ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসলামী জিহাদের সঙ্গে ইসরায়েলিদের ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষে শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এ যুদ্ধবিরতিকে দুই পক্ষই তাদের জয় হিসেবে দেখছে। ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস সমর্থকরা বিজয় মিছিলও বের করেছে। তেলআবিবের ভাষ্য, ইসরায়েলের ওপর ৪ হাজার রকেট হামলা যারা চালিয়েছে তাদের দমনের মিশন সফল হয়েছে। হামাস ও ইসলামী জিহাদের প্রায় ২০০ সদস্যকে হত্যার কৃতিত্বও তারা জাহির করেছে। হামাস ও ইসরায়েলের সংঘর্ষে কারা জয়ী হয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও এতে নিশ্চিতভাবে যে মানবতার পরাজয় ঘটেছে এ এক মহাসত্য। দুই পক্ষের সংঘাতে শিশু-নারীসহ অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনে সংঘাতের বীজ বপিত হয়েছিল শত বছর আগে ওসমানিয়া খেলাফতের আমলে। তারাই প্রথম ফিলিস্তিন ভূখন্ডে ইহুদি বসতি স্থাপনের সুযোগ দেয়। প্রথম মহাযুদ্ধে ওহাবিদের সহায়তায় আরব ভূখন্ডে ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনী লাখ লাখ ইহুদি হত্যা করলে যুদ্ধ শেষে ব্রিটিশরা ফিলিস্তিন এলাকায় ইসরায়েল নামের ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। জাতিসংঘকে তারা এ ব্যাপারে শিখ-ী হিসেবে ব্যবহার করে। ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনের ৫৫ ভাগ ইসরায়েল ও ৪৫ ভাগ ফিলিস্তিনিদের জন্য রেখে দুটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা ঘোষণা করে। ফিলিস্তিনের ৫ ভাগ এলাকা পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব করা হয়। ইহুদিরা তৎক্ষণাৎ প্রস্তাবটি গ্রহণ করে ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রের জন্ম দেয়। আরব দেশগুলো প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়ে নাস্তানাবুদ হয়। তার পরও আরও দুবার যুদ্ধ হয়েছে এবং তার ফলাফলও অভিন্ন। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিরা যে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল এখন সেটুকু অর্জনের জন্য তাদের জীবন দিতে হচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি মানবতার জন্য স্বস্তিদায়ক খবর হলেও এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এজন্য প্রয়োজন স্বাধীন ফিলিস্তিন। তা অর্জনে ফিলিস্তিনিদের দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। ইসরায়েল ও তার অর্থপুষ্টদের প্রক্সি লড়াইয়ের বদলে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তিসংগ্রামকে ইপ্সত লক্ষ্য অর্জনে শানিত করতে হবে।
শিরোনাম
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
- দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের মাঝে উপকরণ বিতরণ
ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি
প্রক্সি নয় জোরদার হোক মুক্তির লড়াই
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর