শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পদ পদবিতে না থেকেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
পদ পদবিতে না থেকেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক

ষাট দশকের প্রথম দিকে যারা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, বিশেষ করে যারা সক্রিয় ও সার্বক্ষণিক রাজনীতির কর্মী ছিলেন, তার একটি বিরাট অংশ জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়ন করত। জগন্নাথ কলেজের রাজনৈতিক অনুপ্রেরণার মূল অনুপ্রেরণা ছিলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইদুর রহমান। সাইদুর রহমান রাজনীতির যে চর্চাকে অনুপ্রাণিত করতেন, উৎসাহিত করতেন, উচ্ছ্বসিত করতেন- সেটি আজকের মতো তার নিজস্ব স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ছিল না। বরং দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের মতো তা ছিল বর্ণিল, উদার ও ঔদার্যে ভরপুর। ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনের কারণে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে আমি যখন অনিশ্চয়তার অথই সাগরে ভাসছিলাম, নিষ্ঠুর নির্মম হতাশা যখন ছোবল মারতে উদ্যত, ঠিক তখনই কোনো এক সুহৃদ আমাকে পরামর্শ দিলেন অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে আমার অবস্থাটা তাঁর দৃষ্টির আওতায় আনতে। দুরুদুরু বক্ষে দ্বিধা-সংশয় ও শঙ্কিত হৃদয়ে অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে ছোটখাটো মানুষটি একটা অদ্ভুত ও আন্তরিক হাসি দিয়ে আমাকে বুকে চেপে ধরে বললেন, ‘শেখের পুত, এখন জায়গামতো আইছস। আমি তোর নাম শুনেছি। আমার জীবিতকালে তোর কোনো অসুবিধা হবে না।’ আমি আগাগোড়াই ধর্মভীরু কিন্তু স্যার নাস্তিক হিসেবে সুশীলসমাজে অনেকটাই পরিচিত ছিলেন। হৃদয়ের গভীরে তিনি যে পুরোপুরি নাস্তিক ছিলেন এটা আমি তখন উপলব্ধি করতে পারিনি। তবে মুসলমান ছাত্রদের এবং ছাত্রনেতাদের মধ্যে যাকে তিনি আপন ভাবতেন, তাকে ‘নেড়ের পুত’ বলে সম্বোধন করতেন। জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর আমি জনপ্রিয়তা অর্জন করি এবং সুদৃঢ় প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হই। তাই আমি একদিন সাহস করে বলেছিলাম, স্যার আপনি আমার নাম ধরে ডাকবেন। আমাকে ‘নেড়ের পুত’ বললে আমি আপনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করব। তখন জগন্নাথ কলেজে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার। জগন্নাথ কলেজের ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী সামগ্রিক ছাত্র আন্দোলনকে প্রণোদনা দিত, উৎসাহিত করত, উজ্জীবিত করত। তখনকার দিনে একটি কলেজে ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর অবস্থান একটি আন্দোলনের দুর্জয় দুর্গ গড়ে তুলেছিল। আমি তো জগন্নাথ কলেজের এক ছাত্র সমাবেশে প্রচ- উত্তেজনায় উদ্বেলিত ও উচ্ছ্বসিত হয়ে গোখলেকে উদ্ধৃত করে ঘোষণাই দিয়েছিলাম- What Jagannath College thinks today, the whole East Pakistan thinks tomorrow.  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এ উক্তিটিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবেনি। কারণ, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রমিছিল না গেলে মধুর ক্যান্টিন, আমতলা ও বটতলায় কোনো জায়গাতেই সভা জমত না। তীর্থের কাকের মতো সবাই চেয়ে থাকত জগন্নাথ কলেজের উদ্বেলিত, আবেগাপ্লুত, উচ্ছ্বসিত ও স্লোগান-মুখরিত মিছিল কখন আসবে।

তখনকার জগন্নাথ কলেজে যারা ছাত্ররাজনীতি করতেন, তাদের মধ্যে অসংখ্য ছাত্রনেতার নাম উল্লেখ করা যায় যারা পরবর্তী জীবনে রাজনীতিতে যশ ও সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের সময়ের আমার অনুজপ্রতিম এম এ রেজা জগন্নাথ কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস, জিএস, সম্ভবত ভিপি পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছিলেন। জয়নুল হক সিকদার ছিলেন এম এ রেজার চাচা। তখনকার দিনে বাঙালিদের মধ্যে তিনি বিত্তশালী ছিলেন- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ঠিকাদারি, আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা তো ছিলই, তদুপরি স্কোডা গাড়ির বাংলাদেশে মূল পরিবেশক ছিলেন। তিনি ভ্রাতুষ্পুত্র এম এ রেজার জন্য না, ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গে সার্বক্ষণিক দোল খাওয়া জগন্নাথ কলেজের আবহমান পরিবেশের কারণে নিয়মিত কলেজে যেতেন। আমরা যারা ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা-কর্মী ছিলাম, আল মুজাহিদী, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী আরেফ, কাজী ফিরোজ, শেলী, সাহাবুদ্দিন, নোমানী, এম এ রেজাসহ অনেক ছাত্রনেতা তখন জগন্নাথ কলেজে সক্রিয়ভাবে ছাত্ররাজনীতিতে সার্বক্ষণিক অংশ নিতেন। এম এ রেজার চাচা জয়নুল হক সিকদার জগন্নাথ কলেজের ছাত্র না হয়েও অতি নিষ্ঠাবান ও নিয়মিত ছাত্রের মতো জগন্নাথ কলেজে আসা-যাওয়া করতেন। কলেজ ক্যান্টিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, প্রহরের পর প্রহর সময় কাটাতেন আবেগ ও উচ্ছ্বাসের আবিরমাখা হৃদয় নিয়ে। তাঁর উপস্থিতির সময়ে কলেজ ক্যান্টিনে আমরা যা খেতাম, তার প্রায় সমুদয় বিলই সিকদার চাচা পরিশোধ করতেন। পকেটে টাকা নিয়ে তিনি জগন্নাথ কলেজের ক্যান্টিনে বেহুদা বসে থাকতেন, আমাদের রাজনৈতিক কর্মীম-লীর, বিশেষ করে আমার ও এম এ রেজার বিল পরিশোধের জন্য। বিল বেশি হলে খুশি হতেন, কম হলে ভুরু কোঁচকাতেন। আশ্চর্যজনক ও বিস্ময়কর হলেও সত্য, ক্যান্টিনের বিল যারপরনাই কম হলে তিনি আমাদের কাউকে কাউকে গোপনে জিজ্ঞেস করতেন, আজকে তোমাদের মিটিং, আলোচনা ও আড্ডা জমেনি কেন? এ এক অদ্ভুত উপলব্ধি ও তাঁর অসাধারণ মানসিকতা। সিকদার চাচা তাঁর স্কোডা গাড়িতে করে যেতেন এবং অধ্যক্ষের বাসার সামনে গাড়িটি পার্ক করা থাকত। তুমুল আন্দোলন-বিক্ষোভ এমনকি ভাঙচুরের মধ্যেও আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সিকদার চাচার গাড়িটি অক্ষত থাকত। তিনি যে নিয়মিতভাবে কলেজে যেতেন, দ্বিতীয় কোনো অভিভাবক এত নিয়মিতভাবে কলেজে যেতেন না, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত। আমরা ভেবেচিন্তে কূলকিনারা পেতাম না, তিনি তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র এম এ রেজার টানে নিয়মিত কলেজে যেতেন, তার রাজনৈতিক প্রণোদনা জোগানোর জন্য দুই হাতে পয়সা খরচ করতেন, নাকি এটি তাঁর ভিন্ন ধরনের রাজনীতিসম্পৃক্ত মানসিক পরিতৃপ্তির উৎস ছিল। নিজেদের মধ্যে অনেকেই টিকা-টিপ্পনী কাটলেও প্রকাশ্যে সবাই বলাবলি করত, এ রকম একটা চাচা থাকলে জীবনে আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে এম এ রেজার জীবনে তার চাচা জয়নুল হক সিকদারই যথেষ্টর চেয়েও বেশি ছিলেন। সেই যে জগন্নাথ কলেজ থেকে শুরু, জাতীয় পার্টি হওয়ার আগে পর্যন্ত এম এ রেজা ওতপ্রোতভাবে রাজনীতিতে আমার সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন। এম এ রেজা ২০০১ সালে ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। সিকদার চাচাকে আল্লাহতায়ালা অনেক হায়াত দান করেছেন। সম্মান, অর্থ-বিত্ত, বৈভব, ঐশ্বর্য-প্রাচুর্য- কোনো কিছুরই তাঁর ঘাটতি ছিল না। ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন। অনেকেই ব্যাংকটিকে তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মনে করত। অসংখ্য মাদরাসা, এতিমখানা এবং ৬৩টি মসজিদ স্বউদ্যোগে তিনি প্রতিস্থাপিত করে গেছেন। সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ তাঁর একটি অনন্য কীর্তি ও সফলতা। ঢাকা শহরের গুলশান বনানীতে তাঁর স্থাপনার অভাব ছিল না। কিন্তু তিনি স্থায়ীভাবে আজীবন রায়েরবাজারেই অবস্থান করেছেন। তিনি মানুষকে সর্বান্তঃকরণে ভালোবাসতেন কিন্তু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি কন্যাপ্রতিম তো মনে করতেনই, যে কোনো প্রয়োজনে উল্কার মতো চলে যেতেন। দুই বোনের নিরাপত্তার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করতেন না। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব শৌখিন ছিলেন। অনেক হরিণ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি শুধু পুষতেনই না, নিজস্ব সুতীক্ষ্ণ তদারকিতে প্রতিপালন করতেন।

২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেষ কথা বলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যখন বের হই, তখন মিরপুর রোডে সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও সাঁজোয়া গাড়ির চলাচল শুরু হয়ে গেছে। আমরা কোনোরকমে তিতাস গ্যাস কোম্পানির জিপে চড়ে লেকটা পার হয়ে ২৩ নম্বরে মরহুম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার বাসায় (ওখানে তখন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র আনোয়ার হোসেন মঞ্জু থাকতেন) ঢুকে পড়ি। ইতিমধ্যে রেডিওতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুল কুদ্দুস মাখন, কাজী ফিরোজ রশীদ, মাসুদ, ওবায়েদ ভাইয়ের বন্ধু হোসেন ভাই ও মহসীনসহ মানিক মিয়ার বাসায় আমরা আশ্রয় গ্রহণ করি। ২৭ মার্চ কারফিউ কিছুক্ষণের জন্য প্রত্যাহার করা হলেই সিকদার চাচা মঞ্জুর বাসার গেট থেকে আমাকে তাঁর নিজস্ব গাড়িতে তুলে তাঁর বাসায় নিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করে একটি লুঙ্গি পরিয়ে আমাকে একটি নৌকায় করে রায়েরবাজার খাল পার করে খালের ওপারের একটি বাসায় পৌঁছে দেন। ওই পরিস্থিতিতে আমাকে পাশে বসিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটা সরাসরি মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করার মতোই। কোনোভাবে কোনো কারণে কোনো সামরিক গাড়ির সামনে পড়লে অথবা সেনাবাহিনীর নজরে এলে বক্ষ বিদীর্ণ করা গুলি ছাড়া ভাগ্যে আর কিছুই জুটত না। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমাদের নির্ধারিত জায়গায় (কলাইতলী) তো পৌঁছাতেই হবে। আমাদের আগের সিদ্ধান্ত ছিল, এ রকম ক্র্যাকডাউন হলে আমরা কলাইতলীতে মিলিত হব। এভাবেই জয়নুল হক সিকদার চাচার তত্ত্বাবধানে আমরা কলাইতলী যাই।

স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি কতখানি নিবেদিত এবং প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলে এ রকম একটা ঝুঁকি তিনি নির্দ্বিধায় নিতে পেরেছিলেন তা অনুভব করে নিতে হয়। এসব দুঃসাহসিক অকুতোভয় দেশেপ্রেমের কাহিনি জানি নিবন্ধিত হবে না, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া দূরের কথা। যে দেশে ছাত্রলীগ ও স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সৃষ্ট বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা, তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতা- যা স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল নিয়ামক শক্তি- তারই যখন কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি তখন অলিখিত এসব ঐতিহাসিক অবদান স্বীকৃতি পাবে কোথায়? সত্য আহরণে ঘটনার সমুদ্রে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে অগণিত সত্যের মণি-মুক্তো তুলে আনার মানসিকতারই যে বড় অভাব। তবু আমি বিশ্বাস করি, অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক বিশাল-হৃদয় জয়নুল হক সিকদার অসামান্য সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর অসংখ্য সেবামূলক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। তিনি একজন বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারই ছিলেন না, পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অবধি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এর সাক্ষী আমি নির্দ্বিধায়, নিঃশঙ্কচিত্তে দিয়ে যাব। রাজনীতির কোনো পদ পদবি দখল না করেও মনে-প্রাণে ধ্যান-ধারণায় এবং সক্রিয় কর্মকান্ডে তিনি ১০০ ভাগ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অকুণ্ঠ অবদান ইতিহাস একদিন স্বীকার করবেই। আমার কাছে তিনি একজন বর্ণাঢ্য ধনী, অসংখ্য শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাই নন, স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন বীর সেনানী। কত মুক্তিযোদ্ধা যে তাঁর কাছে আশ্রয় পেয়েছে, অর্থ সহযোগিতা পেয়েছে- তা হিসাব করা সম্ভব নয়। রাজনীতি ও আন্দোলনে প্রকাশ্যে ও গোপনে তিনি প্রচুর অর্থ এবং সময় ব্যয় করতেন। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে, রক্ত-মাংসের জয়নুল হক সিকদার মুক্তিযুদ্ধের ও বাংলার স্বাধীনতার একটি জ্বলন্ত প্রতীক। তিনি বিশাল ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ছিলেন বটে, কিন্তু প্রতিশ্রুতির (কমিটমেন্ট) প্রতি তাঁর যে দায়বদ্ধতা ছিল তা কল্পনাতীত। ব্যক্তিজীবনে সফল সিকদার চাচা তাঁর রাজনৈতিক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য যে খ্যাতি অর্জন করেছেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তারও পূর্ণ স্বীকৃতি আসবেই এটি আমার বিশ্বাসের অংশ। তিনি ৯১ বছরের সুস্থ জীবন পেয়েছেন, আখিরাতেও মাগফিরাত পাবেন- এটি আমি সর্বান্তঃকরণে বিশ্বাস করি। তাঁরই প্রদেয় ¯েœহ-ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতা আমাকে বদ্ধমূল ধারণায় প্রতিষ্ঠিত করেছে যে, আমিও তাঁর পরিবারের একজন সদস্য। কোনো সুবাদে নয়, সত্যিকার অর্থেই তিনি আমার আত্মার আত্মীয়।

যারা রাজনৈতিক পদ পদবি দখল করে থাকেননি, অথচ যাদের হৃদয়ের পুরো ক্যানভাসটাই আদর্শের আবিরমাখানো, এ ধরনের গৌরবোজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ইতিহাসে তাদের স্থান অতি গৌরবের। তারা আপন মহিমায় ইতিহাসে মহিমান্বিত। কিন্তু আমাদের দেশে ক্ষমতার তোষণ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে এমনকি সত্য অনুসন্ধানেও কি ইতিহাসবিদ, কি সুশীলসমাজ- তেমন কোনো ঐকান্তিক আগ্রহ প্রকাশ ও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এটি সন্দেহাতীতভাবে আমাদের মানসিক দৈন্যের ও দূরদর্শিতার অভাবকেই তুলে ধরে। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল প্রতীক কিন্তু তাঁকে সামনে নিয়ে যাদের দেদীপ্যমান অবদান, প্রচেষ্টা, পৃষ্ঠপোষকতায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিনির্মাণে সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমণ- তাদের ব্যাপারে কেন গবেষণা হয় না, কেন বিশ্লেষণধর্মী বিস্তৃত ঘটনা প্রকাশিত হয় না ভাবতে আমার খুব কষ্ট লাগে। আমি ইতিহাসবিদ বা সাহিত্যিক নই, তবে সুদীর্ঘ সময় রাজপথে হেঁটেছি, সিদ্ধান্তের অনেক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছি। স্বাধীনতার ডাক ’৭০-এর নির্বাচনের আগে না পরে- এ বিতর্কে আমি ম্যান্ডেট পাওয়ার পরই যে কোনো আহ্বানের পক্ষে ছিলাম। এ বিশ্বাস ও প্রতীতি থেকে আমি কখনই বিচ্যুত হইনি। ষাট দশকে বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র বিপ্লবের উন্মাদনা, বাংলাদেশে তো বটেই। বিপ্লবের উদ্দীপ্ত তাড়নায় সমগ্র বিশ্বই তখন টগবগ করছিল। বিপ্লবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গভরা স্লোগান ছিল যৌবনের উচ্ছল জলতরঙ্গ। তার মধ্যে নির্বাচনী ম্যান্ডেটের কথা ’৭০-এর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা উচ্চারণ করাটা তথাকথিত বিপ্লবীদের ভাষায় আপসকামিতার নামান্তর ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের সংখ্যালঘিষ্ঠ অংশের প্রতিনিধিত্ব করে ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উচ্চকণ্ঠে তুলে ধরতাম। তখন সিআইএর দালাল, আমেরিকার চর- কত না কুৎসিত কদাকার বিশেষণে আমাকে অভিযুক্ত হতে হয়েছে। আমি হাল ছাড়িনি, তবে মুষড়ে পড়তাম তখনই যখন আমার চেতনার মূর্ত প্রতীক হিমাচলের মতো আদর্শের অটল স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে দ্বিধাগ্রস্ত দেখতাম। কখনো কখনো ধমক দিয়ে বলতেন, নির্বাচন-টির্বাচনে কাজ হবে না, সশস্ত্র বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ কর, অস্ত্র সংগ্রহ কর। ওদের সঙ্গে শেষ লড়াই লড়ব, হয় জয় না হয় ক্ষয়। মনে রাখতে হবে, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ’৭০-এর নির্বাচনের আগেই এ আলোড়ন। বিপ্লবের উদ্দীপক অসংখ্য স্লোগান কালবোশেখী ঝড়ের মতো বাংলাদেশে বইছিল। তার মধ্যে একান্ত সংখ্যালঘিষ্ঠ কিছু সতীর্থকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র নামক মাটির পলিপথে ধীর পদক্ষেপে ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও অভূতপূর্ব বিজয় সাধন চাট্টিখানি বিষয় ছিল না। ইত্তেফাকের সিরাজুদ্দীন হোসেন, আসফ উদ্দৌলা রেজা- এঁরা দুজনই বঙ্গবন্ধুর বন্ধু ছিলেন। তাঁরা ইত্তেফাককে সঙ্গে নিয়ে সুদৃঢ়ভাবে আমাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক যাঁরা এ প্রশ্নে আমাকে প্রণোদনা জুগিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে জয়নুল হক সিকদার বিশিষ্টজন। তিনি আজ আর নেই। ৯১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পদ ও পদবিতে না থেকে রাজনীতির যে কোনো সংকটে তাঁর বলিষ্ঠ মতামত সুস্পষ্ট অবদান রেখেছে। সেই বিচারে সিকদার চাচা সার্বক্ষণিক রাজনীতিক ছিলেন বললেও অত্যুক্তি হবে না। আজ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মতামত ভুল হলেও তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। সিকদার চাচার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সতর্ক করার সুযোগটিও শেষ হয়ে গেল। তবু পদ ও পদবিবিহীন এই সূক্ষ্ম রাজনীতিবিদের মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে অদৃশ্য শূন্যতা এনে দিল। আমি বিদগ্ধচিত্তে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

লেখক :  স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক
এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক

৪ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট
বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০
আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক: আমজনতার দল
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক: আমজনতার দল

২৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

এরশাদ হাসানের একক অভিনয়ে নতুন নাটক
এরশাদ হাসানের একক অভিনয়ে নতুন নাটক

২৫ মিনিট আগে | শোবিজ

সাভারে চালু হচ্ছে বায়োজিনের নতুন শাখা
সাভারে চালু হচ্ছে বায়োজিনের নতুন শাখা

২৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

গাজীপুরে তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিএনপির উদ্যোগে ম্যারাথন
গাজীপুরে তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিএনপির উদ্যোগে ম্যারাথন

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বরফ গলল তবে, ট্রাম্প-মাস্কের খুনসুটি
বরফ গলল তবে, ট্রাম্প-মাস্কের খুনসুটি

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

৩৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

৩৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সমালোচনার জবাব দিলেন রামচরণের স্ত্রী
সমালোচনার জবাব দিলেন রামচরণের স্ত্রী

৩৭ মিনিট আগে | শোবিজ

রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘সহনশীল রূপান্তর’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী
রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘সহনশীল রূপান্তর’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

৩৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজ করলেন মান্নান
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজ করলেন মান্নান

৪০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দেড়শ বছরের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে প্রথমবার দুই আদিবাসী
দেড়শ বছরের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে প্রথমবার দুই আদিবাসী

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লামায় ইটভাটায় অভিযানে হামলা, গ্রেপ্তার ৫
লামায় ইটভাটায় অভিযানে হামলা, গ্রেপ্তার ৫

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রতিটি ম্যাচেই আমার চেষ্টা থাকে সেরাটা দেওয়া: মুশফিক
প্রতিটি ম্যাচেই আমার চেষ্টা থাকে সেরাটা দেওয়া: মুশফিক

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিল: দুলু
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিল: দুলু

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রাইভেটকার ছিটকে পথচারীর মৃত্যু
এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রাইভেটকার ছিটকে পথচারীর মৃত্যু

৫৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা