শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রণবদাকে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রণবদাকে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না

জননেতা তোফায়েল আহমেদের ‘যে বেদনা চিরদিন বইতে হবে’ শিরোনামে লেখাটা পড়ে আমার স্ত্রী নাসরীন খুব কেঁদেছেন। লেখাটা আমাকেও স্পর্শ করেছে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর পাগল ছিলাম তারা সবাই রসুনের কোয়ার মতো একে অন্যের সঙ্গে পাতায় পাতায় জড়িয়ে ছিলাম। বঙ্গবন্ধু চলে গিয়ে আমাদের বাঁধন আলগা করে দিয়েছেন। জানি তোফায়েল ভাই এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আমার লেখা নিয়মিত পড়েন। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই আমার লেখা নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর সমালোচনা থাকলেও বলেছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় ‘জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। ব্যাখ্যা দিতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। পরদিন সকাল ৭টা সাড়ে-৭টার দিকে ওবায়দুল কাদের ধন্যবাদ জানাতে ফোন করেছিলেন। একবার আমি খুব অসুস্থ হয়ে সুহৃদ মেজর মান্নানের বদান্যতায় টাঙ্গাইল থেকে হেলিকপ্টারে এসে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানেও ওবায়দুল কাদের দেখতে এসে লেখা নিয়ে কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আপনার অনেক পাঠক আছে। আপনার লেখা আমাদের শক্তি দেয়।’ প্রত্যেক লেখকই পাঠকের উৎসাহে খুশি হয়। নিশ্চয় আমিও হয়েছিলাম। তবে তোফায়েল আহমেদ  সম্পূর্ণ অন্য জিনিস। তোফায়েল আহমেদের তুলনা তিনি নিজেই। অন্যের সঙ্গে তাঁর কোনো তুলনা চলে না। ’৬৯-এর ছাত্র-গণ-আন্দোলনের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ। বঙ্গবন্ধু তাঁকে ভীষণ স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। যারা জাতির জন্য এমন অবদান রাখেন তাদের কোনো দলমত থাকার কথা নয়, ক্ষমতাসীন আর ক্ষমতাহীনের দ্বন্দ্বে তাদের নির্যাতিত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তিনি তা হয়েছেন।

ছাত্রজীবনে তোফায়েল আহমেদ স্কাউট ছিলেন। খুব সম্ভবত ’৬৪-৬৫-তে চিটাগাং স্কাউট জাম্বুরিতে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর পরিচয়। প্রথম ছোট ভাই, পরে বন্ধু। তাঁদের দুজনের কত শত চিঠি আমরা দেখেছি, মনে হয় ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় সেসব চিঠিপত্র সবই পুড়ে গেছে। তোফায়েল আহমেদ আমার লেখার নিয়মিত পাঠক জানি। যতবার যোগাযোগ হয়েছে আমার লেখা নিয়ে কথা বলেছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার প্রয়াত প্রণব মুখার্জিকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণা করেছিলাম। মাগরিবের নামাজের পর তোফায়েল ভাইয়ের ফোন পাই, ‘কাদের, তোমার এত কিছু মনে থাকে!’ বলেছিলাম, জানি না। সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম, আপনার ১২ তারিখের ‘যে বেদনা চিরদিন বইতে হবে’ পড়ে আমার সমস্ত অস্তিত্বে তোলপাড় জেগেছে, আমার স্ত্রী নাসরীন কেঁদেছেন। এত কষ্টের পরও আমরা নিখাদ স্বীকৃতি পেলাম না। সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, ‘কাদের, আমার লেখায় তোমার নাম থাকা উচিত ছিল। কী করে যেন মস্তবড় ভুল হয়ে গেল।’ বলেছিলাম, এতে ভুলের কিছু নেই। সত্য সত্যই। লিখলেও সত্য, না লিখলেও সত্য। কী বলি, সব দোষ রাজনীতিকদের। অথচ আসল দোষীরা সব সময় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের সবারই দোষত্রুটি আছে। কিন্তু ত্যাগ কারও চেয়ে কম নেই। অতীতকে ছুড়ে ফেললে বর্তমানও স্থায়ী হবে না, ভবিষ্যৎ তো সম্পূর্ণ অন্ধকার। ওয়ান-ইলেভেনের পর হঠাৎই একদিন জলিল ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়। সিংহহৃদয় জলিল ভাই। ’৭৫-এ আমরা একসঙ্গে জেলা গভর্নর হয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘কাদের ভাই, আমার ছেলের বয়সী বাচ্চারা কি অপমান আর নির্যাতনই না করেছে, নেত্রীকে বললাম। বুঝতে পারলাম না তিনি শুনলেন কি শুনলেন না!’ জলিল ভাইয়ের কথায় বড় কষ্ট পেয়েছিলাম। তোফায়েল আহমেদের সেদিনের লেখা বাংলাদেশের হৃদয় স্পর্শ করেছে।  আমি জানি, কথাই নেতৃত্ব করে কথাই কর্তৃত্ব করে। কিন্তু লেখা যে কথার চেয়ে লক্ষ গুণ শক্তিশালী তা যারা লেখেন এবং পড়েন তারা হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করেন। তোফায়েল আহমেদকে অপমান, শারীরিক নির্যাতন কল্পনা করা যায়! তিনি বলেছিলেন, ‘কাদের, শত নির্যাতনের পর আমি যখন জেলে গেলাম মনে হলো স্বর্গে এসেছি।’ জেল সাধারণ মানুষের কাছে কত ভীতিপ্রদ। আর একজন জননেতা দেশের ধাত্রীদের অন্যতম সরকারি নির্যাতনের পর জেলে গিয়ে ভাবছেন স্বর্গে এসেছেন! কতটা নির্যাতন কতটা কষ্টের পর কেউ জেলকে স্বর্গ মনে করতে পারেন।

আমাদের আত্মার সঙ্গে মিশে থাকা প্রণব মুখার্জির কারণে দুই সপ্তাহ দেশের কোনো পরিস্থিতি নিয়ে কলম ধরতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সময় প্রণব মুখার্জির কংগ্রেস ত্যাগ এবং আবার ফিরে আসা এবং তাঁকে একটি পানির জার দেওয়ার কাহিনি বলেই প্রণব মুখার্জি প্রসঙ্গ শেষ করব। কারণ প্রণবদাকে নিয়ে একটা বই লেখার চেষ্টা করছি।

শ্রীপ্রণব মুখার্জির জীবনের সব থেকে কঠিন সময় শ্রীরাজীব গান্ধীর সময় তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া এবং একসময় অরুণ নেহরু, রাজেশ পাইলট, সতীশ শর্মা ও ললিত মাকেনের মতো কিছু লোকের প্ররোচনায় প্রণব মুখার্জিকে কংগ্রেস থেকে বের করে দেওয়া- সে এক উথাল-পাথাল অভাবনীয় অবস্থা। শ্রীপ্রণব মুখার্জি বহিষ্কৃত হয়ে নতুন দল গঠন করেন। নাম দেন ‘রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস’। তাঁর নতুন দল নিয়ে সারা ভারত ঘুরতে শুরু করেন, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ সফরে একবার জুনের তপ্ত রোদে বর্ধমান আসেন। বর্ধমানের টাউন হলে ব্যাপক লোকসমাগম হয়েছিল। আমি গিয়েছিলাম সেখানে। আমাকে দেখে প্রণব মুখার্জি বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন,

-বাঘা, তুমি এখানে! তোমার কোনো অসুবিধা হবে না তো?

বলেছিলাম, হতে পারে। কিন্তু তাই বলে কাপুরুষের মতো আপনাকে দেখতে আসব না, কথা বলব না- এ রকম মাথা বন্ধক দিয়ে আমি চলি না। জনতা পার্টির সরকারের সময়ও দেখেছেন। অল্প একটু দূরেই আমি থাকি। মা আপনাকে খাবার জন্য নিমন্ত্রণ করেছেন। কিছু একটা ভেবে বললেন,

-দিনে তো হবে না, রাতে আসব।’ জিজ্ঞেস করেছিলাম, কজন?

-কত আর ১০-১২ জন।

আমি রাজনীতি করা মানুষ। জানি একজন নেতার সফরে কতজন থাকে। আমরা প্রায় ২০০ জনের ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রণব মুখার্জি এসেছিলেন গভীর রাতে। তাঁর কর্মীরা আসা শুরু করেছিল ৯টা থেকেই। কেউ আসছে, কেউ যাচ্ছে, কেউ খাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ১২টায় ১৫-২০ জন নিয়ে প্রণব মুখার্জি এলেন। তাঁর ছোট্ট মারুতি মাইক্রোবাসের দরজা খুলতে গিয়ে পুরোটাই আমার হাতে চলে এলো। আমি খুব একটা নাবুঝ ছিলাম না যে টান মেরে গাড়ির দরজা ভেঙে ফেলব। মারুতির দরজা আমার হাতে চলে আসায় সবাই হেসেছিল। কিন্তু আমি হাসতে পারিনি, শঙ্কিত হয়েছিলাম। বলেছিলাম, দাদা, এমন খেলনা গাড়িতে চড়বেন না। এরপর আর তিনি অমন খেলনায় চড়তেন না। প্রণবদা এলেন। তাঁর সাথীরা অনেকে খেতে বসে গেলেন। দাদা ¯œান সেরে আমার ঘরে আহ্নিক করলেন। তারপর খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পোস্ত ভীষণ ভালোবাসে। অনেক কিছুর মধ্যে মা পটোল পোস্তের আয়োজন করেছিলেন। প্রণবদার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। ওর পর মায়ের পটোল পোস্ত রান্নার কথা বহুবার বহু জায়গায় বলেছেন। পরদিন ৯টায় বেরোনোর কথা। ¯œান সেরে পূজা করে গল্পে মেতে গেলেন। প্রায় ১০টা পর্যন্ত কত গল্প। পরে প্রণবদা অনেকবার বলেছেন, ‘বাঘা, তোমার ঘরে শুয়ে আমি এক অনাবিল আনন্দ অনুভব করেছিলাম। বুঝতেই পেরেছ ঘুম থেকে উঠে আমার কত ভালো লেগেছিল। গত ২৫-৩০ বছরে এমন আনন্দময় সকাল আমি খুব একটা পাইনি।’ সাড়ে ১০টায় নাস্তায় বসে ছিলেন। সেখানেও প্রায় এক ঘণ্টা। সকালে গল্পের সময় আমার ছেলে নাদুসনুদুস দীপ সারা বাড়ি তোলপাড় করছিল। ছোটবেলায় দীপ খুব হাসত, কিচিরমিচির করত। খাওয়ার টেবিলে বারবার দীপের আমার গলা জড়িয়ে ধরা, কোলে বসা দেখে দাদা বলছিলেন, ‘বাঘা, ওর নাম কী?’ বলেছিলাম, মা রেখেছেন দীপ। দাদা বললেন, ‘খুব সুন্দর হয়েছে। তবে ওর নাম সদানন্দ হলে আরও ভালো হতো।’ দাদা সব সময় ওকে সদানন্দ বলেই ডাকতেন। প্রণবদা ছিলেন পেটের চিররোগী। মুক্তিযুদ্ধের পর আমার পেটেও মারাত্মক যন্ত্রণা ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধযুদ্ধে যখন মেঘালয়ে ছিলাম তখন দুই দিনও শান্তিতে থাকতে পারতাম না। পেটে একটা তীব্র যন্ত্রণা সব সময় বয়ে বেড়াতে হতো। গোহাটি মেডিকেলে দু-চার বার চিকিৎসার পর ফুটানো পানি খাওয়া শুরু করেছিলাম। সেই থেকে আজওবধি পেটে কোনো কষ্ট নেই। প্রণবদা আমাদের বাড়ি থেকে যাওয়ার দু-তিন দিন পর মা বলেছিলেন, ‘তোর দাদা যেখানে সেখানে পানি খায়। তাকে একটা পানির জার কিনে দিতে পারিস না?’ কদিন পর তাঁকে ৮-১০ লিটারের একটা মিল্টন কোম্পানির পানির জার কিনে দিয়েছিলাম। সে জারটি নিয়ে তিনি বহু জায়গায় ঘুরেছেন। কংগ্রেসে ফিরে তিনি যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দেশরক্ষা মন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতি- গেলেই বলতেন, ‘বাঘা, তোমার পানির জার আমার থেকেও পরিচিত। ভুলে একবার শিলিগুড়ি ফেলে এসেছিলাম। দুই দিন পরই কলকাতার বাসায় হাজির। বিহারের কোথায় যেন মুখা ফেলে এসেছিলাম। কোনো এক সুহৃদ পৌঁছে দিয়ে যায়। বাঘা, আমি হারাতে পারি। কিন্তু তোমার পানির জার হারাবে না। সবাই এটা চিনে ফেলেছে। এমনকি যেখানে যেখানে যাই বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দেখা হলেই তোমার পানির জার নিয়ে কথা হয়।’

প্রণব মুখার্জিকে স্কুলের বন্ধুবান্ধবদের প্ররোচনায় রাজীব গান্ধী ভুল বুঝেছিলেন, তাঁর কেবিনেট থেকে বাদ দিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর মায়ের দুঃসময়ে সাহা কমিশনে সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন যে প্রণব মুখার্জি হিমালয়ের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। বহিষ্কারের পর নতুন দল করে প্রণব মুখার্জি সারা ভারত তোলপাড় করেছিলেন। বিপুল সাড়া না পেলেও আলোচনা করার মতো যথেষ্ট সাড়া পেয়েছিলেন। প্রণব মুখার্জি আমাদের সঙ্গে ছায়ায়-মায়ায়, লতায়-পাতায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাই তাঁকে নিয়ে সব সময় ভাবনা হতো। খাবার টেবিলে আলোচনার অনেকটা জুড়েই থাকতেন প্রণব মুখার্জি। প্রতিদিনের মতো বিকালে দামাদোরের কৃষক সেতুর পাড়ে ঘোরাফেরা করছিলাম। হঠাৎ দেখি যারা দেখাশোনা করেন তাদের একজন। সালাম দিয়ে জানাল, ‘দিল্লি থেকে কেউ একজন এসেছেন। তিনি কথা বলতে চান।’ তখন ৫টার মতো হবে। বাড়ি ফিরতে সাড়ে ৫টা। এখন আর তার নাম মনে নেই। একজন অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি ড্রয়িংরুমে গিয়ে বসতেই বললেন, ‘স্যার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। তাই দিল্লি যেতে হবে। আজ যেতে পারলেই ভালো। নয় তো কাল যেতেই হবে।’ বললাম, ঠিক আছে যেতে যখন হবে আজ যেতেই বা অসুবিধা কোথায়? ৬টায় রওনা হলাম দমদমে নেতাজি সুভাষ বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে। বর্ধমান থেকে জিটি রোড ধরে দমদম যেতে তখন ঘণ্টাদেড়েক লাগত। দিল্লির ফ্লাইট ৮টা ২০ মিনিটে। আমরা পৌনে ৮টায় বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলাম। মনে হয় সে ফ্লাইটে তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চট্টগ্রামের আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছিলেন। তিনি উঠে এসে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেই প্রথম পরিচয়, যা এখনো একই রকম আছে। ১০টা ২০ মিনিটে পালাম বিমানবন্দরে নেমে সোজা গিয়েছিলাম খুব সম্ভবত ৭ নম্বর রেসকোর্স রোডের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি। তিনি আমার অপেক্ষায় ছিলেন। প্রথম প্রথম বুঝতে পারিনি আমার সঙ্গে তাঁর কী কথা। পরে বুঝলাম। কুশল বিনিময়ের পর বললেন, ‘আমার মা আপনাকে আমাদের দুই ভাইয়ের মতোই দেখতেন। আপনাকে ভীষণ ¯েœহ করতেন। মা থাকতে প্রণবদা আপনাকে দেখাশোনা করতেন। আপনি আমাদের পরিবারের একজন। আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আপনাকে খবর দিয়েছি। দাদার সঙ্গে আপনার এখনো আগের মতোই যোগাযোগ আছে। দাদাকে আমাদের খুবই প্রয়োজন। তিনি কী ভাবছেন তা জানার জন্য আপনার চেয়ে উত্তম আমার চোখে আর কেউ নেই। তাই আপনি যদি মেহেরবানি করে দাদার মনোভাব জেনে নেন এবং তাঁকে যদি আমাদের কাছে ফিরতে সাহায্য করেন তাহলে খুবই ভালো হয়।’ প্রধানমন্ত্রী শ্রীরাজীব গান্ধীর কথায় গভীর আন্তরিকতা ছিল। বলেছিলাম, চেষ্টা করে দেখি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আবার কবে দেখা হবে? যিনি আপনাকে নিয়ে এসেছেন তিনি সব সময় যোগাযোগ রাখবেন। কোনো কিছু হলে তাকে জানাবেন এবং যখন খুশি আসবেন। আপনার জন্য সব সময় আমার দরজা খোলা।’ বলেছিলাম, ঠিক আছে। কথা বলে দেখি। পিএম হাউস থেকেই কলকাতায় প্রণবদার সাউদার্ন এভিনিউর বাড়িতে ফোন করেছিলাম। অত রাতে ফোন করায় প্রণবদা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন,

-কী ব্যাপার, এত রাতে!

বলেছিলাম, কাল সকালে আসতে চাই।

-সকালে কি, ১২টার পরে আসো। আমরা একসঙ্গে খাবার খাই।

দিল্লি-কলকাতা এয়ারবাস ও দমদমে পৌঁছতে সাড়ে ১০টায়, বেরোতে ১১টা, শহরে পৌঁছতে ১২টা-সাড়ে ১২টা এমনিতেই লেগে যেত। মনে হয় সেদিন ১টায় প্রণবদার বাড়ি গিয়েছিলাম। দাদা খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, ‘হঠাৎ আগমন?’ ’৭৯ সালে ইন্দিরাজির কথা নিয়ে পাটনার কদমকুয়ায় জয় প্রকাশজিকে যেভাবে বলেছিলাম, ঠিক সেভাবে প্রণবদাকে বলেছিলাম, পিএম ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ফোন করেছিলাম। অনেক কথার মধ্যে আপনাকে নিয়ে কথা হলো। তাঁর কথায় আমি গভীর আন্তরিকতা দেখেছি। আপনাকে তাঁরা পেতে চান। এ ব্যাপারে আপনি কিছু ভাবছেন কিনা? প্রণবদা বলেছিলেন, ‘বাঘা, সর্বভারতীয় দল করা খুব কঠিন। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো চিন্তা নেই। তুমি যদি বল তাহলে আমি আলাপ করে দেখতে পারি।’ বলেছিলাম, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে দেখুন। চার দিন পর আবার দিল্লি গিয়েছিলাম। আমাকে দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছিলেন। যতবার কথা হয়েছে অসম্ভব সম্মান দিয়েছেন। মনে হয় আমার অপেক্ষায়ই ছিলেন। খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন দেখা হয়েছে কিনা। বলেছিলাম, অনেক কথা হয়েছে। সবকিছু করার জন্য সময় এবং পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজন। সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার কী করণীয় বলুন?’ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আমার কোনো জড়তা ছিল না। তাই বলেছিলাম, প্রণবদা যে একজন ভালো অর্থমন্ত্রী ছিলেন কোনো আলোচনায় ওটা বলুন এবং তা প্রচারের ব্যবস্থা করুন। খুব সম্ভবত পরদিনই নয় জাতি অর্থমন্ত্রী সম্মেলন ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীরাজীব গান্ধী প্রণব মুখার্জি সম্পর্কে সেই সম্মেলনে প্রায় তিন-চার মিনিট বলেছিলেন। সবকটি প্রচারমাধ্যম সে কথা বেশ হাইলাইট করেছিল। পরের সপ্তাহে প্রণবদা ডেকে পাঠিয়েছিলেন। যেতে যেতেই জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমি শুনেছি। এখন তুমি কী করতে বল?’ বলেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেমন করেছেন আপনিও তেমন একটা কিছু করুন। প্রণবদা বলেছিলেন, ‘আমি হিন্দুস্থান টাইমসে একটা লেখা দিয়েছি। তোমার ভাবনামতই সেটা হবে।’ দিল্লির ভদ্রলোক লেখা ছাপার আগেই কপি পিএম হাউসে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে রাজীব গান্ধী অর্থনীতির সাফল্যের যুক্তিসংগত প্রচুর প্রশংসা ছিল। পরদিনই রাজীবজি আবার ডেকে পাঠিয়েছিলেন। দেখা হতেই তিনি বলেছিলেন, ‘দাদার লেখা খুব ভালো হয়েছে। এখন কী করতে হবে?’ বলেছিলাম, দলীয় কোনো সভায় প্রণবদার অভাবের কথা বলুন এবং তাঁকে পেলে কংগ্রেস শক্তিশালী হবে তা জানিয়ে দিন। সপ্তাহ বা ১০ দিন পর এআইসিসির এক মিটিংয়ে প্রণবদার ভূয়সী প্রশংসা করে কংগ্রেসে তাঁর যে খুবই প্রয়োজন এ ধরনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রণবদাও কলকাতা নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়ামে তাঁর দলের সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছিলেন। আমি সাধারণত কখনো একা কোথাও যাতায়াত করিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২৮ অথবা ২৯ আগস্ট গোহাটি থেকে একা গিয়েছিলাম ইন্দিরাজির সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু ’৭৭ সালে গ্রেফতার করে যখন শ্রীমোরারজি দেশাইয়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিল তখনো রাঙামাটির রাজা দীপঙ্কর আমার সঙ্গে ছিল। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে শ্রীপ্রণব মুখার্জির দূতালি করতে বেশ কয়েকবার একাই গেছি। সে সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, কোনো প্রয়োজন হলে তার জন্য সময়ের কোনো বাছবিচার থাকে না। সব সময়ই সে হয় আদরণীয়। তাই রাজীব গান্ধীর কাছে তখন ছিলাম খুবই আদৃত। প্রণব মুখার্জিকে নিয়ে বলার শেষ নেই। তবে একসময় নেত্রী শেখ হাসিনাকে পুরোপুরি সমর্থন দেওয়া নিয়ে প্রণব মুখার্জির প্রতি অভিযোগ অনেকেই আনবেন। আমার কাছে মনে হয় ব্যাপারটা ওভাবে ভাবলে চলবে না। শ্রীপ্রণব মুখার্জির চেষ্টায় ভারত সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে এক অতুলনীয় রাষ্ট্রীয় সম্মান দেখিয়েছিল। ভারত কোনো বিরোধী দলের নেতাকে খালেদা জিয়ার মতো অমন দুর্লভ রাষ্ট্রীয় সম্মান কখনো দেখায়নি। কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফরে এলে খালেদা জিয়া তাঁর নির্ধারিত সাক্ষাৎ বাতিল করেছিলেন। যাতে প্রণব মুখার্জির রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছিল এবং ভারত মারাত্মকভাবে বিব্রত হয়েছিল। যে কারণে ২০১৪-এর নির্বাচনে অমন করা ছাড়া ভারতের আর কোনো পথ ছিল না- ব্যাপারটা নিরাসক্তভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজন।

বাংলাদেশের একজন সুহৃদ এবং প্রিয় বাঙালি আমাদের ছেড়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন। তাঁকে নিয়ে যত কম সমালোচনা করা যায় ততই মঙ্গল। সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মেয়ে মুন্নীকে নিয়ে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সোনারগাঁও হোটেলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেবার কুশিকে তিনি খুব আদর করেছিলেন। দীপ-কুঁড়িকেও কম করেননি। সেদিনও দীপকে সদানন্দ বলে ডেকেছিলেন। মানুষটি আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন- স্রষ্টা তাঁর মঙ্গল করুন, তাঁর আপনজনদের শোক সইবার শক্তি দিন।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
সর্বশেষ খবর
জকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম স্থগিত
জকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম স্থগিত

১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

পিরোজপুরে আ.লীগের নৈরাজ্য ঠেকাতে জামায়াতের বিক্ষোভ
পিরোজপুরে আ.লীগের নৈরাজ্য ঠেকাতে জামায়াতের বিক্ষোভ

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পালাননি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন :  ডা. জাহিদ হোসেন
মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পালাননি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন :  ডা. জাহিদ হোসেন

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতক উদ্ধার
টঙ্গীতে ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতক উদ্ধার

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

পেছালো আইভীর ৫ মামলার গ্রেপ্তার শুনানি
পেছালো আইভীর ৫ মামলার গ্রেপ্তার শুনানি

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকর্মী নিহত
টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকর্মী নিহত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০২৭ পর্যন্ত আইওএসএ সনদ পেলো এয়ার এ্যাস্ট্রা
২০২৭ পর্যন্ত আইওএসএ সনদ পেলো এয়ার এ্যাস্ট্রা

২৯ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন
সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবান্ধব স্মার্ট প্যাকেজিং উন্নয়নে কর্মশালা
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবান্ধব স্মার্ট প্যাকেজিং উন্নয়নে কর্মশালা

৩১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

৩৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু, ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন তারেক রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু, ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন তারেক রহমান

৩৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ

৪২ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল
বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল

৪৪ মিনিট আগে | শোবিজ

খাগড়াছড়িতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নিবাচনী প্রচারণা
খাগড়াছড়িতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নিবাচনী প্রচারণা

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাখিল ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়াল মাদ্রাসা বোর্ড
দাখিল ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়াল মাদ্রাসা বোর্ড

৫২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

২৩ নভেম্বর বিপিএলের নিলাম
২৩ নভেম্বর বিপিএলের নিলাম

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি মিসে হতাশ মাহমুদুল
প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি মিসে হতাশ মাহমুদুল

৫৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দুরন্তের পৃষ্ঠপোষকতায় বাইসাইকেলে হিমালয়ের ৩ ট্রেইল জয় উজ্জলের
দুরন্তের পৃষ্ঠপোষকতায় বাইসাইকেলে হিমালয়ের ৩ ট্রেইল জয় উজ্জলের

৫৪ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

এনসিপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন এনএইচএ’র আত্মপ্রকাশ
এনসিপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন এনএইচএ’র আত্মপ্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ডিকেবিএ’র ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ডিকেবিএ’র ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ
কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্রীড়া ফেডারেশনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ এনএসসির
ক্রীড়া ফেডারেশনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ এনএসসির

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জন্মদিনে নুহাশপল্লীতে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় হুমায়ূনকে স্মরণ
জন্মদিনে নুহাশপল্লীতে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় হুমায়ূনকে স্মরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেপালের বিপক্ষে একাদশে হামজা-জামাল, বেঞ্চে সমিত
নেপালের বিপক্ষে একাদশে হামজা-জামাল, বেঞ্চে সমিত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্যাসিবাদীদের রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: দুলু
ফ্যাসিবাদীদের রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহবাগে ড্রাম থেকে খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার
শাহবাগে ড্রাম থেকে খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম
ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি
মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না
একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক
ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক
ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ
ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের
এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা

সম্পাদকীয়

প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল
প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল

প্রথম পৃষ্ঠা

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়