শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় স্বাস্থ্যবিধি

থাকতে হবে সচেতন ও সতর্ক

হঠাৎ বেড়ে যাওয়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অবস্থাটা এমন হয়েছে যে মাস্ক ব্যবহার করতে যত বেশি নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে তত বেশি তা লঙ্ঘনের প্রবণতা যেন বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনেরা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেই যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ ও গণমাধ্যমও মানুষের কাছে নানাভাবে আবেদন-নিবেদন করছে। সরকারি নির্দেশনায় মাস্ক পরা, প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলেও নানা ছুতো দেখাচ্ছে নগরবাসী। অবস্থাটা হচ্ছে কে শোনে কার কথা? দুই দিন বন্ধ থাকার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় বুধবার বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন গণপরিবহন চলা শুরু হয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি কমেছে। তবে যথারীতি ট্রেন, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ ছিল। আশপাশের জেলা থেকে যাত্রীবাহী পরিবহন রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ছিল তৎপর। রাজধানীতে বড় শপিং মলগুলো না খুললেও ছোট ও মাঝারি ধরনের দোকান খোলার চেষ্টা করেছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ দোকানের ঝাঁপ ফেলেও ভিতরে অবস্থান করেন। অলিগলিতে প্রায় সব দোকানই ছিল খোলা। কাঁচাবাজারে যথারীতি উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন গাউছিয়া ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা। করোনা মহামারী ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সাত দিনের বিধিনিষেধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা কাঁচাবাজার খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু রাজধানীর কোনো কাঁচাবাজারে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। রাস্তাঘাট, হাটবাজার ও জনাকীর্ণ স্থানগুলোয় মানুষের চলাফেরা অনেকটাই করোনা-পূর্ব স্বাভাবিক সময়ের মতোই। জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে বাংলাদেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি তীব্র হতে পারে। আসুন আমরা সবাই সচেতন হই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর