শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রণবদাকে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রণবদাকে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না

জননেতা তোফায়েল আহমেদের ‘যে বেদনা চিরদিন বইতে হবে’ শিরোনামে লেখাটা পড়ে আমার স্ত্রী নাসরীন খুব কেঁদেছেন। লেখাটা আমাকেও স্পর্শ করেছে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর পাগল ছিলাম তারা সবাই রসুনের কোয়ার মতো একে অন্যের সঙ্গে পাতায় পাতায় জড়িয়ে ছিলাম। বঙ্গবন্ধু চলে গিয়ে আমাদের বাঁধন আলগা করে দিয়েছেন। জানি তোফায়েল ভাই এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আমার লেখা নিয়মিত পড়েন। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই আমার লেখা নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর সমালোচনা থাকলেও বলেছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় ‘জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। ব্যাখ্যা দিতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। পরদিন সকাল ৭টা সাড়ে-৭টার দিকে ওবায়দুল কাদের ধন্যবাদ জানাতে ফোন করেছিলেন। একবার আমি খুব অসুস্থ হয়ে সুহৃদ মেজর মান্নানের বদান্যতায় টাঙ্গাইল থেকে হেলিকপ্টারে এসে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানেও ওবায়দুল কাদের দেখতে এসে লেখা নিয়ে কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আপনার অনেক পাঠক আছে। আপনার লেখা আমাদের শক্তি দেয়।’ প্রত্যেক লেখকই পাঠকের উৎসাহে খুশি হয়। নিশ্চয় আমিও হয়েছিলাম। তবে তোফায়েল আহমেদ  সম্পূর্ণ অন্য জিনিস। তোফায়েল আহমেদের তুলনা তিনি নিজেই। অন্যের সঙ্গে তাঁর কোনো তুলনা চলে না। ’৬৯-এর ছাত্র-গণ-আন্দোলনের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ। বঙ্গবন্ধু তাঁকে ভীষণ স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। যারা জাতির জন্য এমন অবদান রাখেন তাদের কোনো দলমত থাকার কথা নয়, ক্ষমতাসীন আর ক্ষমতাহীনের দ্বন্দ্বে তাদের নির্যাতিত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তিনি তা হয়েছেন।

ছাত্রজীবনে তোফায়েল আহমেদ স্কাউট ছিলেন। খুব সম্ভবত ’৬৪-৬৫-তে চিটাগাং স্কাউট জাম্বুরিতে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর পরিচয়। প্রথম ছোট ভাই, পরে বন্ধু। তাঁদের দুজনের কত শত চিঠি আমরা দেখেছি, মনে হয় ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় সেসব চিঠিপত্র সবই পুড়ে গেছে। তোফায়েল আহমেদ আমার লেখার নিয়মিত পাঠক জানি। যতবার যোগাযোগ হয়েছে আমার লেখা নিয়ে কথা বলেছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার প্রয়াত প্রণব মুখার্জিকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণা করেছিলাম। মাগরিবের নামাজের পর তোফায়েল ভাইয়ের ফোন পাই, ‘কাদের, তোমার এত কিছু মনে থাকে!’ বলেছিলাম, জানি না। সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম, আপনার ১২ তারিখের ‘যে বেদনা চিরদিন বইতে হবে’ পড়ে আমার সমস্ত অস্তিত্বে তোলপাড় জেগেছে, আমার স্ত্রী নাসরীন কেঁদেছেন। এত কষ্টের পরও আমরা নিখাদ স্বীকৃতি পেলাম না। সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, ‘কাদের, আমার লেখায় তোমার নাম থাকা উচিত ছিল। কী করে যেন মস্তবড় ভুল হয়ে গেল।’ বলেছিলাম, এতে ভুলের কিছু নেই। সত্য সত্যই। লিখলেও সত্য, না লিখলেও সত্য। কী বলি, সব দোষ রাজনীতিকদের। অথচ আসল দোষীরা সব সময় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের সবারই দোষত্রুটি আছে। কিন্তু ত্যাগ কারও চেয়ে কম নেই। অতীতকে ছুড়ে ফেললে বর্তমানও স্থায়ী হবে না, ভবিষ্যৎ তো সম্পূর্ণ অন্ধকার। ওয়ান-ইলেভেনের পর হঠাৎই একদিন জলিল ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়। সিংহহৃদয় জলিল ভাই। ’৭৫-এ আমরা একসঙ্গে জেলা গভর্নর হয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘কাদের ভাই, আমার ছেলের বয়সী বাচ্চারা কি অপমান আর নির্যাতনই না করেছে, নেত্রীকে বললাম। বুঝতে পারলাম না তিনি শুনলেন কি শুনলেন না!’ জলিল ভাইয়ের কথায় বড় কষ্ট পেয়েছিলাম। তোফায়েল আহমেদের সেদিনের লেখা বাংলাদেশের হৃদয় স্পর্শ করেছে।  আমি জানি, কথাই নেতৃত্ব করে কথাই কর্তৃত্ব করে। কিন্তু লেখা যে কথার চেয়ে লক্ষ গুণ শক্তিশালী তা যারা লেখেন এবং পড়েন তারা হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করেন। তোফায়েল আহমেদকে অপমান, শারীরিক নির্যাতন কল্পনা করা যায়! তিনি বলেছিলেন, ‘কাদের, শত নির্যাতনের পর আমি যখন জেলে গেলাম মনে হলো স্বর্গে এসেছি।’ জেল সাধারণ মানুষের কাছে কত ভীতিপ্রদ। আর একজন জননেতা দেশের ধাত্রীদের অন্যতম সরকারি নির্যাতনের পর জেলে গিয়ে ভাবছেন স্বর্গে এসেছেন! কতটা নির্যাতন কতটা কষ্টের পর কেউ জেলকে স্বর্গ মনে করতে পারেন।

আমাদের আত্মার সঙ্গে মিশে থাকা প্রণব মুখার্জির কারণে দুই সপ্তাহ দেশের কোনো পরিস্থিতি নিয়ে কলম ধরতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সময় প্রণব মুখার্জির কংগ্রেস ত্যাগ এবং আবার ফিরে আসা এবং তাঁকে একটি পানির জার দেওয়ার কাহিনি বলেই প্রণব মুখার্জি প্রসঙ্গ শেষ করব। কারণ প্রণবদাকে নিয়ে একটা বই লেখার চেষ্টা করছি।

শ্রীপ্রণব মুখার্জির জীবনের সব থেকে কঠিন সময় শ্রীরাজীব গান্ধীর সময় তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া এবং একসময় অরুণ নেহরু, রাজেশ পাইলট, সতীশ শর্মা ও ললিত মাকেনের মতো কিছু লোকের প্ররোচনায় প্রণব মুখার্জিকে কংগ্রেস থেকে বের করে দেওয়া- সে এক উথাল-পাথাল অভাবনীয় অবস্থা। শ্রীপ্রণব মুখার্জি বহিষ্কৃত হয়ে নতুন দল গঠন করেন। নাম দেন ‘রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস’। তাঁর নতুন দল নিয়ে সারা ভারত ঘুরতে শুরু করেন, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ সফরে একবার জুনের তপ্ত রোদে বর্ধমান আসেন। বর্ধমানের টাউন হলে ব্যাপক লোকসমাগম হয়েছিল। আমি গিয়েছিলাম সেখানে। আমাকে দেখে প্রণব মুখার্জি বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন,

-বাঘা, তুমি এখানে! তোমার কোনো অসুবিধা হবে না তো?

বলেছিলাম, হতে পারে। কিন্তু তাই বলে কাপুরুষের মতো আপনাকে দেখতে আসব না, কথা বলব না- এ রকম মাথা বন্ধক দিয়ে আমি চলি না। জনতা পার্টির সরকারের সময়ও দেখেছেন। অল্প একটু দূরেই আমি থাকি। মা আপনাকে খাবার জন্য নিমন্ত্রণ করেছেন। কিছু একটা ভেবে বললেন,

-দিনে তো হবে না, রাতে আসব।’ জিজ্ঞেস করেছিলাম, কজন?

-কত আর ১০-১২ জন।

আমি রাজনীতি করা মানুষ। জানি একজন নেতার সফরে কতজন থাকে। আমরা প্রায় ২০০ জনের ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রণব মুখার্জি এসেছিলেন গভীর রাতে। তাঁর কর্মীরা আসা শুরু করেছিল ৯টা থেকেই। কেউ আসছে, কেউ যাচ্ছে, কেউ খাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ১২টায় ১৫-২০ জন নিয়ে প্রণব মুখার্জি এলেন। তাঁর ছোট্ট মারুতি মাইক্রোবাসের দরজা খুলতে গিয়ে পুরোটাই আমার হাতে চলে এলো। আমি খুব একটা নাবুঝ ছিলাম না যে টান মেরে গাড়ির দরজা ভেঙে ফেলব। মারুতির দরজা আমার হাতে চলে আসায় সবাই হেসেছিল। কিন্তু আমি হাসতে পারিনি, শঙ্কিত হয়েছিলাম। বলেছিলাম, দাদা, এমন খেলনা গাড়িতে চড়বেন না। এরপর আর তিনি অমন খেলনায় চড়তেন না। প্রণবদা এলেন। তাঁর সাথীরা অনেকে খেতে বসে গেলেন। দাদা ¯œান সেরে আমার ঘরে আহ্নিক করলেন। তারপর খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পোস্ত ভীষণ ভালোবাসে। অনেক কিছুর মধ্যে মা পটোল পোস্তের আয়োজন করেছিলেন। প্রণবদার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। ওর পর মায়ের পটোল পোস্ত রান্নার কথা বহুবার বহু জায়গায় বলেছেন। পরদিন ৯টায় বেরোনোর কথা। ¯œান সেরে পূজা করে গল্পে মেতে গেলেন। প্রায় ১০টা পর্যন্ত কত গল্প। পরে প্রণবদা অনেকবার বলেছেন, ‘বাঘা, তোমার ঘরে শুয়ে আমি এক অনাবিল আনন্দ অনুভব করেছিলাম। বুঝতেই পেরেছ ঘুম থেকে উঠে আমার কত ভালো লেগেছিল। গত ২৫-৩০ বছরে এমন আনন্দময় সকাল আমি খুব একটা পাইনি।’ সাড়ে ১০টায় নাস্তায় বসে ছিলেন। সেখানেও প্রায় এক ঘণ্টা। সকালে গল্পের সময় আমার ছেলে নাদুসনুদুস দীপ সারা বাড়ি তোলপাড় করছিল। ছোটবেলায় দীপ খুব হাসত, কিচিরমিচির করত। খাওয়ার টেবিলে বারবার দীপের আমার গলা জড়িয়ে ধরা, কোলে বসা দেখে দাদা বলছিলেন, ‘বাঘা, ওর নাম কী?’ বলেছিলাম, মা রেখেছেন দীপ। দাদা বললেন, ‘খুব সুন্দর হয়েছে। তবে ওর নাম সদানন্দ হলে আরও ভালো হতো।’ দাদা সব সময় ওকে সদানন্দ বলেই ডাকতেন। প্রণবদা ছিলেন পেটের চিররোগী। মুক্তিযুদ্ধের পর আমার পেটেও মারাত্মক যন্ত্রণা ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধযুদ্ধে যখন মেঘালয়ে ছিলাম তখন দুই দিনও শান্তিতে থাকতে পারতাম না। পেটে একটা তীব্র যন্ত্রণা সব সময় বয়ে বেড়াতে হতো। গোহাটি মেডিকেলে দু-চার বার চিকিৎসার পর ফুটানো পানি খাওয়া শুরু করেছিলাম। সেই থেকে আজওবধি পেটে কোনো কষ্ট নেই। প্রণবদা আমাদের বাড়ি থেকে যাওয়ার দু-তিন দিন পর মা বলেছিলেন, ‘তোর দাদা যেখানে সেখানে পানি খায়। তাকে একটা পানির জার কিনে দিতে পারিস না?’ কদিন পর তাঁকে ৮-১০ লিটারের একটা মিল্টন কোম্পানির পানির জার কিনে দিয়েছিলাম। সে জারটি নিয়ে তিনি বহু জায়গায় ঘুরেছেন। কংগ্রেসে ফিরে তিনি যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দেশরক্ষা মন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতি- গেলেই বলতেন, ‘বাঘা, তোমার পানির জার আমার থেকেও পরিচিত। ভুলে একবার শিলিগুড়ি ফেলে এসেছিলাম। দুই দিন পরই কলকাতার বাসায় হাজির। বিহারের কোথায় যেন মুখা ফেলে এসেছিলাম। কোনো এক সুহৃদ পৌঁছে দিয়ে যায়। বাঘা, আমি হারাতে পারি। কিন্তু তোমার পানির জার হারাবে না। সবাই এটা চিনে ফেলেছে। এমনকি যেখানে যেখানে যাই বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দেখা হলেই তোমার পানির জার নিয়ে কথা হয়।’

প্রণব মুখার্জিকে স্কুলের বন্ধুবান্ধবদের প্ররোচনায় রাজীব গান্ধী ভুল বুঝেছিলেন, তাঁর কেবিনেট থেকে বাদ দিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর মায়ের দুঃসময়ে সাহা কমিশনে সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন যে প্রণব মুখার্জি হিমালয়ের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। বহিষ্কারের পর নতুন দল করে প্রণব মুখার্জি সারা ভারত তোলপাড় করেছিলেন। বিপুল সাড়া না পেলেও আলোচনা করার মতো যথেষ্ট সাড়া পেয়েছিলেন। প্রণব মুখার্জি আমাদের সঙ্গে ছায়ায়-মায়ায়, লতায়-পাতায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাই তাঁকে নিয়ে সব সময় ভাবনা হতো। খাবার টেবিলে আলোচনার অনেকটা জুড়েই থাকতেন প্রণব মুখার্জি। প্রতিদিনের মতো বিকালে দামাদোরের কৃষক সেতুর পাড়ে ঘোরাফেরা করছিলাম। হঠাৎ দেখি যারা দেখাশোনা করেন তাদের একজন। সালাম দিয়ে জানাল, ‘দিল্লি থেকে কেউ একজন এসেছেন। তিনি কথা বলতে চান।’ তখন ৫টার মতো হবে। বাড়ি ফিরতে সাড়ে ৫টা। এখন আর তার নাম মনে নেই। একজন অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি ড্রয়িংরুমে গিয়ে বসতেই বললেন, ‘স্যার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। তাই দিল্লি যেতে হবে। আজ যেতে পারলেই ভালো। নয় তো কাল যেতেই হবে।’ বললাম, ঠিক আছে যেতে যখন হবে আজ যেতেই বা অসুবিধা কোথায়? ৬টায় রওনা হলাম দমদমে নেতাজি সুভাষ বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে। বর্ধমান থেকে জিটি রোড ধরে দমদম যেতে তখন ঘণ্টাদেড়েক লাগত। দিল্লির ফ্লাইট ৮টা ২০ মিনিটে। আমরা পৌনে ৮টায় বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলাম। মনে হয় সে ফ্লাইটে তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চট্টগ্রামের আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছিলেন। তিনি উঠে এসে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেই প্রথম পরিচয়, যা এখনো একই রকম আছে। ১০টা ২০ মিনিটে পালাম বিমানবন্দরে নেমে সোজা গিয়েছিলাম খুব সম্ভবত ৭ নম্বর রেসকোর্স রোডের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি। তিনি আমার অপেক্ষায় ছিলেন। প্রথম প্রথম বুঝতে পারিনি আমার সঙ্গে তাঁর কী কথা। পরে বুঝলাম। কুশল বিনিময়ের পর বললেন, ‘আমার মা আপনাকে আমাদের দুই ভাইয়ের মতোই দেখতেন। আপনাকে ভীষণ ¯েœহ করতেন। মা থাকতে প্রণবদা আপনাকে দেখাশোনা করতেন। আপনি আমাদের পরিবারের একজন। আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আপনাকে খবর দিয়েছি। দাদার সঙ্গে আপনার এখনো আগের মতোই যোগাযোগ আছে। দাদাকে আমাদের খুবই প্রয়োজন। তিনি কী ভাবছেন তা জানার জন্য আপনার চেয়ে উত্তম আমার চোখে আর কেউ নেই। তাই আপনি যদি মেহেরবানি করে দাদার মনোভাব জেনে নেন এবং তাঁকে যদি আমাদের কাছে ফিরতে সাহায্য করেন তাহলে খুবই ভালো হয়।’ প্রধানমন্ত্রী শ্রীরাজীব গান্ধীর কথায় গভীর আন্তরিকতা ছিল। বলেছিলাম, চেষ্টা করে দেখি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আবার কবে দেখা হবে? যিনি আপনাকে নিয়ে এসেছেন তিনি সব সময় যোগাযোগ রাখবেন। কোনো কিছু হলে তাকে জানাবেন এবং যখন খুশি আসবেন। আপনার জন্য সব সময় আমার দরজা খোলা।’ বলেছিলাম, ঠিক আছে। কথা বলে দেখি। পিএম হাউস থেকেই কলকাতায় প্রণবদার সাউদার্ন এভিনিউর বাড়িতে ফোন করেছিলাম। অত রাতে ফোন করায় প্রণবদা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন,

-কী ব্যাপার, এত রাতে!

বলেছিলাম, কাল সকালে আসতে চাই।

-সকালে কি, ১২টার পরে আসো। আমরা একসঙ্গে খাবার খাই।

দিল্লি-কলকাতা এয়ারবাস ও দমদমে পৌঁছতে সাড়ে ১০টায়, বেরোতে ১১টা, শহরে পৌঁছতে ১২টা-সাড়ে ১২টা এমনিতেই লেগে যেত। মনে হয় সেদিন ১টায় প্রণবদার বাড়ি গিয়েছিলাম। দাদা খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, ‘হঠাৎ আগমন?’ ’৭৯ সালে ইন্দিরাজির কথা নিয়ে পাটনার কদমকুয়ায় জয় প্রকাশজিকে যেভাবে বলেছিলাম, ঠিক সেভাবে প্রণবদাকে বলেছিলাম, পিএম ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ফোন করেছিলাম। অনেক কথার মধ্যে আপনাকে নিয়ে কথা হলো। তাঁর কথায় আমি গভীর আন্তরিকতা দেখেছি। আপনাকে তাঁরা পেতে চান। এ ব্যাপারে আপনি কিছু ভাবছেন কিনা? প্রণবদা বলেছিলেন, ‘বাঘা, সর্বভারতীয় দল করা খুব কঠিন। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো চিন্তা নেই। তুমি যদি বল তাহলে আমি আলাপ করে দেখতে পারি।’ বলেছিলাম, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে দেখুন। চার দিন পর আবার দিল্লি গিয়েছিলাম। আমাকে দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছিলেন। যতবার কথা হয়েছে অসম্ভব সম্মান দিয়েছেন। মনে হয় আমার অপেক্ষায়ই ছিলেন। খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন দেখা হয়েছে কিনা। বলেছিলাম, অনেক কথা হয়েছে। সবকিছু করার জন্য সময় এবং পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজন। সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার কী করণীয় বলুন?’ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আমার কোনো জড়তা ছিল না। তাই বলেছিলাম, প্রণবদা যে একজন ভালো অর্থমন্ত্রী ছিলেন কোনো আলোচনায় ওটা বলুন এবং তা প্রচারের ব্যবস্থা করুন। খুব সম্ভবত পরদিনই নয় জাতি অর্থমন্ত্রী সম্মেলন ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীরাজীব গান্ধী প্রণব মুখার্জি সম্পর্কে সেই সম্মেলনে প্রায় তিন-চার মিনিট বলেছিলেন। সবকটি প্রচারমাধ্যম সে কথা বেশ হাইলাইট করেছিল। পরের সপ্তাহে প্রণবদা ডেকে পাঠিয়েছিলেন। যেতে যেতেই জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমি শুনেছি। এখন তুমি কী করতে বল?’ বলেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেমন করেছেন আপনিও তেমন একটা কিছু করুন। প্রণবদা বলেছিলেন, ‘আমি হিন্দুস্থান টাইমসে একটা লেখা দিয়েছি। তোমার ভাবনামতই সেটা হবে।’ দিল্লির ভদ্রলোক লেখা ছাপার আগেই কপি পিএম হাউসে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে রাজীব গান্ধী অর্থনীতির সাফল্যের যুক্তিসংগত প্রচুর প্রশংসা ছিল। পরদিনই রাজীবজি আবার ডেকে পাঠিয়েছিলেন। দেখা হতেই তিনি বলেছিলেন, ‘দাদার লেখা খুব ভালো হয়েছে। এখন কী করতে হবে?’ বলেছিলাম, দলীয় কোনো সভায় প্রণবদার অভাবের কথা বলুন এবং তাঁকে পেলে কংগ্রেস শক্তিশালী হবে তা জানিয়ে দিন। সপ্তাহ বা ১০ দিন পর এআইসিসির এক মিটিংয়ে প্রণবদার ভূয়সী প্রশংসা করে কংগ্রেসে তাঁর যে খুবই প্রয়োজন এ ধরনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রণবদাও কলকাতা নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়ামে তাঁর দলের সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছিলেন। আমি সাধারণত কখনো একা কোথাও যাতায়াত করিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২৮ অথবা ২৯ আগস্ট গোহাটি থেকে একা গিয়েছিলাম ইন্দিরাজির সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু ’৭৭ সালে গ্রেফতার করে যখন শ্রীমোরারজি দেশাইয়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিল তখনো রাঙামাটির রাজা দীপঙ্কর আমার সঙ্গে ছিল। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে শ্রীপ্রণব মুখার্জির দূতালি করতে বেশ কয়েকবার একাই গেছি। সে সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, কোনো প্রয়োজন হলে তার জন্য সময়ের কোনো বাছবিচার থাকে না। সব সময়ই সে হয় আদরণীয়। তাই রাজীব গান্ধীর কাছে তখন ছিলাম খুবই আদৃত। প্রণব মুখার্জিকে নিয়ে বলার শেষ নেই। তবে একসময় নেত্রী শেখ হাসিনাকে পুরোপুরি সমর্থন দেওয়া নিয়ে প্রণব মুখার্জির প্রতি অভিযোগ অনেকেই আনবেন। আমার কাছে মনে হয় ব্যাপারটা ওভাবে ভাবলে চলবে না। শ্রীপ্রণব মুখার্জির চেষ্টায় ভারত সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে এক অতুলনীয় রাষ্ট্রীয় সম্মান দেখিয়েছিল। ভারত কোনো বিরোধী দলের নেতাকে খালেদা জিয়ার মতো অমন দুর্লভ রাষ্ট্রীয় সম্মান কখনো দেখায়নি। কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফরে এলে খালেদা জিয়া তাঁর নির্ধারিত সাক্ষাৎ বাতিল করেছিলেন। যাতে প্রণব মুখার্জির রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছিল এবং ভারত মারাত্মকভাবে বিব্রত হয়েছিল। যে কারণে ২০১৪-এর নির্বাচনে অমন করা ছাড়া ভারতের আর কোনো পথ ছিল না- ব্যাপারটা নিরাসক্তভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজন।

বাংলাদেশের একজন সুহৃদ এবং প্রিয় বাঙালি আমাদের ছেড়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন। তাঁকে নিয়ে যত কম সমালোচনা করা যায় ততই মঙ্গল। সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মেয়ে মুন্নীকে নিয়ে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সোনারগাঁও হোটেলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেবার কুশিকে তিনি খুব আদর করেছিলেন। দীপ-কুঁড়িকেও কম করেননি। সেদিনও দীপকে সদানন্দ বলে ডেকেছিলেন। মানুষটি আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন- স্রষ্টা তাঁর মঙ্গল করুন, তাঁর আপনজনদের শোক সইবার শক্তি দিন।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ
মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ

এই মাত্র | শোবিজ

গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

১ মিনিট আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড
২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল
লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

২৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফার্ন গাছেই তৈরি হচ্ছে ‘রেয়ার আর্থ’, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
ফার্ন গাছেই তৈরি হচ্ছে ‘রেয়ার আর্থ’, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

৩২ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মাদকাসক্তির অভিযোগ বোনের, প্রত্যাখ্যান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের
মাদকাসক্তির অভিযোগ বোনের, প্রত্যাখ্যান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ
জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ

৪১ মিনিট আগে | রাজনীতি

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

শাকসু নির্বাচন: অনলাইনে উস্কানি ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে কমিশন
শাকসু নির্বাচন: অনলাইনে উস্কানি ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে কমিশন

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

শ্রীপুরে যুবদল নেতার ঝুট গুদামে আগুন
শ্রীপুরে যুবদল নেতার ঝুট গুদামে আগুন

৫৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৫৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের
লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিক ও প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক: মুন্সীগঞ্জ ডিসি
সাংবাদিক ও প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক: মুন্সীগঞ্জ ডিসি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টাঙ্গাইলে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা
টাঙ্গাইলে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন
ময়মনসিংহে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে চায় সৌদি আরব?
কেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে চায় সৌদি আরব?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত আবারও হামলা চালাতে পারে : খাজা আসিফ
ভারত আবারও হামলা চালাতে পারে : খাজা আসিফ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১ ঘণ্টা আগে | টক শো

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালতে বিচারকপুত্র হত্যার আসামির ভিডিও ভাইরালের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার
আদালতে বিচারকপুত্র হত্যার আসামির ভিডিও ভাইরালের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবি এখনো ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়: রাশেদ খান
ঢাবি এখনো ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়: রাশেদ খান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান

২১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা