শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৯ মে, ২০২১

জিয়ার রাজনীতির পাপ ও পরিণতি

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
জিয়ার রাজনীতির পাপ ও পরিণতি

জিয়ার মৃত্যুর চার দশক হচ্ছে আগামীকাল ৩০ মে। ১৯৮১ সালের ওই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনা সদস্যের হাতে জিয়া নিহত হন। জিয়ার মৃত্যুর চার দশকেও বিএনপি টিকে আছে এবং দুই দফা ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জিয়ার অবস্থান আজ কোথায় এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। রাজনীতিকে ডিফিকাল্ট করার যে নীতি ও কৌশল, সে কৌশলে জিয়াউর রহমানের রাজনীতিই এখন সংকটাপন্ন। জাতীয় রাজনীতিতে জিয়া এখন খলনায়ক। বিএনপির রাজনীতিতে জিয়া এখন পার্শ্বচরিত্র। ইতিহাসে জিয়া এখন এক পরিত্যক্ত অধ্যায়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়ার উত্থান ষড়যন্ত্র এবং অবৈধ পন্থায়। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এ হত্যাকান্ডে নিষ্ক্রিয়, নির্মোহ থাকা ছিল রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের প্রথম পা। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জিয়া খুনিদের ষড়যন্ত্রের কথা জানতেন। একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি অথবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানানো। এটা জানালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু জিয়া সব জেনে, তাদের সম্মতি দিয়ে কার্যত ’৭৫-এর ক্যু-এ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কেন এটা জিয়া করেছিলেন এর উত্তর খুঁজতে আমাদের ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে যেতে হয়।

’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার ভূমিকা ছিল রহস্যময়। এ সময় তাকে লেখা পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার চিঠি থেকেও বোঝা যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করলেও জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গোপন যোগাযোগ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জার্মানরা বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীতে তাদের ‘এজেন্ট’ রাখত। যারা প্রয়োজনে এমন কান্ড ঘটাত যাতে লাভ হতো নাৎসিদের। জিয়াউর রহমান কি সে রকম কোনো এজেন্ট ছিলেন? এ নিয়ে এখন বেশ কথাবার্তা চলছে। আমি মনে করি, ’৭১-এ জিয়াউর রহমানসহ পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়া সেনা সদস্যদের ব্যাপারে গবেষণা হওয়া দরকার। এদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধে কেন এসেছিলেন সে প্রশ্ন এখন উঠতেই পারে। বিশেষ করে ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর এ প্রশ্নের সঠিক এবং গবেষণানির্ভর উত্তর অত্যন্ত জরুরি। ’৭৫-এর খুনিদের বেশ কয়েকজন ’৭১-এর তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে এরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, অনেকেই জীবন বাজি রেখে পালিয়ে এসে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু খুনি রশীদ, ফারুক, ডালিমরা কি তাই ছিল? নাকি তাদের পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাই পাঠিয়েছিল ভিতরে থেকে সর্বনাশ করতে। সামরিক বিজ্ঞানে বলে, একটি যুদ্ধজয়ই শেষ কথা নয়। যুদ্ধের পরও যুদ্ধ থাকে। পাকিস্তান সেই গোপন যুদ্ধ আজও চালিয়ে যাচ্ছে। এ যুদ্ধে পাকিস্তানের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করা। পাকিস্তান একাত্তরে পরাজয়ের পর আশা করেছিল বাংলাদেশ টিকবে না। বাংলাদেশ আবার পাকিস্তান না হোক, কনফেডারেশন হবে। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে আইএসআই অনেক বেশি সক্রিয় ছিল, এখনো আছে। যারা সে সময় পালিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে এসেছিল, তাদের কেউ কেউ যে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিল তা আজ প্রমাণিত। এরা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজেই ব্যস্ত ছিল। পাকিস্তান জানত বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে বাংলাদেশকে আর পাকিস্তান বানানো সম্ভব নয়। এজন্যই ’৭৫-এর নৃশংসতম হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল। আর ওই হত্যাকান্ডের ঘাতকদের প্রায় সবাই পাকিস্তান প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা। এদের সঙ্গে জিয়ার সম্পর্কের কথাও এখন উন্মোচিত। তাই জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর ৪০ বছর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, জিয়া কি একজন মুক্তিযোদ্ধা না মুক্তিযোদ্ধারূপী পাকিস্তানি এজেন্ট?

এ প্রশ্ন প্রবল এবং তীব্র হয় ’৭৫-পরবর্তী জিয়াউর রহমানের কর্মকান্ডে। ৭ নভেম্বর ক্যু-পাল্টা ক্যুর রক্তাক্ত অধ্যায়ের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন জিয়া। জিয়াকে ক্ষমতার কেন্দ্রে আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তাহের। কিন্তু জিয়া তার সঙ্গেও নিকৃষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা করেন। জিয়া যে তাহেরকে হত্যা করেছেন, তা আজ আদালতের রায়েই প্রমাণিত। এরপর জিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ, সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের পক্ষে। জিয়া সংবিধান স্থগিত করেছিলেন। সামরিক ফরমানবলে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র উপড়ে ফেলেছিলেন। জিয়া ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জেলে ঢুকিয়ে রাজাকার, আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে বের করেছিলেন। গোলাম আযমের মতো ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধের শিরোমণিকে দেশে আসার অনুমতি দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান শাহ আজিজের মতো স্বাধীনতাবিরোধীকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এ রকম ফিরিস্তি দিলে তা অনেক দীর্ঘ হবে। আমি শুধু জিয়ার রাজনৈতিক প্রবণতা উল্লেখ করলাম। তিনি সেনাপ্রধান হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজে দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এমনকি ‘বাংলাদেশ বেতার’-কে রেডিও বাংলাদেশ বানানোর মতো ছোটখাটো বিষয়েও তার নজর এড়ায়নি। কিন্তু এসব করেও যেন জিয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়ন পুরোপুরি হচ্ছিল না। জিয়া বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। একই কায়দায় ১৯৭৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিচারপতি সায়েমের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেন। বঙ্গভবনে ডেকে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে হটিয়ে নিজেই নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। জিয়ার রাজনীতির মূল অনুষঙ্গ অবশ্য এই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’। জনগণের সঙ্গেও জিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। ’৭৫-এর ১১ নভেম্বর জিয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি একজন সৈনিক। ...রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই এবং আমার সরকার সম্পূর্ণ নির্দলীয় ও অরাজনৈতিক।’ এ বক্তব্যও ছিল এক ধরনের প্রতারণা। এরপর জিয়া সামরিক পোশাকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হন। জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন, ছাত্রসংগঠন তৈরির চেষ্টা, জাগদল গঠন প্রক্রিয়া শেষে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন। সেনাপ্রধান একজন সরকারি কর্মকর্তা। সরকারি চাকরি করে রাজনৈতিক দল গঠন, নির্বাচন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই নজিরবিহীন।

’৭৫-এর ৭ নভেম্বর থেকে ’৮১-এর ৩০ মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে জিয়াই ছিলেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এ সময়ে তার কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জিয়া একদিকে পাকিস্তান বানানোর নীরব প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্যদিকে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর আয়োজন সম্পন্ন করেছিলেন। একটি রাষ্ট্রের এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন। গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হলো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলন ঘটানো। বাংলাদেশে ভৌতিক ভোট সংস্কৃতির সূচনা করেছিলেন জিয়া। আগে ভোট নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতো। এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ আনত। কিন্তু জিয়াউর রহমান গায়েবি ভোটের এক অভূতপূর্ব সংস্কৃতি চালু করেন। ১৯৭৭ সালের ৩০ মে জিয়া হ্যাঁ-না গণভোটের আয়োজন করেন। প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে একটি ঢাউস সাইজের গ্রন্থ লিখেছেন। ‘প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ; এ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি’ শিরোনামে ওই গ্রন্থের ৭১ পৃষ্ঠায় বিস্ময়কর এ ভোট বিপ্লব নিয়ে জিয়াও যে হতবাক হয়েছিলেন তা উল্লেখ করা হয়েছে। জিয়া তার সমর্থনে ওই গণভোটে ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন! বিরোধী দলের ওপর দমন-নিপীড়ন। বিরুদ্ধমতকে হত্যা, ভয় এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেই জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। বিদেশি ঋণনির্ভর অর্থনীতি, খাদ্য ঘাটতি রাখার কৌশল ছিল বাংলাদেশকে দীর্ঘ মেয়াদে পঙ্গু করার নীরব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, জিয়া কেন এসব করেছিলেন? এটা কি অদক্ষতা না পরিকল্পিত? এ প্রশ্নের উত্তরে সাদামাটাভাবে বলা যায়, জিয়া আসলে ছিলেন পুতুল। পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যা যা দরকার তা-ই তিনি করেছেন। পাকিস্তান আমলে যেমন উগ্রবাদী এক সফল প্রচারণা চালানো হতো যে, ভারতবিরোধিতা মানেই দেশপ্রেম। জিয়াউর রহমান খুব দক্ষতার সঙ্গে সে চেতনা ফিরিয়ে আনেন। দেশে প্রচার-প্রচারণার ভারতবিরোধিতা করে দেশপ্রেমের আলখাল্লা পরেন জিয়াউর রহমান।

বাংলাদেশের রাজনীতিতেও পাকিস্তানি ধারা ও সংস্কৃতির সফল অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিলেন জিয়া। জিয়া নিজেই বলেছিলেন, ‘রাজনীতি ডিফিকাল্ট’ করবেন। রাজনীতি ডিফিকাল্ট করতে গিয়ে জিয়া সেনা গোয়েন্দা সংস্থাকে যথেচ্ছভাবে রাজনীতিতে ব্যবহার করেছেন। কালো টাকা, অস্ত্র, মাস্তান দিয়ে রাজনীতিবিদদের কোণঠাসা করেছেন। রাজনীতিতে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের হিসসা দিয়েছেন। পাকিস্তানি দুর্নীতিগ্রস্ত খিচুড়ি রাজনীতির মডেল জিয়া সফলভাবেই বাংলাদেশে প্রতিস্থাপন করেছেন। সে সংস্কৃতি থেকে এখনো বাংলাদেশের রাজনীতি বেরোতে পারেনি।

একটি কথা প্রায়ই বলা হয়, বঙ্গবন্ধু আর দশটা বছর দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিলে বাংলাদেশ উন্নত আধুনিক এক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াত। ঠিক একইভাবে বলা যায়, জিয়াউর রহমান আর দশ বছর ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ অবিকল একটি ‘পাকিস্তান’ হতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য সস্তা রাজনৈতিক সমালোচনায় জিয়াকে মর্যাদাবান করা হয়েছে। বাংলাদেশে জিয়াকে নিয়ে একটি নির্মোহ গবেষণা হওয়া দরকার ছিল। আওয়ামী লীগ সে পথে না গিয়ে জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনীতির সস্তা বক্তৃতায় ব্যস্ত থেকেছে। আওয়ামী লীগের সমালোচনার জবাব দিতে জিয়াবন্দনার মাত্রা বাড়িয়েছে বিএনপি। পাল্টাপাল্টি আক্রমণে সত্য তলানিতে পড়ে গেছে। এ সত্যটা বের করা অত্যন্ত জরুরি।

’৮১-এর ৩০ মে জিয়াউর রহমান মারা যান। তার মৃত্যুর পরও জিয়ার রাজনৈতিক ধারা বন্ধ হয়নি। বিএনপি তার অস্তিত্বের প্রয়োজনে জিয়াকে মহিমান্বিত করার এক অদ্ভুত রাজনীতি শুরু করে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে আওয়ামীবিরোধী শক্তিকে একত্রিত করেছিলেন। উগ্র বাম ও উগ্র ডানকে তিনি ক্ষমতার ঘাটে জল খাইয়েছিলেন। ফলে তার একটা উগ্রবাদী সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। জিয়ার মৃত্যুর পর তার জানাজায় বিপুল মানুষের অংশগ্রহণ তারই প্রমাণ। যারা পাকিস্তানে বিশ্বাস করে, যারা মুসলিম লীগের জন্য হাহাকার করে, রক্তাক্ত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ব্যর্থতায় যারা হতাশ, যারা আওয়ামী লীগকে অপছন্দ করে তাদের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন জিয়া। এরাই জিয়াকে সৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন।

জিয়ার মৃত্যুর পর বিএনপি নেতারা দুটি বিষয় আবিষ্কার করেন। প্রথমত, একটি রাজনৈতিক দলের যে আদর্শিক ভিত্তি তা বিএনপির নেই। দ্বিতীয়ত, বিএনপি ক্ষমতার গর্ভে গড়ে ওঠা বহুমতের একটি ক্লাব। তাই এ দলকে টিকিয়ে রাখতে বিএনপি জিয়ার উত্তরসূরি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে সামনে আনে। আর তীব্র নাৎসি কায়দায় জিয়াবন্দনায় মনোযোগ দেয়। লক্ষ্য করুন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার পুরো নাম। সহধর্মিণীরা সাধারণত স্বামীর নামের শেষ অংশ গ্রহণ করেন। তাহলে বেগম জিয়ার নাম হওয়া উচিত ছিল বেগম খালেদা রহমান। ‘জিয়া’নির্ভর রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই খালেদার নামের পাশে জিয়া জুড়ে দেওয়া হয়। জিয়া কোনো পদবি নয়। জিয়ার বংশপদবি হলো রহমান। বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখাটা ছিল পাকিস্তানি এজেন্ডা। কারণ বিএনপি না থাকলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানের স্বার্থ দেখবে কে?

তাই জিয়ার মৃত্যুর পরও বাংলাদেশে জিয়াবন্দনা বন্ধ হয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা প্রবল হয়। যেমন জিয়া নিজেকে কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর পর বিএনপি নেতারা ‘ঘোষকতত্ত্ব’ আবিষ্কার করেন। নব্য গড্ডলিকা গবেষক তো জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতিও বানিয়ে ফেলল। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জিয়ার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থিরা অনুসন্ধানে নামেন জিয়াকে কীভাবে অমরত্ব দেওয়া যায়। কিন্তু দেখা যায়, জিয়ার পরিচয় একজন সেনা সদস্য, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন হিংস্র প্রতিশোধপ্রবণ একনায়ক। এ পরিচয় দিয়ে তো আর জিয়াকে অমর জাতীয় নেতার মর্যাদা দেওয়া যায় না। কাজেই বিএনপিপন্থি পন্ডিতরা ইতিহাস বিকৃতির পথে পা বাড়ান। জিয়া যা নন, যা ছিলেন না তা বলার এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি জিয়ার নাম বসানোর ঔদ্ধত্য দেখায় অনেকে।

২০০১ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ জিয়ার মৃত্যুর দুই দশক পর্যন্ত জিয়া বন্দনাই ছিল বিএনপির রাজনীতির প্রধান উপজীব্য। এ মাতম তুলেই বিএনপি আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তিকে এক প্ল্যাটফরমে রাখে। দুবার ক্ষমতায় আসে। এর মধ্যে বিএনপিই প্রথম জিয়াকে অপ্রয়োজনীয় ভাবতে শুরু করে। বিএনপি প্রথম তাকে মূর্তি বানিয়ে সাজিয়ে রাখার নীতি গ্রহণ করে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট জয়ী হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমানের উত্থান ঘটে। ওই নির্বাচনে বিপুল বিজয় বিএনপিকে বেসামাল করে। তারা মনে করে নতুন নেতা এসেছে, জিয়া এখন মেয়াদোত্তীর্ণ। ২০০১ সালে শুরু হয় তারেকবন্দনা। তারেক যেন মিনি সাইজ জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের মতো তারেক গ্রামগঞ্জে যাওয়া শুরু করেন। জিয়ার মতোই তারেক ভাঙা স্বরে, ধমক দিয়ে দিয়ে বক্তৃতা দিতে আরম্ভ করেন। সানগ্লাস, কোমরে হাত, মাথায় ক্যাপ- তারেক নিজেই জিয়ার কার্বন কপি হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নকল শাহরুখ খান কি আর আসল শাহরুখ হয়। নকল জিয়াও তাই কেবল জিয়াকে নির্বাসিত করে, জিয়া হতে পারে না। তারেক জিয়া এসে আদি জিয়াপন্থিদের নির্বাসনে পাঠাতে শুরু করেন। অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে গলা ধাক্কা দিয়ে বঙ্গভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়। জিয়ার ঘনিষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে বিদায় করা হয়। হাওয়া ভবন গড়ে বিকল্প নেতৃত্বের নামে বাবর-আমানদের দিয়ে তারেক নতুন বিএনপি বা সমান্তরাল বিএনপি গড়ে তোলেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও বুঝতে পারেন, জিয়াবন্দনা করে কোনো লাভ নেই, তারেকবন্দনা না করলে হালুয়া-রুটি পাওয়া যাবে না। ব্যস, শুরু হয় জিয়াকে সরিয়ে ফেলার প্রতিযোগিতা। বিএনপির কর্মসূচিতে জিয়ার ছবি ছোট হতে থাকে। বড় হয়ে উদ্ভাসিত হয় তারেক রহমানের ছবি। ‘ভাইয়া’ সংস্কৃতিতে প্লাবিত হয় বিএনপি। জিয়া সম্পর্কে পাকিস্তান প্রেসক্রিপশনে কিছু ‘মিথ’ ছড়ানো হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা গেছে, এসবের অধিকাংশই মিথ্যা। এসব মিথের মধ্যে ছিল, জিয়া সৎ। জিয়া তার আত্মীয়স্বজনকে বাড়িতে ঢুকতে দেন না। কিছু কিছু মানুষের হৃদয়ের কোনায় ‘পাকিস্তান’ বসবাস করে, তারা এসব বেদবাক্যের মতো বিশ্বাস করতেন, আওড়াতেন। নতুন বিএনপিতে তারা দেখলেন উল্টো চিত্র। তারেকের হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক দুর্নীতি-লুটপাট মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল। বেগম জিয়া তার ভাইবোন চৌদ্দগুষ্ঠিকে ক্ষমতার তবারক বণ্টন করলেন। ওই সব অন্ধ সমর্থকের মোহভঙ্গ ঘটল। তারা দেখলেন, এই বিএনপি সেই বিএনপি নয়। তারেকের বিত্তবৈভবের বিপরীতে তারা ফজলে লোহানী আবিষ্কৃৃত ‘ভাঙা স্যুটকেস’ মেলাতে পারলেন না। আর এখান থেকেই নীরব সমর্থকরাও বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। স্বার্থের রাজনীতি বোধহয় এমনই। তারেক পিতার ছায়া থেকে বেরোতে পিতাকেই নির্বাসনে পাঠালেন। ২০০৭ সালে বিএনপি মহাসচিব প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘জিয়াউর রহমানের আদর্শচ্যুত হয়েছে বিএনপি। জিয়াকে দ্বিতীয়বার হত্যা করা হয়েছে।’ ফলে জিয়াউর রহমান তার মৃত্যুর ৪০ বছর পর কোথাও নেই। সংসদ ভবনের উল্টোপাশে তার সমাধিস্থল ছাড়া কোথাও জিয়া নেই (সেখানেও কি তিনি আছেন?)। বিএনপির দিবসভিত্তিক রাজনীতিতে জিয়া আসেন নেতাদের মিনমিনে কণ্ঠে। আত্মঘাতী রাজনীতির পরিণতির প্রামাণ্য বিজ্ঞাপন জিয়াউর রহমান। মৃত্যুর চার দশক পর জিয়া নির্বাসিত তার দলে-দেশে। এটাই ইতিহাসের মাধুর্য। ইতিহাস কখনো কাউকে যোগ্য স্থান দিতে কার্পণ্য করে না। ইতিহাসের প্রতিশোধ কত নির্মম তার প্রমাণ জিয়াউর রহমান।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটিজেএ নির্বাচনে সভাপতি রফিক, সম্পাদক জুয়েল
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটিজেএ নির্বাচনে সভাপতি রফিক, সম্পাদক জুয়েল

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুফিবাদে কেন বিশ্বাস করেন এ আর রহমান?
সুফিবাদে কেন বিশ্বাস করেন এ আর রহমান?

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

একাধিক গাড়ির চাপায় ক্ষতবিক্ষত এক ব্যক্তি, মুখের ডান পাশ ছাড়া যাচ্ছে না চেনা
একাধিক গাড়ির চাপায় ক্ষতবিক্ষত এক ব্যক্তি, মুখের ডান পাশ ছাড়া যাচ্ছে না চেনা

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাহিত্য আড্ডা
পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাহিত্য আড্ডা

২৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ইউরোপের প্রতি সাত শিশু কিশোরের মধ্যে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন একজন
ইউরোপের প্রতি সাত শিশু কিশোরের মধ্যে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন একজন

৪৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পথশয্যায় থাকা মানুষের মাঝে মশারি বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের
পথশয্যায় থাকা মানুষের মাঝে মশারি বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের

৫২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক : ইসি সানাউল্লাহ
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক : ইসি সানাউল্লাহ

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

‘এরা নারীবাদী কথার অর্থই জানে না’
‘এরা নারীবাদী কথার অর্থই জানে না’

৫৮ মিনিট আগে | শোবিজ

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আদা চায়ের কার্যকারিতা
আদা চায়ের কার্যকারিতা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ধানের শীষ অধিকার, ন্যায়বিচার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতীক’
‘ধানের শীষ অধিকার, ন্যায়বিচার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতীক’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে ট্যাপেন্টাডলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
জয়পুরহাটে ট্যাপেন্টাডলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এসএ টি-টোয়েন্টিতে না খেলার কারণ জানালেন তাইজুল
এসএ টি-টোয়েন্টিতে না খেলার কারণ জানালেন তাইজুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নেত্রীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপ, গ্রেফতার ৪
ডাকসু নেত্রীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপ, গ্রেফতার ৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
দেশে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গৌহাটিতেও খেলতে পারবেন না রাবাদা
গৌহাটিতেও খেলতে পারবেন না রাবাদা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজও ১৪ ডিগ্রির ঘরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা
আজও ১৪ ডিগ্রির ঘরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচ্ছিন্ন দ্বীপে সহায়তার হাত বাড়াল বসুন্ধরা গ্রুপ
বিচ্ছিন্ন দ্বীপে সহায়তার হাত বাড়াল বসুন্ধরা গ্রুপ

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে আজ যেসব কর্মসূচি রয়েছে
রাজধানীতে আজ যেসব কর্মসূচি রয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের জানাজা সম্পন্ন
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের জানাজা সম্পন্ন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা