শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

গর্বিত বাংলাদেশ

উন্নত বিশ্বের সোপানে যেতে আরও এগোতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে গর্বিত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের এ চুম্বক অংশটি খুবই প্রাসঙ্গিক এবং এতে ৫০ বছরের সেরা অর্জনের বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিটিশের ১৯০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন ও ২৩ বছরের পাকিস্তানি দুঃশাসনে বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হয়েছে। ইতিহাসের নিরিখে বলা হয়, বাঙালির ইতিহাস বীরত্বের ইতিহাস। দুরন্ত সাহসে উজ্জীবিত এ জাতি। ২ হাজার বছর আগেও পদ্মা মেঘনা যমুনা পারের মানুষের শক্তি-সামর্থ্য ও বীরত্বের প্রশংসা করেছেন গ্রিকবীর আলেকজান্ডারের সফরসঙ্গীরা। রোমান কবি ভার্জিলের কবিতায়ও স্থান পেয়েছে গাঙ্গেয় বদ্বীপবাসীর প্রশস্তি। কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক এবং পাকিস্তানি জংলি শাসনে বাংলাদেশ তার স্বকীয় মর্যাদা হারাতে চলেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সে অপমানজনক অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়েছে। ১৯৪৭ সালে বাঙালি প্রতারিত হয় পাকিস্তান নামের কুইনাইন গিলে। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও অস্বীকৃতি জানান জিন্নাহ-লিয়াকত-নাজিমউদ্দিন-নূরুল আমিন চক্র। বলা যায়, এ অন্যায়ের প্রতিবাদেই বোনা হয় স্বাধীনতার বীজ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সৃষ্ট আন্দোলনে যে স্বাধিকারের বীজ বপন করেছিলেন তাকেই সযত্নে লালনপালন করে তিনি স্বাধীন মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পরিণত মহিরুহে রূপান্তরিত করেন। শেখ মুজিব থেকে পরিণত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮-এর আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন এবং ’৭১-এর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পাই স্বাধীনতা। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ তথা সোনার বাংলা। ৫০ বছরে সে লক্ষ্য অর্জিত না হলেও অর্জনের সঠিক পথেই পা দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে এ জাতির পদার্পণ ঘটেছে। উন্নত বিশ্বের সোপানে উঠতে এগিয়ে যেতে হবে আরও জোরে, নিরলসভাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর