কয়েক দিন ধরে দাম বেড়েছে প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের। জীবনধারণের উপযোগী প্রতিটি জিনিসের অগ্নিমূল্য। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের জন্যই সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একদিকে করোনার প্রভাবে কর্মহীন মানুষ, অন্যদিকে বাজারের পণ্যে চড়া মূল্য। কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন আর মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। অতীতে এভাবে একসঙ্গে সব পণ্যের দাম কখনো বাড়েনি। ১৫ দিন আগেও যে পিঁয়াজ ছিল ৪০-৪৫ টাকা, তা এখন ৭০-৭৫ টাকা। প্রতি কেজিতে বেড়েছে অন্তত ২৫ টাকা। মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। এ ছাড়া কেজিপ্রতি চিনি ১৫, আদা ৩০-৪০, রসুন ৮-১০ আর আটার দাম বেড়েছে ১০ টাকা। ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে অন্তত ১৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বলছে, আমাদের দেশে সাধারণত অক্টোবরে কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু এবার সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। নভেম্বরের মধ্যেই শাকসবজিসহ কাঁচা পণ্যের দাম কমবে। বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করছেন। সরকারকে কঠোর হাতে অতিলোভী অসাধু এসব ব্যবসায়ীকে দমন করতে হবে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য তালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাজারে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে দেশের সাধারণ মানুষের আরও একটু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিতে পারে।