শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৯ জুন, ২০২০ আপডেট:

স্মৃতির পাতায় মোস্তফা কামাল সৈয়দ

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
স্মৃতির পাতায় মোস্তফা কামাল সৈয়দ

মোস্তফা কামাল সৈয়দ একজন আদর্শ মানুষের নাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনে যিনি ছিলেন আদর্শের প্রতীক। মোস্তফা কামাল সৈয়দ একজন নীতিবান সরকারি চাকরিজীবীর নাম। যিনি ছিলেন সৎ, নিষ্ঠাবান ও আপসহীন, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতার যথার্থ সংজ্ঞা। যে মানুষটিকে ভালোবাসে মিডিয়া জগতের সবাই। ভালোবাসে তার চেনাজানা কাছের-দূরের সব মানুষ। আর এই ভালোবাসার কারণ তার আচার-আচরণ, সততা, সরলতা। মোস্তফা কামাল সৈয়দ ছিলেন টেলিভিশনের স্বর্ণযুগের গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ ৫৮ বছরের কর্মময় জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন টিভি মিডিয়ায়। তিনি শুধু একজন চাকরিজীবীই নয়, ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তার ভরাট কণ্ঠের আবৃত্তি, ধারা বর্ণনা কিংবা আজানের শেষে দোয়া শুনলেই বোঝা যেত এই ভরাট কণ্ঠ আর কারও নয় আমাদের প্রিয় কামাল ভাইয়ের। সবার পছন্দের এই ভালো মানুষটি গত ৩১ মে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে হেরে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে মিডিয়া জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ৭৫ বছর বয়স হলেও তার এই অকাল মৃত্যুতে সবাই গভীর শোকাহত। অকাল মৃত্যু এ জন্যই বললাম তিনি কখনই বয়সের কাছে হার মানেননি। অনেকেই বলতেন তিনি সবসময় যুবক, অলওয়েজ ইয়াং ম্যান। কর্মজীবনের শুরু থেকেই সবার আগে অফিসে গেছেন, বেরিয়েছেন সবার শেষে। শুধু তাই নয়, এই করোনার লকডাউনের সময়ও পরিবারের সবার নিষেধ সত্ত্বেও ঘরে আটকে রাখা যায়নি তাকে। ছুটে গেছেন কর্মস্থলে। প্রচারবিমুখ কামাল ভাই পর্দার পেছনের মানুষ হলেও কর্মগুণে তিনি চলে আসতেন সামনে। অনেক বড় বড় সৃষ্টির নেপথ্য নায়ক। জীবনে কখনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি কিন্তু যোগাযোগের ঘাটতি ছিল না কারও সঙ্গেই। করোনার এই ভয়াবহ দুঃসময়ে মানুষ যখন হাঁপিয়ে উঠেছে ঠিক তখনই হঠাৎ করে কামাল ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে আমি যেন শোকে পাথর হয়ে গেলাম। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই মনটা খারাপ, এরপর কামাল ভাইয়ের এই অকস্মাৎ মৃত্যু, সব কিছুই যেন কেমন এলোমেলো করে দিল। মনের পর্দায় ভেসে উঠল কামাল ভাইয়ের সঙ্গে অজস্র স্মৃতির কথা। কোন স্মৃতির কথা বলব-বিটিভির স্মৃতি না এনটিভির স্মৃতি? কামাল ভাই শুরুর দিকে ছিলেন অনুষ্ঠান প্রযোজক, এক সময় সংগীত প্রযোজনাও করতেন। তার তত্ত্বাবধানে ৭০-৮০ দশকে নির্মিত হয়েছে মন ছুঁয়ে যাওয়া সব সংগীতানুষ্ঠান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে, ‘কথা ও সুর’, ‘সুরবাণী’, ‘আমার যত গান’। বেশির ভাগ অনুষ্ঠানেরই উপস্থাপক ছিলেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। আর এখন এত চ্যানেলের ভিড়ে শত শত গানের অনুষ্ঠানেও পাওয়া যায় না সেই সুর, সেই পরিচ্ছন্নতা। পাওয়া যায় না রফিক ভাইয়ের মতো উপস্থাপক। যিনি সত্যিকারের সংগীত বোদ্ধা। মানসম্পন্ন সংগীত অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য ’৭৫ সালের দিকে কামাল ভাই শ্রেষ্ঠ সংগীত প্রযোজক হিসেবেও পুরস্কার পেয়েছিলেন। শুধু গানই নয়, নাটক প্রযোজনার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন দক্ষ, তার বেশ কটি প্রযোজনাই ছিল কালজয়ী। আমরা অনেকেই জানি, আশির দশকের শুরুতে টিভির সেই সোনালি যুগের সুপার স্টার ছিলেন ফজলে লোহানী। টেলিভিশনে টিভি রিপোর্টিংয়ের জনক বলা হয় তাকে। তিনি ছিলেন একাধারে আমার অভিভাবক এবং বন্ধুর মতো। ১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাসে লোহানী ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার সঙ্গে আমার শিল্পী জীবনের একটা অধ্যায়ের শেষ হয়। তার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম। তখন কামাল ভাইয়ের উৎসাহেই একই বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শুরু করেছিলাম ‘ঝলক’ নামের একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। সেটিই ছিল আমার নির্মিত প্রথম ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। সে সময় একজন নির্দিষ্ট প্রযোজকের দায়িত্বে অনুষ্ঠান বানাতে হতো। শুধু পরিকল্পনা এবং লেখালেখির কাজটা ছিল আমার। অনুষ্ঠান করলেও উপস্থাপনার দায়িত্বটা আমি নিতাম না। ২/১টি বিশেষ পর্বে উপস্থিত হতাম। বিভিন্ন সময় টিভি বা চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের দিয়ে উপস্থাপনা করাতাম। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নির্বাচনের ব্যাপারে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতাম। যেহেতু তখন থেকেই আমার অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ছিল অসঙ্গতিকে তুলে ধরা এবং স্যাটায়ারধর্মী। সুতরাং অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে মতের অমিল হতো। সেন্সর যন্ত্রণায় যখন অসহায় হয়ে পড়তাম তখন কামাল ভাইয়ের কাছে চলে যেতাম। কামাল ভাই তখন প্রযোজক এবং আমাকে বোঝাতেন-কোনটা ঠিক, কোনটা ঠিক নয়। তিনি যখন বোঝাতেন আমার কাছে মনে হতো তিনি যথার্থই বলছেন। অন্যদের সঙ্গে তর্ক করলেও কামাল ভাইয়ের সঙ্গে করতাম না, কারণ আমি জানতাম, কামাল ভাই অনুষ্ঠানকে ভালোবাসেন। সুতরাং তিনি যেটা বলবেন সেটা অনুষ্ঠানের স্বার্থেই বলবেন এবং বলতেনও। ‘ঝলক’ এর পর ‘কথার কথা’, এরপর শুরু হলো ’৮৯ সালের প্রথম দিকে ‘ইত্যাদি’। এ সময়ে প্যাকেজ অনুষ্ঠান নিয়ে তার বিভিন্ন কার্যক্রমে এবং সরকারি বিভিন্ন নীতিমালায় তার প্যাকেজবান্ধব ভূমিকা দেখে মুগ্ধ হই।

’৯৪-এর শুরুর দিকে আমাদের প্যাকেজ আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন টিভির বাইরে থেকে নির্মিত অনুষ্ঠানকে প্যাকেজ অনুষ্ঠান বলা হতো। তখন শিল্পীদের মধ্যে প্রচন্ড একতা ছিল। এক সময় আমরা টেলিভিশন বয়কটেরও হুমকি দিয়েছিলাম। আমাদের সম্মিলিত আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এক সময় মন্ত্রণালয় থেকে কিছু শর্ত দিয়ে প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। সে সময় টেলিভিশনের একটি মহলের ধারণা ছিল বাইরে থেকে কিছুতেই টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ সম্ভব না। কারণ এখনকার মতো তখন এত প্রোডাকশন হাউস, স্টুডিও, ক্যামেরা ছিল না। ‘ফাগুন অডিও ভিশন’ই ছিল তখন প্রথম অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য ইনফ্রেম বলে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল, তারা অনুষ্ঠান বানাতো না। কয়েক বছর পর আরও একটি অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো, তারা কারিগরি সহায়তাও দিত এবং অনুষ্ঠানও বানাতো। প্রতিষ্ঠানটির নাম ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। প্রথম দিকে যারা এটিএন এর চাঙ্ক ভাড়া নিয়ে শুরুতে এক ঘণ্টা পরে সম্ভবত ২/৩ ঘণ্টার অনুষ্ঠান চালাত। সে সময় আমি উদ্যোগী হয়ে টিভির সেই মহলটিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বাইরে থেকে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব দিলাম। টিভির সেই মহলটি বিশ্বাস করতে না চাইলেও বিশ্বাস করেছিলেন কামাল ভাই। আর সেই বিশ্বাস থেকেই ‘ইত্যাদি’ যাতে প্যাকেজ অনুষ্ঠান হিসেবে নির্মাণ করতে পারি, সে ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেটাও অনুষ্ঠানের মান বিবেচনায়। কামাল ভাই ভাবতেন ‘ইত্যাদি’ জটিল অনুষ্ঠান, টিভির সীমাবদ্ধ সুবিধায় করা সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানটি বাইরে থেকে নির্মাণ করলে হয়তো এর মান ভালো হবে। কামাল ভাইয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় অনেক কষ্ট করে বন্ধুবর চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন বুলুকে নিয়ে টিভির বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছিলাম ‘ইত্যাদি’। প্রচার তারিখ নির্ধারিত হলো ১৮ নভেম্বর ১৯৯৪। কিন্তু সেই মহলবিশেষের কারণে আবার দেখা দিল প্রচার জটিলতা। তারপরও আবার সেই কামাল ভাই এবং নওয়াজিশ ভাইয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি প্রচার সিডিউল হলো। টিভির সঙ্গে ফাগুন অডিও ভিশনের প্রথম চুক্তিপত্র হলো, স্বাক্ষর করলেন নওয়াজিশ আলী খান। সেই চুক্তিপত্রটিই ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত টেলিভিশন অনুষ্ঠানের প্রথম চুক্তিপত্র। অনুষ্ঠান প্রিয় এই মানুষটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৪ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হলো বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম প্যাকেজ অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য় প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হলো (১৮ নভেম্বর ১৯৯৪) ‘টেলিভিশনে বহিরাগত’। বেসরকারিভাবে নির্মিত অনুষ্ঠান নির্মাণের পথপ্রদর্শকও বলা হয় ‘ইত্যাদি’কে। কারণ এখান থেকেই যাত্রা শুরু হয়, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ভাবনা। যার অনেক কৃতিত্বের দাবিদার মোস্তফা কামাল সৈয়দ। একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও নানান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দেয়াল ভেঙেছেন তিনি অনুষ্ঠানের প্রতি ভালোবাসা থেকে। এসব কথা এই প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। এখনকার অনেক নির্মাতারই তখন হয়তো জন্মই হয়নি। সুতরাং সেই সময়ের কষ্টের টেলিভিশন, সৃষ্টির টেলিভিশনে কাজ করায় যেমন আনন্দ ছিল, তেমনি সৃষ্টিতেও ছিল প্রশান্তি। কারণ তখন অনুষ্ঠান প্রিভিউ করতেন আবদুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা কামাল সৈয়দ, নওয়াজিশ আলী খান, আতিকুল হক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো মানুষ। যাদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি। তখন অনুষ্ঠান নির্মাণ করে দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করতে হতো, কারণ নির্মাণ করলেই হবে না, অনুষ্ঠানটি পরীক্ষায় পাস করতে হবে। আর সে পরীক্ষা করতেন এসব গুণী মানুষ। তাদের হাত দিয়ে কোনো দোষত্রুটি ছাড়া অনুষ্ঠান প্রচারের অনুমতি পেলে অন্যরকম আনন্দে ভরে যেত মন।

১৯৮০ থেকে ৮৫ কামাল ভাইকে চিনেছি, জেনেছি আর ’৮৫ থেকে ২০০৫ এই দীর্ঘ ২৫ বছরে কামাল ভাইয়ের একান্ত সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছি। ’৯৪ সালে প্যাকেজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোগে টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ শুরু হলে অনেকেই টিভি ছেড়ে চলে যান, প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাণে কিংবা কোনো চ্যানেলে। পরবর্তীতে কেউ কেউ চ্যানেল মালিকও হয়ে যান। আমি প্যাকেজে অনুষ্ঠান নির্মাণ করলেও তখন ২/৩টি স্যাটেলাইট চ্যানেল থেকে উচ্চমূল্যের অফার পাওয়া সত্ত্বেও বিটিভিকে ছেড়ে যাইনি। বিষয়টি কামাল ভাইকে আনন্দ দিয়েছিল। তবে কখনো প্রকাশ করেননি। তবে বুঝতে পেরেছি পরবর্তী ১০ বছর প্যাকেজের আওতায় টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে গিয়ে। তিনি সব সময় সহযোগিতা করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ও অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত করতে অনুরোধও করতেন। এভাবেই সময়ের সঙ্গে শিখতে শিখতে এগিয়েছি আগামীর পথে, আর ‘ইত্যাদি’ পাড়ি দিয়েছে ৩২টি বছর।

আমার নাট্যকার হওয়ার পেছনেও কামাল ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৯৮ সালে হঠাৎ করেই তিনি আমাকে ঈদের নাটক করার প্রস্তাব দিলেন। আমি তো অবাক, কামাল ভাই বলেন কী? আমি করব নাটক? আমি তো কখনো নাটক করিনি। তিনি আমার মুখের ওপর বললেন হ্যাঁ করবেন, চেষ্টা করুন হয়ে যাবে। জানলাম শুধু আমাকেই নয়, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে তিনি ম্যাগাজিন বানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন এবং আমরা কামাল ভাইয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দুজন দুটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান করেছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেছিলেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘রঙের বাড়ৈ’, আর আমি নির্মাণ করেছিলাম নাটক ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’। কামাল ভাই আমাদের মাধ্যমে সে সময় দর্শকদের বৈচিত্র্যের স্বাদ দিতে চেয়েছিলেন এবং দর্শকরাও আনন্দ পেয়েছিলেন। সেই থেকে নাটক করার সাহস পেলাম।

আমার মনে আছে ’৯৫ সালের দিকে ঢাকা শহরে পানির তীব্র সংকটের কারণে পানির অপচয় রোধ করা, গ্যাসের অপচয় রোধে সবাইকে সচেতন করা, সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকান্ড প্রতিরোধের বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রতিবেদন করেছিলাম ‘ইত্যাদি’তে। এসব অনুষ্ঠান প্রচারের পর কামাল ভাই ‘ইত্যাদি’র এই প্রতিবেদনগুলোর ফিলার বানিয়ে দিতে বলেছিলেন। বানিয়ে দেওয়ার পর তিনি তা দীর্ঘদিন টেলিভিশনে চালিয়েছেন। এখানেও তার মানুষকে সচেতন করার চিন্তা কাজ করেছে। অর্থাৎ তার প্রতিটি উদ্যোগের পেছনে একটি মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। আর তা ছিল জনস্বার্থ।

কামাল ভাই ক্রিকেট খেলা খুব পছন্দ করতেন। আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার আনন্দে তৎকালীন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর অনুরোধে ক্রিকেট নিয়ে একটি গান নির্মাণ করার সুযোগ পাই। এটি বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে নির্মিত প্রথম গান। গানটি প্রথম প্রচারিত হয় ‘ইত্যাদি’তে ১৯৯৭ সালের ২৯ মে। গানটি লিখেছিলেন আশেক মাহমুদ ও সুর করেছিলেন আলী আকবর রুপু। গেয়েছিলেন খালিদ হাসান মিলু, তপন চৌধুরী ও কুমার বিশ্বজিৎ। গানটিতে সে সময়কার ক্রিকেট তারকারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। গানটি নির্মাণের সময় কামাল ভাই সব সময় আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সব ক্রিকেট তারকাকে পেয়েছি কিনা, ঠিকমতো শুটিং হচ্ছে কিনা, আর কোনো সহায়তা লাগবে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি। শুটিংয়ের আগেই গানটি তিনি শুনতেও চেয়েছিলেন। যদিও এসব কাজ তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, কারণ গানটি ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছিল। গানটি সম্পাদনা শেষ করে যখন জমা দিই, তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ফিলার হিসেবে বিটিভিতে বেশ কয়েকবার প্রচারও করেন। দীর্ঘ দুই দশকে বিটিভিতে অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে গিয়ে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে আমার এমনি অনেক স্মৃতি রয়েছে।

২০০৩ সালের শুরুতে কামাল ভাই এনটিভিতে যোগ দিলেন। তবে সার্বক্ষণিকভাবে যোগ দেন ওই বছরের শেষের দিকে। তখন দেশে ২/৩টি স্যাটেলাইট চ্যানেল যাত্রা শুরু করেছে। ’৯৭-এর দিকে এটিএন বাংলা, ’৯৯-তে চ্যানেল আই, ২০০০-এ ইটিভি, ২০০৩-এ এনটিভি। এনটিভির আগে আরও ২/৩টি চ্যানেল এলেও কামাল ভাইয়ের এনটিভিতে যোগদানের  পেছনেও ছিল তার সুদূরপ্রসারী ও স্বাধীনচেতা মনোভাব। কারণ এনটিভিতে মালিকরা নিজেরা অনুষ্ঠান করে না। সুতরাং এখানে মালিকের অনুষ্ঠান চালানো নিয়ে তার কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। এর মধ্যে আমি টেরিস্টেরিয়াল চ্যানেল ইটিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করলাম। এটিএন বাংলার ইউরোপ যাত্রা করলাম। সেই সময় এটিএন বাংলার জন্য একটি সেøাগান ঠিক করে দিয়েছিলাম ‘অবিরাম বাংলার মুখ’। সেই থেকে চ্যানেলে সেøাগান দেওয়া শুরু হলো। তারই ধারাবাহিকতায় এনটিভির সেøাগান ‘সময়ের সঙ্গে আগামীর পথে’ এবং থিম সংটিও তৈরি করলাম। এনটিভিতে যোগদানের পর কামাল ভাই ফাইল ঘেঁটে যখন জেনেছেন এনটিভির সেøাগানটি আমার দেওয়া, তখনই তিনি আমাকে ফোন করেন। সেøাগানটির জন্য বেশ প্রশংসা করলেন। আসলে কামাল ভাই জানতেন, কীভাবে মানুষকে প্রশংসা করতে হয়। যে গুণটি অনেকের মধ্যেই নেই।

