শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৯ জুন, ২০২০ আপডেট:

স্মৃতির পাতায় মোস্তফা কামাল সৈয়দ

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
স্মৃতির পাতায় মোস্তফা কামাল সৈয়দ

মোস্তফা কামাল সৈয়দ একজন আদর্শ মানুষের নাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনে যিনি ছিলেন আদর্শের প্রতীক। মোস্তফা কামাল সৈয়দ একজন নীতিবান সরকারি চাকরিজীবীর নাম। যিনি ছিলেন সৎ, নিষ্ঠাবান ও আপসহীন, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতার যথার্থ সংজ্ঞা। যে মানুষটিকে ভালোবাসে মিডিয়া জগতের সবাই। ভালোবাসে তার চেনাজানা কাছের-দূরের সব মানুষ। আর এই ভালোবাসার কারণ তার আচার-আচরণ, সততা, সরলতা। মোস্তফা কামাল সৈয়দ ছিলেন টেলিভিশনের স্বর্ণযুগের গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ ৫৮ বছরের কর্মময় জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন টিভি মিডিয়ায়। তিনি শুধু একজন চাকরিজীবীই নয়, ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তার ভরাট কণ্ঠের আবৃত্তি, ধারা বর্ণনা কিংবা আজানের শেষে দোয়া শুনলেই বোঝা যেত এই ভরাট কণ্ঠ আর কারও নয় আমাদের প্রিয় কামাল ভাইয়ের। সবার পছন্দের এই ভালো মানুষটি গত ৩১ মে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে হেরে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে মিডিয়া জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ৭৫ বছর বয়স হলেও তার এই অকাল মৃত্যুতে সবাই গভীর শোকাহত। অকাল মৃত্যু এ জন্যই বললাম তিনি কখনই বয়সের কাছে হার মানেননি। অনেকেই বলতেন তিনি সবসময় যুবক, অলওয়েজ ইয়াং ম্যান। কর্মজীবনের শুরু থেকেই সবার আগে অফিসে গেছেন, বেরিয়েছেন সবার শেষে। শুধু তাই নয়, এই করোনার লকডাউনের সময়ও পরিবারের সবার নিষেধ সত্ত্বেও ঘরে আটকে রাখা যায়নি তাকে। ছুটে গেছেন কর্মস্থলে। প্রচারবিমুখ কামাল ভাই পর্দার পেছনের মানুষ হলেও কর্মগুণে তিনি চলে আসতেন সামনে। অনেক বড় বড় সৃষ্টির নেপথ্য নায়ক। জীবনে কখনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি কিন্তু যোগাযোগের ঘাটতি ছিল না কারও সঙ্গেই। করোনার এই ভয়াবহ দুঃসময়ে মানুষ যখন হাঁপিয়ে উঠেছে ঠিক তখনই হঠাৎ করে কামাল ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে আমি যেন শোকে পাথর হয়ে গেলাম। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই মনটা খারাপ, এরপর কামাল ভাইয়ের এই অকস্মাৎ মৃত্যু, সব কিছুই যেন কেমন এলোমেলো করে দিল। মনের পর্দায় ভেসে উঠল কামাল ভাইয়ের সঙ্গে অজস্র স্মৃতির কথা। কোন স্মৃতির কথা বলব-বিটিভির স্মৃতি না এনটিভির স্মৃতি? কামাল ভাই শুরুর দিকে ছিলেন অনুষ্ঠান প্রযোজক, এক সময় সংগীত প্রযোজনাও করতেন। তার তত্ত্বাবধানে ৭০-৮০ দশকে নির্মিত হয়েছে মন ছুঁয়ে যাওয়া সব সংগীতানুষ্ঠান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে, ‘কথা ও সুর’, ‘সুরবাণী’, ‘আমার যত গান’। বেশির ভাগ অনুষ্ঠানেরই উপস্থাপক ছিলেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। আর এখন এত চ্যানেলের ভিড়ে শত শত গানের অনুষ্ঠানেও পাওয়া যায় না সেই সুর, সেই পরিচ্ছন্নতা। পাওয়া যায় না রফিক ভাইয়ের মতো উপস্থাপক। যিনি সত্যিকারের সংগীত বোদ্ধা। মানসম্পন্ন সংগীত অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য ’৭৫ সালের দিকে কামাল ভাই শ্রেষ্ঠ সংগীত প্রযোজক হিসেবেও পুরস্কার পেয়েছিলেন। শুধু গানই নয়, নাটক প্রযোজনার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন দক্ষ, তার বেশ কটি প্রযোজনাই ছিল কালজয়ী। আমরা অনেকেই জানি, আশির দশকের শুরুতে টিভির সেই সোনালি যুগের সুপার স্টার ছিলেন ফজলে লোহানী। টেলিভিশনে টিভি রিপোর্টিংয়ের জনক বলা হয় তাকে। তিনি ছিলেন একাধারে আমার অভিভাবক এবং বন্ধুর মতো। ১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাসে লোহানী ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার সঙ্গে আমার শিল্পী জীবনের একটা অধ্যায়ের শেষ হয়। তার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম। তখন কামাল ভাইয়ের উৎসাহেই একই বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শুরু করেছিলাম ‘ঝলক’ নামের একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। সেটিই ছিল আমার নির্মিত প্রথম ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। সে সময় একজন নির্দিষ্ট প্রযোজকের দায়িত্বে অনুষ্ঠান বানাতে হতো। শুধু পরিকল্পনা এবং লেখালেখির কাজটা ছিল আমার। অনুষ্ঠান করলেও উপস্থাপনার দায়িত্বটা আমি নিতাম না। ২/১টি বিশেষ পর্বে উপস্থিত হতাম। বিভিন্ন সময় টিভি বা চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের দিয়ে উপস্থাপনা করাতাম। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নির্বাচনের ব্যাপারে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতাম। যেহেতু তখন থেকেই আমার অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ছিল অসঙ্গতিকে তুলে ধরা এবং স্যাটায়ারধর্মী। সুতরাং অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে মতের অমিল হতো। সেন্সর যন্ত্রণায় যখন অসহায় হয়ে পড়তাম তখন কামাল ভাইয়ের কাছে চলে যেতাম। কামাল ভাই তখন প্রযোজক এবং আমাকে বোঝাতেন-কোনটা ঠিক, কোনটা ঠিক নয়। তিনি যখন বোঝাতেন আমার কাছে মনে হতো তিনি যথার্থই বলছেন। অন্যদের সঙ্গে তর্ক করলেও কামাল ভাইয়ের সঙ্গে করতাম না, কারণ আমি জানতাম, কামাল ভাই অনুষ্ঠানকে ভালোবাসেন। সুতরাং তিনি যেটা বলবেন সেটা অনুষ্ঠানের স্বার্থেই বলবেন এবং বলতেনও। ‘ঝলক’ এর পর ‘কথার কথা’, এরপর শুরু হলো ’৮৯ সালের প্রথম দিকে ‘ইত্যাদি’। এ সময়ে প্যাকেজ অনুষ্ঠান নিয়ে তার বিভিন্ন কার্যক্রমে এবং সরকারি বিভিন্ন নীতিমালায় তার প্যাকেজবান্ধব ভূমিকা দেখে মুগ্ধ হই।

’৯৪-এর শুরুর দিকে আমাদের প্যাকেজ আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন টিভির বাইরে থেকে নির্মিত অনুষ্ঠানকে প্যাকেজ অনুষ্ঠান বলা হতো। তখন শিল্পীদের মধ্যে প্রচন্ড একতা ছিল। এক সময় আমরা টেলিভিশন বয়কটেরও হুমকি দিয়েছিলাম। আমাদের সম্মিলিত আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এক সময় মন্ত্রণালয় থেকে কিছু শর্ত দিয়ে প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। সে সময় টেলিভিশনের একটি মহলের ধারণা ছিল বাইরে থেকে কিছুতেই টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ সম্ভব না। কারণ এখনকার মতো তখন এত প্রোডাকশন হাউস, স্টুডিও, ক্যামেরা ছিল না। ‘ফাগুন অডিও ভিশন’ই ছিল তখন প্রথম অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য ইনফ্রেম বলে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল, তারা অনুষ্ঠান বানাতো না। কয়েক বছর পর আরও একটি অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো, তারা কারিগরি সহায়তাও দিত এবং অনুষ্ঠানও বানাতো। প্রতিষ্ঠানটির নাম ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। প্রথম দিকে যারা এটিএন এর চাঙ্ক ভাড়া নিয়ে শুরুতে এক ঘণ্টা পরে সম্ভবত ২/৩ ঘণ্টার অনুষ্ঠান চালাত। সে সময় আমি উদ্যোগী হয়ে টিভির সেই মহলটিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বাইরে থেকে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব দিলাম। টিভির সেই মহলটি বিশ্বাস করতে না চাইলেও বিশ্বাস করেছিলেন কামাল ভাই। আর সেই বিশ্বাস থেকেই ‘ইত্যাদি’ যাতে প্যাকেজ অনুষ্ঠান হিসেবে নির্মাণ করতে পারি, সে ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেটাও অনুষ্ঠানের মান বিবেচনায়। কামাল ভাই ভাবতেন ‘ইত্যাদি’ জটিল অনুষ্ঠান, টিভির সীমাবদ্ধ সুবিধায় করা সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানটি বাইরে থেকে নির্মাণ করলে হয়তো এর মান ভালো হবে। কামাল ভাইয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় অনেক কষ্ট করে বন্ধুবর চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন বুলুকে নিয়ে টিভির বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছিলাম ‘ইত্যাদি’। প্রচার তারিখ নির্ধারিত হলো ১৮ নভেম্বর ১৯৯৪। কিন্তু সেই মহলবিশেষের কারণে আবার দেখা দিল প্রচার জটিলতা। তারপরও আবার সেই কামাল ভাই এবং নওয়াজিশ ভাইয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি প্রচার সিডিউল হলো। টিভির সঙ্গে ফাগুন অডিও ভিশনের প্রথম চুক্তিপত্র হলো, স্বাক্ষর করলেন নওয়াজিশ আলী খান। সেই চুক্তিপত্রটিই ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত টেলিভিশন অনুষ্ঠানের প্রথম চুক্তিপত্র। অনুষ্ঠান প্রিয় এই মানুষটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৪ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হলো বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম প্যাকেজ অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য় প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হলো (১৮ নভেম্বর ১৯৯৪) ‘টেলিভিশনে বহিরাগত’। বেসরকারিভাবে নির্মিত অনুষ্ঠান নির্মাণের পথপ্রদর্শকও বলা হয় ‘ইত্যাদি’কে। কারণ এখান থেকেই যাত্রা শুরু হয়, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ভাবনা। যার অনেক কৃতিত্বের দাবিদার মোস্তফা কামাল সৈয়দ। একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও নানান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দেয়াল ভেঙেছেন তিনি অনুষ্ঠানের প্রতি ভালোবাসা থেকে। এসব কথা এই প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। এখনকার অনেক নির্মাতারই তখন হয়তো জন্মই হয়নি। সুতরাং সেই সময়ের কষ্টের টেলিভিশন, সৃষ্টির টেলিভিশনে কাজ করায় যেমন আনন্দ ছিল, তেমনি সৃষ্টিতেও ছিল প্রশান্তি। কারণ তখন অনুষ্ঠান প্রিভিউ করতেন আবদুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা কামাল সৈয়দ, নওয়াজিশ আলী খান, আতিকুল হক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো মানুষ। যাদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি। তখন অনুষ্ঠান নির্মাণ করে দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করতে হতো, কারণ নির্মাণ করলেই হবে না, অনুষ্ঠানটি পরীক্ষায় পাস করতে হবে। আর সে পরীক্ষা করতেন এসব গুণী মানুষ। তাদের হাত দিয়ে কোনো দোষত্রুটি ছাড়া অনুষ্ঠান প্রচারের অনুমতি পেলে অন্যরকম আনন্দে ভরে যেত মন।

১৯৮০ থেকে ৮৫ কামাল ভাইকে চিনেছি, জেনেছি আর ’৮৫ থেকে ২০০৫ এই দীর্ঘ ২৫ বছরে কামাল ভাইয়ের একান্ত সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছি। ’৯৪ সালে প্যাকেজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোগে টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ শুরু হলে অনেকেই টিভি ছেড়ে চলে যান, প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাণে কিংবা কোনো চ্যানেলে। পরবর্তীতে কেউ কেউ চ্যানেল মালিকও হয়ে যান। আমি প্যাকেজে অনুষ্ঠান নির্মাণ করলেও তখন ২/৩টি স্যাটেলাইট চ্যানেল থেকে উচ্চমূল্যের অফার পাওয়া সত্ত্বেও বিটিভিকে ছেড়ে যাইনি। বিষয়টি কামাল ভাইকে আনন্দ দিয়েছিল। তবে কখনো প্রকাশ করেননি। তবে বুঝতে পেরেছি পরবর্তী ১০ বছর প্যাকেজের আওতায় টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে গিয়ে। তিনি সব সময় সহযোগিতা করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ও অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত করতে অনুরোধও করতেন। এভাবেই সময়ের সঙ্গে শিখতে শিখতে এগিয়েছি আগামীর পথে, আর ‘ইত্যাদি’ পাড়ি দিয়েছে ৩২টি বছর।

আমার নাট্যকার হওয়ার পেছনেও কামাল ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৯৮ সালে হঠাৎ করেই তিনি আমাকে ঈদের নাটক করার প্রস্তাব দিলেন। আমি তো অবাক, কামাল ভাই বলেন কী? আমি করব নাটক? আমি তো কখনো নাটক করিনি। তিনি আমার মুখের ওপর বললেন হ্যাঁ করবেন, চেষ্টা করুন হয়ে যাবে। জানলাম শুধু আমাকেই নয়, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে তিনি ম্যাগাজিন বানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন এবং আমরা কামাল ভাইয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দুজন দুটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান করেছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেছিলেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘রঙের বাড়ৈ’, আর আমি নির্মাণ করেছিলাম নাটক ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’। কামাল ভাই আমাদের মাধ্যমে সে সময় দর্শকদের বৈচিত্র্যের স্বাদ দিতে চেয়েছিলেন এবং দর্শকরাও আনন্দ পেয়েছিলেন। সেই থেকে নাটক করার সাহস পেলাম।

আমার মনে আছে ’৯৫ সালের দিকে ঢাকা শহরে পানির তীব্র সংকটের কারণে পানির অপচয় রোধ করা, গ্যাসের অপচয় রোধে সবাইকে সচেতন করা, সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকান্ড প্রতিরোধের বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রতিবেদন করেছিলাম ‘ইত্যাদি’তে। এসব অনুষ্ঠান প্রচারের পর কামাল ভাই ‘ইত্যাদি’র এই প্রতিবেদনগুলোর ফিলার বানিয়ে দিতে বলেছিলেন। বানিয়ে দেওয়ার পর তিনি তা দীর্ঘদিন টেলিভিশনে চালিয়েছেন। এখানেও তার মানুষকে সচেতন করার চিন্তা কাজ করেছে। অর্থাৎ তার প্রতিটি উদ্যোগের পেছনে একটি মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। আর তা ছিল জনস্বার্থ।

কামাল ভাই ক্রিকেট খেলা খুব পছন্দ করতেন। আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার আনন্দে তৎকালীন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর অনুরোধে ক্রিকেট নিয়ে একটি গান নির্মাণ করার সুযোগ পাই। এটি বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে নির্মিত প্রথম গান। গানটি প্রথম প্রচারিত হয় ‘ইত্যাদি’তে ১৯৯৭ সালের ২৯ মে। গানটি লিখেছিলেন আশেক মাহমুদ ও সুর করেছিলেন আলী আকবর রুপু। গেয়েছিলেন খালিদ হাসান মিলু, তপন চৌধুরী ও কুমার বিশ্বজিৎ। গানটিতে সে সময়কার ক্রিকেট তারকারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। গানটি নির্মাণের সময় কামাল ভাই সব সময় আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সব ক্রিকেট তারকাকে পেয়েছি কিনা, ঠিকমতো শুটিং হচ্ছে কিনা, আর কোনো সহায়তা লাগবে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি। শুটিংয়ের আগেই গানটি তিনি শুনতেও চেয়েছিলেন। যদিও এসব কাজ তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, কারণ গানটি ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছিল। গানটি সম্পাদনা শেষ করে যখন জমা দিই, তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ফিলার হিসেবে বিটিভিতে বেশ কয়েকবার প্রচারও করেন। দীর্ঘ দুই দশকে বিটিভিতে অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে গিয়ে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে আমার এমনি অনেক স্মৃতি রয়েছে।

২০০৩ সালের শুরুতে কামাল ভাই এনটিভিতে যোগ দিলেন। তবে সার্বক্ষণিকভাবে যোগ দেন ওই বছরের শেষের দিকে। তখন দেশে ২/৩টি স্যাটেলাইট চ্যানেল যাত্রা শুরু করেছে। ’৯৭-এর দিকে এটিএন বাংলা, ’৯৯-তে চ্যানেল আই, ২০০০-এ ইটিভি, ২০০৩-এ এনটিভি। এনটিভির আগে আরও ২/৩টি চ্যানেল এলেও কামাল ভাইয়ের এনটিভিতে যোগদানের  পেছনেও ছিল তার সুদূরপ্রসারী ও স্বাধীনচেতা মনোভাব। কারণ এনটিভিতে মালিকরা নিজেরা অনুষ্ঠান করে না। সুতরাং এখানে মালিকের অনুষ্ঠান চালানো নিয়ে তার কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। এর মধ্যে আমি টেরিস্টেরিয়াল চ্যানেল ইটিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করলাম। এটিএন বাংলার ইউরোপ যাত্রা করলাম। সেই সময় এটিএন বাংলার জন্য একটি সেøাগান ঠিক করে দিয়েছিলাম ‘অবিরাম বাংলার মুখ’। সেই থেকে চ্যানেলে সেøাগান দেওয়া শুরু হলো। তারই ধারাবাহিকতায় এনটিভির সেøাগান ‘সময়ের সঙ্গে আগামীর পথে’ এবং থিম সংটিও তৈরি করলাম। এনটিভিতে যোগদানের পর কামাল ভাই ফাইল ঘেঁটে যখন জেনেছেন এনটিভির সেøাগানটি আমার দেওয়া, তখনই তিনি আমাকে ফোন করেন। সেøাগানটির জন্য বেশ প্রশংসা করলেন। আসলে কামাল ভাই জানতেন, কীভাবে মানুষকে প্রশংসা করতে হয়। যে গুণটি অনেকের মধ্যেই নেই।

এরপর সময়ের চাকা দ্রুত এগিয়ে চললো। কামাল ভাইয়ের সঙ্গে খুব ঘন ঘন দেখা হতো না, কথাও হতো না। মাঝে মাঝে কামাল ভাইয়ের বাসা কিংবা এনটিভির ল্যান্ডফোনে কথা হতো। ফোনটা ধরেই বলতেন, ‘কেমন আছেন হানিফ সাহেব?’ আমি বহুবার অনুরোধ করেও আমাকে তুমি বলাতে পারিনি। তবে তার কথায় বুঝতাম আমার অনুষ্ঠান তিনি নিয়মিত দেখতেন। প্রায়ই জিজ্ঞেস করতেন, এবার কোথায় করবেন? বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অনুষ্ঠান করতে অনেক কষ্ট তাই না? বুঝতাম অনুষ্ঠানের চেহারা দেখলেই বুঝতে পারতেন এর নির্মাণ যন্ত্রণা কত কষ্টের। এরপর শেষের দিকে তিনিও ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন এনটিভি নিয়ে, আমিও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ‘ইত্যাদি’ করতে গিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, ততটা যোগাযোগ হতো না কিন্তু একটা যোগসূত্র ছিল- কারও কাছে যখন শুনতাম তিনি কোনো নির্মাতাকে বলেছেন, ‘‘ইত্যাদি’টা দেখ, কত কষ্ট করে অনুষ্ঠান করে। অনেক কিছুই বুঝতে পারবে। শিখতে পারবে।” আসলে তিনি নিজে কষ্ট করতে ভালোবাসেন। তাই কেউ যখন কষ্ট করে কোনো কাজ করে তিনি প্রাণখুলে তার প্রশংসা করেন। কামাল ভাইয়ের পছন্দের শীর্ষে ছিল মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান, পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠান, রুচিশীল অনুষ্ঠান। আর তাই তো এত চ্যানেলের ভিড়ে এনটিভি একমাত্র চ্যানেল যে তার মানসম্পন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ২০১১ সালে আইএসও পুরস্কার লাভ করেছিল। এনটিভির এই পুরস্কার প্রাপ্তির পেছনেও ছিল কামাল ভাইয়ের অবদান। একনাগাড়ে প্রায় ১৭টি বছর তিনি এনটিভিতে কাজ করেছেন। এনটিভির সবার কাছে তিনি কতটা প্রিয় ছিলেন তার মৃত্যুর পর এনটিভির প্রতিটি কলাকুশলীর চোখের পানি দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

কামাল ভাই ছিলেন প্রচারবিমুখ নীরব কর্মী। সামনে চলতো তার ঝলমলে অনুষ্ঠান আর নির্মাণ তারকা হয়েও তিনি বসে থাকতেন পেছনে। স্বীকৃতির প্রত্যাশা তিনি কখনো করেননি। তার কৃতিত্বের কথাও প্রচার করে বেড়াননি তিনি। নীরবেই কাজ করতে পছন্দ করতেন। আর এই করোনাকালে তিনি চলেও গেলেন নীরবে। এ দেশের মিডিয়াকর্মীদের অন্তরে চিরদিন বেঁচে থাকবেন তিনি। আমরা কামাল ভাইয়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
ইস্তাম্বুল শান্তি আলোচনা
ইস্তাম্বুল শান্তি আলোচনা
বাড়তি শুল্কের বোঝা
বাড়তি শুল্কের বোঝা
অপরিপক্ব বিষযুক্ত ফল নয়
অপরিপক্ব বিষযুক্ত ফল নয়
দোয়ায় যে কারণে কাজ হয় না
দোয়ায় যে কারণে কাজ হয় না
সাদ্দাম হোসেনের মিষ্টি আঙুর
সাদ্দাম হোসেনের মিষ্টি আঙুর
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি, শেষ হওয়ারও নয়
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি, শেষ হওয়ারও নয়
চিকিৎসা ব্যয়
চিকিৎসা ব্যয়
বিক্ষোভ অবরোধ
বিক্ষোভ অবরোধ
শত্রুতা-মিত্রতার মাপকাঠি হোক আল্লাহর সন্তুষ্টি
শত্রুতা-মিত্রতার মাপকাঠি হোক আল্লাহর সন্তুষ্টি
দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ
দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ
গণতন্ত্র হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ
গণতন্ত্র হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ
আইএমএফ ঋণ
আইএমএফ ঋণ
সর্বশেষ খবর
শিবচরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
শিবচরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতে এবার তুর্কি ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি বন্ধ করল মিন্ত্রা-আজিও
ভারতে এবার তুর্কি ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি বন্ধ করল মিন্ত্রা-আজিও

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাইপারটেনশন নিয়ে অবহেলা নয়
হাইপারটেনশন নিয়ে অবহেলা নয়

৬ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

ব‌কেয়া বেতনের দাবি‌তে টঙ্গী‌তে মহাসড়ক অ‌বরোধ
ব‌কেয়া বেতনের দাবি‌তে টঙ্গী‌তে মহাসড়ক অ‌বরোধ

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী
স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ব আলো দিবসে খুশির আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে আকিজ এলইডি লাইট
বিশ্ব আলো দিবসে খুশির আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে আকিজ এলইডি লাইট

২৭ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

কলম্বিয়ায় পাঁচ মাসে ৬৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
কলম্বিয়ায় পাঁচ মাসে ৬৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমআরএ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
এমআরএ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ইপিএলে ইউনাইটেডকে হারিয়েছে চেলসি
ইপিএলে ইউনাইটেডকে হারিয়েছে চেলসি

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ওড়িশায় বজ্রপাতে একদিনে ৯ জনের মৃত্যু
ওড়িশায় বজ্রপাতে একদিনে ৯ জনের মৃত্যু

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচ্ছেদের ৪ বছর পর নতুন প্রেমের গুঞ্জন সামান্থার
বিচ্ছেদের ৪ বছর পর নতুন প্রেমের গুঞ্জন সামান্থার

৫৮ মিনিট আগে | শোবিজ

ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা
ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রায়ে অসন্তুষ্ট আছিয়ার মা
রায়ে অসন্তুষ্ট আছিয়ার মা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা তৃতীয়বার আয়ের শীর্ষে রোনালদো, পিছিয়েছেন মেসি
টানা তৃতীয়বার আয়ের শীর্ষে রোনালদো, পিছিয়েছেন মেসি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পকে ‘আলফা মেল’ বলে কটুক্তি করে কটাক্ষের মুখে কঙ্গনা
ট্রাম্পকে ‘আলফা মেল’ বলে কটুক্তি করে কটাক্ষের মুখে কঙ্গনা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পিএসএলে যোগ দিলেন সাকিব
পিএসএলে যোগ দিলেন সাকিব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নগর ভবনের সামনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান
নগর ভবনের সামনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশেষ চিপ নিয়ে আসছে ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’
বিশেষ চিপ নিয়ে আসছে ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পিকনিকের ট্রলার ডুবে নিখোঁজ যুবক
পিকনিকের ট্রলার ডুবে নিখোঁজ যুবক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বে তৃতীয়
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বে তৃতীয়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন ৪৮ হাজার ৬৬১ বাংলাদেশি
হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন ৪৮ হাজার ৬৬১ বাংলাদেশি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সৈয়দপুরে আগুনে পুড়ল ২১ বসতঘর
সৈয়দপুরে আগুনে পুড়ল ২১ বসতঘর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
টুঙ্গিপাড়ায় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন টেস্ট অধিনায়ক রোস্টন চেজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন টেস্ট অধিনায়ক রোস্টন চেজ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১০ লাখ গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা আমেরিকার
১০ লাখ গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা আমেরিকার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরের ফ্যান মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
ঘরের ফ্যান মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড
শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে হত্যার পর ৯৯৯-এ কল করে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই যুবক গ্রেফতার
স্ত্রীকে হত্যার পর ৯৯৯-এ কল করে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই যুবক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইপিএল: মুস্তাফিজকে দলে নিয়েও বড় বিপদে দিল্লি
আইপিএল: মুস্তাফিজকে দলে নিয়েও বড় বিপদে দিল্লি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
সেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ, দিলেন বাসায় দাওয়াত
সেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ, দিলেন বাসায় দাওয়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ: পাকিস্তানের প্রশংসা করে যা বলল চীন
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ: পাকিস্তানের প্রশংসা করে যা বলল চীন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশে খুলে গেল চাকা, যাত্রী নিয়ে শাহজালালে নিরাপদে অবতরণ বিমানের
আকাশে খুলে গেল চাকা, যাত্রী নিয়ে শাহজালালে নিরাপদে অবতরণ বিমানের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড
শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপি-জামায়াতের দূরত্ব বাড়ছে
এনসিপি-জামায়াতের দূরত্ব বাড়ছে

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
সিরিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের মাঝে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্তের একটি
ভারত-পাকিস্তানের মাঝে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্তের একটি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ লাখ গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা আমেরিকার
১০ লাখ গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা আমেরিকার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীকে হত্যার পর ৯৯৯-এ কল করে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই যুবক গ্রেফতার
স্ত্রীকে হত্যার পর ৯৯৯-এ কল করে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই যুবক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানকে কেবল ট্রেলার দেখানো হয়েছে, রাজনাথের হুঁশিয়ারি
পাকিস্তানকে কেবল ট্রেলার দেখানো হয়েছে, রাজনাথের হুঁশিয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কবরস্থানের সভাপতি পদে নির্বাচন, লড়বেন দুই বিএনপি নেতা
কবরস্থানের সভাপতি পদে নির্বাচন, লড়বেন দুই বিএনপি নেতা

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ
এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ খোলা থাকবে সরকারি অফিস
আজ খোলা থাকবে সরকারি অফিস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহবধূর গরু নিয়ে যাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক নেতা বহিষ্কার
গৃহবধূর গরু নিয়ে যাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক নেতা বহিষ্কার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীদের দাবি মানল সরকার
শিক্ষার্থীদের দাবি মানল সরকার

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আবারও বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন ফাহমিদুল
আবারও বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন ফাহমিদুল

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরমাণু চুক্তির কাছাকাছি ইরান-আমেরিকা: ট্রাম্প
পরমাণু চুক্তির কাছাকাছি ইরান-আমেরিকা: ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, পল্লী চিকিৎসক কারাগারে
চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, পল্লী চিকিৎসক কারাগারে

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইয়াংগুন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা আফতাব প্রত্যাহার
ইয়াংগুন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা আফতাব প্রত্যাহার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একের পর এক বাস নিয়ে কাকরাইলে আসছেন জবির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা
একের পর এক বাস নিয়ে কাকরাইলে আসছেন জবির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আইপিএল: মুস্তাফিজকে দলে নিয়েও বড় বিপদে দিল্লি
আইপিএল: মুস্তাফিজকে দলে নিয়েও বড় বিপদে দিল্লি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুঁজিবাজার রসাতলে বিনিয়োগ তলানিতে
পুঁজিবাজার রসাতলে বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‌‘আহত’ সেজে অনুদান বাগালেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা
‌‘আহত’ সেজে অনুদান বাগালেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

করিডোর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার: ফারুক
করিডোর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার: ফারুক

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাশিয়ার স্থলবাহিনীর প্রধান বরখাস্ত
রাশিয়ার স্থলবাহিনীর প্রধান বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ বছর পর আবারও একসঙ্গে শাহরুখ-রানি!
১৯ বছর পর আবারও একসঙ্গে শাহরুখ-রানি!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
কমতে শুরু করেছে ইলিশের দাম
কমতে শুরু করেছে ইলিশের দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষার্থীদের দাবি মানল সরকার
শিক্ষার্থীদের দাবি মানল সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাগ্য ফেরে না, ফিরিয়ে দেয় পরিবার
ভাগ্য ফেরে না, ফিরিয়ে দেয় পরিবার

পেছনের পৃষ্ঠা

কোন দিকে যাচ্ছে রাজনীতি
কোন দিকে যাচ্ছে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দার নায়িকারা
ছোটপর্দার নায়িকারা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হারিয়ে যাচ্ছে ঔষধি গুল্ম বিষকাঁটালি
হারিয়ে যাচ্ছে ঔষধি গুল্ম বিষকাঁটালি

পেছনের পৃষ্ঠা

৮ কিমি নির্মাণে আট বছর পার
৮ কিমি নির্মাণে আট বছর পার

নগর জীবন

আইসিসিবিতে শিক্ষার্থীর ভিড়
আইসিসিবিতে শিক্ষার্থীর ভিড়

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে
দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় জুলাই যোদ্ধাদের দখলে
আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় জুলাই যোদ্ধাদের দখলে

প্রথম পৃষ্ঠা

এক দশকে কোরবানি পশুর চাহিদা বেড়েছে ৭৯ শতাংশ
এক দশকে কোরবানি পশুর চাহিদা বেড়েছে ৭৯ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বোতল ছুড়ে মারা শিক্ষার্থীকে দাওয়াত তথ্য উপদেষ্টার
বোতল ছুড়ে মারা শিক্ষার্থীকে দাওয়াত তথ্য উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘুরে ঘুরে গাছ লাগান দুই বন্ধু
ঘুরে ঘুরে গাছ লাগান দুই বন্ধু

শনিবারের সকাল

ভুয়া সনদে জুলাই বিপ্লবের অনুদান তদন্ত কমিটি গঠিত
ভুয়া সনদে জুলাই বিপ্লবের অনুদান তদন্ত কমিটি গঠিত

নগর জীবন

নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজিতে স্বস্তি, গরুর মাংসের দাম চড়া
সবজিতে স্বস্তি, গরুর মাংসের দাম চড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র পরিচালক - নারায়ণ ঘোষ মিতা
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র পরিচালক - নারায়ণ ঘোষ মিতা

শোবিজ

শিল্পী খুঁজছেন অমিত-সানী...
শিল্পী খুঁজছেন অমিত-সানী...

শোবিজ

এবার বলিউডে দর্শনা
এবার বলিউডে দর্শনা

শোবিজ

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না

পেছনের পৃষ্ঠা

নীপা-শিবলীর সার্থকতা
নীপা-শিবলীর সার্থকতা

শোবিজ

লিটনের নেতৃত্বে নামছে নতুন বাংলাদেশ
লিটনের নেতৃত্বে নামছে নতুন বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় বিনিয়োগকারীরা
পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ফাইনালে যুবারা
ফাইনালে যুবারা

মাঠে ময়দানে

ফের স্পেনসেরা বার্সেলোনা
ফের স্পেনসেরা বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

কানে নিষিদ্ধ অভিনেতা
কানে নিষিদ্ধ অভিনেতা

শোবিজ

তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে কিউইরা
তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে কিউইরা

মাঠে ময়দানে

সিরিজ জয় ইমার্জিং দলের
সিরিজ জয় ইমার্জিং দলের

মাঠে ময়দানে

মোহামেডানে শিরোপার ঘ্রাণ
মোহামেডানে শিরোপার ঘ্রাণ

মাঠে ময়দানে