গত দুই দশকে বাংলাদেশের কাগজ শিল্পের অহংকার করার মতো বিকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের কাগজ দুনিয়ার অনেক উন্নত দেশেও রপ্তানি হচ্ছে। কাগজ রপ্তানিকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। অথচ কাগজ শিল্পের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতার বদলে কর্তৃপক্ষীয় ভুল ও অনুদার নীতি বিকাশমান এ শিল্পের জন্য সংকট তৈরি করছে। চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি এ শিল্পের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে কয়েক বছর ধরে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আঘাত হানছে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে দেশি মিলগুলো থেকে সংগ্রহের বদলে বিনা শুল্ক কাগজ আমদানির উদ্যোগ। কাগজ শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএমএর তথ্যানুযায়ী দেশে এখন ছোট-বড় মিলে ১০৬টি কাগজ উৎপাদনকারী শিল্প রয়েছে। যেগুলোর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৬ লাখ টন; যা স্থানীয় চাহিদার তুলনায় ২ দশমিক ৫০ গুণ বেশি। এক দশক আগেও যেখানে আমদানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করা হতো, সেখানে বর্তমানে সব ধরনের কাগজ ও কাগজজাতীয় পণ্য উৎপাদনে দেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে। দেশের কাগজ মিলগুলো দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে তাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করছে। দেশে এককভাবে কাগজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপস্তুক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রতি বছর দরপত্রের মাধ্যমে এনসিটিবি ৮০ হাজার টন কাগজ ও ৪০ কোটি মুদ্রিত বই কিনে থাকে। বিপিএমএ সদস্যরা ২০ বছর ধরে এনসিটিবির চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন কাগজ সঠিক মূল্যে যথাসময়ে সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু এ বছর দেশীয় কাগজের বদলে বিনাশুল্কে বিদেশ থেকে কাগজ আমদানির পাঁয়তারা কাগজ শিল্পের অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানকেও করছে প্রশ্নবিদ্ধ। এমনিতেই বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধার অপব্যবহারে এ শিল্পে নাভিশ্বাস সৃষ্টি করছে। পাঠ্যবই ছাপাতে বিদেশ থেকে আমদানি হলে তা কাগজ শিল্পের কফিনে পেরেক মারার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হবে। যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য হওয়া উচিত নয়।
শিরোনাম
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
- ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
- জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
- লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র্যালি
- জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেলে প্রবেশ নিষেধ
- দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন, বর্জন যুক্তরাষ্ট্রের
- চাপের মুখে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করতে যাচ্ছে ইইউ
- সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের
- পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধে বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়া, চীনের আকাশ ব্যবহারে লবিং
কাগজ শিল্পের সংকট
আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকুন
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম