বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

চামড়ার দামে ধস

কারণ উদ্ঘাটনে উদ্যোগ নিন

গত বছরের মতো এবারও চামড়ার বাজার বেশ মন্দা। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চামড়ার সর্বনিম্ন দর নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে দর কম হওয়ার পরও কভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা ও রপ্তানিতে মন্দা থাকায় চামড়া সংগ্রহ নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এবার কোরবানি ঈদের পর আগের বারের মতোই আবহাওয়া চরম গরম। কাঁচা চামড়ার জন্য এটা অত্যন্ত বৈরী পরিবেশ। অতি উচ্চ তাপমাত্রা ও কাঁচা চামড়ার মূল্য পতনের ফলে লবণ লাগানোর খরচ উটকো বলে গণ্য হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে লবণের চেয়ে চামড়ার মূল্য কম। ছাগলের চামড়ার প্রায় শূন্য মূল্যের কারণে লবণ দেওয়া বন্ধ করেছেন আড়তদাররা। তার পরও সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে ঢুকতে শুরু করেছে পশুর চামড়া। জানা গেছে, সাভার ট্যানারিতে পর্যাপ্ত চামড়া মজুদ আছে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, আর্থিক সংকটে থাকা ট্যানারি মালিকদের কাঁচা চামড়া কিনতে এবার চাহিদামতো ঋণ দেওয়া হয়নি। চামড়াশিল্পে লোকসান চলছে। তবে চামড়া কেনার পাশাপাশি সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপিজনিত সমস্যা ও ডাম্পিং ইয়ার্ডের কাজ শেষ করা না হলে কাঁচা চামড়ার বর্জ্যে সাভার শিল্পনগরী দূষিত হয়ে যাবে। ট্যানারিতে পরিবেশবান্ধব পরিস্থিতি বজায় না থাকলে বাংলাদেশের চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। ঢাকা, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, দিনাজপুরসহ সারা দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে বেহাল দশা। করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় ট্যানারিগুলো থেকে আড়তদারদের পাওনা আদায়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি। দেশে বার্ষিক চামড়া জোগানের অর্ধেকই আসে কোরবানির সময়। কাঁচা চামড়া সংগ্রহ থেকে ট্যানারিজাত হয়ে জুতা, জ্যাকেট, ব্যাগ তৈরি পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ এ খাতের সঙ্গে জড়িত। এ খাতের নামে ঋণ নিয়ে লুটে নেওয়াদের তাই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চামড়ার দামে কেন ধস নামল তা উদ্ঘাটন করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর