শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ মে, ২০২১

অতিথি কলাম

ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন ও পয়লা মের তাৎপর্য

শাজাহান খান, এমপি
প্রিন্ট ভার্সন
ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন ও পয়লা মের তাৎপর্য

শ্রমজীবী মানুষের রক্তে রাঙা দিন ১ মে। ১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমিকদের এক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘আট ঘণ্টা শ্রম দিবস ঘোষণা কর’। মালিকরা সমাবেশ দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পুলিশ লেলিয়ে দেয়। পুলিশ শ্রমিকদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে গুলি চালায়। গুলিতে ১১ শ্রমিক শহীদ হন। শিল্পমালিক ধনিক শ্রেণি মনে করেছিল শ্রমিকদের আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো যখন বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষ এ দিনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করল।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেশে দেশে প্রতি বছর ১ মে সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৩৫ বছর আগে যে দাবি নিয়ে ১১ জন শ্রমিকের রক্ত ঝরল সে দাবি আজও বহু দেশে বাস্তবায়ন হয়নি। যদিও প্রতিটি দেশের শ্রম আইনে আট ঘণ্টা কর্মদিবস সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। বাংলাদেশেও আট ঘণ্টা কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকলেও বাস্তবে সবাই তা মানছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিমিত কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মালিকদের নির্দেশনা দিলেও তা সব ক্ষেত্রে পালন হচ্ছে না।

১ মের ক্ষেত্র এক দিনে প্র¯ুÍত হয়নি। এর পেছনে রয়েছে সুদীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের ইতিহাস। রয়েছে অগণিত শ্রমিকের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, তাদের রক্ত, আত্মাহুতি ও আবেগের ইতিহাস। যে আবেগের বশবর্তী হয়ে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষ আজ সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ।

শিল্প প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউরোপ ও আমেরিকার শিল্পমালিকরা শ্রমিকদের জোর করে শ্রম দিতে বাধ্য করত। চালাত অমানবিক নির্মম নির্যাতন। শ্রমিকদের ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা কলকারখানায় কাজ করতে বাধ্য করা হতো। বিনিময়ে মজুরি কম দিত। যা দিয়ে মানুষের জীবন চলত না। ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত শ্রমিকরা কখনো কখনো কলের পাশে ঘুমিয়ে পড়ত। মালিকরা তাদের দৈহিক নির্যাতন করত। ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে আবার কাজ করতে বাধ্য করত। এসব অমানবিক অসহ্য নির্যাতনের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা মাঝেমধ্যে প্রতিবাদী হতো, আন্দোলন করত। সে সময় আজকের মতো ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ ছিল না। তাই মালিকদের লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশের আক্রমণের কাছে শ্রমিকরা পরাজিত হতো। এ পরাজয়ের পেছনে সফলতার বীজ বপিত হয়।

উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে শ্রমিকরা সংগঠিত হতে শুরু করে। ১৮৮২ সালে কানাডায় এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে একদল শ্রমিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তাদের এ দাবি কার্যকরের জন্য তারা সময় বেঁধে দেয়। কিন্তু কারখানার মালিকরা এ দাবি মেনে নেয়নি। এ দাবিতে ১৮৮৬ সালের ১ মে শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিকরা সমবেত হয়। শ্রমিকদের সমাবেশের ওপর মালিকদের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনী অতর্কিতে হামলা করে। যা সংঘাতে রূপ নেয়। পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। আট শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার মধ্যে প্রহসনমূলক বিচারে ১৮৮৭ সালে ১১ নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়। লুইস নামে একজন শ্রমিক কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন। ম্পিজ নামে একজন শ্রমিকনেতা ফাঁসির মঞ্চে আরোহণের আগে বলেছিলেন, ‘আজ আমাদের এ নিস্তব্ধতা একদিন তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে।’ তাঁর এ কথার সত্যতা আজ প্রমাণিত। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আওয়াজ আজ অনেক শক্তিশালী।

তবে ১৮৯৩ সালে ২৬ জুন ইলিনয়ের গভর্নর অভিযুক্ত আট শ্রমিককেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা করেন এবং সংঘাতের হুকুম প্রদানকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেন। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবি অফিশিয়ালি স্বীকৃতি পায়। এ স্বীকৃতির পেছনে শত সহস্র শ্রমিকের রক্ত আর কত নির্মম অত্যাচার-নির্যাতনের করুণ কাহিনি লুক্কায়িত আছে, যা কালের অমোঘ নিয়মে মহাকালের বুকে হারিয়ে গেছে।

১৯৯০ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কংগ্রেসে ১ মেকে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাশিয়াসহ পরবর্তীতে আরও কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত হওয়ার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। জাতিসংঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকারসমূহ স্বীকৃতি লাভ করে এবং সব দেশে শিল্প মালিক ও শ্রমিককে তা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ আইএলও কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার অনুস্বাক্ষরকারী একটি দেশ। সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহে গুরুত্বসহকারে মে দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে মে দিবস পালিত হয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ১ মেকে মে দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। মে দিবস মানেই শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন। মে দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দেন। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছাড়া বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যে দেশের প্রধানমন্ত্রী মে দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি তাঁর ভাষণে দেশের শ্রমিক ও নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ থেকে শ্রমজীবী মানুষকে মুক্ত করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছয় দফা দাবি পেশ করেন; যা বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৬৬ সালে ৭ জুন ছয় দফা অর্থাৎ বাংলার মানুষের স্বাধিকারের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হরতাল পালনকালে তেজগাঁও শিল্প এলাকার শ্রমিক মনু মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। স্মরণীয় হলো, ছয় দফা দাবিতে আহূত হরতালের প্রথম শহীদ একজন শ্রমিক। শ্রমিকের রক্তে রাঙা ছয় দফা দিনে দিনে বাংলার স্বাধীনতার দিকে বাংলার মানুষকে ধাবিত করে।

পাকিস্তান শাসনামলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে কটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছিল তার সিংহভাগের মালিক ছিল পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানি শাসক ও শোষক শ্রেণি এবং শিল্পের মালিকরা তখন শ্রমিকদের ওপর চালাত নানা ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন। এ অবস্থায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর শ্রমিকদের সংগঠিত করে ‘জাতীয় শ্রমিক লীগ’ নামে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় একটি শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর আগেও অনেক শ্রমিক সংগঠন ও ফেডারেশন পূর্ব বাংলায় ছিল। তার অধিকাংশের নেতৃত্ব দিতেন বামধারার রাজনৈতিক নেতারা। তাঁরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চিন্তা-চেতনা ও মনমানসিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিক আন্দোলন করেননি। তাঁরা কেউ চীন, কেউ রাশিয়ার ভাবধারা প্রতিষ্ঠার মানসিকতা নিয়ে বাংলার মানুষের মনন উপেক্ষা করে শ্রমিক শ্রেণিকে পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন। তাঁরা নেতা মানতেন মার্কস, লেলিন ও মাও সে তুংকে। শ্রমিক নেতৃত্বের একটি বড় অংশ রাশিয়াপন্থি হওয়ায় তাঁরা শ্রমিকনেতাদের রাশিয়াসহ ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোয় ভ্রমণের সুযোগ দিতেন। সেসব শ্রমিকনেতার চিন্তা-চেতনা বাংলার মাটি ও মানুষের চিন্তা ও চেতনার সঙ্গে সমঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। তাই তাদের মনমানসিকতা ও বাঙালি সংস্কৃতির ভাবধারা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা ভোঁতা হয়ে যেত। বঙ্গবন্ধু এ ধারার পরিবর্তন করে শ্রমিকস্বার্থের আন্দোলনের পাশাপাশি শ্রমিকদের রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলেন। এ কারণে জাতীয় শ্রমিক লীগ সংগঠনটি শ্রমিকদের চাহিদা ও দাবি পূরণের পাশাপাশি রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন সম্পর্কে তাদের চেতনা শানিত করে তোলে।

১৯৪৯ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের ছাত্র থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন। পাকিস্তান সরকার এ কার্যক্রমকে অপরাধ বলে চিহ্নিত করে বিশ্ব^বিদ্যালয় সিনেটকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন সৈনিক ছিলেন। তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেও শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষের ন্যায়সংগত দাবির প্রতি শুধু সমর্থনই নয় তা বাস্তবায়নেও তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন।

১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পরোক্ষ সম্পর্ক ছিল। পাকিস্তানি শাসনের সূচনালগ্নে বৈরী পরিবেশে চা শ্রমিকদের প্রতিনিধির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কের সেতুবন্ধ তৈরি হতে থাকে। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তান সরকারের শ্রমমন্ত্রী হিসেবে সিলেট চা শ্রমিকদের হাত ধরে বলেছিলেন, ‘তোমাদের সকল দুঃখ দূর করবার জন্য আমরা খুবই চেষ্টা করব।’ চা শ্রমিকের এক কক্ষবিশিষ্ট ভাঙা ঘর দেখে তিনি শিল্পমন্ত্রী হিসেবে মালিক পক্ষকে চাপ দিয়ে চা শ্রমিকদের দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু চা-শিল্প ব্যবস্থাপক ও চা শ্রমিকদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। তিনি মনে করতেন, শ্রমিকরা উপেক্ষিত থাকলে উৎপাদন বাড়ে না। তাই তিনি চা শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য মালিক-শ্রমিকের চুক্তি করতে আহ্বান জানান। মালিকপক্ষ শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে চুক্তি করতে চাননি। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মালিক, শ্রমিক ও সরকার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকায় ত্রিপক্ষীয় সম্মেলন করার উদ্যোগ নেন। ১৯৫৭ সালের ২৫ মে ত্রিপক্ষীয় এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শ্রমিকরা আগে নামমাত্র বেতন পেতেন। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁদের সর্বনিম্ন মজুরি, বোনাস ও প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর পরিকল্পনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চা শ্রমিকদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যুক্ত করে স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশীজন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৬২ সালে শ্রীমঙ্গল চা বাগানের পথ দিয়ে অতি গোপনে আগরতলা গিয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকার একে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে; যা পরে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ হিসেবে প্রচারিত হয়। বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম থেকে সংগ্রাম করেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের কথা তিনি পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকে চিন্তা করেছেন। তিনি মনে করতেন ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার শ্রমিকদের রয়েছে। তাই তিনি পাকিস্তান পার্লামেন্টে তাঁর ভাষণে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের কথা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন।

১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগে নভেম্বরে এক বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশকে সংকটমুক্ত করতে চাই।’ ওই ভাষণে তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য হিস্সা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। ১৯৭১-এর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘গরিবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে সেই জন্য সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে সেগুলোর হরতাল কাল থেকে চলবে না, রিকশা, ঘোড়ার গাড়ি, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে, শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্ট, জজ কোর্ট, সেমি-গভর্নমেন্ট দফতরগুলো ওয়াপদা কোনো কিছু চলবে না।’ বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, ‘এই সাত দিনের হরতালে যেসব শ্রমিক ভাইয়েরা যোগদান করেছে প্রত্যেক শিল্পের মালিক তাদের বেতন পৌঁছে দেবেন।’

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৭ জুন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের শ্রমিকদের উৎপাদন বাড়াতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শ্রমিক ভায়েরা! আল্লাহর ওয়াস্তে একটু উৎপাদন কর। আল্লাহর ওয়াস্তে মিল খেয়ে ফেল না। পয়সা থাকবে না। ব্যাংক থেকে ১৫৭ কোটি টাকা তোমাদের আমি দিয়েছি শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালাবার জন্য। অনেক মিল বন্ধ। তবু মাইনে দিয়ে চলেছি। অনেক মিলে অর্ধেক কাজ হয়। সেখানেও আমি মাইনে দিয়ে চলেছি। আমি তোমাদের দু-তিন বছর কষ্ট করতে বলব, উৎপাদন করতে হবে। ইনশা আল্লাহ, একবার যদি উৎপাদন বেড়ে যায় তাহলে আর কোনো কষ্ট হবে না। শ্রমিকরা সমস্ত মানুষের সঙ্গে সমানভাবে দেশের সম্পদ ভাগ করে খেতে পারবে।’

বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও একজন শ্রমিকদরদি মানুষ। তিনি সব সময় শ্রমিকদের জন্য ভাবেন। তিনি তাঁর পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। দেশের সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মানোন্নয়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও শ্রমিক শ্রেণির জন্য ভাবেন, বলেন এবং কাজ করেন।

১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে সামরিক আইন জারি করে নিজে রাষ্ট্রপতি হন। মানুষের মৌলিক অধিকার ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ করে। একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি এরশাদ সব বিরোধী দলের নেতাদের গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেন। সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার মতো শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন। জেনারেল এরশাদ তাঁর দাবি মেনে নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেন।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকারখানা জাতীয়করণ করেছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৯৯ সালে ১১টি বন্ধ টেক্সটাইল মিল শ্রমিকদের মালিকানায় দেন। ২০১৩ সালে গার্মেন্ট শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধি ও বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। শ্রমিক আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি কুচক্রী মহল এ সুযোগে গার্মেন্ট কারখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংঘটিত নৈরাজ্য বন্ধের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি তৈরি পোশাকশিল্পের ৫২টি রেজিস্টার্ড শ্রমিক ফেডারেশন ও ২৫টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করে ‘গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ’ গঠন করি। আমাকে ওই পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়। গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে মজুরি বৃদ্ধি, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলি। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মুষলধারায় বৃষ্টির মধ্যে লাখো শ্রমিকের (অধিকাংশ নারী শ্রমিক) সমাবেশ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। শ্রমিকনেতাদের নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন এবং শ্রমিকনেতাদের কথা মনোযোগসহকারে শোনেন। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

১৯৮৪ সালে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ৫৭০ টাকা। ১০ বছর পর ১৯৯৪ সালে তা বৃদ্ধি করা হয় ৯৩০ টাকায়। এর ১২ বছর পর ২০০৬ সালে তা করা হয় ১৬৬২ টাকা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে চার বছর পর ২০১০ সালে তা বৃদ্ধি করে ৩০০০ টাকায় উন্নীত করেন। তিন বছর পর ২০১৩ সালে ন্যূনতম মজুরি ৩০০০ টাকার স্থলে ৫৩০০ এবং ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি দেওয়া হয়। এর পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালে ৫৩০০ টাকার স্থলে ৮০০০ টাকায় উন্নীত করেন। তিনি শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মালিকদের নির্দেশ দেন। তার পর থেকে গার্মেন্ট সেক্টরে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর বন্ধ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ খাবে তো কেউ খাবে না তা হবে না তা হবে না’। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির জন্য বার্গেনিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছি।’ তিনি গার্মেন্ট নারী শ্রমিকদের জন্য বহুতলবিশিষ্ট আবাসনের ব্যবস্থা করছেন। একজন মানুষ কত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী ও শ্রমিকদরদি নেতা তাঁর এসব কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়।

বাঙালি জাতি এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর বা সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরের দিকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ধাবিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯)-এর কারণে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তার পরও বিশ্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সূচকে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় তিনি মনে করেন শিল্পের শ্রমিক ও মালিকদের সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সৃষ্টি হবে। তাই এবারের সেøাগান যথার্থভাবে উচ্চারিত হোক- ‘শ্রমিক-মালিক নির্বিশেষ/ মুজিববর্ষে গড়ব দেশ’।

জয় বাংলা।

জয় বঙ্গবন্ধু।

দুনিয়ার মজদুর এক হও।

লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

১৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি
ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু
শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা
টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা