সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স

বাস্তবায়নই আসল চ্যালেঞ্জ

দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রশাসনে ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলে দেশে প্রতিষ্ঠা করতে হবে সুশাসন। প্রশাসনে ভালো কাজের জন্য পুরস্কার এবং অন্যায়ের জন্য কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবকে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তগুলো উল্লেখ করে বলা হয়, জনগণের সেবক হিসেবে জনকল্যাণে আত্মনিয়োগে সহকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য প্রদান করতে হবে পুরস্কার। আর অন্যায় করলে শাস্তির ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। স্মর্তব্য, গত ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় সচিব সভা। ওই সভায় উপস্থিত ৭৬ সচিবের মধ্যে ১৭ জন ১৩টি বিষয়ে বক্তব্য দেন। এ প্রেক্ষাপটে ২০ দফা নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদের চিঠি দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশনার আলোকে। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স অনুসরণে দুর্নীতি দমন কমিশনকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুত ও কার্যকর করতে হবে। এ বিষয়ে সচিবদের অধিকতর সজাগ ও সম্পৃক্ত থাকতে হবে। কৃষিজমি সীমিত বিধায় অল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের ব্যবস্থা করার তাগিদ দেওয়া হয় চিঠিতে। এ জন্য এলাকাভিত্তিক ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে। শিল্পায়নের কারণে যেন পরিবেশ দূষণ না হয় এবং কৃষিজমি হ্রাস না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গত এক যুগে বাংলাদেশ নজরকাড়া অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবে তার সুফল ততটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে না।  প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করা গেলে জনস্বার্থ যেমন অর্জিত হবে তেমন দেশবাসীর কাছে বাড়বে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা। এটির বাস্তবায়ন সরকারের জন্য  চ্যালেঞ্জ বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর