শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা

অপরাধীরা যেন ছাড় না পায়

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা ফেঁদে অশুভ চক্রের সদস্যরা বছরে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব গিলে খাচ্ছে। অবৈধ ব্যবসায় তারা আঙুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হচ্ছে। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে দুর্নীতির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অসৎ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অর্জিত শত শত কোটি টাকা হুন্ডি, ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির অভিযানে চক্রের মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মী গ্রেফতার হলেও গডফাদাররা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মিনিট ইনকামিং আইএসডি কলে সরকার ৩ সেন্ট হিসেবে রাজস্ব পায়। ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারসহ বিভিন্ন তথ্য বলছে, দেশে দৈনিক ১০ কোটি মিনিটের বেশি বৈদেশিক কল রিসিভ হয়। এর প্রায় ৭ কোটি মিনিটই আসছে চোরাপথে বা ভিওআইপির মাধ্যমে। এতে দৈনিক প্রায় ২০ কোটি  টাকার বিদেশি কল ভিওআইপির মাধ্যমে চুরি হয়। যা বন্ধ করা গেলে সরকার দৈনিক সাড়ে ১২ কোটি টাকা আর বার্ষিক ৪ হাজার ৫৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব পেত। এ অবৈধ ব্যবসায় টেলিটকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার সহযোগিতায় একজন হুইপপুত্র নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নে রাজস্ব ফাঁকির অশুভ চক্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় হবে এমনটিই প্রত্যাশিত। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় সরকার শুধু হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্বই হারাচ্ছে না, অবৈধ ওই টাকা নানা অপখাতে ব্যবহৃত হওয়ারও বিপদ সৃষ্টি করছে। সময় থাকতেই বিষয়টির রাশ টেনে ধরা সরকারের কর্তব্য বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর