শিরোনাম
বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ দুর্ঘটনা

মৃত যাত্রীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিন

শীতলক্ষ্যায় রবিবারের লঞ্চ দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। রবিবার পাঁচজনের লাশ উদ্ধার হয়। সোমবার টেনে তোলা লঞ্চে পাওয়া যায় আরও ২৫ লাশ। শীতলক্ষ্যায় নৌ দুর্ঘটনা নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। বালুবাহী নৌযান কিংবা বার্জের আঘাতে লঞ্চডুবির ঘটনাও কম নয়। রবিবার সন্ধ্যায় কোস্টার ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ‘সাবিত আল হাসান’ নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চ। সোমবার উদ্ধারকারী জাহাজের সাহায্যে লঞ্চটি টেনে তোলা হয়। লঞ্চের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর নাম-পরিচয় শনাক্ত করছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার সকাল থেকেই শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে অপেক্ষমাণ হাজারো মানুষের পাশাপাশি স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। একে একে যখন লাশগুলো উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হচ্ছিল তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজ ৩৩ জনের মধ্যে ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শনাক্ত হওয়ায় কয়েকজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যার চর সৈয়দপুরের ব্রিজসংলগ্ন স্থানে কোস্টার ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চটি ডুবে যায়। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাতেই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ পৌঁছায়। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। সোমবার সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয় জোরেশোরে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়। লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে রুটিনওয়ার্ক হিসেবে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। আমরা আশা করব এটি লোক দেখানো বিষয় হয়ে থাকবে না। দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মৃত যাত্রীদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর