শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

লঙ্কা নিয়ে লঙ্কাকান্ড

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
লঙ্কা নিয়ে লঙ্কাকান্ড

বোধকরি ১৯৩০ সালের কথা। অ্যালবার্ট সেইন্ট জর্জ নামে জনৈক জৈবরসায়নবিদ হাঙ্গেরির সেজ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Szeged) ভিটামিন সি বিষয়ে গবেষণা করছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না তিনি। কাজের চাপে বেচারার নাওয়া-খাওয়া প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। দিন দিন উপোস থেকে থেকে বিজ্ঞানী মহাশয় তো শুকিয়ে একেবারে কাঠ। গবেষক বেচারার দয়ালু স্ত্রী একদিন নিজ হাতে পর্যাপ্ত প্যাপেরিকা (মরিচ) সহযোগে খাবার রান্না করে পাঠালেন স্বামীর জন্য। সেই ঝালযুক্ত রান্না খাবার মুখে তুলতেই বিজ্ঞানীর মাথায় বিদ্যুতের মতো এক বুদ্ধি খেলে গেল। পরদিনই জর্জ মহাশয় বস্তা বস্তা মরিচ কিনে আনলেন বাজার থেকে। কদিনের মধ্যেই চোখ জুড়ানো গাঢ় সবুজ রঙের সে মরিচগুলো থেকে তিনি হাফ লিটার ভিটামিন সি তৈরি করে ফেললেন গবেষণাগারে বসে। দুনিয়ার সব বিজ্ঞানী হইহই করে উঠলেন। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বিজ্ঞানী জর্জ। সে সময় বিষয়টি পৃথিবীতে এতটাই আলোড়ন সৃষ্টি করল যে অ্যালবার্ট জর্জকে নোবেল পুরস্কার না দিয়ে আর উপায় রইল না। ১৯৩৭ সালে তিনি মরিচ থেকে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড অর্থাৎ ভিটামিন সি আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। অনেক লোকের হয়তো এটি অজানা যে সমপরিমাণ কমলালেবু থেকে তিন গুণ ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড এ কাঁচা মরিচে বিদ্যমান। পরবর্তীকালে এই হাঙ্গেরিয়ান সায়েব কিন্তু লঙ্কানির্ভর এক নতুন ওষুধও বাজারে ছেড়ে ছিলেন। ভিটামিন স্টাইলে এর নাম দিয়েছিলেন তিনি প্রিটামিন।

এখানে এ ঘটনাটি উল্লেখ করলাম এ কারণে যে মরিচ নিয়ে যেসব মানুষ তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন এ ইতিহাসের মধ্য দিয়ে তারা অন্তত নিদেনপক্ষে এটি অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন যে মরিচ নিয়ে গবেষণা করেও নোবেল পুরস্কার জেতা যায়। অন্যদিকে প্রতি বছর আমাদের দেশে মরিচের ঝাঁজ টের পাওয়া যায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এবার মনে হচ্ছে মরিচের ঝাঁজটা যেন একটু বেশি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। শ্রাবণের শেষ দিকে ঝালপ্রেমী বাংলাদেশিদের ২৫০ টাকা কেজি দরে মরিচ খেতে হয়েছিল। এখন অবশ্য লঙ্কার ঝাঁজ কিছুটা কমে এসেছে। ২৯ শ্রাবণ বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় একটি খবর ছাপা হয়েছে- ‘সীমান্ত পার হয়ে ঢাকায় এসেই তিন গুণ দাম কাঁচা মরিচের’।

অথচ ভারত থেকে দেশে কাঁচা মরিচ আসছে প্রতি কেজি ৫০ রুপিতে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর দাম পড়ছে ৬৫ টাকার মতো। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রতি কেজিতে ২২ টাকা শুল্ককর। প্রতি কেজিতে ফড়িয়াদের পেছনে খরচ হচ্ছে ৩ টাকা। বেনাপোল, সোনামসজিদ এসব স্থলবন্দর থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজারে আসতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়ছে আরও ১০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে ১০০ টাকা। অথচ এক মাস আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে ৬৫ টাকার কাঁচা মরিচ সব ধরনের খরচসহ ১০০ টাকা হলে খুচরা বাজারে তা ২০০ টাকা দরে কেন বিক্রি হবে তা মানতে পারছেন না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ।

দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং দায়ী বলে মনে করছেন কাঁচা মরিচ আমদানিকারকরা। হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘প্রতি বছর কোন সময় কাঁচা মরিচের ঘাটতি থাকে তা আমরা জানি। ১৫ দিন আগে আমদানি অনুমোদন (আইপি) চাইলে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং এ অনুমোদন দেয়নি।’ এর কারণ হিসেবে তিনি ঘুষ দিতে না পারার কথা উল্লেখ করেন। তাহলে বোঝেন এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।

পশ্চিমবঙ্গের কথাসাহিত্যিক শংকরের একটি কথা আমার বেশ মনে ধরেছে। সমগ্র পৃথিবীর মানুষ নাকি ঝালপ্রেমী ও ঝালবিরোধী এ দুটো শ্রেণিতে বিভক্ত। তবে আমার ধারণা মাঝেমধ্যে এই যে মরিচের মূল্য হঠাৎ এত বেড়ে যায় এর পেছনে ঝালবিরোধীদের কোনো হাত না থাকলেও মুনাফালোভীদের যে হাত আছে।

অনেকেই জেনে অবাক হবেন লঙ্কা কিংবা মরিচ যা-ই বলি না কেন এটা আমাদের দেশে ছিল না। ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভাস্কো দা গামা ভারত অভিযানের সময় আরও অনেক কিছুর মতো মরিচও নিয়ে এসেছিলেন সঙ্গে করে। এখন হয়তো অনেকেই বলবেন তাহলে কি ১৪৯৮ সালের আগে আমরা ঝাল খাবার খেতাম না। যদিও হিন্দুশাস্ত্র বেদসহ অন্যান্য পুরাণে লঙ্কার কথা উল্লেখ নেই। তবে সে সময় ঝালের জন্য বিভিন্ন ব্যঞ্জনে ব্যবহার হতো গোলমরিচ ও আদা। ষোল শতকের শেষ দিকে উত্তর ভারতে বসে আবুল ফজলের লেখা ‘আইন-ই-আকবরি’তে ৪০টি পদের রান্নার বিবরণ দেওয়া আছে। কিন্তু তার কোনোটিতেই মরিচের নামগন্ধ নেই। সব পদেই গোলমরিচের ব্যবহারের কথা লেখা। কাঁচা মরিচ আসার আগে প্রাচীন ভারতে ধারণা ছিল অতিমাত্রায় ঝাল আমাদের সিস্টেমটাকে গরম করে দেয়। এজন্য মানুষ তখন ঝাল খাবার কমই খেত। ভাস্কো দা গামার হাত ধরে মরিচ ভারতে এলেও এটা আবিষ্কারের কৃতিত্ব কিন্তু তার নয়। বরং লঙ্কা আবিষ্কারের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তার আরেক সতীর্থ অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের। কলম্বাসই প্রথম ব্যক্তি যিনি আমেরিকা আবিষ্কারের সময় ওখান থেকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন মরিচ। মধ্যযুগে ইউরোপে এক অদ্ভুত খাদ্য সমস্যা বিদ্যমান ছিল। মাছ-মাংস কোনো কিছুরই অভাব নেই। কিন্তু সেসব খাদ্য মুখে তোলার জন্য দরকার গোলমরিচ ও অন্যান্য মশলা। আর সেসব মশলা আরব বণিকদের হাত ধরে ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়দ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে পৌঁছাত মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে। পাঠক জেনে অবাক হবেন যে ইজিপ্টের ফারাওদের মমিতে ভারতবর্ষের অত্যাশ্চর্য সব মশলা ব্যবহার হচ্ছে অন্তত ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে। ব্যাপারটা একবার ভেবে দেখুন! এ মরিচের সন্ধানে যুগযুগান্ত ধরে ফিনিশিয়ান, সিরিয়ান, ইজিপশিয়ান, গ্রিক, রোমান, আরব ও চাইনিজরা আমাদের দেশে হাজির হয়েছে। তো যে কথা বলছিলাম, আলেকজান্দ্রিয়া বন্দর থেকে সেসব মশলা ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করে পৌঁছাত ইতালির ভেনিসের বাজারে। খাবার দাবার ঝাল ও মুখরোচক করতে তখনো গোলমরিচের জুড়ি ছিল না। তাই আকাশছোঁয়া ছিল তার দাম, এতটাই যে গোলমরিচকে ‘কালো সোনা’ বলা হতো। রোমানরা গোলমরিচের পরিবর্তে ভারতবর্ষকে সোনা দিত। বহু শতাব্দী ধরে সোনা-রুপার মতো মূল্যবান ছিল এ গোলমরিচ। মরিচ দিয়ে ট্যাক্স দেওয়া যেত। দেনা শোধ করা যেত। ইংল্যান্ডে অর্ধকিলো গোলমরিচের বিনিময়ে বেশ কয়েকটি ভেড়া পাওয়া যেত। সেজন্য মাঝেমধ্যেই আরব বণিকেরা আজগুবি সব গল্প ফেঁদে মশলার বাজারে আগুন ধরিয়ে দিত। এসব গল্পের কিছু আপনারা পাবেন ইতিহাসে প্রথম ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বইয়ে। পাঠক গোলমরিচ আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। প্রথম দেখাতেই মনে হবে যেন আগুনে ঝলসানো কোনো শস্যদানা।

ভেনিসের বেনেরা যখন আরব বেনেদের জিজ্ঞেস করত, এসব মশলা কোথায় পাওয়া যায়? আরব বণিকরা তখন নাকি বর্তুল চোখগুলো বড় বড় করে বলত এগুলো তো পাওয়া যায় ভারতবর্ষে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এসব মশলার বাগান পাহারায় থাকে বড় বড় সব ড্রাগন, সেগুলোর নাক দিয়ে আগুন বের হয় আর সে আগুনে পুড়েই তো গোলমরিচগুলো কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে। আমরা ওইসব ড্রাগন আর দৈত্যদানবের চোখ ফাঁকি দিয়ে, জীবন বাজি রেখে তবেই তো তোমাদের জন্য নিয়ে আসি এসব মশলা। সেজন্যই তো এগুলোর এত দাম!!! হেরোডোটাসের বইয়ে আরও মজার মজার সব গল্প আছে। আপনারা পড়লে সেসব পাবেন।

কিন্তু ইউরোপবাসীর সুখ চিরকাল টিকল না। অটোমান শাসনকালে এ প্রচলিত রুট বন্ধ হয়ে গেল। ইতালিয়ানরা দারুণ আর্থিক সংকটে পড়ল। কারণ ভেনিসের বাজার থেকেই দেশের সিংহভাগ রাজস্ব আসত। মশলাপাতির ঊর্ধ্বগতির প্রভাব বেশি করে পড়ল ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও। কলম্বাসও জাহাজে উঠেছিলেন ভারতবর্ষে গিয়ে গোলমরিচ ও অন্যান্য মশলা নিয়ে এসে দেশের অর্থনীতি বাঁচাবেন বলে। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের রাস্তা তৈরিরও ইচ্ছা ছিল তার।

তিনি নতুন দেশে পৌঁছে দেখলেন লোকে লঙ্কা দিয়ে বিভিন্ন ব্যঞ্জন রান্না করে হাপুসহুপুস খাচ্ছে। এই দেখে তার বিশ্বাস আরও পোক্ত হলো যে নিশ্চয়ই এটা ভারতবর্ষের কোনো দ্বীপ। প্রায় ৪ হাজার বছর ধরে সেখানকার লোক তাড়িয়ে তাড়িয়ে খেত ‘আজি’ বলে এক রকম লঙ্কা।

মরিচের আদিনিবাস দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন টিয়াসহ অন্য অনেক পাখিরই পছন্দের খাবার হচ্ছে মরিচ। আর সেখান থেকে পাখিদের মলমূত্রের মাধ্যমে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের হাত ধরে মরিচ একসময় উত্তর ও দক্ষিণ দুই আমেরিকাতেই ছড়িয়ে পড়ে। এজন্যই বিজ্ঞানীরা প্রথমে ধারণা করেছিলেন মরিচের আদিনিবাস সম্ভবত মেক্সিকো। কিন্তু পরবর্তীকালে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে মরিচের আদিনিবাস বলিভিয়া।

স্পেন ও পর্তুগালের বেশ কাছাকাছি দেশ হয়েও ইংরেজদের ঝাল খাওয়া শিখতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। তারা ৪০০ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেও ঝাল খাওয়া রপ্ত করতে পারেনি। পলাশীর যুদ্ধের পরই রবার্ট ক্লাইভ কী কী খাবার খেয়েছিলেন তা নিয়েও নাকি বিবিসি রিসার্চ করেছে। ক্লাইভ সাহেব নাকি খেয়েছিলেন চিকেন দোপিঁয়াজা মালাই চিংড়ি এবং বিরিয়ানি কিন্তু সেসব ব্যঞ্জনে কী পরিমাণ ঝাল ছিল তা জানা যায়নি। রবার্ট ক্লাইভের ঝাল খাওয়ার বিষয়ে কিছু খুঁজে না পাওয়া গেলেও ওয়ারেন্ট হেস্টিংসকে যে প্রাণ বাঁচাতে একবার কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খেতে হয়েছিল সে ইতিহাস আছে।

একবার ওয়ারেন হেস্টিংসের এক কুকর্মে অসন্তুষ্ট হয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিদ্ধান্ত নিলেন হেস্টিংসকে জেলে পুরবেন। খবর পেয়েই হেস্টিংস কাশিমবাজার ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। হেস্টিংস ভাবতে লাগলেন কোথায় যাওয়া যায়? কার কাছে যাওয়া যায়? ভাবতে ভাবতে মনে পড়ে গেল কান্তবাবুর নাম। অন্ধকারে চুপি চুপি তিনি হাজির হলেন কান্তবাবুর দোকানে। সেখান থেকে তার বাড়িতে। কান্তবাবুর ভালো নাম কৃষ্ণকান্ত নন্দী। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র তখন কাশিমবাজার। কাশিমবাজারে কান্তবাবুর ব্যবসা ছিল সুপারি ও রেশমের। দোকানটা আবার ইংরেজদের কুঠি আর রেসিডেন্টের সঙ্গে একেবারে লাগোয়া। ফলে অচিরেই ইংরেজদের সঙ্গে বেশ একটা মাখামাখি ভাব হয়ে গেল কান্তবাবুর। সেই থেকে কান্তবাবুর সঙ্গে হেস্টিংসের চেনাজানা। যা হোক, কান্তবাবু হেস্টিংসকে দেখে তো স্তম্ভিত! কোথায়? কীভাবে লুকিয়ে রাখবেন তিনি হেস্টিংসকে? কান্তবাবু প্রথম কয়েকদিন তাকে লুকিয়ে রাখলেন তার মুদি দোকানে। দোকানে হাতের কাছে তেমন কিছু না পেয়ে কান্তবাবু হেস্টিংসকে আপ্যায়ন করেছিলেন কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত আর সঙ্গে ছিল চিংড়ি মাছ।

স্বামী বিবেকানন্দের আগে মরিচ এবং ভারতীয় রান্নাকে বিদেশে প্রচারের জন্য তেমন কেউ একটা অবদান রাখেনি। ইচ্ছা করলে সে অবদান রাখতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। কিন্তু তিনি আদৌ ঝালাণুরাগী ছিলেন কি না সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।

বিবেকানন্দের মেজ ভাই মহিমবাবু লিখে গিয়েছেন, নরেন্দ্রনাথ (বিবেকানন্দের ডাকনাম) মরিচ খেতে ভীষণ ভালোবাসতেন, তীব্র ঝাল তাঁর অত্যন্ত প্রিয় ছিল। মিষ্টান্ন একেবারে পছন্দ করতেন না; তবে পরবর্তী জীবনে স্বদেশে ও বিদেশে তাঁকে আইসক্রিমে আসক্ত হতে দেখা গিয়েছে।

এ মরিচপ্রীতি প্রচন্ড অভাবের সময় বিবেকানন্দকে শক্তি দিয়েছে। রামকৃষ্ণর মৃত্যুর পর বরানগরে সাধনভজনের সময় প্রবল অভাব-অনটন। দারিদ্র্য এমনভাবেই গ্রাস করেছিল যে মুষ্টিভিক্ষা করে এনে তা ফুটিয়ে একটা কাপড়ের ওপর ঢেলে দেওয়া হতো। একটা বাটিতে থাকত লবণ ও মরিচের পানি। একটু ঝালজল মুখে দিয়ে এক এক গ্রাস ভাত উদরস্থ করা হতো।

১৮৯৬ সালে স্বামী বিবেকানন্দ যখন বিলেতে গিয়েছিলেন সেখানে তখন মরিচের ভীষণ আকাল। স্বামীজি প্রায়ই ঝাল খাদ্যের জন্য হাপিত্যেশ করেন। একদিন এক সহযোগী বহু কষ্টে উইলিয়াম হোয়াইটের দোকান থেকে তিনটি কাঁচালঙ্কা কিনে আনলেন। ১০০ বছর আগে সেই ১৮৯৬ সালে সায়েবদের দেশে তিনটি কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৩ শিলিং যা তখনকার ৩ টাকার মতন। বিবেকানন্দ মরিচের মোহমায়া সামলাতে পারলেন না, সব কটা লঙ্কা খেয়ে ফেললেন। লন্ডনে একদিন কচুরি ও আলুচচ্চড়ি রেঁধেছিলেন বিবেকানন্দ। কাজের মেয়েটি ভাগ না পেয়ে রেগে বলল, ‘আমার জন্য কিছু রাখনি।’

এক চামচ আলুচচ্চড়ি মুখে নিয়ে মিস কেমিরন লাফাতে লাগলেন। প্রবল ঝাল সামলাতে দুই হাতে দুই গাল চড়াতে লাগলেন এবং স্বামীজিকে উদ্দেশ করে ভর্ৎসনা করতে লাগলেন। ‘ও ইট্’স পয়জন, ও ইট্’স পয়জন!’ ১০০ বছর আগের সেই ইংরেজ এখন অন্য মানুষ, তারা এখন ঝাল কম হলে চটে যায়, কারিতে চাই ঝাল আরও ঝাল এই হলো এ যুগের স্লোগান এবং এ পরিবর্তনে বিবেকানন্দর ভূমিকা অবহেলার যোগ্য নয়।

পাঠকের অনেকের মনেই হয়তো এ প্রশ্ন আসতে পারে মরিচকে লঙ্কা নামে কেন সম্বোধন করা হয়? পর্তুগিজরা যখন এ দেশে লঙ্কা নিয়ে এলো তখন লঙ্কার নাম হলো গাছমরিচ। আর বঙ্গে লঙ্কা নামের পেছনের কারণটি হলো আসলে প্রাচীন ভারতে জলবেষ্টিত যে কোনো ভূখন্ডকেই লঙ্কা বলা হতো। এক অর্থে লঙ্কা শব্দের অর্থ বিদেশ। যেমন ওড়িশার মানুষ লঙ্কাকে বলে সোপারিয়া, সোপারিয়া অর্থ সাগরপাড়িয়া।

শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পৃথিবীর বহু বিখ্যাত লোক এখন মরিচে আসক্ত। যেমন একসময়ের বিখ্যাত মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেক, স্পেনের রাজা জুয়ান কার্লো এবং পাশ্চাত্য সংগীতের একসময়ের কিংবদন্তি পুরুষ জুবিন মেহতা। জুবিন যেখানেই যান সেখানেই পকেটে লঙ্কা নিয়ে যান। তেলআবিবে এক কনসার্টের সময় বিখ্যাত লঙ্কা গবেষক ও লেখক অমল নাজ মশাই তাকে পাকড়াও করলে জুবিন স্বীকার করলেন যে তাঁর দেশলাই বাক্সে তখনো দুটো লাল লঙ্কা রয়েছে। জুবিন অকপটে স্বীকার করলেন, ‘লঙ্কা ছাড়া মনে হয় যেন হাসপাতালে শুয়ে রোগীর পথ্য খাচ্ছি।’ রেস্তোরাঁয়ও যখন তিনি যান নিজের ম্যাচবক্সটি চুপিচুপি এগিয়ে দেন, ওয়েটার সেটি নিয়ে ছোটেন কিচেনে, সেখানে চিফ শেফ নিজেই জুবিন মেহতার খাবারে লঙ্কা ঢেলে দেন!

জুবিনের বাগানে তিন রকম লঙ্কা গাছের চাষ হয়- জালাপেলো, টাবাস্কো ও হাঙ্গেরিয়ান চেরি। তার দেখাদেখি চিত্রতারকা গ্রেগরি পেকও তাঁর বাগানে লঙ্কা লাগিয়েছেন। জুবিন মেহতা বেজায় খুশি- ‘ভালোই হয়েছে। এত দিন সব ভোজসভায় গ্রেগরি আমার লঙ্কায় ভাগ বসাত।’ ইংল্যান্ডের রানী একবার জুবিন মেহতাকে ডিনারে নেমন্তন্ন করেন। সেখানে জুবিনের সোনার ছোট্ট বক্স থেকে লঙ্কা বেরিয়ে এলো। ভদ্রতাবশত জুবিন তার লঙ্কার কৌটোটা রানীর দিকে এগিয়ে দিলেন। রানী অবশ্য লঙ্কা নিলেন না কিন্তু জুবিনের কৌটোটা অন্য অতিথিদের দিকে এগিয়ে দিলেন। স্পেনের রাজা কার্লো তো একবার জুবিনের বাড়িতে ডিনার খেতে এসে তাঁর লঙ্কাবাগান দেখতে চাইলেন এবং সেখানে গিয়ে পটপট করে মরিচ তুলে নিয়ে পকেটে ফেলতে লাগলেন স্পেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ।

ইমেইল :   [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
শীতে সুন্দরবনে এক জেলের মৃত্যু
শীতে সুন্দরবনে এক জেলের মৃত্যু

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’

১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত
৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত

১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আইনের শাসনের উদাহরণ: দুলু
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আইনের শাসনের উদাহরণ: দুলু

২ মিনিট আগে | রাজনীতি

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

শেয়ারবাজারে বড় উত্থান
শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

১০ মিনিট আগে | অর্থনীতি

তিতাস নদী থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
তিতাস নদী থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নবান্নকে ঘিরে বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা
নবান্নকে ঘিরে বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তুরস্কে জেলেনস্কি, কি নিয়ে আলোচনা?
তুরস্কে জেলেনস্কি, কি নিয়ে আলোচনা?

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাটিরাঙ্গায় ইমাম–ওলামাদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা
মাটিরাঙ্গায় ইমাম–ওলামাদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা

২৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মাগুরায় গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় অগ্নিকাণ্ড
মাগুরায় গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় অগ্নিকাণ্ড

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাবর আজমকে আইসিসির শাস্তি
বাবর আজমকে আইসিসির শাস্তি

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নার্সকে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি পালন
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নার্সকে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি পালন

৩১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ৩ ককটেল উদ্ধার
বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ৩ ককটেল উদ্ধার

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা
তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

মুশফিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ টাইগারদের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে
মুশফিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ টাইগারদের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নবান্ন উৎসবে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা
নবান্ন উৎসবে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোদির মায়ের চরিত্রে রাভিনা
মোদির মায়ের চরিত্রে রাভিনা

৪৭ মিনিট আগে | শোবিজ

ইছামতি নদীতে ভাসমান বাগান, সবজি চাষে সফল মোস্তাকিম
ইছামতি নদীতে ভাসমান বাগান, সবজি চাষে সফল মোস্তাকিম

৪৯ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

রংপুর বিভাগের ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল
রংপুর বিভাগের ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে যোগ দিলেন সেই মানবিক ডিসি জাহিদুল
চট্টগ্রামে যোগ দিলেন সেই মানবিক ডিসি জাহিদুল

৫১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাইবান্ধার নতুন জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান মোল্লার দায়িত্ব গ্রহণ
গাইবান্ধার নতুন জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান মোল্লার দায়িত্ব গ্রহণ

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবর মাসে সড়কে ঝরেছে ৪২৩ প্রাণ : বিআরটিএ
অক্টোবর মাসে সড়কে ঝরেছে ৪২৩ প্রাণ : বিআরটিএ

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সাগরপথে মানবপাচারের প্রস্তুতিকালে আটক ৪
সাগরপথে মানবপাচারের প্রস্তুতিকালে আটক ৪

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে কাম্প ন্যুয়ে ফিরছে বার্সেলোনা
অবশেষে কাম্প ন্যুয়ে ফিরছে বার্সেলোনা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জ্যোতিদের ভারত সফর স্থগিত
জ্যোতিদের ভারত সফর স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’
‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা
লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে