বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা খুবই সীমিত। তৈরি পোশাক, চিংড়ি, পাট ও চামড়াই এ ক্ষেত্রে ছিল দীর্ঘদিন যাবৎ ভরসা। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিতে নজর দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রপ্তানি করে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা অর্জিত হতো করোনাকালের আগে। করোনার সময় এ দুটি পণ্যের রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলেও প্রধান আমদানিকারী দেশ চীন নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে। করোনা ঝুঁকি এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া নিতে চীন প্রটোকল স্বাক্ষরের তাগিদ দিয়েছে। প্রটোকলে স্বাক্ষর করলে ওই পণ্য দুটি চীনে রপ্তানির ক্ষেত্রে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কভিড-১৯-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি ও খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণ করতে হবে। রপ্তানিকারকরা তা অনুসরণ করছেন কি না নিশ্চিত করবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর। কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষ ও সংগ্রহের সঙ্গে দেশের খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও নোয়াখালীর প্রায় ৪ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ দুটি পণ্য রপ্তানি করে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা আয় হয়। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে গত বছরের জানুয়ারি থেকে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। মূলত খুলনার সুন্দরবন অঞ্চলে চাষ হয় কাঁকড়া ও কুঁচিয়া। রপ্তানি হয় চীন, তাইওয়ান, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়ায়। উৎপাদিত কাঁকড়ার ৮৫ শতাংশই যায় চীনে। খুলনার ২৮ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে কাঁকড়া চাষ হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওই এলাকায় ৬ হাজার ৯৮৯ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭ হাজার মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদনের লক্ষ্য থাকলেও রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাঁকড়া চাষ সংকটে পড়ে। সম্প্রতি চীন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন কাঁকড়া ও কুঁচিয়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা। আমরা আশা করব কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনার কথা মনে রেখে চীনা প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। এটি সম্ভব হলে সারা দুনিয়ায় এ পণ্য দুটির রপ্তানি অন্তত দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
শিরোনাম
- সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
- রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা