসের বিভীষিকা দেখেছি। দেখেছি হাশরের ময়দানের মতো কেউ কারও নয় নিয়তির এমন বিধানে। এমন হৃদয়বিদারক মৃত্যু যে মা সন্তান থেকে ছিটকে পড়ে, পিতা-কন্যার কাছ থেকে, আর প্রিয়জন প্রিয়জন থেকে। একজন আক্রান্ত হলে গোটা পরিবার আইসোলেশনে, এলাকা হাসপাতাল লকডাউন হয়ে যায়! মৃতের শরীর ভাইরাস ছড়ায় না, তবু লাশের গোসল নেই, জানাজায় লোক নেই। ভয়ের ত্রাস।

এই মৃত্যুর থাবাকে ক্ষমতাবান কে বিত্তবান কে ইমাম কে ধর্মযাজক কে পুরোহিত কে রাষ্ট্রনায়ক কে- দেখে না। তাবৎ পৃথিবীর মানুষকে এক কাতারে এনে নামিয়েছে। শত শত বছরের চিকিৎসা, বিজ্ঞান গবেষণা জ্ঞানের গরিমা, ক্ষমতার দম্ভকে অসার করে দিয়েছে। ভেঙে চুরমার করেছে। প্রতাপশালী হোয়াইট হাউস থেকে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট হয়ে পৃথিবীর সব ক্ষমতার ঘর অসহায়। এখনো ঘর্মাক্ত শোকার্ত আতঙ্কিত বিষণ্ন দুনিয়া একটা ভ্যাকসিন বা ক্যাপসুল বের করেনি! হয়তো শেষ পর্যন্ত মানবজাতি জয়ী হবে আবিষ্কারে কিন্তু তত দিনে ধ্বংসলীলায় মানুষের লাশের পাহাড় আর আতঙ্কিত ভয়ার্ত দমবন্ধ জীবনের দীর্ঘশ্বাসে লেখা হবে এক মানবসভ্যতা মহাবিপর্যয়ের করুণ ইতিহাস। যেখানে যুদ্ধবাজ হিংস্র শক্তির উন্মত্ততা লজ্জাগ্লানিতে চাপা পড়ে যাবে। প্রতাপশালীদের নাম লেখা হবে মৃতদের আত্মার অভিশাপে।

আমরা এত দিন চীনের আর্তনাদ শুনেছি। ধর্মান্ধরা নির্বোধের মতো বলেছে, আল্লাহর গজব নেমেছে মুসলমানদের ওপর নাস্তিক রাষ্ট্রের নির্যাতনে। ভেবেছেন তারা সবাই নিরাপদ। যারা সজাগ সতর্ক হয়েছিল, নেপালের মতো দেশও পাশে থেকে নিরাপদ হয়েছে সেদিন বিমানবন্দর লকডাউন করে। চীনে নিয়ন্ত্রণে এলেও আক্রান্ত ইতালির মর্মান্তিক মৃত্যুযন্ত্রণা আর লাশের দীর্ঘ মিছিল দেখেছি, দেখেছি কীভাবে ঘটছে স্পেনে আর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহতা। চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে চিরচঞ্চল পৃথিবীর বাণিজ্যিক নগরী নিউইয়র্ক নীরব নিস্তব্ধ ভুতুড়ে নগরী হয়ে আর্তনাদে সবার বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।

ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা হয়ে এশিয়া এখন আক্রান্ত। এখন আমরা আমাদের মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগের, স্বজনদের মর্মান্তিক পরিণতির আশঙ্কায় গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ডুবছি। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী যিনি সেদিনও ছিলেন উদাসীন সোমবার বলছেন, আগামী ৩০ দিন ভয়ঙ্কর! আমাদের এখানেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা বারবার তাগিদ দিয়েছি সচেতন করতে, কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলতে। আমরা তো সময়ের কান্না সময়ে শুনিনি, দেখিনি ভাবিওনি! আমরা করোনা আক্রান্ত ইতালিফেরত বিদেশিদের জন্য বিমানবন্দর উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করিনি। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করিনি। একদল মন্ত্রীর অতিকথনে অতিষ্ঠ হয়েছি। তাদের নিয়ে কৌতুক করেছে মানুষ। তাদের দায়িত্বহীন ভাঁড়ামিতে বিরক্ত হয়েছে। এখন দেখলেই গা-জ্বালা করে।

ইতালিফেরতদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিশ্চিত হলেও আমরা লকডাউনে যেতে পারিনি। চীন থেকে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আনার পর বলা হলো, বন্ধ করে দেওয়া হবে। হলো না। কত কিছুর রপ্তানি! ডলারের লোভে আকাশপথ খোলা রাখা হলো। ক্ষমতাবানদের তদবিরে সর্বনাশ হলো, আবার পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে বড় বড় কথা শোনানো হলো।

সময় অনেকটা চলে গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়কের মতো সরকারি ছুটিসহ নানা পদক্ষেপ নিলেন। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান, স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি সব বাতিল করলেন।

আস্তে সব যোগাযোগ বন্ধ করে, গরিবের ঘরে খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করে কার্যত লকডাউনের পথই নিলেন। সেনাবাহিনীকেও নামানো হলো প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে। চিকিৎসকদের সরঞ্জাম নেই, প্রস্তুতি কর্মশালা, সুসংগঠিত পরিকল্পনা কিছুই নেই। তাও মেরামত হলো। সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামলেন। সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টাইন বা সঙ্গরোধ ও গৃহবন্দী করতে চেষ্টা চালানো হলো। আমাদের জনগণেরও খাসলতÑ কোয়ারেন্টাইন শুনলে ভিড় করে! করোনা আক্রান্ত শুনলে ভিড় বাড়ায়, জমায়েত হয়! এমন উৎসুক জনতা পৃথিবীর কোথাও নেই। মসজিদে জামাতে নামাজে ঢল, পুণ্যস্নানে ঢল! আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হলে আমরা সমালোচনা করি। এতে তারা শিথিল হলে পেয়ে বসি। নগরে মানুষ বের হতে থাকে, শহরে গ্রামে হাটবাজারে সমাগম আড্ডাবাজি বেড়ে যায়, সামাজিক সঙ্গরোধ নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর হতে থাকে। অন্যদিকে দেশে ভয়ের ছায়ায় মানুষের চিকিৎসাও মেলে না। গাইবান্ধায় গর্ভবতী মা হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে ঠাঁই পান না। বাইরেই সন্তানের জন্ম দেন।

চিকিৎসকের ভয়, রোগীর ভয়। দেশে দেশে চিকিৎসকও কম মারা যাননি। সেবা দিতে দিতে ইউরোপ, আমেরিকায় ক্লান্ত চিকিৎসক-নার্সেরা। সবখানে অচলাবস্থা। এখানেও চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের দেশে চিকিৎসাব্যবস্থা সুসংগঠিত নয়। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, কর্মী সবার সরঞ্জাম দিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় প্রণোদনা দরকার। করোনাযুদ্ধে মারা গেলে পরিবারের দায় রাষ্ট্রের নেওয়ার ব্যবস্থা অনিবার্য। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদেরও জীবনের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার সাহস দেখাতে হবে। আল্লাহর পরে রোগীর কাছে চিকিৎসক-নার্স কর্মীরা। এর চেয়ে নিবিড় মানবসেবা আর কোনো পেশায় নেই। আমেরিকায় যেখানে চিকিৎসক সংকট আমাদের সেখানে কত করুণ অবস্থা! তবু এ যুদ্ধে আজ মানুষও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের দুয়ারে খাবার দিতে নেমেছে। দেশের ব্যবসায়ীরাও প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপ নগদ অর্থই দেয়নি, ৫ হাজার বেডের হাসপাতাল করার ব্যবস্থাই করে দেয়নি, মাস্ক, খাদ্য মানুষ ও প্রশাসনের দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, জনগণের পাশে আছেন, মনিটর করছেন। তিনিই ঐক্যবদ্ধ জাতিকে সাহস ও দক্ষতার সঙ্গে গভীর দেশপ্রেমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার পাশে তিনি ছাড়া কোনো ক্রাইসিস ম্যানেজারও নেই। কয়েক মন্ত্রী রীতিমতো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দেন গার্মেন্ট খাতের জন্য। সে সময় সরকারি ছুটি ঘোষণা করতেই সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ঈদের ছুটির মতো সব পথেই ব্যাপক ভিড় ঠাসাঠাসি অবস্থায় সবাই ছোটেন গ্রামের বাড়িতে। ঢাকা ফাঁকা হয়ে যায়। তবু ঠিক ছিল এক জায়গায় চলে গেল। যার যার মতো কোয়ারেন্টাইনে যেতে পারবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা গার্মেন্ট মালিকরা ভেবেছিলেন তাদের সদকায়ে জারিয়ার মতো সরকার দিয়েছে। তাই তারা টাকা পেয়ে শ্রমিকের বেতনটা দেওয়ার চিন্তা করেন। ২০১০ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী রেখেছিলেন। সেবার গার্মেন্ট খাতকে এভাবে ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলেন যা তাদের আর ফেরত দিতে হয়নি। এবার ঘোষণার পর গাইডলাইন পেয়ে যখন দেখলেন তাদের ফেরত দিতে হবে এটা ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে তখনই তারা মাথায় হাত দিয়ে অস্থির। করোনার মৃত্যুমুখে দেশ ও মানুষকে ফেলে দিলেন সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি ছুটির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে। গার্মেন্ট খুলে দিয়ে নিজেদের চেইনে শ্রমিকদের এমনভাবে মোবাইলে ডাকলেন যে, জনস্রোত নামল মহাসড়কে, ফেরিতে গিজগিজ অবস্থা। কোয়ারেন্টাইন তছনছ হয়ে গেল। বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট রুবানা হককে ফোন করতেই বললেন তিনি প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছিলেন মালিক বাসায় শ্রমিক কারখানায় এটা হয় না। এমনকি শ্রম মন্ত্রণালয়েও তিনি চিঠি দেন কারখানা বন্ধের জন্য। ততক্ষণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার দিকে সমালোচনার ঝড়। সে রাতেই তারা বন্ধের আহ্বান জানান। জানতে পারি বিজিএমইএ বন্ধ রাখার ক্ষমতা রাখে না। এটা রাখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়।

জাতির দুর্ভাগ্য, এবারের মতো দুর্বল মন্ত্রিসভা যেমন আসেনি তার চেয়ে এমন ব্যর্থ বাণিজ্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী জনগণ দেখেনি। মৃত্যুর আতঙ্কে জাতিকে দাঁড় করিয়ে রীতিমতো লুকোচুরিতে মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলেছে গার্মেন্ট মালিক সিন্ডিকেট, মন্ত্রীদের কারও কারওর সমর্থনে। গার্মেন্ট মালিকরা তাদের নির্দয় দয়ামায়াহীন লোভের ফণা নয়, দৈত্যের চেহারা বের করেছেন। শ্রমিকের রক্ত শোষণের ইতিহাস তাদের নতুন নয়। কাজের পরিবেশটাও আন্তর্জাতিক সংস্থা লড়াই করে আদায় করেছে। আগে তো পুড়ে মরেছে, ভবনধসে চাপা পড়ে মরেছে। সভ্য দুনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করে নিজেরা ধন-দৌলতের মালিক হয়ে ক্ষমতারও অংশীদার হয়েছে। বেশির ভাগই মানবিক সভ্য হতে পারেনি। বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই গার্মেন্ট মালিক ও তাদের একসময়ের নেতা। তার প্রশ্রয়েই শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সমর্থনে বা অযোগ্যতায়, সুচতুর গার্মেন্ট মালিকদের সিন্ডিকেট এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা ষড়যন্ত্র খোঁজেন এত বড় ষড়যন্ত্রও তারা টের পাননি!

ইতালি থেকে আগতরা কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় করোনাভাইরাস ছড়ানোর যে সূচনা করেছিলেন গার্মেন্ট মালিকদের একাংশের নির্লজ্জ নির্দয় লোভ ও বেহায়াপনায় সামাজিক দূরত্বের নিষেধাজ্ঞা দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে দিয়ে সেটির বিস্ফোরণ যে ঘটিয়েছেন তার ভয়ঙ্কর পরিণতি এখন বহন করতে হবে। গার্মেন্ট মালিকরা রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ আনেন সত্য। এটা সেবা দিতে গিয়ে নয়। নিজেরা বিত্ত-বৈভবের মালিক হতে গিয়ে। তাদের বেশির ভাগই মানসিক দরিদ্র ও চতুর। সুন্দর চেহারায় সুন্দর কথায় সমাজে প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে হাঁটেন। সুন্দর কথা বলেন টকশোয়। ঈদ এলে শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-বোনাসে সমস্যা! দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়েন, শ্রমিকের বেলায় মলিন কাপড় চেহারা। এসব গার্মেন্ট মালিকের মুখে কোনো দিন শুনি না ব্যবসা ভালো। সব সময় সব সরকারে খারাপ। এরা ব্যবসায়ী না রাজভিখারিÑ মাঝেমধ্যে বুঝি না!

আমাদের তারুণ্যের প্রথম প্রহরে জলজোছনার শহর সুনামগঞ্জের উকিলপাড়ায় শীতেশ ও মনিরের চায়ের দোকান ঘিরে আড্ডা জমেছিল। আরেকটা ছিল ট্রাফিক পয়েন্টে ফরিদের সিটি ফার্মেসির সামনে। সেনাশাসনবিরোধী ছাত্র রাজনীতিরও ঠিকানা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলেই বাড়ি ফেরা, আন্দোলন, আড্ডা।

উকিলপাড়ায় সীতারামের দোকান ছিল। পরে ভারতে চলে যায়। কোনো কিছুর দাম কম রাখতে বললেই সে বলত লাভ নাই সাব। আমরা বলতাম, লাভ নাই তো ব্যবসা কর কেন? সীতারামের লাভ নাই শুনতেই দাম কম রাখার কথা বলতাম। আমাদের গার্মেন্ট মালিকদের অবস্থা সেই সীতারামের মতো। লাভ নেই তো বিকল্প ব্যবসা-বাণিজ্য কর! এটা কেন। সীতারাম গরিব ছিল।

এরা ধনাঢ্য লোভী ও মনের গরিব। ঈদ এলে বেতন-বোনাসের ঘামের মূল্য পেতে শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হয় কেন? করোনার মৃত্যুতে লাশের প্যাকেট বাণিজ্যের জন্য এখন মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে সব নিরাপত্তার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন কেন? পিপিই আমাদের জন্য তো এত দিন কেউ বানাওনি! এখন ইউরোপ, আমেরিকায় প্রবল চাহিদা। ব্রিটেনে চিকিৎসকরা ময়লা ফেলার পলিথিন গায়ে পরে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারাও চাইবেন। মানবতা নয়, টাকা কামাতেই হবে। মানবতা হলে আগেই দেশের জন্য বানাতেন। তখন বাণিজ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমন্বয় করেননি কেন শ্রমমন্ত্রীকে নিয়ে? গার্মেন্ট মালিকরা নীরব ছিলেন!

গার্মেন্ট মালিকরা ২০১০ সালে যে ৫ হাজার কোটি টাকা পেয়েছিলেন সেটা জনগণের টাকা। জনগণের জন্য কী করেছেন? শ্রমিকদের জন্য কতটা করেছেন? বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হককে সবাই সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত করছেন। মানলাম শক্ত ভূমিকা নিতে পারেননি। মন্ত্রীর চেয়ে কি তার হাত শক্তিশালী? সাবেক প্রেসিডেন্ট আতিকুল ইসলাম মেয়র, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন করোনা জমানার এমপি। বিএনপিপন্থি সালাম মুর্শেদী নৌকায় উঠে এমপি হলেন। আনোয়ারুল ইসলাম পারভেজও সরকারের লোক। টকশোয় সুবচন দেন। প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে কত টাকা দিয়েছেন এ দুর্যোগে? সব ব্যবসায়ী দিচ্ছেন। সাধারণ গরিব মানুষ, নারী, পুরুষ, রাজনৈতিক কর্মী, জনপ্রতিনিধি, ছাত্রসমাজ সবাই পাশে মানুষের। আপনারা কই? বাণিজ্যে? সুবিধা কুড়াতে? শ্রমিকের বেতন কেন দিতে সময় লাগবে? এক দশক যারা ব্যাংক লুটেছে, শেয়ারবাজার শেষ করেছে, বিদেশে টাকা পাচার করেছে, অবৈধ অর্থবিত্ত গড়েছে সারা দেশে, তারা মানবতার বিপর্যয়ে আজ কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর পাশেও দেখি না, সাধারণ মানুষের পাশেও না!

আমি বারবার লিখেছি, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটি করতে সবাইকে নিয়ে। অনেকে বলেছেন টাস্কফোর্স গঠন করতে। এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, তার নেতৃত্বে কমিটি হয়েছে, কারা কমিটিতে তিনি চেনেন না। জেনেছি সব সচিবই আছেন। কি সমন্বয়হীনতা! আইইডিসিআর যেখানে বলছে ২৪ ঘণ্টায় তিনজন মৃত, আক্রান্ত ৩৫ সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন মৃত ৪, আক্রান্ত ২৯! গণমাধ্যমও বিভ্রান্ত। পরে দেখা যায় মন্ত্রীর ভুল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে করোনার থাবায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে দেশের অর্থনীতির রক্ষাকবচ দিয়ে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। সবাই প্রশংসা করছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এ ঋণ দেবে দেশের বড় ছোট সব ব্যবসায়ীসহ কৃষক পর্যন্ত। এখান থেকে যে কেউ নিয়ম মেনে ঋণ নিতে পারবে। ২ শতাংশ সুদে পরিশোধ করতে হবে। সরকার দেবে ৩ শতাংশ সুদ গ্রাহক দেবে ২ শতাংশ। এটার জন্য একটা গাইডলাইন থাকবে। ব্যাংক লুটেরাদের শকুন দৃষ্টি পড়বে না। সরকারকে একই সঙ্গে  অভ্যন্তরীণ চাহিদা ঠিক রাখতে হবে। সরবরাহ চেইন সচল রাখতে হবে। কৃষিসহ সব ধরনের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে কৃষকবান্ধব পদক্ষেপ নিতে হবে। ২০১০ সালের বিশ্বমন্দায় এটা করতে পারায় ইউরোপের দেশগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হলেও আমাদের  হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিজ্ঞতা আছে। মন্ত্রী ও আমলারা দক্ষতা দেখাতে পারলে সম্ভব।

সোমবার রাতে বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান ও বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হকের যৌথ ঘোষণায় গণমাধ্যমকে বলা হয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান যাদের জরুরি রপ্তানি কার্যাদেশ রয়েছে এবং যেসব কারখানায় করোনার সরঞ্জামাদি, মাস্ক, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও করোনাপ্রতিরোধী সামগ্রী তৈরি করছে, এমন কারখানাগুলোকে তাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রয়োজনে খোলা রাখতে পারবে।

তার মানে যা ঘটানো হয়েছে তা বহাল। কিছু নিয়ম বলতে হয় তাই বলা। কারখানায় শ্রমিকরা কত দূরে বসবেন? মালিকরা গিয়ে তাদের সঙ্গে বসবেন? ট্রাকচাপায় নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ দেবেন? একজন শ্রমিকের শরীরে ভাইরাস থাকলে কতজন আক্রান্ত হবেন? নেদারল্যান্ডসে ইতালিফেরত একজন থেকে এখন ১৬ হাজার আক্রান্ত। ভারতে একজনে ৫৯ হাজার সংক্রমিত। পৃথিবীর কত হৃদয়স্পর্শী ছবি মনকে বিষাদময় করে। ভারতে এক লোক মারা গেল, করোনায় নয়, তবু ভয়ে শ্মশানে নিতে কেউ এলোনা। শবযাত্রা চার কন্যার কাঁধে! কলজে কেঁপে ওঠা ছবি!

সরকার অবশ্য এখন ঢাকাকে অবরুদ্ধ করেছে। সব দোকানপাট বন্ধসহ কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হতে বলেছেন। বিনা কারণে বাইরে গেলে জরিমানা শুরু হয়েছে। কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন এলাকা লকডাউন হচ্ছে। ভয় আতঙ্ক ও বাড়ছে। মানুষকে ঘরবন্দী রাখতে ও মহামারী রুখতে গোটা দেশকে হয়তো লকডাউনেই যেতে হবে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত ১৬৪। মারা গেছেন ১৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪১ জন। শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেশ।

এক মাস পর কী হবে কেউ জানে না। আমাদের মসজিদে নামাজও সবার জন্য বন্ধ হয়েছে। আলেমরাও সমর্থন দিয়েছেন। যদি ইউরোপ, আমেরিকার ভয়াবহতা আসে ইতালিফেরত থেকে গার্মেন্ট কারখানা খোলায় যারা জড়িত তাদের দায় নিতেই হবে। কয়েকজনের কারণে কার্যত দেশ এক ভয়ঙ্কর হুমকির মুখে আজ।

মানবতার মহাবিপর্যয়েও যারা ত্রাণের চাল চুরি করে, মুনাফাখোর হয় তাদের মানুষ বলি না; কিন্তু যারা দেশের সবকিছু বন্ধ থাকলেও জনগণের জীবনকে করোনাভাইরাসের মতো মহাপ্রলয়ের ঝুঁকিতে ফেলে ডলারের লোভে গার্মেন্ট কারখানা খুলতে চেয়েছে তাদের কী বলব? করোনা রোগীর চেয়ে নির্দয় গার্মেন্ট মালিকদের সিন্ডিকেটকেই আজ বড় ভয় হয়! এদের ডলারের নেশার কাছে মানুষের জীবন তুচ্ছ।

 

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
একীভূত ব্যাংক
একীভূত ব্যাংক
নির্বাচনের ঢেউ
নির্বাচনের ঢেউ
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
সর্বশেষ খবর
মেট্রোরেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
মেট্রোরেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

১ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১০৩৭ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১০৩৭ মামলা

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

হংকং সিক্সেসে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
হংকং সিক্সেসে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এক দাতিনা মাছ ১ লাখ টাকায় বিক্রি
এক দাতিনা মাছ ১ লাখ টাকায় বিক্রি

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালদ্বীপের বাজারে প্রবেশের অনুমতি পেল ওয়ালটন ক্যাবলস
মালদ্বীপের বাজারে প্রবেশের অনুমতি পেল ওয়ালটন ক্যাবলস

২৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান
বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

ইবিতে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি
ইবিতে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার: মীর হেলাল
ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার: মীর হেলাল

৩৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক
সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে সাতক্ষীরার দুই শিশু প্রতিনিধি
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে সাতক্ষীরার দুই শিশু প্রতিনিধি

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নীলফামারীতে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানববন্ধন
নীলফামারীতে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানববন্ধন

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গৌরীপুর বিএনপির সমাবেশে স্ট্রোক করে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
গৌরীপুর বিএনপির সমাবেশে স্ট্রোক করে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলা-খুলনা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন
মোংলা-খুলনা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি
আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ফারুক আহমেদ
হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ফারুক আহমেদ

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ধানের শীষে ভোট চেয়ে মোশারফ হোসেনের গণসংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে মোশারফ হোসেনের গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১২ বছর পর ফিরছে ‘রাউডি রাঠোর’, থাকছেন না অক্ষয় কুমার
১২ বছর পর ফিরছে ‘রাউডি রাঠোর’, থাকছেন না অক্ষয় কুমার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজীপুরের নতুন জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান
গাজীপুরের নতুন জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে খালে পড়ে শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীতে খালে পড়ে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাত দিনের আল্টিমেটাম
কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাত দিনের আল্টিমেটাম

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা দিলো আবুল খায়ের গ্রুপ
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা দিলো আবুল খায়ের গ্রুপ

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে দুই হাজতির পলায়ন, গ্রেপ্তার ১
খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে দুই হাজতির পলায়ন, গ্রেপ্তার ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমসহ ৬৭ জনের নামে মামলা
সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমসহ ৬৭ জনের নামে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজীপুরে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন
গাজীপুরে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার : মীর হেলাল
ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার : মীর হেলাল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১২০০ কোটি টাকা পাচারে সালমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
১২০০ কোটি টাকা পাচারে সালমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স পেল বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড
ইউনাইটেড ফাইন্যান্স পেল বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা
ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস
ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ
হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি
বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী
৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক দিনে পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা
এক দিনে পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা
জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়
মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চালু হচ্ছে এআই পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা : নিন্স পরিচালক
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চালু হচ্ছে এআই পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা : নিন্স পরিচালক

৮ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপিতে  নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক
এনসিপিতে নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে

মাঠে ময়দানে

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক
রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড
দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ

মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন
বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন

প্রথম পৃষ্ঠা