শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পদ পদবিতে না থেকেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
পদ পদবিতে না থেকেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক

ষাট দশকের প্রথম দিকে যারা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, বিশেষ করে যারা সক্রিয় ও সার্বক্ষণিক রাজনীতির কর্মী ছিলেন, তার একটি বিরাট অংশ জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়ন করত। জগন্নাথ কলেজের রাজনৈতিক অনুপ্রেরণার মূল অনুপ্রেরণা ছিলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইদুর রহমান। সাইদুর রহমান রাজনীতির যে চর্চাকে অনুপ্রাণিত করতেন, উৎসাহিত করতেন, উচ্ছ্বসিত করতেন- সেটি আজকের মতো তার নিজস্ব স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ছিল না। বরং দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের মতো তা ছিল বর্ণিল, উদার ও ঔদার্যে ভরপুর। ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনের কারণে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে আমি যখন অনিশ্চয়তার অথই সাগরে ভাসছিলাম, নিষ্ঠুর নির্মম হতাশা যখন ছোবল মারতে উদ্যত, ঠিক তখনই কোনো এক সুহৃদ আমাকে পরামর্শ দিলেন অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে আমার অবস্থাটা তাঁর দৃষ্টির আওতায় আনতে। দুরুদুরু বক্ষে দ্বিধা-সংশয় ও শঙ্কিত হৃদয়ে অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে ছোটখাটো মানুষটি একটা অদ্ভুত ও আন্তরিক হাসি দিয়ে আমাকে বুকে চেপে ধরে বললেন, ‘শেখের পুত, এখন জায়গামতো আইছস। আমি তোর নাম শুনেছি। আমার জীবিতকালে তোর কোনো অসুবিধা হবে না।’ আমি আগাগোড়াই ধর্মভীরু কিন্তু স্যার নাস্তিক হিসেবে সুশীলসমাজে অনেকটাই পরিচিত ছিলেন। হৃদয়ের গভীরে তিনি যে পুরোপুরি নাস্তিক ছিলেন এটা আমি তখন উপলব্ধি করতে পারিনি। তবে মুসলমান ছাত্রদের এবং ছাত্রনেতাদের মধ্যে যাকে তিনি আপন ভাবতেন, তাকে ‘নেড়ের পুত’ বলে সম্বোধন করতেন। জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর আমি জনপ্রিয়তা অর্জন করি এবং সুদৃঢ় প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হই। তাই আমি একদিন সাহস করে বলেছিলাম, স্যার আপনি আমার নাম ধরে ডাকবেন। আমাকে ‘নেড়ের পুত’ বললে আমি আপনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করব। তখন জগন্নাথ কলেজে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার। জগন্নাথ কলেজের ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী সামগ্রিক ছাত্র আন্দোলনকে প্রণোদনা দিত, উৎসাহিত করত, উজ্জীবিত করত। তখনকার দিনে একটি কলেজে ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর অবস্থান একটি আন্দোলনের দুর্জয় দুর্গ গড়ে তুলেছিল। আমি তো জগন্নাথ কলেজের এক ছাত্র সমাবেশে প্রচ- উত্তেজনায় উদ্বেলিত ও উচ্ছ্বসিত হয়ে গোখলেকে উদ্ধৃত করে ঘোষণাই দিয়েছিলাম- What Jagannath College thinks today, the whole East Pakistan thinks tomorrow.  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এ উক্তিটিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবেনি। কারণ, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রমিছিল না গেলে মধুর ক্যান্টিন, আমতলা ও বটতলায় কোনো জায়গাতেই সভা জমত না। তীর্থের কাকের মতো সবাই চেয়ে থাকত জগন্নাথ কলেজের উদ্বেলিত, আবেগাপ্লুত, উচ্ছ্বসিত ও স্লোগান-মুখরিত মিছিল কখন আসবে।

তখনকার জগন্নাথ কলেজে যারা ছাত্ররাজনীতি করতেন, তাদের মধ্যে অসংখ্য ছাত্রনেতার নাম উল্লেখ করা যায় যারা পরবর্তী জীবনে রাজনীতিতে যশ ও সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের সময়ের আমার অনুজপ্রতিম এম এ রেজা জগন্নাথ কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস, জিএস, সম্ভবত ভিপি পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছিলেন। জয়নুল হক সিকদার ছিলেন এম এ রেজার চাচা। তখনকার দিনে বাঙালিদের মধ্যে তিনি বিত্তশালী ছিলেন- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ঠিকাদারি, আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা তো ছিলই, তদুপরি স্কোডা গাড়ির বাংলাদেশে মূল পরিবেশক ছিলেন। তিনি ভ্রাতুষ্পুত্র এম এ রেজার জন্য না, ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গে সার্বক্ষণিক দোল খাওয়া জগন্নাথ কলেজের আবহমান পরিবেশের কারণে নিয়মিত কলেজে যেতেন। আমরা যারা ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা-কর্মী ছিলাম, আল মুজাহিদী, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী আরেফ, কাজী ফিরোজ, শেলী, সাহাবুদ্দিন, নোমানী, এম এ রেজাসহ অনেক ছাত্রনেতা তখন জগন্নাথ কলেজে সক্রিয়ভাবে ছাত্ররাজনীতিতে সার্বক্ষণিক অংশ নিতেন। এম এ রেজার চাচা জয়নুল হক সিকদার জগন্নাথ কলেজের ছাত্র না হয়েও অতি নিষ্ঠাবান ও নিয়মিত ছাত্রের মতো জগন্নাথ কলেজে আসা-যাওয়া করতেন। কলেজ ক্যান্টিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, প্রহরের পর প্রহর সময় কাটাতেন আবেগ ও উচ্ছ্বাসের আবিরমাখা হৃদয় নিয়ে। তাঁর উপস্থিতির সময়ে কলেজ ক্যান্টিনে আমরা যা খেতাম, তার প্রায় সমুদয় বিলই সিকদার চাচা পরিশোধ করতেন। পকেটে টাকা নিয়ে তিনি জগন্নাথ কলেজের ক্যান্টিনে বেহুদা বসে থাকতেন, আমাদের রাজনৈতিক কর্মীম-লীর, বিশেষ করে আমার ও এম এ রেজার বিল পরিশোধের জন্য। বিল বেশি হলে খুশি হতেন, কম হলে ভুরু কোঁচকাতেন। আশ্চর্যজনক ও বিস্ময়কর হলেও সত্য, ক্যান্টিনের বিল যারপরনাই কম হলে তিনি আমাদের কাউকে কাউকে গোপনে জিজ্ঞেস করতেন, আজকে তোমাদের মিটিং, আলোচনা ও আড্ডা জমেনি কেন? এ এক অদ্ভুত উপলব্ধি ও তাঁর অসাধারণ মানসিকতা। সিকদার চাচা তাঁর স্কোডা গাড়িতে করে যেতেন এবং অধ্যক্ষের বাসার সামনে গাড়িটি পার্ক করা থাকত। তুমুল আন্দোলন-বিক্ষোভ এমনকি ভাঙচুরের মধ্যেও আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সিকদার চাচার গাড়িটি অক্ষত থাকত। তিনি যে নিয়মিতভাবে কলেজে যেতেন, দ্বিতীয় কোনো অভিভাবক এত নিয়মিতভাবে কলেজে যেতেন না, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত। আমরা ভেবেচিন্তে কূলকিনারা পেতাম না, তিনি তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র এম এ রেজার টানে নিয়মিত কলেজে যেতেন, তার রাজনৈতিক প্রণোদনা জোগানোর জন্য দুই হাতে পয়সা খরচ করতেন, নাকি এটি তাঁর ভিন্ন ধরনের রাজনীতিসম্পৃক্ত মানসিক পরিতৃপ্তির উৎস ছিল। নিজেদের মধ্যে অনেকেই টিকা-টিপ্পনী কাটলেও প্রকাশ্যে সবাই বলাবলি করত, এ রকম একটা চাচা থাকলে জীবনে আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে এম এ রেজার জীবনে তার চাচা জয়নুল হক সিকদারই যথেষ্টর চেয়েও বেশি ছিলেন। সেই যে জগন্নাথ কলেজ থেকে শুরু, জাতীয় পার্টি হওয়ার আগে পর্যন্ত এম এ রেজা ওতপ্রোতভাবে রাজনীতিতে আমার সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন। এম এ রেজা ২০০১ সালে ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। সিকদার চাচাকে আল্লাহতায়ালা অনেক হায়াত দান করেছেন। সম্মান, অর্থ-বিত্ত, বৈভব, ঐশ্বর্য-প্রাচুর্য- কোনো কিছুরই তাঁর ঘাটতি ছিল না। ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন। অনেকেই ব্যাংকটিকে তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মনে করত। অসংখ্য মাদরাসা, এতিমখানা এবং ৬৩টি মসজিদ স্বউদ্যোগে তিনি প্রতিস্থাপিত করে গেছেন। সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ তাঁর একটি অনন্য কীর্তি ও সফলতা। ঢাকা শহরের গুলশান বনানীতে তাঁর স্থাপনার অভাব ছিল না। কিন্তু তিনি স্থায়ীভাবে আজীবন রায়েরবাজারেই অবস্থান করেছেন। তিনি মানুষকে সর্বান্তঃকরণে ভালোবাসতেন কিন্তু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি কন্যাপ্রতিম তো মনে করতেনই, যে কোনো প্রয়োজনে উল্কার মতো চলে যেতেন। দুই বোনের নিরাপত্তার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করতেন না। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব শৌখিন ছিলেন। অনেক হরিণ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি শুধু পুষতেনই না, নিজস্ব সুতীক্ষ্ণ তদারকিতে প্রতিপালন করতেন।

২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেষ কথা বলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যখন বের হই, তখন মিরপুর রোডে সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও সাঁজোয়া গাড়ির চলাচল শুরু হয়ে গেছে। আমরা কোনোরকমে তিতাস গ্যাস কোম্পানির জিপে চড়ে লেকটা পার হয়ে ২৩ নম্বরে মরহুম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার বাসায় (ওখানে তখন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র আনোয়ার হোসেন মঞ্জু থাকতেন) ঢুকে পড়ি। ইতিমধ্যে রেডিওতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুল কুদ্দুস মাখন, কাজী ফিরোজ রশীদ, মাসুদ, ওবায়েদ ভাইয়ের বন্ধু হোসেন ভাই ও মহসীনসহ মানিক মিয়ার বাসায় আমরা আশ্রয় গ্রহণ করি। ২৭ মার্চ কারফিউ কিছুক্ষণের জন্য প্রত্যাহার করা হলেই সিকদার চাচা মঞ্জুর বাসার গেট থেকে আমাকে তাঁর নিজস্ব গাড়িতে তুলে তাঁর বাসায় নিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করে একটি লুঙ্গি পরিয়ে আমাকে একটি নৌকায় করে রায়েরবাজার খাল পার করে খালের ওপারের একটি বাসায় পৌঁছে দেন। ওই পরিস্থিতিতে আমাকে পাশে বসিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটা সরাসরি মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করার মতোই। কোনোভাবে কোনো কারণে কোনো সামরিক গাড়ির সামনে পড়লে অথবা সেনাবাহিনীর নজরে এলে বক্ষ বিদীর্ণ করা গুলি ছাড়া ভাগ্যে আর কিছুই জুটত না। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমাদের নির্ধারিত জায়গায় (কলাইতলী) তো পৌঁছাতেই হবে। আমাদের আগের সিদ্ধান্ত ছিল, এ রকম ক্র্যাকডাউন হলে আমরা কলাইতলীতে মিলিত হব। এভাবেই জয়নুল হক সিকদার চাচার তত্ত্বাবধানে আমরা কলাইতলী যাই।

স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি কতখানি নিবেদিত এবং প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলে এ রকম একটা ঝুঁকি তিনি নির্দ্বিধায় নিতে পেরেছিলেন তা অনুভব করে নিতে হয়। এসব দুঃসাহসিক অকুতোভয় দেশেপ্রেমের কাহিনি জানি নিবন্ধিত হবে না, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া দূরের কথা। যে দেশে ছাত্রলীগ ও স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সৃষ্ট বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা, তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতা- যা স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল নিয়ামক শক্তি- তারই যখন কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি তখন অলিখিত এসব ঐতিহাসিক অবদান স্বীকৃতি পাবে কোথায়? সত্য আহরণে ঘটনার সমুদ্রে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে অগণিত সত্যের মণি-মুক্তো তুলে আনার মানসিকতারই যে বড় অভাব। তবু আমি বিশ্বাস করি, অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক বিশাল-হৃদয় জয়নুল হক সিকদার অসামান্য সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর অসংখ্য সেবামূলক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। তিনি একজন বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারই ছিলেন না, পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অবধি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এর সাক্ষী আমি নির্দ্বিধায়, নিঃশঙ্কচিত্তে দিয়ে যাব। রাজনীতির কোনো পদ পদবি দখল না করেও মনে-প্রাণে ধ্যান-ধারণায় এবং সক্রিয় কর্মকান্ডে তিনি ১০০ ভাগ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অকুণ্ঠ অবদান ইতিহাস একদিন স্বীকার করবেই। আমার কাছে তিনি একজন বর্ণাঢ্য ধনী, অসংখ্য শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাই নন, স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন বীর সেনানী। কত মুক্তিযোদ্ধা যে তাঁর কাছে আশ্রয় পেয়েছে, অর্থ সহযোগিতা পেয়েছে- তা হিসাব করা সম্ভব নয়। রাজনীতি ও আন্দোলনে প্রকাশ্যে ও গোপনে তিনি প্রচুর অর্থ এবং সময় ব্যয় করতেন। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে, রক্ত-মাংসের জয়নুল হক সিকদার মুক্তিযুদ্ধের ও বাংলার স্বাধীনতার একটি জ্বলন্ত প্রতীক। তিনি বিশাল ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ছিলেন বটে, কিন্তু প্রতিশ্রুতির (কমিটমেন্ট) প্রতি তাঁর যে দায়বদ্ধতা ছিল তা কল্পনাতীত। ব্যক্তিজীবনে সফল সিকদার চাচা তাঁর রাজনৈতিক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য যে খ্যাতি অর্জন করেছেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তারও পূর্ণ স্বীকৃতি আসবেই এটি আমার বিশ্বাসের অংশ। তিনি ৯১ বছরের সুস্থ জীবন পেয়েছেন, আখিরাতেও মাগফিরাত পাবেন- এটি আমি সর্বান্তঃকরণে বিশ্বাস করি। তাঁরই প্রদেয় ¯েœহ-ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতা আমাকে বদ্ধমূল ধারণায় প্রতিষ্ঠিত করেছে যে, আমিও তাঁর পরিবারের একজন সদস্য। কোনো সুবাদে নয়, সত্যিকার অর্থেই তিনি আমার আত্মার আত্মীয়।

যারা রাজনৈতিক পদ পদবি দখল করে থাকেননি, অথচ যাদের হৃদয়ের পুরো ক্যানভাসটাই আদর্শের আবিরমাখানো, এ ধরনের গৌরবোজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ইতিহাসে তাদের স্থান অতি গৌরবের। তারা আপন মহিমায় ইতিহাসে মহিমান্বিত। কিন্তু আমাদের দেশে ক্ষমতার তোষণ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে এমনকি সত্য অনুসন্ধানেও কি ইতিহাসবিদ, কি সুশীলসমাজ- তেমন কোনো ঐকান্তিক আগ্রহ প্রকাশ ও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এটি সন্দেহাতীতভাবে আমাদের মানসিক দৈন্যের ও দূরদর্শিতার অভাবকেই তুলে ধরে। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল প্রতীক কিন্তু তাঁকে সামনে নিয়ে যাদের দেদীপ্যমান অবদান, প্রচেষ্টা, পৃষ্ঠপোষকতায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিনির্মাণে সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমণ- তাদের ব্যাপারে কেন গবেষণা হয় না, কেন বিশ্লেষণধর্মী বিস্তৃত ঘটনা প্রকাশিত হয় না ভাবতে আমার খুব কষ্ট লাগে। আমি ইতিহাসবিদ বা সাহিত্যিক নই, তবে সুদীর্ঘ সময় রাজপথে হেঁটেছি, সিদ্ধান্তের অনেক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছি। স্বাধীনতার ডাক ’৭০-এর নির্বাচনের আগে না পরে- এ বিতর্কে আমি ম্যান্ডেট পাওয়ার পরই যে কোনো আহ্বানের পক্ষে ছিলাম। এ বিশ্বাস ও প্রতীতি থেকে আমি কখনই বিচ্যুত হইনি। ষাট দশকে বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র বিপ্লবের উন্মাদনা, বাংলাদেশে তো বটেই। বিপ্লবের উদ্দীপ্ত তাড়নায় সমগ্র বিশ্বই তখন টগবগ করছিল। বিপ্লবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গভরা স্লোগান ছিল যৌবনের উচ্ছল জলতরঙ্গ। তার মধ্যে নির্বাচনী ম্যান্ডেটের কথা ’৭০-এর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা উচ্চারণ করাটা তথাকথিত বিপ্লবীদের ভাষায় আপসকামিতার নামান্তর ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের সংখ্যালঘিষ্ঠ অংশের প্রতিনিধিত্ব করে ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উচ্চকণ্ঠে তুলে ধরতাম। তখন সিআইএর দালাল, আমেরিকার চর- কত না কুৎসিত কদাকার বিশেষণে আমাকে অভিযুক্ত হতে হয়েছে। আমি হাল ছাড়িনি, তবে মুষড়ে পড়তাম তখনই যখন আমার চেতনার মূর্ত প্রতীক হিমাচলের মতো আদর্শের অটল স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে দ্বিধাগ্রস্ত দেখতাম। কখনো কখনো ধমক দিয়ে বলতেন, নির্বাচন-টির্বাচনে কাজ হবে না, সশস্ত্র বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ কর, অস্ত্র সংগ্রহ কর। ওদের সঙ্গে শেষ লড়াই লড়ব, হয় জয় না হয় ক্ষয়। মনে রাখতে হবে, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ’৭০-এর নির্বাচনের আগেই এ আলোড়ন। বিপ্লবের উদ্দীপক অসংখ্য স্লোগান কালবোশেখী ঝড়ের মতো বাংলাদেশে বইছিল। তার মধ্যে একান্ত সংখ্যালঘিষ্ঠ কিছু সতীর্থকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র নামক মাটির পলিপথে ধীর পদক্ষেপে ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও অভূতপূর্ব বিজয় সাধন চাট্টিখানি বিষয় ছিল না। ইত্তেফাকের সিরাজুদ্দীন হোসেন, আসফ উদ্দৌলা রেজা- এঁরা দুজনই বঙ্গবন্ধুর বন্ধু ছিলেন। তাঁরা ইত্তেফাককে সঙ্গে নিয়ে সুদৃঢ়ভাবে আমাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক যাঁরা এ প্রশ্নে আমাকে প্রণোদনা জুগিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে জয়নুল হক সিকদার বিশিষ্টজন। তিনি আজ আর নেই। ৯১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পদ ও পদবিতে না থেকে রাজনীতির যে কোনো সংকটে তাঁর বলিষ্ঠ মতামত সুস্পষ্ট অবদান রেখেছে। সেই বিচারে সিকদার চাচা সার্বক্ষণিক রাজনীতিক ছিলেন বললেও অত্যুক্তি হবে না। আজ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মতামত ভুল হলেও তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। সিকদার চাচার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সতর্ক করার সুযোগটিও শেষ হয়ে গেল। তবু পদ ও পদবিবিহীন এই সূক্ষ্ম রাজনীতিবিদের মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে অদৃশ্য শূন্যতা এনে দিল। আমি বিদগ্ধচিত্তে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

লেখক :  স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
একীভূত ব্যাংক
একীভূত ব্যাংক
নির্বাচনের ঢেউ
নির্বাচনের ঢেউ
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
সর্বশেষ খবর
ইজিবাইকের মোটরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে তরুণীর মৃত্যু
ইজিবাইকের মোটরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে তরুণীর মৃত্যু

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

সাবেক মেয়র আইভির হাইকোর্টে জামিন
সাবেক মেয়র আইভির হাইকোর্টে জামিন

৩ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

‘সুনামগঞ্জের ধান-চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক কম’
‘সুনামগঞ্জের ধান-চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক কম’

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় নিহত ৪, আহত ১৩
যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় নিহত ৪, আহত ১৩

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাস্তায় নেমে চাপ সৃষ্টি করে ঐকমত্য হয় না : আমীর খসরু
রাস্তায় নেমে চাপ সৃষ্টি করে ঐকমত্য হয় না : আমীর খসরু

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন বন্ধ
যুক্তরাষ্ট্রে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন বন্ধ

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় থামছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ, বিপাকে ক্রেতা
বগুড়ায় থামছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ, বিপাকে ক্রেতা

২১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

পিএসসি ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান নিক্ষেপ
পিএসসি ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান নিক্ষেপ

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘রাজনীতি করতে হলে শরীরের চেয়ে কলিজা বড় হতে হয়’
‘রাজনীতি করতে হলে শরীরের চেয়ে কলিজা বড় হতে হয়’

৩০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাইবান্ধায় ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৩

৩৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উচ্চ মাধ্যমিকে টেস্ট পরীক্ষা ‘আপাতত’ নয়
উচ্চ মাধ্যমিকে টেস্ট পরীক্ষা ‘আপাতত’ নয়

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে মতবিনিময় সভায় হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁওয়ে মতবিনিময় সভায় হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল

৪৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে ২০৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার: বিজিবি
অক্টোবরে ২০৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার: বিজিবি

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

শেরপুরে জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার
শেরপুরে জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

৫৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

৩১ দফা বাস্তবায়নে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক
৩১ দফা বাস্তবায়নে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বায়ুদূষণ রোধে মানববন্ধন
সাভারে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বায়ুদূষণ রোধে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের আগে গণভোট নয়, ভোটের দিনেই গণভোট হবে : মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের আগে গণভোট নয়, ভোটের দিনেই গণভোট হবে : মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রায়পুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি
রায়পুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ সালে ঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬ দিন ছুটি
২০২৬ সালে ঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬ দিন ছুটি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণফোরামের গোপালগঞ্জ সদর আসনে প্রার্থী ঘোষণা
গণফোরামের গোপালগঞ্জ সদর আসনে প্রার্থী ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ
১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এ বছর আমন মৌসুমে ৩৪ টাকায় ধান, ৪৯ টাকায় আতপ চাল কিনবে সরকার
এ বছর আমন মৌসুমে ৩৪ টাকায় ধান, ৪৯ টাকায় আতপ চাল কিনবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

৫৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলেজের মেয়েরা তো প্রতি সপ্তাহেই বয়ফ্রেন্ড বদলায়: রাভিনা
কলেজের মেয়েরা তো প্রতি সপ্তাহেই বয়ফ্রেন্ড বদলায়: রাভিনা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপিতে  নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক
এনসিপিতে নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক
রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড
দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

পেছনের পৃষ্ঠা

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে

পেছনের পৃষ্ঠা