শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পদ পদবিতে না থেকেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
পদ পদবিতে না থেকেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক

ষাট দশকের প্রথম দিকে যারা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, বিশেষ করে যারা সক্রিয় ও সার্বক্ষণিক রাজনীতির কর্মী ছিলেন, তার একটি বিরাট অংশ জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়ন করত। জগন্নাথ কলেজের রাজনৈতিক অনুপ্রেরণার মূল অনুপ্রেরণা ছিলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইদুর রহমান। সাইদুর রহমান রাজনীতির যে চর্চাকে অনুপ্রাণিত করতেন, উৎসাহিত করতেন, উচ্ছ্বসিত করতেন- সেটি আজকের মতো তার নিজস্ব স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ছিল না। বরং দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের মতো তা ছিল বর্ণিল, উদার ও ঔদার্যে ভরপুর। ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনের কারণে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে আমি যখন অনিশ্চয়তার অথই সাগরে ভাসছিলাম, নিষ্ঠুর নির্মম হতাশা যখন ছোবল মারতে উদ্যত, ঠিক তখনই কোনো এক সুহৃদ আমাকে পরামর্শ দিলেন অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে আমার অবস্থাটা তাঁর দৃষ্টির আওতায় আনতে। দুরুদুরু বক্ষে দ্বিধা-সংশয় ও শঙ্কিত হৃদয়ে অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে ছোটখাটো মানুষটি একটা অদ্ভুত ও আন্তরিক হাসি দিয়ে আমাকে বুকে চেপে ধরে বললেন, ‘শেখের পুত, এখন জায়গামতো আইছস। আমি তোর নাম শুনেছি। আমার জীবিতকালে তোর কোনো অসুবিধা হবে না।’ আমি আগাগোড়াই ধর্মভীরু কিন্তু স্যার নাস্তিক হিসেবে সুশীলসমাজে অনেকটাই পরিচিত ছিলেন। হৃদয়ের গভীরে তিনি যে পুরোপুরি নাস্তিক ছিলেন এটা আমি তখন উপলব্ধি করতে পারিনি। তবে মুসলমান ছাত্রদের এবং ছাত্রনেতাদের মধ্যে যাকে তিনি আপন ভাবতেন, তাকে ‘নেড়ের পুত’ বলে সম্বোধন করতেন। জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর আমি জনপ্রিয়তা অর্জন করি এবং সুদৃঢ় প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হই। তাই আমি একদিন সাহস করে বলেছিলাম, স্যার আপনি আমার নাম ধরে ডাকবেন। আমাকে ‘নেড়ের পুত’ বললে আমি আপনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করব। তখন জগন্নাথ কলেজে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার। জগন্নাথ কলেজের ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী সামগ্রিক ছাত্র আন্দোলনকে প্রণোদনা দিত, উৎসাহিত করত, উজ্জীবিত করত। তখনকার দিনে একটি কলেজে ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর অবস্থান একটি আন্দোলনের দুর্জয় দুর্গ গড়ে তুলেছিল। আমি তো জগন্নাথ কলেজের এক ছাত্র সমাবেশে প্রচ- উত্তেজনায় উদ্বেলিত ও উচ্ছ্বসিত হয়ে গোখলেকে উদ্ধৃত করে ঘোষণাই দিয়েছিলাম- What Jagannath College thinks today, the whole East Pakistan thinks tomorrow.  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এ উক্তিটিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবেনি। কারণ, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রমিছিল না গেলে মধুর ক্যান্টিন, আমতলা ও বটতলায় কোনো জায়গাতেই সভা জমত না। তীর্থের কাকের মতো সবাই চেয়ে থাকত জগন্নাথ কলেজের উদ্বেলিত, আবেগাপ্লুত, উচ্ছ্বসিত ও স্লোগান-মুখরিত মিছিল কখন আসবে।

তখনকার জগন্নাথ কলেজে যারা ছাত্ররাজনীতি করতেন, তাদের মধ্যে অসংখ্য ছাত্রনেতার নাম উল্লেখ করা যায় যারা পরবর্তী জীবনে রাজনীতিতে যশ ও সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের সময়ের আমার অনুজপ্রতিম এম এ রেজা জগন্নাথ কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস, জিএস, সম্ভবত ভিপি পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছিলেন। জয়নুল হক সিকদার ছিলেন এম এ রেজার চাচা। তখনকার দিনে বাঙালিদের মধ্যে তিনি বিত্তশালী ছিলেন- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ঠিকাদারি, আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা তো ছিলই, তদুপরি স্কোডা গাড়ির বাংলাদেশে মূল পরিবেশক ছিলেন। তিনি ভ্রাতুষ্পুত্র এম এ রেজার জন্য না, ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গে সার্বক্ষণিক দোল খাওয়া জগন্নাথ কলেজের আবহমান পরিবেশের কারণে নিয়মিত কলেজে যেতেন। আমরা যারা ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা-কর্মী ছিলাম, আল মুজাহিদী, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী আরেফ, কাজী ফিরোজ, শেলী, সাহাবুদ্দিন, নোমানী, এম এ রেজাসহ অনেক ছাত্রনেতা তখন জগন্নাথ কলেজে সক্রিয়ভাবে ছাত্ররাজনীতিতে সার্বক্ষণিক অংশ নিতেন। এম এ রেজার চাচা জয়নুল হক সিকদার জগন্নাথ কলেজের ছাত্র না হয়েও অতি নিষ্ঠাবান ও নিয়মিত ছাত্রের মতো জগন্নাথ কলেজে আসা-যাওয়া করতেন। কলেজ ক্যান্টিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, প্রহরের পর প্রহর সময় কাটাতেন আবেগ ও উচ্ছ্বাসের আবিরমাখা হৃদয় নিয়ে। তাঁর উপস্থিতির সময়ে কলেজ ক্যান্টিনে আমরা যা খেতাম, তার প্রায় সমুদয় বিলই সিকদার চাচা পরিশোধ করতেন। পকেটে টাকা নিয়ে তিনি জগন্নাথ কলেজের ক্যান্টিনে বেহুদা বসে থাকতেন, আমাদের রাজনৈতিক কর্মীম-লীর, বিশেষ করে আমার ও এম এ রেজার বিল পরিশোধের জন্য। বিল বেশি হলে খুশি হতেন, কম হলে ভুরু কোঁচকাতেন। আশ্চর্যজনক ও বিস্ময়কর হলেও সত্য, ক্যান্টিনের বিল যারপরনাই কম হলে তিনি আমাদের কাউকে কাউকে গোপনে জিজ্ঞেস করতেন, আজকে তোমাদের মিটিং, আলোচনা ও আড্ডা জমেনি কেন? এ এক অদ্ভুত উপলব্ধি ও তাঁর অসাধারণ মানসিকতা। সিকদার চাচা তাঁর স্কোডা গাড়িতে করে যেতেন এবং অধ্যক্ষের বাসার সামনে গাড়িটি পার্ক করা থাকত। তুমুল আন্দোলন-বিক্ষোভ এমনকি ভাঙচুরের মধ্যেও আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সিকদার চাচার গাড়িটি অক্ষত থাকত। তিনি যে নিয়মিতভাবে কলেজে যেতেন, দ্বিতীয় কোনো অভিভাবক এত নিয়মিতভাবে কলেজে যেতেন না, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত। আমরা ভেবেচিন্তে কূলকিনারা পেতাম না, তিনি তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র এম এ রেজার টানে নিয়মিত কলেজে যেতেন, তার রাজনৈতিক প্রণোদনা জোগানোর জন্য দুই হাতে পয়সা খরচ করতেন, নাকি এটি তাঁর ভিন্ন ধরনের রাজনীতিসম্পৃক্ত মানসিক পরিতৃপ্তির উৎস ছিল। নিজেদের মধ্যে অনেকেই টিকা-টিপ্পনী কাটলেও প্রকাশ্যে সবাই বলাবলি করত, এ রকম একটা চাচা থাকলে জীবনে আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে এম এ রেজার জীবনে তার চাচা জয়নুল হক সিকদারই যথেষ্টর চেয়েও বেশি ছিলেন। সেই যে জগন্নাথ কলেজ থেকে শুরু, জাতীয় পার্টি হওয়ার আগে পর্যন্ত এম এ রেজা ওতপ্রোতভাবে রাজনীতিতে আমার সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন। এম এ রেজা ২০০১ সালে ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। সিকদার চাচাকে আল্লাহতায়ালা অনেক হায়াত দান করেছেন। সম্মান, অর্থ-বিত্ত, বৈভব, ঐশ্বর্য-প্রাচুর্য- কোনো কিছুরই তাঁর ঘাটতি ছিল না। ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন। অনেকেই ব্যাংকটিকে তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মনে করত। অসংখ্য মাদরাসা, এতিমখানা এবং ৬৩টি মসজিদ স্বউদ্যোগে তিনি প্রতিস্থাপিত করে গেছেন। সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ তাঁর একটি অনন্য কীর্তি ও সফলতা। ঢাকা শহরের গুলশান বনানীতে তাঁর স্থাপনার অভাব ছিল না। কিন্তু তিনি স্থায়ীভাবে আজীবন রায়েরবাজারেই অবস্থান করেছেন। তিনি মানুষকে সর্বান্তঃকরণে ভালোবাসতেন কিন্তু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি কন্যাপ্রতিম তো মনে করতেনই, যে কোনো প্রয়োজনে উল্কার মতো চলে যেতেন। দুই বোনের নিরাপত্তার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করতেন না। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব শৌখিন ছিলেন। অনেক হরিণ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি শুধু পুষতেনই না, নিজস্ব সুতীক্ষ্ণ তদারকিতে প্রতিপালন করতেন।

২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেষ কথা বলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যখন বের হই, তখন মিরপুর রোডে সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও সাঁজোয়া গাড়ির চলাচল শুরু হয়ে গেছে। আমরা কোনোরকমে তিতাস গ্যাস কোম্পানির জিপে চড়ে লেকটা পার হয়ে ২৩ নম্বরে মরহুম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার বাসায় (ওখানে তখন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র আনোয়ার হোসেন মঞ্জু থাকতেন) ঢুকে পড়ি। ইতিমধ্যে রেডিওতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুল কুদ্দুস মাখন, কাজী ফিরোজ রশীদ, মাসুদ, ওবায়েদ ভাইয়ের বন্ধু হোসেন ভাই ও মহসীনসহ মানিক মিয়ার বাসায় আমরা আশ্রয় গ্রহণ করি। ২৭ মার্চ কারফিউ কিছুক্ষণের জন্য প্রত্যাহার করা হলেই সিকদার চাচা মঞ্জুর বাসার গেট থেকে আমাকে তাঁর নিজস্ব গাড়িতে তুলে তাঁর বাসায় নিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করে একটি লুঙ্গি পরিয়ে আমাকে একটি নৌকায় করে রায়েরবাজার খাল পার করে খালের ওপারের একটি বাসায় পৌঁছে দেন। ওই পরিস্থিতিতে আমাকে পাশে বসিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটা সরাসরি মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করার মতোই। কোনোভাবে কোনো কারণে কোনো সামরিক গাড়ির সামনে পড়লে অথবা সেনাবাহিনীর নজরে এলে বক্ষ বিদীর্ণ করা গুলি ছাড়া ভাগ্যে আর কিছুই জুটত না। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমাদের নির্ধারিত জায়গায় (কলাইতলী) তো পৌঁছাতেই হবে। আমাদের আগের সিদ্ধান্ত ছিল, এ রকম ক্র্যাকডাউন হলে আমরা কলাইতলীতে মিলিত হব। এভাবেই জয়নুল হক সিকদার চাচার তত্ত্বাবধানে আমরা কলাইতলী যাই।

স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি কতখানি নিবেদিত এবং প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলে এ রকম একটা ঝুঁকি তিনি নির্দ্বিধায় নিতে পেরেছিলেন তা অনুভব করে নিতে হয়। এসব দুঃসাহসিক অকুতোভয় দেশেপ্রেমের কাহিনি জানি নিবন্ধিত হবে না, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া দূরের কথা। যে দেশে ছাত্রলীগ ও স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সৃষ্ট বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা, তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতা- যা স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল নিয়ামক শক্তি- তারই যখন কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি তখন অলিখিত এসব ঐতিহাসিক অবদান স্বীকৃতি পাবে কোথায়? সত্য আহরণে ঘটনার সমুদ্রে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে অগণিত সত্যের মণি-মুক্তো তুলে আনার মানসিকতারই যে বড় অভাব। তবু আমি বিশ্বাস করি, অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক বিশাল-হৃদয় জয়নুল হক সিকদার অসামান্য সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর অসংখ্য সেবামূলক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। তিনি একজন বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারই ছিলেন না, পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অবধি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এর সাক্ষী আমি নির্দ্বিধায়, নিঃশঙ্কচিত্তে দিয়ে যাব। রাজনীতির কোনো পদ পদবি দখল না করেও মনে-প্রাণে ধ্যান-ধারণায় এবং সক্রিয় কর্মকান্ডে তিনি ১০০ ভাগ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অকুণ্ঠ অবদান ইতিহাস একদিন স্বীকার করবেই। আমার কাছে তিনি একজন বর্ণাঢ্য ধনী, অসংখ্য শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাই নন, স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন বীর সেনানী। কত মুক্তিযোদ্ধা যে তাঁর কাছে আশ্রয় পেয়েছে, অর্থ সহযোগিতা পেয়েছে- তা হিসাব করা সম্ভব নয়। রাজনীতি ও আন্দোলনে প্রকাশ্যে ও গোপনে তিনি প্রচুর অর্থ এবং সময় ব্যয় করতেন। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে, রক্ত-মাংসের জয়নুল হক সিকদার মুক্তিযুদ্ধের ও বাংলার স্বাধীনতার একটি জ্বলন্ত প্রতীক। তিনি বিশাল ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ছিলেন বটে, কিন্তু প্রতিশ্রুতির (কমিটমেন্ট) প্রতি তাঁর যে দায়বদ্ধতা ছিল তা কল্পনাতীত। ব্যক্তিজীবনে সফল সিকদার চাচা তাঁর রাজনৈতিক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য যে খ্যাতি অর্জন করেছেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তারও পূর্ণ স্বীকৃতি আসবেই এটি আমার বিশ্বাসের অংশ। তিনি ৯১ বছরের সুস্থ জীবন পেয়েছেন, আখিরাতেও মাগফিরাত পাবেন- এটি আমি সর্বান্তঃকরণে বিশ্বাস করি। তাঁরই প্রদেয় ¯েœহ-ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতা আমাকে বদ্ধমূল ধারণায় প্রতিষ্ঠিত করেছে যে, আমিও তাঁর পরিবারের একজন সদস্য। কোনো সুবাদে নয়, সত্যিকার অর্থেই তিনি আমার আত্মার আত্মীয়।

যারা রাজনৈতিক পদ পদবি দখল করে থাকেননি, অথচ যাদের হৃদয়ের পুরো ক্যানভাসটাই আদর্শের আবিরমাখানো, এ ধরনের গৌরবোজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ইতিহাসে তাদের স্থান অতি গৌরবের। তারা আপন মহিমায় ইতিহাসে মহিমান্বিত। কিন্তু আমাদের দেশে ক্ষমতার তোষণ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে এমনকি সত্য অনুসন্ধানেও কি ইতিহাসবিদ, কি সুশীলসমাজ- তেমন কোনো ঐকান্তিক আগ্রহ প্রকাশ ও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এটি সন্দেহাতীতভাবে আমাদের মানসিক দৈন্যের ও দূরদর্শিতার অভাবকেই তুলে ধরে। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল প্রতীক কিন্তু তাঁকে সামনে নিয়ে যাদের দেদীপ্যমান অবদান, প্রচেষ্টা, পৃষ্ঠপোষকতায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিনির্মাণে সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমণ- তাদের ব্যাপারে কেন গবেষণা হয় না, কেন বিশ্লেষণধর্মী বিস্তৃত ঘটনা প্রকাশিত হয় না ভাবতে আমার খুব কষ্ট লাগে। আমি ইতিহাসবিদ বা সাহিত্যিক নই, তবে সুদীর্ঘ সময় রাজপথে হেঁটেছি, সিদ্ধান্তের অনেক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছি। স্বাধীনতার ডাক ’৭০-এর নির্বাচনের আগে না পরে- এ বিতর্কে আমি ম্যান্ডেট পাওয়ার পরই যে কোনো আহ্বানের পক্ষে ছিলাম। এ বিশ্বাস ও প্রতীতি থেকে আমি কখনই বিচ্যুত হইনি। ষাট দশকে বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র বিপ্লবের উন্মাদনা, বাংলাদেশে তো বটেই। বিপ্লবের উদ্দীপ্ত তাড়নায় সমগ্র বিশ্বই তখন টগবগ করছিল। বিপ্লবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গভরা স্লোগান ছিল যৌবনের উচ্ছল জলতরঙ্গ। তার মধ্যে নির্বাচনী ম্যান্ডেটের কথা ’৭০-এর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা উচ্চারণ করাটা তথাকথিত বিপ্লবীদের ভাষায় আপসকামিতার নামান্তর ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের সংখ্যালঘিষ্ঠ অংশের প্রতিনিধিত্ব করে ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উচ্চকণ্ঠে তুলে ধরতাম। তখন সিআইএর দালাল, আমেরিকার চর- কত না কুৎসিত কদাকার বিশেষণে আমাকে অভিযুক্ত হতে হয়েছে। আমি হাল ছাড়িনি, তবে মুষড়ে পড়তাম তখনই যখন আমার চেতনার মূর্ত প্রতীক হিমাচলের মতো আদর্শের অটল স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে দ্বিধাগ্রস্ত দেখতাম। কখনো কখনো ধমক দিয়ে বলতেন, নির্বাচন-টির্বাচনে কাজ হবে না, সশস্ত্র বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ কর, অস্ত্র সংগ্রহ কর। ওদের সঙ্গে শেষ লড়াই লড়ব, হয় জয় না হয় ক্ষয়। মনে রাখতে হবে, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ’৭০-এর নির্বাচনের আগেই এ আলোড়ন। বিপ্লবের উদ্দীপক অসংখ্য স্লোগান কালবোশেখী ঝড়ের মতো বাংলাদেশে বইছিল। তার মধ্যে একান্ত সংখ্যালঘিষ্ঠ কিছু সতীর্থকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র নামক মাটির পলিপথে ধীর পদক্ষেপে ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও অভূতপূর্ব বিজয় সাধন চাট্টিখানি বিষয় ছিল না। ইত্তেফাকের সিরাজুদ্দীন হোসেন, আসফ উদ্দৌলা রেজা- এঁরা দুজনই বঙ্গবন্ধুর বন্ধু ছিলেন। তাঁরা ইত্তেফাককে সঙ্গে নিয়ে সুদৃঢ়ভাবে আমাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক যাঁরা এ প্রশ্নে আমাকে প্রণোদনা জুগিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে জয়নুল হক সিকদার বিশিষ্টজন। তিনি আজ আর নেই। ৯১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পদ ও পদবিতে না থেকে রাজনীতির যে কোনো সংকটে তাঁর বলিষ্ঠ মতামত সুস্পষ্ট অবদান রেখেছে। সেই বিচারে সিকদার চাচা সার্বক্ষণিক রাজনীতিক ছিলেন বললেও অত্যুক্তি হবে না। আজ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মতামত ভুল হলেও তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। সিকদার চাচার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সতর্ক করার সুযোগটিও শেষ হয়ে গেল। তবু পদ ও পদবিবিহীন এই সূক্ষ্ম রাজনীতিবিদের মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে অদৃশ্য শূন্যতা এনে দিল। আমি বিদগ্ধচিত্তে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

লেখক :  স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হবিগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
হবিগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষে গাকৃবি
কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষে গাকৃবি

৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঘরের মাঠে টানা ১১ সিরিজ জয় নিউজিল্যান্ডের
ঘরের মাঠে টানা ১১ সিরিজ জয় নিউজিল্যান্ডের

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র‌্যাব
কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র‌্যাব

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধুরন্ধর সিনেমার ‘বাস্তব’ চরিত্রদের বের করে ফেলল নেটিজেনরা
ধুরন্ধর সিনেমার ‘বাস্তব’ চরিত্রদের বের করে ফেলল নেটিজেনরা

১৫ মিনিট আগে | শোবিজ

নবম পে–স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ইবিতে কর্মচারীদের মানববন্ধন
নবম পে–স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ইবিতে কর্মচারীদের মানববন্ধন

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে সাবেক প্রধান শিক্ষকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে সাবেক প্রধান শিক্ষকের ৭ বছরের কারাদণ্ড

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
কেরানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল যারা

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

‘নির্বাচনের শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকার ও কমিশনকেই নিতে হবে’
‘নির্বাচনের শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকার ও কমিশনকেই নিতে হবে’

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

কেনিয়ায় বন্যায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত
কেনিয়ায় বন্যায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেঙ্গুতে ৬ জনের প্রাণহানি
ডেঙ্গুতে ৬ জনের প্রাণহানি

৩৪ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

সন্ত্রাসী কাজ করে কিছু মানুষ, কলঙ্ক দেওয়া হয় সব কাশ্মীরিকে: ওমর
সন্ত্রাসী কাজ করে কিছু মানুষ, কলঙ্ক দেওয়া হয় সব কাশ্মীরিকে: ওমর

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত
ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা

৪০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নভেম্বরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ডলার
নভেম্বরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ডলার

৪১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করায় শাস্তি পেলেন বাবর
ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করায় শাস্তি পেলেন বাবর

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

প্রকৃতিতে উঁকি দিচ্ছে শীত, বাড়ছে লেপ-তোশকের চাহিদা
প্রকৃতিতে উঁকি দিচ্ছে শীত, বাড়ছে লেপ-তোশকের চাহিদা

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাউদের ডান হাত থেকে নাম্বার ওয়ান শত্রু রাজনের উত্থান-পতন
দাউদের ডান হাত থেকে নাম্বার ওয়ান শত্রু রাজনের উত্থান-পতন

৪৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার

৫৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?
খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন