শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পদ পদবিতে না থেকেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
পদ পদবিতে না থেকেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক

ষাট দশকের প্রথম দিকে যারা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, বিশেষ করে যারা সক্রিয় ও সার্বক্ষণিক রাজনীতির কর্মী ছিলেন, তার একটি বিরাট অংশ জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়ন করত। জগন্নাথ কলেজের রাজনৈতিক অনুপ্রেরণার মূল অনুপ্রেরণা ছিলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইদুর রহমান। সাইদুর রহমান রাজনীতির যে চর্চাকে অনুপ্রাণিত করতেন, উৎসাহিত করতেন, উচ্ছ্বসিত করতেন- সেটি আজকের মতো তার নিজস্ব স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ছিল না। বরং দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের মতো তা ছিল বর্ণিল, উদার ও ঔদার্যে ভরপুর। ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনের কারণে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে আমি যখন অনিশ্চয়তার অথই সাগরে ভাসছিলাম, নিষ্ঠুর নির্মম হতাশা যখন ছোবল মারতে উদ্যত, ঠিক তখনই কোনো এক সুহৃদ আমাকে পরামর্শ দিলেন অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে আমার অবস্থাটা তাঁর দৃষ্টির আওতায় আনতে। দুরুদুরু বক্ষে দ্বিধা-সংশয় ও শঙ্কিত হৃদয়ে অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে ছোটখাটো মানুষটি একটা অদ্ভুত ও আন্তরিক হাসি দিয়ে আমাকে বুকে চেপে ধরে বললেন, ‘শেখের পুত, এখন জায়গামতো আইছস। আমি তোর নাম শুনেছি। আমার জীবিতকালে তোর কোনো অসুবিধা হবে না।’ আমি আগাগোড়াই ধর্মভীরু কিন্তু স্যার নাস্তিক হিসেবে সুশীলসমাজে অনেকটাই পরিচিত ছিলেন। হৃদয়ের গভীরে তিনি যে পুরোপুরি নাস্তিক ছিলেন এটা আমি তখন উপলব্ধি করতে পারিনি। তবে মুসলমান ছাত্রদের এবং ছাত্রনেতাদের মধ্যে যাকে তিনি আপন ভাবতেন, তাকে ‘নেড়ের পুত’ বলে সম্বোধন করতেন। জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর আমি জনপ্রিয়তা অর্জন করি এবং সুদৃঢ় প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হই। তাই আমি একদিন সাহস করে বলেছিলাম, স্যার আপনি আমার নাম ধরে ডাকবেন। আমাকে ‘নেড়ের পুত’ বললে আমি আপনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করব। তখন জগন্নাথ কলেজে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার। জগন্নাথ কলেজের ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী সামগ্রিক ছাত্র আন্দোলনকে প্রণোদনা দিত, উৎসাহিত করত, উজ্জীবিত করত। তখনকার দিনে একটি কলেজে ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর অবস্থান একটি আন্দোলনের দুর্জয় দুর্গ গড়ে তুলেছিল। আমি তো জগন্নাথ কলেজের এক ছাত্র সমাবেশে প্রচ- উত্তেজনায় উদ্বেলিত ও উচ্ছ্বসিত হয়ে গোখলেকে উদ্ধৃত করে ঘোষণাই দিয়েছিলাম- What Jagannath College thinks today, the whole East Pakistan thinks tomorrow.  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এ উক্তিটিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবেনি। কারণ, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রমিছিল না গেলে মধুর ক্যান্টিন, আমতলা ও বটতলায় কোনো জায়গাতেই সভা জমত না। তীর্থের কাকের মতো সবাই চেয়ে থাকত জগন্নাথ কলেজের উদ্বেলিত, আবেগাপ্লুত, উচ্ছ্বসিত ও স্লোগান-মুখরিত মিছিল কখন আসবে।

তখনকার জগন্নাথ কলেজে যারা ছাত্ররাজনীতি করতেন, তাদের মধ্যে অসংখ্য ছাত্রনেতার নাম উল্লেখ করা যায় যারা পরবর্তী জীবনে রাজনীতিতে যশ ও সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের সময়ের আমার অনুজপ্রতিম এম এ রেজা জগন্নাথ কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস, জিএস, সম্ভবত ভিপি পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছিলেন। জয়নুল হক সিকদার ছিলেন এম এ রেজার চাচা। তখনকার দিনে বাঙালিদের মধ্যে তিনি বিত্তশালী ছিলেন- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ঠিকাদারি, আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা তো ছিলই, তদুপরি স্কোডা গাড়ির বাংলাদেশে মূল পরিবেশক ছিলেন। তিনি ভ্রাতুষ্পুত্র এম এ রেজার জন্য না, ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গে সার্বক্ষণিক দোল খাওয়া জগন্নাথ কলেজের আবহমান পরিবেশের কারণে নিয়মিত কলেজে যেতেন। আমরা যারা ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা-কর্মী ছিলাম, আল মুজাহিদী, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী আরেফ, কাজী ফিরোজ, শেলী, সাহাবুদ্দিন, নোমানী, এম এ রেজাসহ অনেক ছাত্রনেতা তখন জগন্নাথ কলেজে সক্রিয়ভাবে ছাত্ররাজনীতিতে সার্বক্ষণিক অংশ নিতেন। এম এ রেজার চাচা জয়নুল হক সিকদার জগন্নাথ কলেজের ছাত্র না হয়েও অতি নিষ্ঠাবান ও নিয়মিত ছাত্রের মতো জগন্নাথ কলেজে আসা-যাওয়া করতেন। কলেজ ক্যান্টিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, প্রহরের পর প্রহর সময় কাটাতেন আবেগ ও উচ্ছ্বাসের আবিরমাখা হৃদয় নিয়ে। তাঁর উপস্থিতির সময়ে কলেজ ক্যান্টিনে আমরা যা খেতাম, তার প্রায় সমুদয় বিলই সিকদার চাচা পরিশোধ করতেন। পকেটে টাকা নিয়ে তিনি জগন্নাথ কলেজের ক্যান্টিনে বেহুদা বসে থাকতেন, আমাদের রাজনৈতিক কর্মীম-লীর, বিশেষ করে আমার ও এম এ রেজার বিল পরিশোধের জন্য। বিল বেশি হলে খুশি হতেন, কম হলে ভুরু কোঁচকাতেন। আশ্চর্যজনক ও বিস্ময়কর হলেও সত্য, ক্যান্টিনের বিল যারপরনাই কম হলে তিনি আমাদের কাউকে কাউকে গোপনে জিজ্ঞেস করতেন, আজকে তোমাদের মিটিং, আলোচনা ও আড্ডা জমেনি কেন? এ এক অদ্ভুত উপলব্ধি ও তাঁর অসাধারণ মানসিকতা। সিকদার চাচা তাঁর স্কোডা গাড়িতে করে যেতেন এবং অধ্যক্ষের বাসার সামনে গাড়িটি পার্ক করা থাকত। তুমুল আন্দোলন-বিক্ষোভ এমনকি ভাঙচুরের মধ্যেও আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সিকদার চাচার গাড়িটি অক্ষত থাকত। তিনি যে নিয়মিতভাবে কলেজে যেতেন, দ্বিতীয় কোনো অভিভাবক এত নিয়মিতভাবে কলেজে যেতেন না, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত। আমরা ভেবেচিন্তে কূলকিনারা পেতাম না, তিনি তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র এম এ রেজার টানে নিয়মিত কলেজে যেতেন, তার রাজনৈতিক প্রণোদনা জোগানোর জন্য দুই হাতে পয়সা খরচ করতেন, নাকি এটি তাঁর ভিন্ন ধরনের রাজনীতিসম্পৃক্ত মানসিক পরিতৃপ্তির উৎস ছিল। নিজেদের মধ্যে অনেকেই টিকা-টিপ্পনী কাটলেও প্রকাশ্যে সবাই বলাবলি করত, এ রকম একটা চাচা থাকলে জীবনে আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে এম এ রেজার জীবনে তার চাচা জয়নুল হক সিকদারই যথেষ্টর চেয়েও বেশি ছিলেন। সেই যে জগন্নাথ কলেজ থেকে শুরু, জাতীয় পার্টি হওয়ার আগে পর্যন্ত এম এ রেজা ওতপ্রোতভাবে রাজনীতিতে আমার সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন। এম এ রেজা ২০০১ সালে ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। সিকদার চাচাকে আল্লাহতায়ালা অনেক হায়াত দান করেছেন। সম্মান, অর্থ-বিত্ত, বৈভব, ঐশ্বর্য-প্রাচুর্য- কোনো কিছুরই তাঁর ঘাটতি ছিল না। ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন। অনেকেই ব্যাংকটিকে তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মনে করত। অসংখ্য মাদরাসা, এতিমখানা এবং ৬৩টি মসজিদ স্বউদ্যোগে তিনি প্রতিস্থাপিত করে গেছেন। সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ তাঁর একটি অনন্য কীর্তি ও সফলতা। ঢাকা শহরের গুলশান বনানীতে তাঁর স্থাপনার অভাব ছিল না। কিন্তু তিনি স্থায়ীভাবে আজীবন রায়েরবাজারেই অবস্থান করেছেন। তিনি মানুষকে সর্বান্তঃকরণে ভালোবাসতেন কিন্তু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি কন্যাপ্রতিম তো মনে করতেনই, যে কোনো প্রয়োজনে উল্কার মতো চলে যেতেন। দুই বোনের নিরাপত্তার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করতেন না। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব শৌখিন ছিলেন। অনেক হরিণ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি শুধু পুষতেনই না, নিজস্ব সুতীক্ষ্ণ তদারকিতে প্রতিপালন করতেন।

২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেষ কথা বলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যখন বের হই, তখন মিরপুর রোডে সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও সাঁজোয়া গাড়ির চলাচল শুরু হয়ে গেছে। আমরা কোনোরকমে তিতাস গ্যাস কোম্পানির জিপে চড়ে লেকটা পার হয়ে ২৩ নম্বরে মরহুম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার বাসায় (ওখানে তখন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র আনোয়ার হোসেন মঞ্জু থাকতেন) ঢুকে পড়ি। ইতিমধ্যে রেডিওতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুল কুদ্দুস মাখন, কাজী ফিরোজ রশীদ, মাসুদ, ওবায়েদ ভাইয়ের বন্ধু হোসেন ভাই ও মহসীনসহ মানিক মিয়ার বাসায় আমরা আশ্রয় গ্রহণ করি। ২৭ মার্চ কারফিউ কিছুক্ষণের জন্য প্রত্যাহার করা হলেই সিকদার চাচা মঞ্জুর বাসার গেট থেকে আমাকে তাঁর নিজস্ব গাড়িতে তুলে তাঁর বাসায় নিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করে একটি লুঙ্গি পরিয়ে আমাকে একটি নৌকায় করে রায়েরবাজার খাল পার করে খালের ওপারের একটি বাসায় পৌঁছে দেন। ওই পরিস্থিতিতে আমাকে পাশে বসিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটা সরাসরি মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করার মতোই। কোনোভাবে কোনো কারণে কোনো সামরিক গাড়ির সামনে পড়লে অথবা সেনাবাহিনীর নজরে এলে বক্ষ বিদীর্ণ করা গুলি ছাড়া ভাগ্যে আর কিছুই জুটত না। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমাদের নির্ধারিত জায়গায় (কলাইতলী) তো পৌঁছাতেই হবে। আমাদের আগের সিদ্ধান্ত ছিল, এ রকম ক্র্যাকডাউন হলে আমরা কলাইতলীতে মিলিত হব। এভাবেই জয়নুল হক সিকদার চাচার তত্ত্বাবধানে আমরা কলাইতলী যাই।

স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি কতখানি নিবেদিত এবং প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলে এ রকম একটা ঝুঁকি তিনি নির্দ্বিধায় নিতে পেরেছিলেন তা অনুভব করে নিতে হয়। এসব দুঃসাহসিক অকুতোভয় দেশেপ্রেমের কাহিনি জানি নিবন্ধিত হবে না, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া দূরের কথা। যে দেশে ছাত্রলীগ ও স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সৃষ্ট বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা, তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতা- যা স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল নিয়ামক শক্তি- তারই যখন কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি তখন অলিখিত এসব ঐতিহাসিক অবদান স্বীকৃতি পাবে কোথায়? সত্য আহরণে ঘটনার সমুদ্রে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে অগণিত সত্যের মণি-মুক্তো তুলে আনার মানসিকতারই যে বড় অভাব। তবু আমি বিশ্বাস করি, অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক বিশাল-হৃদয় জয়নুল হক সিকদার অসামান্য সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর অসংখ্য সেবামূলক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। তিনি একজন বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারই ছিলেন না, পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অবধি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এর সাক্ষী আমি নির্দ্বিধায়, নিঃশঙ্কচিত্তে দিয়ে যাব। রাজনীতির কোনো পদ পদবি দখল না করেও মনে-প্রাণে ধ্যান-ধারণায় এবং সক্রিয় কর্মকান্ডে তিনি ১০০ ভাগ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অকুণ্ঠ অবদান ইতিহাস একদিন স্বীকার করবেই। আমার কাছে তিনি একজন বর্ণাঢ্য ধনী, অসংখ্য শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাই নন, স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন বীর সেনানী। কত মুক্তিযোদ্ধা যে তাঁর কাছে আশ্রয় পেয়েছে, অর্থ সহযোগিতা পেয়েছে- তা হিসাব করা সম্ভব নয়। রাজনীতি ও আন্দোলনে প্রকাশ্যে ও গোপনে তিনি প্রচুর অর্থ এবং সময় ব্যয় করতেন। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে, রক্ত-মাংসের জয়নুল হক সিকদার মুক্তিযুদ্ধের ও বাংলার স্বাধীনতার একটি জ্বলন্ত প্রতীক। তিনি বিশাল ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ছিলেন বটে, কিন্তু প্রতিশ্রুতির (কমিটমেন্ট) প্রতি তাঁর যে দায়বদ্ধতা ছিল তা কল্পনাতীত। ব্যক্তিজীবনে সফল সিকদার চাচা তাঁর রাজনৈতিক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য যে খ্যাতি অর্জন করেছেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তারও পূর্ণ স্বীকৃতি আসবেই এটি আমার বিশ্বাসের অংশ। তিনি ৯১ বছরের সুস্থ জীবন পেয়েছেন, আখিরাতেও মাগফিরাত পাবেন- এটি আমি সর্বান্তঃকরণে বিশ্বাস করি। তাঁরই প্রদেয় ¯েœহ-ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতা আমাকে বদ্ধমূল ধারণায় প্রতিষ্ঠিত করেছে যে, আমিও তাঁর পরিবারের একজন সদস্য। কোনো সুবাদে নয়, সত্যিকার অর্থেই তিনি আমার আত্মার আত্মীয়।

যারা রাজনৈতিক পদ পদবি দখল করে থাকেননি, অথচ যাদের হৃদয়ের পুরো ক্যানভাসটাই আদর্শের আবিরমাখানো, এ ধরনের গৌরবোজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ইতিহাসে তাদের স্থান অতি গৌরবের। তারা আপন মহিমায় ইতিহাসে মহিমান্বিত। কিন্তু আমাদের দেশে ক্ষমতার তোষণ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে এমনকি সত্য অনুসন্ধানেও কি ইতিহাসবিদ, কি সুশীলসমাজ- তেমন কোনো ঐকান্তিক আগ্রহ প্রকাশ ও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এটি সন্দেহাতীতভাবে আমাদের মানসিক দৈন্যের ও দূরদর্শিতার অভাবকেই তুলে ধরে। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল প্রতীক কিন্তু তাঁকে সামনে নিয়ে যাদের দেদীপ্যমান অবদান, প্রচেষ্টা, পৃষ্ঠপোষকতায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিনির্মাণে সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমণ- তাদের ব্যাপারে কেন গবেষণা হয় না, কেন বিশ্লেষণধর্মী বিস্তৃত ঘটনা প্রকাশিত হয় না ভাবতে আমার খুব কষ্ট লাগে। আমি ইতিহাসবিদ বা সাহিত্যিক নই, তবে সুদীর্ঘ সময় রাজপথে হেঁটেছি, সিদ্ধান্তের অনেক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছি। স্বাধীনতার ডাক ’৭০-এর নির্বাচনের আগে না পরে- এ বিতর্কে আমি ম্যান্ডেট পাওয়ার পরই যে কোনো আহ্বানের পক্ষে ছিলাম। এ বিশ্বাস ও প্রতীতি থেকে আমি কখনই বিচ্যুত হইনি। ষাট দশকে বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র বিপ্লবের উন্মাদনা, বাংলাদেশে তো বটেই। বিপ্লবের উদ্দীপ্ত তাড়নায় সমগ্র বিশ্বই তখন টগবগ করছিল। বিপ্লবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গভরা স্লোগান ছিল যৌবনের উচ্ছল জলতরঙ্গ। তার মধ্যে নির্বাচনী ম্যান্ডেটের কথা ’৭০-এর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা উচ্চারণ করাটা তথাকথিত বিপ্লবীদের ভাষায় আপসকামিতার নামান্তর ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের সংখ্যালঘিষ্ঠ অংশের প্রতিনিধিত্ব করে ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উচ্চকণ্ঠে তুলে ধরতাম। তখন সিআইএর দালাল, আমেরিকার চর- কত না কুৎসিত কদাকার বিশেষণে আমাকে অভিযুক্ত হতে হয়েছে। আমি হাল ছাড়িনি, তবে মুষড়ে পড়তাম তখনই যখন আমার চেতনার মূর্ত প্রতীক হিমাচলের মতো আদর্শের অটল স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে দ্বিধাগ্রস্ত দেখতাম। কখনো কখনো ধমক দিয়ে বলতেন, নির্বাচন-টির্বাচনে কাজ হবে না, সশস্ত্র বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ কর, অস্ত্র সংগ্রহ কর। ওদের সঙ্গে শেষ লড়াই লড়ব, হয় জয় না হয় ক্ষয়। মনে রাখতে হবে, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ’৭০-এর নির্বাচনের আগেই এ আলোড়ন। বিপ্লবের উদ্দীপক অসংখ্য স্লোগান কালবোশেখী ঝড়ের মতো বাংলাদেশে বইছিল। তার মধ্যে একান্ত সংখ্যালঘিষ্ঠ কিছু সতীর্থকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র নামক মাটির পলিপথে ধীর পদক্ষেপে ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও অভূতপূর্ব বিজয় সাধন চাট্টিখানি বিষয় ছিল না। ইত্তেফাকের সিরাজুদ্দীন হোসেন, আসফ উদ্দৌলা রেজা- এঁরা দুজনই বঙ্গবন্ধুর বন্ধু ছিলেন। তাঁরা ইত্তেফাককে সঙ্গে নিয়ে সুদৃঢ়ভাবে আমাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক যাঁরা এ প্রশ্নে আমাকে প্রণোদনা জুগিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে জয়নুল হক সিকদার বিশিষ্টজন। তিনি আজ আর নেই। ৯১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পদ ও পদবিতে না থেকে রাজনীতির যে কোনো সংকটে তাঁর বলিষ্ঠ মতামত সুস্পষ্ট অবদান রেখেছে। সেই বিচারে সিকদার চাচা সার্বক্ষণিক রাজনীতিক ছিলেন বললেও অত্যুক্তি হবে না। আজ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মতামত ভুল হলেও তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। সিকদার চাচার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সতর্ক করার সুযোগটিও শেষ হয়ে গেল। তবু পদ ও পদবিবিহীন এই সূক্ষ্ম রাজনীতিবিদের মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে অদৃশ্য শূন্যতা এনে দিল। আমি বিদগ্ধচিত্তে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

লেখক :  স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
বস্ত্র খাত হুমকিতে
বস্ত্র খাত হুমকিতে
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
সর্বশেষ খবর
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা

৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

২০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা