রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শ্রেষ্ঠ উপায়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্ষুধা ও ঘরহীন মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, আমরা চাই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠুক। বাংলাদেশের একজন মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, ঘরহীন থাকবে না, প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালব। রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘মুজিব চিরন্তন’ শিরোনামে সিরিজ আয়োজনে গত শুক্রবারের থিম ছিল ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’। এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান। বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সবদিকে বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন পায়, যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এবং যে কথা তিনি সব সময়ই বলতেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশকে ক্ষুধা ও ঘরহীন মুক্ত করার অঙ্গীকার খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এক ঘোষণা। বাংলাদেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের শিকার সেই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে। তার আগে বাংলাদেশ ছিল তৎকালীন দুনিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে দুটি দুর্ভিক্ষে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ প্রাণ হারায়। পাকিস্তান আমলেও ক্ষুধা ও দারিদ্র্য ছিল এ জাতির ভাগ্যের লিখন। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তলাবিহীন ঝুড়ির সঙ্গে তুলনা করা হতো বাংলাদেশকে। পাঁচ দশক পর বাংলাদেশ ক্ষুধা জয়ের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করে। ৫০ বছরে জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বাড়লেও খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণের বেশি। ঘরহীনদের ঘরদানে সরকার যে কর্মসূচি নিয়েছে তা এক কথায় বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। এ অঙ্গীকার একই সঙ্গে অসীম সাহসিকতারও উদাহরণ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মতো সেরা ধনী দেশেও রয়েছে ক্ষুধার জ্বালা। ঘরহীনের সংখ্যাও কম নয়। আমরা আশা করব এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবে।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সেটিই প্রকৃষ্ট উপায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর