শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১

সংক্রমিত হবি হ, মারা যাবি যা...

আলম রায়হান
প্রিন্ট ভার্সন
সংক্রমিত হবি হ, মারা যাবি যা...

বিভিন্ন সময় ধূমপান  কেন্দ্রিক বিষয়গুলো আমাকে নানানভাবে আকৃষ্ট করেছে। শিশুকালে মানুষকে হুক্কা খেতে দেখেছি। ভাবতাম বড় হলে আমিও...। কৈশোরে দেখেছি বিড়ি খাচ্ছে মানুষ। আবার সিনেমার নায়ক মানেই হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। এসব দেখে প্রবলভাবে আকৃষ্ট হয়েছি, কিন্তু নিজে এ ধূমপায়ীদের কাতারে স্থায়ীভাবে শামিল হওয়ার আগেই বুঝেছি ধূমপান খুবই বাজে নেশা। পরে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করি, নেশার গুরু, ধূমপান দিয়ে শুরু। ধূমপানবিরোধী এরকম নানান প্রচারণায় প্রভাবিত হয়েছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, ‘বিড়ি খাবি খা, মারা যাবি যা।’ বেশ কয়েক দিন ধরে ঘুরে-ফিরে ধূমপানবিরোধী এ স্লোগানটি আমার মনে বেশ নাড়া দিচ্ছে। তবে একটু ভিন্নভাবে। প্যারোডিও বলা চলে, ‘করোনায় সংক্রমিত হবি হ, মারা যাবি যা!’ নিষ্ঠুর শোনালেও এটি সম্ভবত আমাদের ভবিতব্য হতে যাচ্ছে। সরকারের দোদুল্যমানতা এবং জনগণের উদাসীনতা ও খামখেয়ালির কারণে।

চারদিকে তাকালে মনে হয় সবাই যেন খেপেছে! শত সাবধান বাণী যেমন ধূমপান থেকে মানুষকে দূরে রাখতে পারেনি, তেমনি হাজারো সতর্ক বার্তা বিবেচনায় নিচ্ছে না মানুষ। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকার অনেকটাই ছেলেখেলার ধারায় আছে। ফলে দোকান ও শপিং মল খুলেছে। অথচ গবেষণায় বলা হয়েছে, বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস; দোকান ও মার্কেটের মতো বদ্ধ জায়গায় যারা যান তারা থাকেন ঝুঁকির কেন্দ্রে। কিন্তু এরপরও দোকান ও শপিং মল খোলার অনুমতি দিয়েছে সদাসয় সরকার। নিশ্চয়ই মালিকদের দাপট আছে। আবার দাপট কেবল ব্যবসায়ীদের নয়। ডাক্তাররাও কম যান না। লকডাউন কার্যকর করার কাজে নিয়োজিত থাকাকালে এক নারী ডাক্তারের চরম অসৌজন্য আচরণের শিকার হয়ে ঢাকা থেকে বরিশালে বদলি হতে হয়েছে এক ম্যাজিস্ট্রেটকে। হয়তো গার্মেন্টস-শপিং মলের মালিকদের মতোই অনেক লম্বা ডাক্তারদের হাতও। লকডাউন কার্যকর করার দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটেরই যদি হয় এই দশা তাহলে রাস্তায় পুলিশের প্রাণান্তকর পরিশ্রমের ফলাফল কী? কয়েকটি রিকশা ধরে টানাটানি করা! গব মিলিয়ে লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যবস্থাপনার হতাশাজনক চিত্র দৃশ্যমান। যে কারণে লকডাউনের ঘোষণাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না মানুষ। এ প্রবণতার পেছনে রয়েছে আরও অনেক কারণ। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে, লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারের ঢিলেমি। লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার প্রকাশ্য দৈন্যদশার পাশাপাশি জনগণ রয়েছে লকডাউন না মানার ভয়ংকর প্রবণতায়। সতর্ক থাকার বদলে জনখামখেয়ালিপনা এবং সরকারের ঢিলেমি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দোদুল্যমানতার কারণে করোনা সংক্রমণ যা ছড়িয়েছে তাই ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট। এর সঙ্গে চলমান রয়েছে করোনা সংক্রমণ বিস্তারের নানান কার্যক্রম। যেমন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৫ এপ্রিল থেকে খোলা হয়েছে দোকান ও শপিং মল। আগে থেকেই চালু আছে গার্মেন্ট। এর মধ্যে ২৮ এপ্রিলের পর শিথিল হয়েছে ‘কঠোর লকডাউনের’ বিধিনিষেধ। যদিও আবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩০ মে পর্যন্ত। কথিত কঠোর থাকা অবস্থাতেই লঞ্চ-ট্রেন-আন্তজেলা বাস চালু করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এটি সবার কাছেই দৃশ্যমান। কিন্তু দৃশ্যমান নয় এবং হওয়ার কথাও নয়, তা হচ্ছে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ। তবে অনুমান করা যায় সর্বনাশা বিস্তার।

যে কেউ অনুমান করতে পারেন লকডাউন নিয়ে সরকারের ঢিলেমি এবং জনগণের খামখেয়ালিতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। আবার এর মধ্যে যদি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে পড়তে পারে তাহলে তো হয়ে গেল! ভারতে শ্মশানের জায়গা নেই। একই ধারা শুরু হলে হয়তো বাংলাদেশে কবরের জায়গা হবে না। তখন হয়তো লাশ ফেলতে হবে নদী-খাল-বিলে। যদিও এগুলোও কমে গেছে দখলে-দূষণে। ভারতীয় স্ট্রেইন প্রবেশ করলে কী দশা হবে বাংলাদেশের। ভাবা যায় না!

আর এ ধরনের আশঙ্কা যে নেই তা কিন্তু নয় বরং প্রবল। এ বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকারও করেছেন সরকারের এক কর্তা বাহাদুর। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় স্ট্রেইন বাংলাদেশে থাবা বিস্তার করবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আরও কিছুদিন পর এ বিষয়ে জানা যাবে। কারণ অনেকেই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। তার এ অভিমত প্রকারান্তরে শোনায় নির্মম পরিহাসের মতো। তার বক্তব্য মতো ‘কিছুদিন পর’ যদি জানা যায়, ভারতীয় স্ট্রেইন বাংলাদেশে এসেছে তখন কী করা যাবে? ভারত কী করতে পেরেছে? আবার সেই বরীন্দ্রনাথকে স্মরণ করতে হয়, ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই।’ এখন কি ভারতীয় স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়ে দলে দলে ‘মরিয়া প্রমাণ করিতে হইবে ভারতীয় স্ট্রেইন বাংলাদেশে ঢুকেছে!’ সরকারি বিশেষজ্ঞ অভিমত যাই হোক ভারতীয় স্ট্রেইন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- এ আশঙ্কা কিন্তু প্রবল। এরকম আশঙ্কা থেকেই ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও না। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরাও যদি ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন তাহলে হবে জেল-জরিমানা। হতে পারে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং ৩৭ হাজার পাউন্ড জরিমানা।

এদিকে আমরা! ভারতফেরত বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টাইনে হিমশিম খাচ্ছে যশোর প্রশাসন। যশোর ও বেনাপোলের সব আবাসিক হোটেল এখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। এর সংখ্যা অন্তত ২৯টি। এ হোটেলগুলো এবং বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে কোয়ারেন্টাইনে ভারতফেরত বাংলাদেশির সংখ্যা সহস্রাধিক। এ ছাড়া যশোরের আশপাশের চার জেলা, সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদহ ও নড়াইলের হোটেলগুলোও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। ভারতে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন। এ তালিকা প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে। সেই সঙ্গে অনেকের দেহে মিলছে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। ভ্যারিয়েন্ট এরপরও স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র বলছেন, আরও কিছু দিন সময় লাগবে! এই হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অনাচারের অসংখ্য নমুনার একটি।

সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনা। দোকান ও মার্কেটের মতো বদ্ধ জায়গায় যারা যান তারা থাকেন ঝুঁকির কেন্দ্রে। মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের পর্যালোচনায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে। গবেষকরা জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির কথা বলা, নিঃশ্বাস, হাসি, চিৎকার এমনকি গানের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে কভিড-১৯ ভাইরাস। খোলা জায়গার তুলনায় ঘরের ভিতরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এ বিশেষজ্ঞ মতামতের বিষয়টি নিশ্চয়ই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি ২৫ এপ্রিল থেকে শপিং মল ও দোকানপাট খোলার ক্ষেত্রে, অথবা অন্য কিছু বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ দুনিয়ায় নেপথ্যে তো কত কারণই থাকে। সব মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে এই, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি তেমন আমলে নেওয়া হচ্ছে না। গত বছর প্রথমবার এ বিষয়ে বেশ সচেতন ছিলেন সবাই। পাশাপাশি ছিল অনেক আতঙ্ক, কখনো তা ছাপিয়ে গেছে সচেতনতাকেও। কিন্তু প্রথম ওয়েভের ঢেউ একটু ভাটির দিকে যাওয়ার পরই মানুষ কী রকম যেন বেপরোয়া হয়ে উঠল!

এটি প্রমাণিত সত্য, করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউ বাংলাদেশ সফলভাবে সামাল দিয়েছে। সে সময় সরকার অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল। এর সুফলও পাওয়া গেছে। দেশে গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছিল নিম্নমুখী। এরপর হঠাৎ বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। মার্চ মাসে শুরু হওয়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ যেমন বেশি তীব্র, একই সঙ্গে গুরুতর রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় অনেক বেশি। পরিসংখ্যান এ কথাই বলছে। আবার পরিসংখ্যান নিয়ে নানারকম কথা আছে। এ বিষয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বচন আছে। তা হচ্ছে- মিথ্যা তিন প্রকার। লাই, ড্যাম লাই অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস। করোনা প্রসঙ্গে কথাসাহিত্যিকের এ উক্তি বিবেচনায় না নিতে চাইলে বিশেষজ্ঞ মতামত বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে প্রকৃত সত্য আড়াল করা হচ্ছে। সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করলে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াত ৫০ কোটি, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। এ হিসেবে মানতেই হবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ বেশ দক্ষতা দেখিয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নিম্নমুখী অবস্থা থেকে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ল কেন? সংক্রমণ যখন নিম্নমুখী হয়েছিল তখন সবার মাঝে একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল করোনা চলে গেছে। আহা কী মজা, এবার বগলবাজা!

ফলশ্রুতিতে সব ক্ষেত্রে ঢিলেমি চলে এসেছে। এদিকে একশ্রেণির লোক বলতে থাকল, করোনা সংক্রমণ আসলে এক ধরনের প্রচারণা। আর এবার কঠোর লকডাউনের বিষয়টিকে কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী মহল থেকে আখ্যায়িত করা হয়েছে, হেফাজত হেদায়েত করার সরকারি কৌশল। এ ধারণাকে ভিত্তি দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন হেফাজতের অবলুপ্ত কমিটির আমির বাবুনগরী।

শুরু থেকেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধান করণীয় হিসেবে বলা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্বের কথা। বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু কি না চলেছে। বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে সমুদ্রসৈকত পর্যন্ত- সব জায়গায় মানুষ গেছে। আর গার্মেন্ট মালিক ও ব্যবসায়ীদের নানান আহ্লাদ করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা প্রকাশ্য অথবা গোপনে যা চায় তাই পায়। যেন নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এই যে অবাধ অনাচার, এ কারণেও করোনাভাইরাস খুবই দ্রুত ছড়িয়েছে। জানা কথা, ভাইরাস যখন শরীরে আসে তখন সে মাল্টিপ্লাই করে এবং এর মধ্যে মিউটেশনগুলো হয়। একইভাবে ঘটে বিস্তারও। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সব জায়গায় ঘুরে বেড়ানো এবং জনসমাগম করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান কারণ। এমনটাই বলছেন গবেষকরা। গবেষণায় তারা আরও কয়েকটি কারণ পেয়েছেন। এদিকে আমাদের দেশে ইউকে এবং সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট এসেছে। এগুলোর বিস্তার হয়েছে সব জায়গায়। সবকিছু মিলিয়েই উদ্বেগজনক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতের পরিস্থিতি।

প্রতিবেশী ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভারতের পরিস্থিতি যে চরম খারাপ হয়েছে তাতেও যেন প্রতিক্রিয়া নেই আমাদের। সবাই সবকিছু খোলার পক্ষে। সবকিছু খোলা রেখে ঘনবসতির ভারতে করোনা পরিস্থিতি চলমান ভয়াবহ পরিণতিতে পৌঁছেছে। ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ চলছে তার পেছনে কভিড-১৯-এর নতুন ধরন ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে কারণে ইতিমধ্যে ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। এখন ভারতের কিছুটা আগে রয়েছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র। একেবারেই অক্সিজেন নেই রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালে। এতে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাব্যবস্থা। এ অবস্থায় ভারতে ট্রিপল মিউট্যান্ট বা তিনবার রূপ পরিবর্তনকারী তিন গুণ বেশি শক্তিশালী নতুন করোনার সন্ধান মিলেছে। যা টিকা নিলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ফলে হাসপাতাল থেকে লাশ সরাতে সরাতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন দেশটির কর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের জনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশে জ্বলন্ত গণচিতার ছবি দেখেছে বিশ্ববাসী। বাচ্চা ছেলেমেয়ে, কারও বয়স ৫, কারও ১৫, কারও ২৫। তাদের দাহ করতে হচ্ছে। সদ্য বিবাহিত অনেকের দেহও শ্মশানে আসছে। শুধু শ্মশানই নয়, ভারতের কবরস্থানগুলোর অবস্থাও এক। মরদেহ সমাহিত করার জায়গা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে করোনায় মৃতদের স্বজনদের। মানুষ মারা যাচ্ছে কাতারে কাতার। মরার পরও ঠাঁই মিলছে না শ্মশানে। দাহর জন্য অপেক্ষমাণ মৃতদেহ কুকুরে খাওয়ার খবর বেরিয়েছে। এই হচ্ছে করোনায় ভারতের চলমান চিত্র। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের ভাইরাস প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়াবে।

আর কেবল ধারণায় নয়, বাস্তব উদাহরণ হিসেবে এরই মধ্যে নেপাল টের পাচ্ছে ভারতীয় ভাইরাস কতটা ভয়াবহ। নেপালের প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো ভয়াবহ করোনার সংক্রমণের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং হাসপাতালে শয্যা ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের সীমান্তবর্তী লুম্বিনি প্রদেশের বাঙ্কে জেলার ভেরি হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনায় ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলেছেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ওই এলাকাগুলোতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমরা অসহায় অবস্থায় আছি।

বাংলাদেশও ভারতের প্রতিবেশী। কেবল তাই নয়, আমাদের তিন দিকেই ভারত। আর ভয়ানক করোনাভাইরাস খাবলে ধরেছে পুরো ভারতকে। এ অবস্থায় সর্বজনীন শঙ্কার প্রশ্ন, করোনাকালে আমাদের দেশে যা চলছে তাতে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে!

এদিকে বিশেজ্ঞরা বলছেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন হুমকি। তিনবার রূপ পাল্টাতে সক্ষম করোনার এ নতুন ধরন, ছড়ায় অতি দ্রুত। সেই সঙ্গে এটি তিন গুণ বেশি শক্তিশালীও। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ রোধে আপাতত ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এটি কতটা কার্যকর তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে যে ট্রিপল মিউটেটেড ভাইরাস এসেছে, সেটা বাংলাদেশে এলে পরিস্থিতি কী হবে সেটা নিয়ে অনেক গবেষকই শঙ্কিত।

আর একটি বিষয় বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। করোনা মহামারী বিশ্ব থেকে কবে যাবে, আদৌ যাবে কিনা তা কেউ বলতে পারছেন না। হয়তো বিশ্ববাসীকে বহু বছর অথবা চিরকাল করোনার সঙ্গে বসবাস করতে হবে। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই এ বিশ্ববাস্তবতার বাইরে নয়। কিন্তু এটি কতটা বিবেচনায় রাখছে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের অতি সাহসী জনগণ? এ নিয়ে ঘোরতর সংশয় রয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের বিপর্যয়ই যেখানে আমাদের অচেতন চেতনায় তেমন নাড়া দেয়নি এখনো, সেখানে বিশ্ব বাস্তবতার প্রভাব কতটুকু প্রভাবিত করতে পারবে আমাদের বোধবুদ্ধিকে! তবে শুধু এটুকু বলা যায়, সাধু সাবধান।

                লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খলিলের ২০ মিলিয়ন ডলারের মামলা
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খলিলের ২০ মিলিয়ন ডলারের মামলা

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে আবুল বারকাত
কারাগারে আবুল বারকাত

৫ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার, বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার চার বছরের কারাদণ্ড
চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার, বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার চার বছরের কারাদণ্ড

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেনীতে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম, ভোগান্তি চরমে
ফেনীতে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম, ভোগান্তি চরমে

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুরি-ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
চুরি-ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পটিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ
পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গাইবান্ধায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ
সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়

৩৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, মাফিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে : সালাহউদ্দিন
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, মাফিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে : সালাহউদ্দিন

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে ভাঙছে পাড়
শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে ভাঙছে পাড়

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদেশি নারী ধর্ষণ: কে-পপ তারকার সাজা অর্ধেক করল আদাল
বিদেশি নারী ধর্ষণ: কে-পপ তারকার সাজা অর্ধেক করল আদাল

৪৩ মিনিট আগে | শোবিজ

আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল
আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল

৪৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আট মাস পর কাঁচামরিচ আমদানি শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আট মাস পর কাঁচামরিচ আমদানি শুরু

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরের পাখির দোকান থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
মিরপুরের পাখির দোকান থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার

৫৪ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা-কর্মী বহিষ্কার

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এসএসসিতে গোপালগঞ্জে সেরা ‘রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ’
এসএসসিতে গোপালগঞ্জে সেরা ‘রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ’

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকোর কর্মচারী গ্রেফতার
রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকোর কর্মচারী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ১৩৮ জন
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ১৩৮ জন

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন ছেলে
আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন ছেলে

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

উরি র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
উরি র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত
গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কার জালে ৩ গোল দিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার জালে ৩ গোল দিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন
শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া
এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়
সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়

২৩ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫
হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী
রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করল স্পেন
গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করল স্পেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন আ স ম রব
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন আ স ম রব

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা