বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা জটিলতা

দেশে দ্রুত উৎপাদনই প্রকৃষ্ট পথ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো সর্বাধিকসংখ্যক লোককে টিকাদান এবং ঘরের বাইরে বেরোলেই মাস্ক ব্যবহার। দুই ক্ষেত্রেই গভীর সংকটে ভুগছে দেশ। বাংলাদেশ আগেভাগে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। এ বিষয়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করায় সমূহ সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। পরে চীন থেকে টিকা কেনা ও কোভ্যাক্স সহায়তায় টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চললেও চাহিদার তুলনায় তার পরিমাণ কম। সর্বোত্তম পদক্ষেপ হতো দেশে টিকা উৎপাদন করতে পারলে। কিন্তু এ বিষয়ে দেরিতে পদক্ষেপ নেওয়ায় সংকট ঘোরতর হয়ে উঠছে। চীনা সহায়তায় টিকা উৎপাদনের চুক্তি হলেও তার প্রস্তুতি নিতেও কমপক্ষে তিন মাস লাগবে। চাহিদা অনুযায়ী টিকা হাতে না থাকায় এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আসছে না। দেশে এখন পর্যন্ত টিকা এসেছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ১৬০ ডোজ। এর মধ্যে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ডোজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৮০ লাখ ২০ হাজার ৩২৩ ডোজ মজুদ আছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬২২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার ২১৫ জন। এদের দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের সিনোফার্ম, ফাইজার ও মডার্নার টিকা। ২৩ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৭ ডোজ, ফাইজার ৯৪ হাজার ৮৩০ ডোজ, সিনোফার্ম ৯৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৫২ ডোজ আর মডার্না ২৮ লাখ ৪১ হাজার ১৬৮ ডোজ। এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৩ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৪ জন। নিবন্ধন করে করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন ১ কোটি ২০ লাখ ১১ হাজার ৫৪৭ জন। বিপুলসংখ্যক মানুষ টিকার অপেক্ষায় থাকায় অন্যরাও নিজেদের নাম নিবন্ধনে আগ্রহ হারাচ্ছেন। টিকা নিয়ে এ যাবৎ যে অব্যবস্থা হয়েছে তা যাতে আর দীর্ঘায়িত না হয় সরকারকে সে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে টিকার দ্রুত উৎপাদন নিশ্চিত করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর