সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড : জিয়াউর রহমানের দায়

শ ম রেজাউল করিম

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড : জিয়াউর রহমানের দায়

পূর্বপরিকল্পিত যে ঘৃণ্য চক্রান্তের নীলনকশায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, সে চক্রান্তে সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। তা প্রথম সামনে আসে ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। ব্রিটিশ আইটিভির ‘ওয়ার্ল্ড ইন অ্যাকশন’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ও লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদের সাক্ষাৎকারে জিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এ সাক্ষাৎকারে ফারুক-রশীদ প্রকাশ করেন, ১৫ আগস্টের বহু আগেই বঙ্গবন্ধু হত্যা চক্রান্তের ব্যাপারে তারা জিয়াকে অবহিত করেছিলেন। লে. কর্নেল ফারুক বলেছিলেন,  “The first obvious choice was General Zia. After lot of arrangements, I managed to see him (General Zia) in 20th March 1975 in the evening. General Zia said “If you junior officers want to do it go ahead”। ফারুক রহমান সাক্ষাৎকারে সেদিন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে আরও বলেছিলেন,  I told him......we have to change it. we the junior officers have already worked it out. We want your support and your leadership| এ ষড়যন্ত্রের আইনগত বিশ্লেষণে দেখা যায় দন্ডবিধির ১১৮, ১১৯, ১২০, ১২০ (ক), ১২০ (খ) ও ১২৪ (ক) ধারায় বর্ণিত শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান দন্ডনীয় অপরাধ করেছিলেন ষড়যন্ত্রের ঘটনা গোপন করে। যা নিবারণ করা তার কর্তব্য ছিল। শুধু তাই নয়, খুনিদের প্রস্তাবের পরে তিনি তাদের ‘এড় ধযবধফ’ বলার মধ্য দিয়ে সরকার উৎখাতসহ অপরাপর অপরাধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে কারণে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যাকান্ড সংঘটিত করার অপরাধে জিয়া অভিযুক্ত হবেন, এটাই আইনের বিধান (অপরাধে সহায়তা সংক্রান্ত দন্ডবিধির সংজ্ঞা)। 

ফারুক-রশীদ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের দায় নিজেদের পাশাপাশি জেনারেল জিয়াউর রহমানের কাঁধে কেন চাপাতে চেয়েছিলেন? এর উত্তর মেলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকে দেওয়া জিয়ার নিজের এক সাক্ষাৎকার থেকে। জিয়ার সে সাক্ষাৎকার বিষয়ে মাসকারেনহাস বলেন, “In July, 1976, while doing a TV programme in London on the killing of Sheikh Mujib I confronted Zia with what Farook had said (in interview)"। জিয়া এ ব্যাপারে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। কর্নেল ফারুকের সঙ্গে জিয়ার কথোপকথনের বিষয়টি মাসকারেনহাস বলছেন এভাবে, “Zia did not deny it-nor did he confirm it. (Anthony Mascarenhas, Bangladesh : A Legacy of Blood, Page-54)”। সাক্ষাৎকারে জেনারেল জিয়ার গড়িমসি করা বা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, ফারুকের সঙ্গে জিয়ার এ কথোপকথন সত্য। উল্লেখ্য, আইন এবং সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত হলো, কোনো অভিযোগ অস্বীকার না করার অর্থ স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া।

লে. কর্নেল আমিন উদ্দিন চৌধুরী ২০১০ সালে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ঘটনা তুলে ধরেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মেজর রশীদের নেতৃত্বে সৈন্যরা তাকে এবং কর্নেল শাফায়াত জামিলকে নিয়ে যায় জেনারেল জিয়াউর রহমানের বাড়িতে। জিয়াউর রহমানের বাড়িতে প্রবেশের সময় আমিন উদ্দিন চৌধুরী জানতে পারেন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে। সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “জেনারেল জিয়া একদিকে শেভ করেছেন, একদিকে শেভ করেননি। স্লিপিং স্যুটে দৌড়ে আসলেন। শাফায়াতকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘শাফায়াত কী হয়েছে?’ শাফায়াত বললেন, “অ্যাপারেন্টলি দুই ব্যাটালিয়ন স্টেজড এ ক্যু। বাইরে কী হয়েছে এখনো আমরা কিছু জানি না। রেডিওতে শুনতেছি প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন।” তখন জেনারেল জিয়া বললেন “সো হোয়াট? লেট ভাইস প্রেসিডেন্ট টেক ওভার। উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ পলিটিক্স”। অর্থাৎ খুনিদের কৃতকর্ম বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না। অথচ তার কর্তব্য ছিল খুনি/অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১৯৯৭ সালে মার্কিন সাংবাদিক লরেন লিফশুলজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশীদের সাক্ষাৎ হয় ইউরোপে। এ প্রসঙ্গে লরেন লিফশুলজ বলেন, “In 1997, I met Rashid for several hours in a European city...I went over with him exactly what he had told Mascarenhas about Zia’s involvement. Rashid confirmed to me the accuracy of his interview with Mascarenhas”। এ সময় লে. কর্নেল রশীদ লিফশুলজকে আরও জোরালোভাবে বলে, “He (Rashid) met Genearl Zia numerous times prior to the coup and that Zia was fully in the pictureÓ (In conversation with Lawrence Lifschultz-The Daily Star, December 4, 2014)| অপরদিকে কর্নেল রশীদের স্ত্রী জোবায়দা রশিদের বক্তব্য থেকেও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ফারুক-রশীদের সাক্ষাৎ ও আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। জোবায়দা রশীদ বলছেন, “এক দিন রাতে ফারুক জিয়ার বাসা থেকে ফিরে আমার স্বামীকে (কর্নেল রশীদ) জানায় যে সরকার পরিবর্তন হলে জিয়া প্রেসিডেন্ট হতে চায়। শুধু তাই নয় জিয়া আরও বলেছিলেন, If it is a success then come to me. (আসাদুজ্জামান-বস সবকিছুর ব্যবস্থা নিচ্ছেন, প্রথম আলো, ১৫ আগস্ট, ২০১৮)। অর্থাৎ ষড়যন্ত্রমূলক অপরাধ সংঘটন করে সফল হয়ে আসতে বলেন। লরেন লিফশুলজ ২০১১ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের পেছনে জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন মূল ছায়া ব্যক্তি। জিয়া নিজেই এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিজস্ব কারণ ছিল। তবে তার সমর্থন ছাড়া এ অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে বলে মনে করি না। যদি তিনি এ অভ্যুত্থান বিরোধী হতেন, তাহলে তিনি এ অভ্যুত্থান থামাতে পারতেন। তা করা ছিল তার সাংবিধানিক দায়িত্ব”। 

১৯৭৪ সালে দেশে সেনাবাহিনী দ্বারা অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলছে। সেই সময় জিয়াউর রহমান ফারুকের বাসায় আসা যাওয়া করতেন। এক দিন কথা প্রসঙ্গে জিয়া ফারুককে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তোমরা ট্যাংক টুং ছাড়া দেশের আর খবরাখবর রাখো কি?” সেই সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে ফারুককে প্ররোচিত করতে জিয়া বলেছিলেন, “দেশ বাঁচানোর জন্য একটা কিছু করা দরকার” (আসাদুজ্জামান-বস সবকিছুর ব্যবস্থা নিচ্ছেন, প্রথম আলো, ১৫ আগস্ট, ২০১৮)। পরের বছরের আরেকটি ঘটনা ঘটে। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট, খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং তৎকালীন তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরের সচিবালয়ে দেখা হয়। কথোপকথনের সময় খন্দকার মোশতাক তাকে বলেন, ‘এ সপ্তাহে জিয়া দুবার এসেছিলেন। সে এবং তার লোকেরা তাড়াতাড়ি কিছু একটা করার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে। বলপূর্বক মত বদলাইতে চায়, প্রয়োজনবোধে যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত’ (আসাদুজ্জামান-বস সবকিছুর ব্যবস্থা নিচ্ছেন, প্রথম আলো, ১৫ আগস্ট, ২০১৮)।

