শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে অভিনন্দন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে অভিনন্দন

আমরা যে যাই বলি, স্বাধীনতার পর একমাত্র কৃষকই জাতীয় উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে আমাদের খাদ্য উৎপাদন ছিল ৭০-৮০ লাখ টন; যা আজ ৪ কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। সাড়ে ৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিয়ে ছিল টানাটানি, আজ ১৮ কোটিতেও খাদ্য ঘাটতি নেই- এটা কৃষকের অবদান, কৃষির সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানের অবদান। কিন্তু এ কৃষিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সব থেকে কম। কৃষি সম্পর্কে জানাশোনা কাউকে খুব একটা কৃষি মন্ত্রণালয়ে আনা হয়নি। মাঝেমধ্যে যখন দেখি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে পুলিশের অফিসার- বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠে, তুমি যদি পুলিশই হবে তাহলে কেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস করলে? কৃষিতে ভূমিকা রাখার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ হওয়ার জন্য নয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা! বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীতে ছিলেন। ভালো ভূমিকা রেখেছেন। নানা হাটঘাট ঘুরেফিরে শেষ পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। আমার মনে হয় কৃষি নিয়ে লেখাপড়া করা ড. আবদুর রাজ্জাকই একমাত্র কৃষিমন্ত্রী। করোনায় তাঁর সামনে যে চ্যালেঞ্জ, মনে হয় তাও তিনি সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন। তাঁর আগে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। চোখ-মুখ খিচিয়ে বক্তৃতা করতে তিনি বিশ্ববিখ্যাত। কিন্তু কৃষি সম্পর্কে তাঁর তেমন জ্ঞান ছিল না। ভালো গৃহবধূরা লাউ-কুমড়া-ডাঁটা-ঝিঙা নানা তরিতরকারি বুনতে পারে, কিন্তু বেগম মতিয়া চৌধুরী তাও পারতেন না। ড. আবদুুর রাজ্জাক, শওকত মোমেন শাজাহান, বগুড়ার মান্নান, সখীপুরের মকবুল হোসেন খোকা, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী প্রদীপ যখন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত তখন জিয়াউর রহমানের ‘খাল কাটা কর্মসূচি’ চলছিল। স্বেচ্ছাশ্রমে শম্ভুগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র খননে মাঝেমধ্যেই সবাইকে উজ্জীবিত করতে মতিয়া চৌধুরী বক্তৃতা করতেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যর্থতা নিয়ে সে যে কি দুর্দান্ত বক্তৃতা যার স্বকণ্ঠ রেকর্ড এখনো আমার কাছে আছে। দুর্ভাগ্য, আমাদের প্রিয় বোনকে পেয়ে এরাও তাঁর মন্ত্রিসভায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। এই প্রথম কৃষি নিয়ে লেখাপড়া করা ড. আবদুর রাজ্জাক মন্ত্রী হয়েছেন। তাই আশা করব, এ দুর্যোগময় অবস্থায়ও তিনি সফলকাম হবেন।

করোনায় গৃহবন্দী, তেমন কাজ নেই। তাই পরিমাণের চাইতে বেশি টিভি দেখি। সেদিনও দেখছিলাম। মনে হয় সেটা সংসদ অধিবেশনের সমাপনী দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একসময় বললেন, ‘চোর ধরে আমরাই যেন চোর হতে চলেছি।’ তাঁর কণ্ঠে যে খেদ, যে যন্ত্রণা ছিল অমন যন্ত্রণা আমি দিল্লির পান্ডারা রোডে মাঝেমধ্যে দেখতাম। সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার যেখানেই অনিয়ম খুঁজতে গিয়েছে, যাকে ধরেছে খুঁজে পেতে দেখা গেছে সিংহভাগই আওয়ামী লীগ। এত রাজনৈতিক বিরোধী, এত প্রতিহিংসা এর মধ্যেও বিএনপি ও জামায়াতের খুব বেশি লোক ধরা পড়েনি, ধরা হয়নি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যত কষ্টই পান বাস্তব হলো, যেভাবেই হোক সব দলের-মতের-পেশার-ধর্মের লোক তাঁর দলে আশ্রয় নিয়েছে। স্বাধীনতার পর যেমন প্রায় সব স্বাধীনতাবিরোধী, আড়াল থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রবল ভূমিকা পালনকারী মুজিব বাহিনীসহ অনেকেই জাসদে যুক্ত হয়েছিল। একদিকে সেই জাসদে আশ্রয় নিয়ে মুসলিম লীগ, জামায়াত নেতারা আলোয় আসতে চেয়েছিলেন; অন্যদিকে চাচা-চাচি, খালা-খালু নানান পরিচয়ে আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছিল। স্বাধীনতার পর তেমন একটা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল না, সবাই স্বাধীনতাপ্রেমী। ২৪ ডিসেম্বর, ’৭১ আমাদের হাতে যে ১৫-১৬ হাজার রাজাকার বন্দী ছিল তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়। বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় কাদের সিদ্দিকী’ স্লোগানে কালিয়াকৈর থেকে জামালপুর-শেরপুর পর্যন্ত আলোড়িত হচ্ছিল। রাজাকারের কণ্ঠে ‘জয় বাংলা, জাতির পিতা শেখ মুজিব’ স্লোগান যে কত গগনবিদারী হতে পারে তা সেদিন উপলব্ধি করেছিলাম। ঠিক তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যত বিরক্তই হোন, শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে সরকারি দলে ব্যাপক আগাছার সমারোহ ঘটে। তাই ঘটেছে বর্তমান সরকারে। কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এমপি হয়ে মানব পাচারকারী- এর চাইতে জঘন্য আর কী হতে পারে? টাকার জোরে ভদ্রলোক এমপি হয়েছেন তো হয়েছেনই, বউকেও এমপি বানিয়েছেন। টাকায় কী না করে? বঙ্গবন্ধুর সময় কিশোরগঞ্জের জহিরুল ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে বড় ধনী। তিনি দু-চারটা লাইসেন্স পারমিট পেতে পারতেন। কিন্তু জীবন পাত করেও মন্ত্রী-এমপি হতে পারতেন না। অথচ আজকাল সব হওয়া যায়! কদিন থেকে শুনছি রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মকান্ড! করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট বা ছাড়পত্র- আমাদের যা চিন্তায়ও আসে না। এমন লুটেরারা সরকারি নিরাপত্তা নিয়ে ভেঁপু বাজিয়ে চলাফেরা করে। শুধু নিজে না, বউকে নিয়েও চলাফেরায় কোনো বাধা নেই- এ এক আজব সমাজ, আজব সমাজব্যবস্থা! এখনো ধরা পড়েনি। কি ধরা পড়বে, দারোগার ঘরে চোর পালালে কি আর ধরা পড়ে? মন্ত্রী কাশেমের ঘরে খুনি ইমদু পালিয়ে ছিল। একসময় তার মন্ত্রিত্ব গিয়েছিল।

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ যে কার ঘরে পালিয়েছে শেষ পর্যন্ত কী হবে জানি না। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যেই সাহেদ ধরা পড়বে। তাঁর কথা বিশ্বাস করি। তাঁর বাড়িতে যে এ মহাঠগ পালিয়ে নেই, তা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি। তাই যতক্ষণ এসব সুবিধাবাদীকে শায়েস্তা করা না যাবে ততক্ষণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শত চেষ্টা তেমন কোনো ফল দেবে না। তবে অতিসম্প্রতি প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের জায়গায় আমির হোসেন আমুকে ১৪ দলের সমন্বয়কারী করা শুভলক্ষণ মনে হচ্ছে। আমাদের সবকিছু আছে, শুধু নেই একে অন্যের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস, শুধু নেই রাজনীতি। গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতি না থাকলে সামাজিক ব্যবস্থায় যা হয় আমাদের অবস্থা তার চেয়ে ভিন্ন কিছু হতে পারে না, হয়ওনি। জনাব আমির হোসেন আমু একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিক। আমাদের দেশে এখন দলীয় নেতার ছড়াছড়ি। কিন্তু জাতীয় নেতা খুব একটা বেশি নেই। সে ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান জাতীয় নেতা হিসেবে আমির হোসেন আমুকে বিবেচনা করা যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আর জাতীয় নেতা নন, কেউ স্বীকার করুক আর না করুক তিনি এখন একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নেতা। তাই জনাব আমির হোসেন আমুর ১৪ দলের সমন্বয়কারী হিসেবে মনোনীত হওয়ায় যদি রাজনীতি সচল হয় বুক ভরে রাজনীতি শ্বাস নিতে পারে সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য খুবই আনন্দ ও কল্যাণের হবে। জনাব আমির হোসেন আমুকে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে জানি, চিনি। তাঁর জাতীয় রাজনীতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা এখানে এনেছে। দলীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বহুবার। তিনি তাঁর দুর্বার নিষ্ঠায় বারবার ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করেছেন। আমি ভারতে থাকতে আমার প্রতি তাঁর অযথা অজানা বিদ্বেষ ছিল। তা কী করে এক তীব্র আকর্ষণে পরিণত হয়েছে শত চেষ্টা করেও বলতে পারব না। যেবার জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেন সেবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সারা রাত সাবজেক্ট কমিটির সদস্যদের মতামত নেওয়া হয়েছিল। প্রার্থী ছিলেন আমির হোসেন আমু, সাজেদা চৌধুরী, জিল্লুর রহমান। তোফায়েল আহমেদও হয়তো কারও কারও কাছে আলোচিত প্রার্থী ছিলেন। সাবজেক্ট কমিটি ছিল সবকটি জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে। আমার ডাক পড়েছিল রাত পৌনে ৪টায়। বলেছিলেন, ‘বজ্র! সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তুমি কাকে চাও?’ বলেছিলাম, যদি শক্তিশালী সংগঠন চান তাহলে আমির হোসেন আমুর চাইতে যোগ্য প্রার্থী আর কেউ নেই। সভানেত্রী বলেছিলেন, ‘কোনো জেলা তো তাঁকে সমর্থন করে না। কী করে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁকে নেওয়া যায়?’ বলেছিলাম, আপনার সঙ্গে তর্ক করতে চাই না। কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাঁর ভোট সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে কিনা জানি না। ২-১ ভোটে জয়ী অথবা পরাজিত হতে পারেন। কিন্তু সবকটি জেলায় ৯০ ভাগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সমর্থন তিনি পাবেন। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এ পর্যন্ত যে ৫৩টি জেলা আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ দিয়েছে তার ৪৭টি জেলাই আমির হোসেন আমুকে সমর্থন করেছে। এই ৪৭-এর দু-তিন জন হয় সাধারণ সম্পাদক, না হয় সভাপতির আপত্তি থাকলেও থাকতে পারে। সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন, ‘বল কী বজ্র! সাক্ষাৎকার নিচ্ছি আমি আর হিসাব দিচ্ছ তুমি?’ বলেছিলাম, সবই যোগাযোগ, সবই অভিজ্ঞতার ফসল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে চা এনে খাইয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘শতকরা ৭০ ভাগ আমির হোসেন আমুর পক্ষে। কিন্তু তাঁকে সাধারণ সম্পাদক বানাতে পারব না। সবার আগে কথাটা তোমাকে বলে রাখলাম।’

আমির হোসেন আমুর আরেকটা ঘটনা বলি। সময়টা মনে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তখন আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। কোনো অসুবিধা হলেই ডাকাডাকি করতেন, বুদ্ধি-পরামর্শ চাইতেন। কারণ তিনি জানতেন আমি কখনো কোনো দিকে ঝোল টেনে পরামর্শ দেব না। তাঁর কাছে গেলে বললেন, ‘বজ্র! একটা অসুবিধায় পড়েছি। প্রায় তিন মাস হয়ে গেল আমু ভাই আসছেন না। ফোন করলে ধরেন না। তোমাকে তো তিনি বেশ সম্মান করেন, ভালোবাসেন। একটু যাও তো তাঁকে বুঝিয়ে -সুজিয়ে আনতে পারো কিনা।’ সভানেত্রীর কাছ থেকে ফিরে ফোন করেছিলাম। তখনো খুব একটা মোবাইল ফোন চালু হয়নি, তাই বাসা থেকে করেছিলাম। বলেছিলাম, আমি আসছি। তিনি বললেন, ‘তা আবার বলতে হবে? আপনার আসার অনুমতির দরকার আছে!’ দুপুরে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি খাবার টেবিল সাজিয়ে রেখেছেন। আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাড়িতে যতবার গেছি অসাধারণ যত্ন করেছেন। সেদিনও খেতে বসতে বসতেই জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হঠাৎ ভাইকে মনে পড়ল!’ বলেছিলাম, না, ঠিক তা নয়। সভানেত্রী ডেকেছিলেন। তিনি বললেন আপনি নাকি গত তিন-চার মাস তাঁর কাছে যান না। তখন বললেন, ‘কী যাব? মাঝেমধ্যে বড় খারাপ ব্যবহার করেন। তাই ভালো লাগে না, যাই না। কোনো কাজ থাকলে তিনি যদি ডাকেন তাহলে যাব, কোনো কাজ না থাকলে কেন যাব?’ সেখান থেকে বিকালে সভানেত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সভানেত্রী বলেছিলেন,

- কেন আসেন না?

- আমু ভাই বলেছেন, কী আসব, মাঝেমধ্যে আপনার ব্যবহার ভালো লাগে না।

- অন্যরা তো আসে। আমির হোসনে আমু একটা মারাত্মক কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন,

- সভানেত্রী! আমি আসি আপনার কাজ করতে, আপনাকে সহযোগিতা করতে। আর অন্যরা এসে ঘোষ পাড়ে তারা তাদের স্বার্থে। আমি তো আমার স্বার্থে আসি না। আপনার স্বার্থ, দেশের স্বার্থকে মনে করি আমার স্বার্থ। এ ছাড়া আমার কোনো স্বার্থ নেই।

সেই যে ছোট্ট দূরত্বটা দূর হয়েছিল আর কখনো হয়নি। প্রিয় মোহাম্মদ নাসিম পরপারে চলে যাওয়ায় জনাব আমির হোসেন আমুকে ১৪ দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া যদি রাজনীতির সুবাতাস বয়ে আনে তাহলে সত্যিই সেটা এ করোনার দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও এক আনন্দের খবর হবে।

বাংলাদেশের প্রথম বিসিএসে কাদেরিয়া বাহিনীর বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণ করেছিল। ২১-২২ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। তার অর্ধেকের বেশি পরীক্ষা দিয়েছিল বাবর রোডের বাড়ি থেকে। কাদেরিয়া বাহিনীতে যারা লেখাপড়া করেছিল বা পরে করেছে তারা অনেকেই ভালো অবস্থানে যেত যদি না হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধু মারা যেতেন, ঘাতকের হাতে খুন হতেন। পিতার মৃত্যু সব সন্তানকে এলোমেলো করে দিয়েছিল। বরং একটু পরে যারা কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছে তারা ভালো করেছে। কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার রেশ তখন অনেকটাই কেটে গিয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম তালুকদারও তেমনই একজন। বিসিএস পাস করে চাকরি করছিল। ’৯০-এ আমি দেশে ফিরলে হঠাৎ একদিন টুঙ্গিপাড়ায় আলমের সঙ্গে দেখা। সে তখন গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও। বিএনপির সরকার। ওর মধ্যেই জোর করে তার বাড়ি নিয়ে যায়। সে যে কি যতœ বলার মতো নয়। আলম তালুকদার এমনিই ছিল স্বভাবকবি, কিছুটা ভাবুক স্বভাবের। আমাকে ভালোবাসত, মান্য করত পিতার মতো। অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি হয়ে অবসরে গিয়েছিল। অবসর সময়ও যোগাযোগ হতো, দেখা-সাক্ষাৎ হতো। বছরখানেক আগে মিরপুর ১ নম্বরে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম সেখানে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করত। নিয়ে গিয়েছিল ভাইস চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান এবং কমিটির সদস্যদের কাছে। সেখানে তার সম্মান দেখে অভিভূত হয়েছিলাম। স্বভাবকবি, ছড়াকার, লেখক- সব সময়ই কমবেশি লিখত। যা দেখত তাই লিখত। বছর কয়েক আগে ওর বই উল্টে দেখি লেখক পরিচিতির শেষের দিকে, ‘শিথিল মনির নানা তা না না না।’ সঙ্গে সঙ্গে ওকে ফোন করেছিলাম, তুমি এটা কী লিখেছ? বলেছিল, নাতিনের নাম মনে এলো তাই লিখেছিলাম। আমার বড় ভালো লেগেছিল। মনে হয় ১০ দিনও হবে না, চ্যানেল আইয়ের সকালের দৈনিক পত্রিকা নিয়ে এক অনুষ্ঠানে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ওর এক ছড়া শুনেছিলাম। তিন-চার দিন পর হঠাৎ সে অনুষ্ঠানেই শুনলাম আলম তালুকদার মারা গেছে। ভাবতে পারিনি। মৃত্যুকে সহজভাবে নিতে শিখেছি অনেক আগে। ’৭১ এ স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ৩০-৪০ জন বীর যোদ্ধা আমার সামনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদের সময়ও ২০-২৫ জন আমার সামনে ইহলোক ত্যাগ করেছে। বাবা-মা-চাচা-খালা-ফুপু তেমন কেউ নেই। তাই মৃত্যু এখন আর তেমন আকুল করে না। তবু বুকে আঘাত লাগে, বোঁটা ছেঁড়া টান অনুভব করি। তেমনি আলম তালুকদারের হঠাৎ মৃত্যুসংবাদ আমাকে সত্যিই কিছুটা এলোমেলো করে দিয়েছে। অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন চলে গেলেন। তাঁর জন্য কষ্ট লেগেছে, কিন্তু আলমের মতো নয়। আলম তালুকদার সাহারা খাতুনের চাইতে ১২-১৩ বছরের ছোট। আর সে যে অসুস্থ তাও জানতাম না। কিন্তু সাহারা খাতুন বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। মাঝেমধ্যেই খবর পেতাম। একেওকে জিজ্ঞাসাও করতাম। তাই অতটা বুকে লাগেনি। আমরা সবাই চলে যাব। সাহারা খাতুনকে নিয়ে সে রকমই বুক বেঁধে ছিলাম। কিন্তু আলম তালুকদারকে নিয়ে তেমনটা নয়। সাহারা খাতুন আগাগোড়া মাঠের কর্মী। স্বাধীনতাযুদ্ধে বেশ নাম হওয়ায় অনেকেই ছুটে আসতেন। সাহারা খাতুনের সঙ্গে সেভাবেই পরিচয় হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর নির্বাসিত জীবনে আমি যখন বর্ধমানে সেখানেও তিনি গিয়েছিলেন। কয়েকদিন ছিলেন। আমার মাকে তাঁর দারুণ পছন্দ হয়েছিল। আমার মা পছন্দ হওয়ার মতো মানুষও ছিলেন। ’৯০-এ দেশে ফিরে সাহারা খাতুনকে অনেক দেখেছি। তাঁর ডাকে মিটিংয়ে গেছি। একজন খাঁটি বঙ্গবন্ধুপ্রেমী রাজনৈতিক মানুষ। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সাহসী ভূমিকা হয়ে থাকবে বিডিআর বিদ্রোহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পিলখানায় যাওয়া এবং বিডিআরদের অস্ত্র নেওয়া। সে সময় রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে জামালপুরের মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন- এ তিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় ব্যাপক গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পাবে। সে সময় আরও একজন মহিলা এমপি নিজস্ব উদ্যোগে গিয়েছিলেন। বড় ভালো লেগেছিল তাঁর কথা শুনে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের জাতি। আমাকে দেখে যদি তাদের উত্তেজনা কমে সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েও এসেছি।’ আমি ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলাম। তিনি বাংলাদেশের এক অনন্য ইতিহাস, প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ তাঁকে বহুদিন মনে রাখবে। সাহারা খাতুনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশতবাসী করেন।

                লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
আমেরিকানরা এখনো নারী নেতৃত্বে প্রস্তুত নয়: মিশেল ওবামা
আমেরিকানরা এখনো নারী নেতৃত্বে প্রস্তুত নয়: মিশেল ওবামা

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে
বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যরাতে আকাশ রাঙাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি
মধ্যরাতে আকাশ রাঙাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি

১০ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম

১৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ভারত
বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ভারত

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল
শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল

২৮ মিনিট আগে | শোবিজ

ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ
ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ

৩৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেশকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করেছে : প্রিন্স
গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেশকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করেছে : প্রিন্স

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২

৪০ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি
বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক
নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় একজনের মৃত্যু
ট্রাকচাপায় একজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৬
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৬

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সৎ মানুষদের রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার
সৎ মানুষদের রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র‍্যালি
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র‍্যালি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি
একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১৭৬ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১৭৬ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টেস্টের বিরল ক্লাবে জাদেজা
টেস্টের বিরল ক্লাবে জাদেজা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ
আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে কারাগারে ভারতীয় জেলের মৃত্যু
বাগেরহাটে কারাগারে ভারতীয় জেলের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী নির্বাচন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্ধারণে কাজ করবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
আগামী নির্বাচন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্ধারণে কাজ করবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা