বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জাতীয় গ্রিডে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

দেশে কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েকটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করবে। জোরেশোরে কাজ চলছে আরও কয়েকটি কেন্দ্রের। এর বাইরে একটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনাও অনেক দূর এগিয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরে বিদ্যুৎ খাতে নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর বিদ্যুতের হিসসা বাড়বে। এখন মোট ২৩টি নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ চলছে। এসব কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদনক্ষমতা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫০ মেগাওয়াট। ইতিমধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে স্মার্ট ফটোভোলটাইক (পিভি) ইনস্টলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৭৩ মেগাওয়াট। ফটোভোলটাইক সিস্টেম ব্যবহারযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করে। সৌর প্যানেল, সোলার ইনভার্টার, মাউন্টিং, ক্যাবলিং ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশসংবলিত এ ফটোভোলটাইক সিস্টেম সবকিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ওয়ার্কিং সিস্টেম নিশ্চিত করে। দক্ষিণ এশিয়ায় আর্দ্র ও উষ্ণ জলবায়ুর দেশ বাংলাদেশে প্রতি বছর আড়াই হাজার ঘণ্টার বেশি সূর্যালোক থাকে। এটা বিবেচনায় রেখে এ প্রকল্পের সর্বোচ্চ সক্ষমতায় আইপি ৬৬ উচ্চস্তরের সুরক্ষা ও অ্যান্টি-পিআইডি প্রযুক্তিসহ হুয়াওয়ে এসইউএন ২০০০-১৮৫ কেটিএল স্মার্ট পিভি স্ট্রিং ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। ১৭৩কে সোলার প্যানেল ও ৩৩২ ইনভার্টারের মাধ্যমে প্রকল্পটি জাতীয় গ্রিডে অবদান রাখবে। সৌর ও বায়ু বিদ্যুতে পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি নেই। সৌরবিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি খরচও কমে আসছে। এখনই জ্বালানি তেলের চেয়ে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম। তাই নবায়নযোগ্য শক্তি এখন বাড়তি মনোযোগ পাচ্ছে। দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ খাতের কর্মসংস্থানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬১ দেশের মধ্যে

পঞ্চম। সৌরশক্তির প্রসার শুধু নতুন কর্মসংস্থানই তৈরি করছে না, গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

সর্বশেষ খবর