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের লেখা বই ‘মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকান্ড’-এর ১৫ পৃষ্ঠায় বর্ণিত তথ্যে দেখা যায়, ১৯৭২ সালে সরকারের অগোচরে অস্ত্র সংগ্রহের আলোচনা করতে মার্কিন দূতাবাসে যান মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান। ১৯৭৩ সালের ১১ জুলাই মার্কিন দূতাবাসে যান মেজর আবদুর রশীদ। সেখানে তিনি দাবি করেন যে, তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি তাকে পাঠিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ১৯৭৪ সালের ১৩ মে সৈয়দ ফারুক রহমান ‘উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তার নির্দেশে’ শেখ মুজিব সরকারকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা চান। ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ আর্মন্ড রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে জিয়াকে বেস্ট চয়েজ মনে করে তাকে নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ করেন। জিয়া ব্যক্তিগত কারণে নেতৃত্ব না দিলেও তাদের এগিয়ে যেতে (Go ahead) এবং সফল হয়ে তার কাছে যেতে বলেন। এ ঘটনার বিশ্লেষণে আইনের পরিভাষায় তিনি ঘটনায় সম্পৃক্ত হন। তিনি সম্পৃক্ত না হলে ষড়যন্ত্রের বিষয় অবহিত হওয়ার পর তা বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতেন। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা তো নেনইনি বরং তাদের উৎসাহিত করেছেন, এগিয়ে যেতে বলেছেন। হত্যাকান্ডের পর খুনিদের বিচার না করে তাদের উল্টো পুনর্বাসিত করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে উচ্চপদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। এ প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া খুনি আবদুল মাজেদের বক্তব্য ছিল এ রকম, “বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতি জিয়াউর রহমানের ডাইরেক্ট মদদ ছিল। উনিতো ওদেরকে টোটাল পেট্রোনাইজ ও একটা করে প্রমোশন জাম্পড এবং একটা করে ফরেন প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতি জিয়াউর রহমানের সমর্থন ছিল। এটা পরিষ্কার কথা। এখানে সাবসিকুয়েন্স তার অ্যাকশানেইতো বোঝা যায়। ওরা যা চাইতো তাই উনি করে দিত। এ ধরনের অবস্থা ছিল তখন”। শুধু তাই নয়, জাতির পিতার খুনিদের সে সময় আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘সূর্যসন্তান’ হিসেবে। 

অতি উচ্চাভিলাষী জিয়া শপথ ভঙ্গ করে ষড়যন্ত্রের দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করে তার অভীষ্টে পৌঁছান। রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে প্রথমে খুনিদের নিরাপত্তা ও পুরস্কৃত করে সাত দিনের মধ্যে সেনাপ্রধানকে সরিয়ে ২২ আগস্ট নিজে সেনাপ্রধান হন। খন্দকার মোশতাককে ৮২ দিন পুতুল রাষ্ট্রপতি রেখে নতুন অধ্যায়ের অবতারণা করতে বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে আনেন। ৮ নভেম্বর তাকে রাষ্ট্রপতি ও একই সঙ্গে চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর করা হয়। যদিও বাংলাদেশের কোনো আইনে এ জাতীয় কোনো পদের অস্তিত্ব নেই। ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল জিয়া তার অনুগত সংসদে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বিল পাস করিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ চার বছরে সামরিক আইনের আওতায় সব অধ্যাদেশ ও ঘোষণাকে আইনি বৈধতা দেন তার স্বাক্ষরে। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে জিয়াউর রহমান পুনরায় প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সরাসরি পৃষ্ঠপোষক, মদদদাতা ও রক্ষাকারী।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেই ক্ষান্ত হননি জিয়াউর রহমান। ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে একটি তদন্ত কমিশন গঠিত হয়। যার সদস্য ছিলেন থমাস উলিয়ামস কিউসি এমপি, মি. ছিয়ান ম্যাকব্রাইড এসসি, মি. জেফরি থমাস কিউসি এমপি এবং মি. অ্যাবরে রোজ। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের নির্মম হত্যাকান্ডে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে তদন্ত করতে চেয়েছিল এ কমিশন। কমিশনের সদস্যরা এ বিষয়ে প্রচুর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। তারা ১৯৮১ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন এবং যথারীতি ভিসার জন্য লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আবেদন করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার অনুরোধে গঠিত এ তদন্ত কমিশনকে ভিসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় হাইকমিশন। কিন্তু ভ্রমণে আসার শেষ মুহূর্তে জানানো হয়, জিয়াউর রহমান সরকার তাদের ভিসা দিতে রাজি নয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র, হত্যাকান্ড এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের যোগসূত্র (লিঙ্ক অব চেইন) বিবেচনা করে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রে জিয়া সম্পৃক্ত।

               

লেখক : মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ খবর