এরপর সময়ের চাকা দ্রুত এগিয়ে চললো। কামাল ভাইয়ের সঙ্গে খুব ঘন ঘন দেখা হতো না, কথাও হতো না। মাঝে মাঝে কামাল ভাইয়ের বাসা কিংবা এনটিভির ল্যান্ডফোনে কথা হতো। ফোনটা ধরেই বলতেন, ‘কেমন আছেন হানিফ সাহেব?’ আমি বহুবার অনুরোধ করেও আমাকে তুমি বলাতে পারিনি। তবে তার কথায় বুঝতাম আমার অনুষ্ঠান তিনি নিয়মিত দেখতেন। প্রায়ই জিজ্ঞেস করতেন, এবার কোথায় করবেন? বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অনুষ্ঠান করতে অনেক কষ্ট তাই না? বুঝতাম অনুষ্ঠানের চেহারা দেখলেই বুঝতে পারতেন এর নির্মাণ যন্ত্রণা কত কষ্টের। এরপর শেষের দিকে তিনিও ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন এনটিভি নিয়ে, আমিও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ‘ইত্যাদি’ করতে গিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, ততটা যোগাযোগ হতো না কিন্তু একটা যোগসূত্র ছিল- কারও কাছে যখন শুনতাম তিনি কোনো নির্মাতাকে বলেছেন, ‘‘ইত্যাদি’টা দেখ, কত কষ্ট করে অনুষ্ঠান করে। অনেক কিছুই বুঝতে পারবে। শিখতে পারবে।” আসলে তিনি নিজে কষ্ট করতে ভালোবাসেন। তাই কেউ যখন কষ্ট করে কোনো কাজ করে তিনি প্রাণখুলে তার প্রশংসা করেন। কামাল ভাইয়ের পছন্দের শীর্ষে ছিল মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান, পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠান, রুচিশীল অনুষ্ঠান। আর তাই তো এত চ্যানেলের ভিড়ে এনটিভি একমাত্র চ্যানেল যে তার মানসম্পন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ২০১১ সালে আইএসও পুরস্কার লাভ করেছিল। এনটিভির এই পুরস্কার প্রাপ্তির পেছনেও ছিল কামাল ভাইয়ের অবদান। একনাগাড়ে প্রায় ১৭টি বছর তিনি এনটিভিতে কাজ করেছেন। এনটিভির সবার কাছে তিনি কতটা প্রিয় ছিলেন তার মৃত্যুর পর এনটিভির প্রতিটি কলাকুশলীর চোখের পানি দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

কামাল ভাই ছিলেন প্রচারবিমুখ নীরব কর্মী। সামনে চলতো তার ঝলমলে অনুষ্ঠান আর নির্মাণ তারকা হয়েও তিনি বসে থাকতেন পেছনে। স্বীকৃতির প্রত্যাশা তিনি কখনো করেননি। তার কৃতিত্বের কথাও প্রচার করে বেড়াননি তিনি। নীরবেই কাজ করতে পছন্দ করতেন। আর এই করোনাকালে তিনি চলেও গেলেন নীরবে। এ দেশের মিডিয়াকর্মীদের অন্তরে চিরদিন বেঁচে থাকবেন তিনি। আমরা কামাল ভাইয়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম গ্রেফতার

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে শিশু খাদ্য উৎপাদন কারখানায় অভিযান, জরিমানা
টঙ্গীতে শিশু খাদ্য উৎপাদন কারখানায় অভিযান, জরিমানা

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চকরিয়ায় অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ আটক, নারী উদ্ধার
চকরিয়ায় অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ আটক, নারী উদ্ধার

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারে মিলল ইয়াবা, আটক ২
প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারে মিলল ইয়াবা, আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন
জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

১০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা
সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন